![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারনেট ক্লাসিক আর্কাইভ থেকে প্রাপ্ত
পূর্ব বিশ্লেষণী [প্রায়র আনালেটিক্স]
লেখক অ্যারিস্টটল
গ্রিক থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ: এ জে জেনকিন্সন
ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ: সত্যান্বেষী
গ্রন্থ : ১
প্রথম ভাগ :সংজ্ঞা
প্রথমে আমরা আমাদের অনুসন্ধানের বিষয়টা কি তা বলব এবং এই বিষয়টি কোন বিভাগে আছে তা বলব | অনুসন্ধানের বিষয় হলো প্রদর্শন আর এটা প্রদর্শনমূলক বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত |এটাই হলো পূর্ব বিশ্লেষণীর বিষয় | আমরা এরপর একটা প্রতিজ্ঞা , একটি পদ এবং একটি ন্যায় বা যুক্তি এবং ভালো ও মন্দ যুক্তি , কোনো পদকে যোগ অথবা বিয়োগ করা এবং শেষে কোনো বিষয়ের সম্বন্ধে কিভাবে কথা বলা যায় তা বিচার করব |
অর্থাত এই বইটির বিচার্য বিষয় হলো :
১] প্রতিজ্ঞা
২] পদ বা শব্দ বা পরিভাষা
৩] ন্যায় বা যুক্তি
৪] ভালো ও মন্দ যুক্তি
৫] কোনো পদকে যোগ ও বিয়োগ করা
৬] কোনো বিষয়ের সম্বন্ধে কথা বলা
প্রতিজ্ঞা
প্রতিজ্ঞা হলো সেই বাক্য যা কোনো কিছু স্বীকার বা অস্বীকার করে | এটা তিন রকম হয়: সামান্য,বিশেষ ও অনন্ত | উদাহরণ: সামান্য প্রতিজ্ঞা হলো : কোনো বস্তু হয় সবার আছে নয়তো কারোর নেই | বিশেষ প্রতিজ্ঞা হলো: কোনো বস্তু হয় কিছু লোকের আছে নয়তো কিছু লোকের নেই নয়ত বা কারোর নেই | অনন্ত প্রতিজ্ঞা হলো : হয় কোনো কিছু আছে অথবা নেই |
প্রদর্শনমূলক প্রতিজ্ঞা সর্বজনগ্রাহ্য প্রতিজ্ঞা থেকে আলাদা | কারণ প্রদর্শনমূলক প্রতিজ্ঞা হলো দুটো পরস্পরবিরোধী বাক্যের মধ্যে যে কোনো একটির নির্বাচন (প্রদর্শক প্রতিজ্ঞা জানতে চান না, তিনি প্রতিজ্ঞা নিজেই ঠিক করেন), অন্য দিকে সর্বজনগ্রাহ্য প্রতিজ্ঞা প্রতিপক্ষের পরস্পরবিরোধী বাক্য নির্বাচনের উপরে নির্ভর করে | কিন্তু উভয়ক্ষেত্রে যুক্তি প্রদর্শন একই রকম হয় | কারণ যুক্তি প্রদর্শনকারী প্রথমে কোনো কিছু আছে অথবা নেই প্রতিজ্ঞা করে এবং পরে যুক্তি প্রদর্শন করে | সুতরাং যুক্তিসঙ্গত প্রতিজ্ঞা হলো কোনো কিছুর সাথে কোনো কিছুর সম্বন্ধের ব্যাপারে স্বীকার অথবা অস্বীকার , সেইভাবে যেভাবে দেখানো হলো | যদি এই প্রতিজ্ঞা সত্য হয় তবেই তা প্রদর্শনমূলক | সর্বজনগ্রাহ্য প্রতিজ্ঞা শুধু একটা নির্বাচনের ব্যাপার যখন কেউ প্রশ্ন করছে | কিন্তু যখন কেউ যুক্তি দিছে তখন এটা একটা এমন বক্তব্য যেটা সবাই সমানভাবে অনুভব করে |
পদ
পদ হলো সেই জিনিস যা দিয়ে প্রতিজ্ঞা সম্পুন করা হয় | পদ দুরকম : বিষয় আর বিষয় সম্বন্ধে যা বলা হয়েছে | উদ্দেশ্য এবং বিধেয় |
