নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো...

গুলশান কিবরীয়া

ফেসবুকে চারুলতা আরজু নামে পরিচিত।

গুলশান কিবরীয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বদলে যাওয়া রঙ( পর্ব ১)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫


শরতের শেষ বিকেলে আলো আঁধারের মাঝে অব্যস্ত অলস ভাবে হাঁটতে ভীষণ ভালো লাগছে , ব্যস্ততা ছিল তারপরও তড়িঘড়ি করতে ইচ্ছে হোল না , প্রকৃতির প্রতিটি সূক্ষ্ম মুহূর্তকে মর্মে মর্মে অনুভবে আলাদা আনন্দ আছে । এই আনন্দ ভোগের জন্য প্রায়ই অলস ভাবে হেঁটে বেড়াই আমি । রাস্তায় পড়ে থাকা শুঁকনো পাতা গুলোর ক্রাশ ক্রাশ শব্দে অন্য রকম একটি ছন্দ যুক্ত হয়েছে প্রকৃতিতে । থেকে থেকে হিমশীতল উত্তরী বাতাস বইছে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে । শীতের দেশে চারটি ঋতু - গ্রীষ্ম , শরত , শীত আর বসন্ত , মাঝে হেমন্ত আর বর্ষা নেই । শরত আমার ভীষণ প্রিয় - চারপাশে রং এর ছড়াছড়ি , হলুদ লাল সবুজ , প্রকৃতি এ সময়ে এক অসামান্য রূপ ধারণ করে , সবুজ ঘাসের উপর হলদে পাতায় ছেয়ে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় । প্রকৃতির এই শোভা দেখতে দেখতে ভুলেই যাই নিজেকে , সমস্ত কাজ আর জাগতিক সম্পর্ক গুলোও আবছা হয়ে আসে ।

হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো - ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে বিরক্তির সুরে শ্যামল বলে উঠলো -
- কি ব্যাপার , তুমি কোথায় কেয়া ? কতক্ষণ থেকে অপেক্ষা করছি ।
- এইতো প্রায় চলে এসেছি, ট্রাফিকে আটকে ছিলাম অনেক্ষন , আসছি , চিন্তা করো না ।

আজকাল বেশ দক্ষ অভিনেত্রীও হয়ে উঠেছি ,মনের অজান্তেই পরিবেশের সাথে খাপ রেখে গল্প সাজিয়ে তাতে অভিনয়ও করে ফেলি , অতি সহজ ভাষায় বলতে গেলে - তাৎক্ষনিক মিথ্যে কথায় বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছি । এই মাত্র শ্যামলের সাথে যেটা বললাম , আমিতো মোটেই ট্রাফিক জ্যামে ছিলাম না । আসলে সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য কতো কি না করতে হয় । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে দক্ষ ভাবে অভিনয় করতে পারলেই জীবন প্রবাহ বোয়ে চলে সার্থক ভাবে । যে'ই এখানে দক্ষ অভিনয় করতে ব্যর্থ ,তারই প্রবাহে গতিবিঘ্ন ঘটে ।

হাঁটতে হাঁটতে চলে এলাম ইউনিভার্সিটি , তারপর সোজা চলে গেলাম বেজমেন্ট লাইব্রেরিতে । ওখানেই আমাদের স্টাডি রুম বুক করা ছিল । টার্ম টাইমে ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরি চব্বিশ ঘণ্টাই খোলা থাকে ।

শ্যামল ভীষণ রেগে আছে , আমি একঘণ্টা লেট । আমরা একটা এম্পায়রিকাল রিসার্চ করছি সাউথ এশিয়ান কমিউনিটি তে ডিভোর্স এর হাড় বৃদ্ধির কারণ ও এর সোশাল ইমপ্যাক্টের উপড় । শ্যামল কলকাতার ছেলে , ভীষণ পড়ুয়া এবং ভীষণ পাঞ্চুয়াল । এই রিসার্চটা নিয়ে ও ভীষণ সিরিয়াস , আমিই মাঝে মাঝে অমনোযোগী হয়ে পরি । আমার মনটা বিভিন্ন খানে ছুটে বেড়ায় , মনটাকে একটি জায়গায় বন্দি করাটা ভীষণ দুঃসাধ্য হয়ে পরে কখনো সখনো । শ্যামলকে খুশি করার জন্য বললাম ,

- এই জানো পাঁচ জনকে পেয়ে গেছি , ইন্টারভিউ দিতে রাজি হয়েছে । তুমি কাউকে পেয়েছ ?
- না , আমার তো আসলে ওরকম পরিচিত কেউ নেই এখানে । তোমার উপর ডিপেন করেই তো আমি এই প্রজেক্টে এসেছি ।
- ঠিক আছে চিন্তা করো না শ্যাম , সব ম্যনেজ হয়ে যাবে ।

