নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাহিত্যে দিবানিশি

আরশাদ আল গালিব

আরশাদ আল গালিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুশান্তের মৃত্য, অসংখ্য নির্যাতিতের আর্তনাদ ও আমাদের সমাজ

১৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

সুশান্তের মৃত্যু, অসংখ্য নির্যাতিতের আর্তনাদ ও আমাদের সমাজ।
আরশাদ আল গালিব
----------------------
সুশান্ত সিং রাজপুত। স্বল্প সময়ে অধিক জনপ্রিয়তা পাওয়া একজন অভিনয় শিল্পী। তার জনপ্রিয় মুভি "এম এস ধোনি"। সর্বশেষ ছবিতে তিনি আত্মহত্যা সমাধান নয় এই থিম নিয় তৈরি ছবিতে কাজ করেছেন!! এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন তা হলো " আপনি যে বিষয়টার গূঢ় রহস্য জেনে যাবেন তখন ওখানকার কোনো কিছুই আপনার মানসপটে স্থায়ী আসন গড়তে পারবে না। তাই এটা সহজেই অনুমেয় যে তিনি ছবির হালচাল বেশ জানেন তাই তার করা ছবির মূল বিষয়বস্তু তার উপর কতটা প্রভাব ফেলেছিলো!!
আজ তার কথিত বা প্রচারিত আত্মহত্যার কাহিনি খুব ঢেউ খেলছে মিডিয়া বাজারে। এটা অতি স্বাভাবিক। তবে আমি মোটা দাগে সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চাই " সালমান শাহের""!! কথা

অনেকে ভাবছেন এখানে সালমান শাহ!!
অবশ্যই কেন নয়।
ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় আত্মহত্যা! করলেন সালমান শাহ!!
পরের ইতিহাস সকলেরই জানা।
একটু খেয়াল করুন সুশান্ত সিং এখন অবস্থান করছিলেন তার ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। অন্তত তার অল্প ছবি, বক্স অফিসে হিট আর বর্তমান স্ট্যাটাস দেখলে অন্তত তাই ই মনে হয়।
যদিও আমি তার ছবি দেখিনি কখনো। আর এটা সত্যি যে আমি বলিউড পাড়া থেকে শতহাত দূরত্ব বজায় রাখি। তবে ঠেকে পড়ে কয়েকটি দেখেছি বটে তবে তার সংখ্যা হাতেগোনা।
যাই হোক যা বলছিলাম। এরকম হিট একটা অবস্থানে থেকে মৃত্যু এটা কি সন্দেহ-জনক নয়!!
একটু ভাবলেও আপনার মনে হয়তো একি প্রশ্ন জাগতে পারে।
জাগলে উত্তরটাও মিলিয়ে নিবেন। আর সময়ের অপেক্ষা করেন হয়তো কিছু ঘটলেও ঘটতে পারে। তাই বলছি এখনই এত আত্মহত্যা না বলে অপেক্ষায় থাকুন পরবর্তী পর্বের জন্য। ( যদি না নাট্যকার নাটক শেষ করতে সমর্থ হন)

এবার আসি অন্য প্রসঙ্গে, তবে এটাও এই বিষয়ের ই অংশ। তা হলো ""আত্মহত্যা ""
আমাদের সামাজিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থোকে এট মারাত্মক রকমের গর্হিত অপরাধ। আপনার কোনো অধিকার নেই স্রস্টাপ্রদত্ত এই সুন্দর জীবন নিজ হাতে ধ্বংস করার। কেনইবা করবেন?? আপনার এ জীবনে সুখ থাকবে দুঃখ থাকবে কষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এসব না থাকলে জীবনের স্বার্থকতা কোথায়?? একবারও কি ভেবেছেন। এসব না থাকলে আপনি তো জীব না আপনি হলেন নির্জীব রোবট!!
কারন এসবই আপনার জীবনের পরিচয় বাহক। এসব নেই তো আপনার জীবন নেই। তাই নিজ হাতে নিজের জীবন শেষ করার আগে এসব কথা একটু খেয়াল রাখবেন।

আসুন সামাজিকতায়!! এটা সত্যি যে আমাদের সমাজে ধর্মতার নামে অধর্মতাই চলে বেশি। আমাদের সমাজ এতই ধর্মভীরু যে আমাদের সমাজে একজন ধর্ষকের সামাজিক মতে
( এটাকে আমি ধর্মীয় মত বলব না কারন ধর্মে একজন ধর্ষকের এরকম সুষ্ঠ দাফন সমর্থন করে কিনা সেটা আমার সঠিক জানা নেই। তবে ধর্ষকের পাথর মেরে মৃত্যু এটা খুবই যুক্তিযুক্ত। কারন এরা মানুষ না তাই এদের নির্মম ভাবেই হত্যা করা উচিত)