ন্যায় বা যুক্তি
যুক্তি হলো সেই উপদেশ বা কথোপকথন যেখানে কিছু প্রতিজ্ঞা বাক্য বলা হয় আর সেই কথাগুলি থেকে আরো কিছু নতুন কথা বেরিয়ে আসে পরিণামস্বরূপ যা আগে বলা হয় নি | উদাহরণ : ধরা যাক ক বলা হলো এবং ক থেকে খ বেরিয়ে এলো পরিণামস্বরূপ | অর্থাত সাদা বাংলায় যাকে আমরা কোনো বাক্যের অর্থ বা মানে বলি তাকেই যুক্তি বলে|
আমি তাকেই ভালো যুক্তি বলি যেখানে কোনো একটি প্রতিজ্ঞা বাক্য থেকেই অন্য বাক্যসকল বেরিয়ে আসে পরিণামস্বরূপ | যদি ক থেকে স্বতস্ফুর্ত ভাবে খ বেরিয়ে আসে তাহলে ক হলো ভালো যুক্তি |
অন্যদিকে খারাপ যুক্তি হলো যখন প্রস্তাবিত প্রতিজ্ঞার সাথে যখন অপ্রস্তাবিত আরো প্রতিজ্ঞা প্রয়োজন হয় নাহলে অর্থ হয় না |
কোনো পদের গুন
যখন কোনো পদ অন্য পদের সাথে অঙ্গীভূত থাকে এমনভাবে যে আগের পদটি পরের পদের গুন প্রকাশ করে তখন ওই গুন্ প্রকাশক পদকে বিধেয় বলে |
দ্বিতীয় ভাগ : প্রতিজ্ঞার পরিবর্তনশীলতা
প্রতিটা প্রতিজ্ঞা বলে যে কোনো বস্তু কোনো বস্তুর ধর্ম বা গুন | এই ধর্ম কখনো নিশ্চিত, কখনো হতে পারে আবার নাও পারে | এই ধরনের গুণবাচক প্রতিজ্ঞা ইতিবাচক ও নেতিবাচক এই দুপ্রকার হতে পারে | আবার এইসব ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রতিজ্ঞার মধ্যে কিছু সাধারণ , কিছু বিশেষ এবং কিছু অনন্ত | সামান্য গুনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রতিজ্ঞার পদগুলি পরিবর্তনশীল হবে | যেমন: আনন্দ কখনো ভালো জিনিস নয় | তাহলে কোনো ভালো জিনিস আনন্দপূর্ণ নয় |
ইতিবাচক প্রতিজ্ঞার পদগুলি সামান্যভাবে পরিবর্তন হয় না কিন্তু বিশেষভাবে হয় | যেমন: যদি প্রতিটি আনন্দ ভালো হয় তাহলে কিছু ভালো অবশ্যই আনন্দময় হবে | ইতিবাচক বিশেষ প্রতিজ্ঞার পদগুলি বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয় | কিন্তু নেতিবাচক বিশেষ প্রতিজ্ঞার কোনো পরিবর্তন হয় না | যেমন: কিছু পশু যদি মানুষ না হয় তাহলে কিছু মানুষ পশু নয় –এই সিদ্ধান্ত করা যায় না |
[অনুবাদকের মন্তব্য: কেন এই নিয়ম ? কেন ইতিবাচক প্রতিজ্ঞার পদগুলি সামান্যভাবে পরিবর্তন হয় না কিন্তু বিশেষভাবে হয় ? উদাহরণ নেয়া যাক: যদি প্রতিটি আনন্দ ভালো হয় তাহলে কিছু ভালো অবশ্যই আনন্দময় হবে | এখানে দুটি শ্রেণী আছে: আনন্দ এবং ভালো | একটি শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত সবকটি বস্তুর ব্যাপারে আমি জানি -- প্রতিটি আনন্দ ভালো হয়, কিন্তু অপর শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত সবকটি বস্তুর ব্যাপারে আমি জানি না | তাই আন্দাজ করে নিচ্ছি যে কিছু বস্তু নিশ্চই আগের শ্রেনীর সঙ্গে সম্পর্কিত হবে --- কিছু ভালো অবশ্যই আনন্দময় হবে |
এছাড়া এই ধরনের পরিবর্তনশীলতা এক ধরনের দুটি শ্রেনীর মধ্যে ক্রস চেকিং করতে সাহায্য করে |এইজন্যে এইরকম পরিবর্তনশীলতা প্রয়োজন | ]
তৃতীয় ভাগ : প্রয়োজনীয় এবং সম্ভাব্য প্রতিজ্ঞার পরিবর্তন
প্রয়োজনীয় প্রতিজ্ঞার পরিবর্তনও একই রকম ভাবে হয় | সাধারণ নেতিবাচক প্রতিজ্ঞার পরিবর্তন সাধারণ ভাবে হয় | প্রতিটি ইতিবাচক সামান্য প্রতিজ্ঞা বিশেষ প্রতিজ্ঞায় পরিবর্তিত হয় | যেমন : যদি কোনো মাটি টাকা না হয় তাহলে কোনো টাকাও মাটি নয় | যদি এটা প্রয়োজনীয় হয় যে কিছু রসগোল্লা মিষ্টি তাহলে যে কিছু মিষ্টির রসগোল্লা হওয়াও প্রয়োজন| যদি এটা প্রয়োজনীয় হয় যে সব অথবা কিছু চুড়ি গয়না, তাহলে এটাও প্রয়োজন হবে যে কিছু গয়না চুড়ি | বিশেষ নেতিবাচক প্রতিজ্ঞার কোনো পরিবর্তন হয় না |
সম্ভাব্য প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্রে বলা যায় সম্ভাবনা শব্দটি বহু অর্থে ব্যবহৃত হয় | ইতিবাচক বাক্যগুলি সেইভাবে পরিবর্তিত হয় যেইভাবে আগে বলা হয়েছে | যেমন : যদি এটা সম্ভব হয় যে সব অথবা কিছু ছাত্র পয়্সাওলা তাহলে এটাও সম্ভব হবে যে কিছু পয়সাওলা অবশ্যই ছাত্র |এটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে কোনো ছাত্রই পয়সাওলা হতে পারবে না |
কিন্তু নেতিবাচক প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্রে নিয়ম আলাদা | যা কিছুই সম্ভব হবে সব আগের মত পরিবর্তিত হবে | নেতিবাচক বিশেষ প্রতিজ্ঞা আগের মতই পরিবর্তিত হবে | তবে কোনো কিছু যদি সাধারণ নিয়ম বা স্বাভাবিক হয় তাহলে আগের নিয়ম খাটবে না | সার্বজনিক নেতিবাচক প্রতিজ্ঞা পরিবর্তিত হয় না কিন্তু বিশেষ নেতিবাচক প্রতিজ্ঞা পরিবর্তিত হয় | এইটুকু মাত্র সম্ভাব্য প্রতিজ্ঞার ক্ষেত্রে বলা যায় |
চতুর্থ ভাগ: ন্যায় বা যুক্তি
এখন আমরা দেখব যে কিভাবে, কখন এবং কেমন করে প্রতিটি যুক্তি উদ্ভাবিত হয় | তার পরে আমরা প্রদর্শনের ব্যাপারে জানব | যুক্তিটা প্রদর্শনের আগে জানা উচিত কারণ সমস্ত প্রদর্শন যুক্তি কিন্তু সমস্ত যুক্তি প্রদর্শন নয় |
যখন তিনটে পদ একে অন্যের সাথে এমনভাবে যুক্ত থাকে যে শেষ পদটি মধ্যপদের মধ্যে থাকে এবং মধ্যম পদটি প্রথম পদের সাথে হয় মধ্যে থাকে নয়তো বাইরে থাকে এবং প্রথম আর শেষ পদ একে অন্যের সাথে যুক্ত থাকে, তখন আমরা তাকে যুক্তি বা ন্যায় বলি | [ অনুবাদকের সংযোজন: উদাহরণ: পশু, মানুষ, রাম| শেষ পদ রাম মধ্যম পদ মানুষের মধ্যে থাকে | মধ্যম পদ মানুষ প্রথম পদ পশুর মধ্যে থাকে | এখন পশু আর রামের মধ্যে যুক্তি সম্ভব |জাতি-সদস্য সম্পর্ক আছে পদগুলির মধ্যে |