কবরস্থ করা হয়। কিন্তু ঠিক বৈপরীত্যে প্রদর্শন করা হয় আত্মহত্যাকারীর দাফনের বেলায়। আমাদের সমাজ এই লাশ দাফন করতে খুবই মনগড়া ব্যাখা প্রদর্শন করে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সামাজিক জীবরা কবরস্থানে দাফন পর্যন্ত করতে দিতে চায় না!! হুজুরেরা জানাজা পড়াতে চায় না!! এটা কি নির্মমতা নয়? এটা চরম নির্মমতা এবং সেই সাথে ইসলামের আইনের বিরোধিতা ও বটে।

কিন্তু এর জন্য ইসলামের বিধান কিঃ
ইসলামের বিধান হলো আত্মহত্যা কারী ব্যাক্তিকে একজন স্বাভাবিক মৃত্যুবরন কারী হতে একটু কম সম্মানিত অবস্থায় দাফন করতে বলা হয়েছে।
যেমন খাটিয়াটা একটু নিচে ধরা, জানাযায় কম লোক শরীক হওয়া, ইমামের বদলে মুয়াজ্জিন বা তদ্রূপ লোককে দিয়ে জানাজা পড়ানো।

এবার আসুন ইসলামের কেন এই বিধানঃ
এ বিধান এ জন্যই করা হয়েছে যাতে সবাই আত্মহত্যার প্রতি নিরুৎসাহিত হয়।
তাই এটা যথার্থ বিধান কারন আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয় তাই এটা করতে নিরুৎসাহিত করার জন্য এটুকু বিধান যথার্থ ও যুক্তিসংগত।

কিন্তু কোথাও এটা লেখা নেই যে লাশ দাফন করা যাবে না, জানাজা পড়া যাবে না হেনতেন আরো কতকিছু। এসব সবই মানুষের মনগড়া আইন।
তাই এসব আজাইরা আইন পালন করা থেকে বিরত থাকুন। সে আত্মহত্যা করছে সে তার কর্মফল ভোগ করবে। সে তো আর আপনার কিছু করে নাই তাই বাড়াবাড়ি করা থেকে বিরত থাকুন।

আর পারলে এই আইন জারি করেন যে ধর্ষকের লাশের জানাজা হবে না, দাফন হবে না।। এই আইন বাংলাদেশের কোথাও নেই। যদিও আমরা দাবি করি আমরা ধার্মিক!!! আমরা মুসলিম!!!

ধর্ষকের কোনো জানাজা নেই, দাফন নেই। ওর মৃত্যু হতে হবে পাথর মেরে। ওর লাশ শিয়াল আর কুত্তায় খাবে। তাহলে হবে আইনের সঠিক প্রয়োগ। যে ধর্ষকের জানাজা পড়বে দাফন করবে ওটাও ধর্ষক।
আসুন আজ থেকে আত্মহত্যার লাশ নিয়ে অপব্যাখা দূর করি এবং ধর্ষক নামক জানোয়ারদের কঠোর মৃত্যু জারি করি। এদের সামাজিকভাবে বয়কট করি। তাহলেই আমরা হতে পারব সামাজিক জীব। নাহলে কুত্তার চাইতেও অধম!!!

এক্ষেত্রে মনে পড়ে গেল রাজাবাজারের এক ছেলের আত্মহত্যার পর সমাজবানিজ্যের কথা। তার লাশের জানাজা আর দাফনের নাটক। শেষে অভিজ্ঞ এক মুফতি এসে সমাধান করেন এই সমস্যা। তিনি এটা নিয়ে জুমার দিনে আলোচনা ও করেছিলেন।

আসুন নিজে সচেতন হই সঠিক ধর্মীয় বিধান জানি ও অপরকে জানাই।

আর কোনো ধর্মই আত্মহত্যাকে সমর্থন দেয় না। তদ্রূপ সমর্থন দেয় না ধর্ষনকেও।

অনেকেই মর্মাহত হয়েছেন প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে। সবার প্রতি সমবেদনা। আর সবাইকে অনুরোধ কাদাছোড়া ছোড়ি করবেন না। কে বাংলাদেশী কে ভারতীয়, কে মুসলিম কে হিন্দু এসব না ভেবে আগে ভাবুন সবাই একি লাল রক্তের মানুষ।
আর নুসরাত, হিরামনি এরকম হাজারো বোনের আর্তনাদে ভারী আকাশ কোনো সীমানা মানে না সবাই নিন্দা জানাই এ ঘটানার। তাই কাদা না ছুড়ে ঐক্যবদ্ধ হন। কারন আপনাদের এই বিছিন্নতা দেখে ধর্ষক নামক নরপিশাচ রা উৎসাহিত হয়, আড়ালে পৈশাচিক হাসি দেয়। তাই ঐক্যবদ্ধ হোন। চূর্ণ করে দিন সকল পিশাচ দের।
আর নির্যাতিতের ছবি নয় ধর্ষনকারীর ছবি দিন। জাগ্রত করুন মানবতা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.