এখন এই পদের মধ্যে থাকা দুরকম হতে পারে: সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্ত থাকা আর আংশিক অন্তর্ভুক্ত থাকা | যেহেতু এই পদগুলির মধ্যে জাতি-সদস্য সম্বন্ধ আছে, সেহেতু এদেরকে ভেন ডায়াগ্রাম দিয়ে দেখানো যেতে পারে |
ধরা যাক পশু আর মানুষ দুটি জাতি | এইবার যদি সব মানুষ পশু হয় অর্থাত মানবজাতি সম্পূর্ণভাবে পশুজাতির অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে কিছু পশু মানব হচ্ছে আর কিছু পশু অন্য কিছু হচ্ছে | কিন্তু যদি কিছু মানুষ পশু হয় অর্থাত মানবজাতি আংশিক ভাবে পশু জাতির অন্তর্ভুক্ত হয় তাহলে দাড়াবে : কিছু পশু মানুষ এবং কিছু মানুষ পশু |
যদি প্রথম পদের মধ্যে সকল মধ্যম পদ থাকে কিন্তু মধ্যম পদের মধ্যে শেষ পদ না থাকে তাহলে প্রথম আর শেষ পদের মধ্যে যুক্তি বা ন্যায় হলো না | কারণ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না এই ধরনের পদগুলি থেকে | যেহেতু প্রথম আর শেষ পদের মধ্যে কোনো যুক্তি নেই সেহেতু কোনো সাধারণ অথবা বিশেষ সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না | আর যেহেতু কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সেহেতু এটা যুক্তি নয় | পদগুলির মধ্যে সার্বজনিক ইতিবাচক সম্পর্কের উদাহরণ: পশু,মানুষ এবং ঘোড়া | আর সার্বজনিক নেতিবাচক সম্পর্কের উদাহরণ হলো: পশু, মানুষ এবং পাথর | [ অনুবাদকের সংযোজন: পদগুলির মধ্যে জিনাস-স্পিসিস সম্পর্ক বা জাতি-সদস্য সম্পর্ক আছে | এটা বিশেষভাবে লক্ষনীয় | যেমন পশু একটি জাতি আর মানুষ এবং ঘোড়া দুইজন তার সদস্য| অনেকটা সেট এবং তার এলিমেন্ট –এর মত |এই সম্পর্ক না থাকলে কোনো সিদ্ধান্ত সম্ভব নয়|]
এছাড়া পদগুলির পরস্পরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক না থাকলে কোনো যুক্তি হবে না | সুতরাং যখনই পদগুলি পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হবে যখনি যুক্তি সম্ভব হবে নাহলে হবে না |
ক ] যদি একটা পদ আরেকটা পদের সাথে সার্বজনীন ভাবে সম্পর্কিত থাকে কিন্তু অন্য পদের সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত থাকে তাহলে যুক্তি তখনি সম্ভব হবে যখন মুখ্য পদটি সার্বজনীনভাবে ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক হবে এবং গৌন পদটি বিশেষভাবে ইতিবাচক হবে | কিন্তু যখনই গৌন পদটি সার্বজনীন হবে বা পদগুলি একে অপরের সাথে অন্যভাবে সম্পর্কিত হবে তখন কোনো যুক্তি হবে না | আমি সেটাকে মুখ্য পদ বলি যার মধ্যে মধ্যম পদটি থাকে আর মধ্যম পদটির অধীনে যে পদ থাকে তাকে গৌন পদ বলে | উদাহরণ: পশু, মানুষ, রাম | এর মধ্যে পশু হচ্ছে মুখ্য পদ যেহেতু মধ্যম পদ মানুষ তার মধ্যে আছে | রাম হলো গৌন পদ যেহেতু সেটা মধ্যম পদ মানুষের মধ্যে আছে |[অনুবাদক: সেই জাতি-সদস্য সম্পর্ক |] এইবার নিয়মটা উদাহরণ দিয়ে বলি: ধরা যাক তিনটি পদ আছে: মানুষ, মরণশীল আর রাম | তাহলে যুক্তিটি হলো: সব মানুষই মরণশীল | মুখ্য পদটি সার্বজনীনভাবে ইতিবাচক | রাম একটি মানুষ | সুতরাং রাম মরণশীল | গৌন পদ রাম বিশেষভাবে ইতিবাচক |
খ ] predicated of all মানে সমস্ত খ ক এর মধ্যে থাকে এবং কিছু গ খ এর মধ্যে থাকবে | তাহলে কিছু গ ক এর মধ্যেও থাকবে |
predicated of none মানে কোনো খ ক এর মধ্যে নেই কিন্তু কিছু গ খ এর মধ্যে আছে তাহলে এটা সিদ্ধাত হয় যে কিছু গ ক এর মধ্যে নেই |
গ ] যদি গৌন পদ সার্বজনীনভাবে ইতিবাচক বা নেতিবাচক হয় তাহলে যুক্তি সম্ভব নয়, তার মুখ্য পদ ইতিবাচক বা নেতিবাচক অথবা সামান্য বা বিশেষ যাই হোক না কেন | ইতিবাচক সম্বন্ধের উদাহরণ: ভালো, দেশ, জ্ঞান এবং নেতিবাচক সম্বন্ধের উদাহরণ ভালো, দেশ, অজ্ঞান | এইসব পদের মধ্যে কোনো যুক্তি হয় না |
উদাহরণ: কিছু খ ক হয় এবং সমস্ত গ খ হয় |
ঘ ] যদি মুখ্য প্রতিজ্ঞা সার্বজনীন ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক হয় এবং গৌন প্রতিজ্ঞা বিশেষ এবং নেতিবাচক হয় , তাহলেও কোনো যুক্তি সম্ভব নয় তাতে গৌন প্রতিজ্ঞা সার্বজনীন বা অনন্ত যাই হোক না কেন | যদি মুখ্য পদ মধ্য পদের গুণবাচক হয় কিন্তু গৌন পদের সাথে কোনো তার সম্পর্ক নেই আবার মধ্য পদ গৌন পদের একাংশের সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলেও যুক্তি সম্ভব নয় | যেমন পশু, মানুষ এবং সাদা | এবার সাদার মধ্যে থেকে কিছু জিনিস নেয়া হোক যা মানুষের গুণবাচক নয় যেমন রাজহাস এবং বরফ | পশু এখানে একটার সাথে সম্পূর্ণভাবে জড়িত কিন্তু বাকিদের সাথে নয় | সুতরাং এখানে যুক্তি হবে না |
যদি সমস্ত ক, খ হয় এবং কিছু গ খ না হয় তাহলে কোনো সিদ্ধান্ত হয় না |]
উম ] এছাড়া সার্বজনীন নেতিবাচক গৌন প্রতিজ্ঞা থেকেও যুক্তি সম্ভব নয় | যুক্তি সার্বজনীন নেতিবাচক প্রতিজ্ঞা থেকেও সম্ভব নয় | যদি উদ্দেশ্য ও বিধেয়র সম্বন্ধগুলি বিশেষ হয়, তা সে ইতিবাচক, নেতিবাচক, যাই হোক না কেন তা থেকে যুক্তি সম্ভব নয় |
উপরের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার যে যদি কোনো যুক্তি থাকে যা থেকে বিশেষ সিদ্ধান্ত সম্ভব হয় তা হলে তার পদগুলি উপরে বর্ণিত উপায়ে সম্বন্ধিত হবে | আরেকটা জিনিসও পরিষ্কার যে এই যুক্তিগুলি ভালো যুক্তি | এই যুক্তির গঠনকে আমি বলি প্রথম গঠন ( first figure)|
©somewhere in net ltd.