শ্যামলের পড়া ছাড়া আর কোন কিছুতেই আগ্রহ নেই , এমন কি আমি যে এত সুন্দরি একটি মেয়ে বসে আছি ওর সামনে , ওর তাতে কোনই বিকার নেই । কখনো ভালো করে চোখ মেলেও দেখেনি আমাকে । ছেলেরা সাধারণত সুন্দরি মেয়ে দেখলে বোকার মতো আচরণ করতে শুরু করে - আর এটাই তো স্বাভাবিক । কিন্তু এই ছেলেটি একদমই অন্যরকম । এইতো সেদিন তূর্যের অফিসের পার্টিতে নতুন জয়েন করা আইরিশ একটি মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তূর্য , আর ঐ সময়টাতে তূর্য মানে আমার স্বামী ভদ্রলোকটি একেবারেই বোকার মতো আচরণ করছিলো । আমি মনে মনে ভীষণ হাসছিলাম ওর কাণ্ড কীর্তি দেখে । আর শ্যামল একেবারেই অন্য রকম , আসলে , ও একটু অন্যরকম বোলেই একসাথে কাজটা করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না ।

বেশ অনেক্ষন হয়ে গেলো লাইব্রেরিতে , ঘড়ীর দিকে তাকিয়ে দেখি রাত নটা বাজে । ফোন খুলতেই তূর্যের টেক্সট ম্যাসেজটা চোখে পড়লো - ও লিখেছে আজ রাতে ওর বাড়ি ফিরতে দেরি হবে , কাজ শেষে ওরা কোলিকরা সবাই পাবে যাবে আর আজ যেহেতু ফ্রাইডে নাইট কাল আর অফিসের ঝামেলা নেই । আমারও মনে হোল বাসায় না ফিরে কিছুক্ষণ বাইরেই কাঁটিয়ে যাই , শ্যামলকে বললাম,

- শ্যাম , চলো বাইরে কোথাও ঘুরে আসি , মাথাটা কেমন জানি ইনফরমেশনে প্যাক্ট হয়ে আছে , একটু রিলেক্স এর প্রয়োজন ।
- ঠিক আছে চলো যাওয়া যাক ।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ করে শ্যামল বলল ,
- কেয়া , আমার ডরমিটরি তো একদমই কাছে , তুমি চাইলে আমরা ওখানেও কিছুটা সময় কাঁটাতে পারি । আসলে পাব জায়গাটা এতো কেওটিক যে ওখানে বেশিক্ষণ থাকলে আমার মাথা ধরে যায় ।

- হুম ঠিকই বলেছ , চলো নাহয় তোমার ডরমিটরিতেই যাই ।

ছেলেটা ভীষণ অমায়িক, মাঝে মাঝে আমি বুঝতেই পারি না আমি একটি ছেলের সাথে কথা বলছি নাকি মেয়ের সাথে । হাঁটতে হাঁটতেও ও আমাদের প্রজেক্ট নিয়েই কথা বলছে । আমার পার্সোনাল ব্যাপারেও ওর কোন আগ্রহ নেই আর ওর নিজের ব্যপারেও কখনো কিছু বলেনি । ইউনিভার্সিটি থেকে দশ মিনিটের হাঁটার পথ ওর ডরমিটরিটি । ওখানে পৌঁছে , আমি তো অবাক ! - সুন্দর করে গোছানো , একেবারে টিপটপ পরিপাটী । ছেলেদের ঘরও এতো সুন্দর গোছানো থাকে ! ভাবাই যায় না । শ্যামল আমাকে জিজ্ঞেস করলো ,

- অনেক পুড়নো একটি ব্র্যান্ডি আছে , চলবে তোমার ? নাকি গতানুগতিক ভালো মেয়েদের মতো হোয়াইট ওয়াইনই চাই তোমার ?

আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম , এতো উদাসীন একটি মানুষ কি করে খেয়াল করলো যে আমি হোয়াইট ওয়াইন ছাড়া কিছু খাই না । আমি প্রতিউত্তরে বললাম ,

- ভালো মেয়েরা যা খায় সেটাই দাও ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্যামল ওয়াইন গ্লাসে করে দু গ্লাস ওয়াইন নিয়ে আসলো । এবং স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলতে শুরু করলো প্রজেক্ট নিয়ে । আমি ওকে থামিয়ে বললাম তুমি তোমার বাড়ির কথা বল , প্রজেক্ট নিয়ে পরে কথা বলা যাবে । ও থেমে গেলো আর আমার দিকে তাকিয়ে ছিল । ইতিমধ্যেই , আমি কয়েক চুমুক ওয়াইন নিয়ে ফেলেছি । হঠাৎ করেই আমি ওর চোখের ভিতর অজানা অন্ধকারচ্ছন্ন রাস্তা দেখতে পেলাম , মনে হোল দমকা ঝোড় হাওয়ায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিলো । তারপর আর কিছুই মনে নেই ।

চোখ মেলে যখন তাকালাম , তখন নিজেকে হাসপাতালের বিছানায় দেখতে পেলাম , পাশে তূর্য আমার হাত ধরে বসে আছে । ওকে জিজ্ঞেস করলাম ,

- আমার কি হয়েছে ? আমার সারা শরীরে এতো ব্যাথা কেন ?
- তোমার কিছু হয়নি কেয়া , তুমি ভালো আছো । তুমি বেঁচে আছো ।

তূর্যর চোখে কখনো পানি দেখিনি আমি , ওর গাল বেয়ে পানি ঝরছে , ঠোঁট কাঁপছে । তখনই আমি বুঝতে পারছিলাম কাল রাতে কি কি হয়েছিলো আমার সাথে । আমার চোখে পানি দেখে , ও নিজেকে সামলে নিয়ে আমাকে ওর বুকে টেনে নিলো , আপ্রাণ চেষ্টা করছে আমাকে শারীরিক আর মানসিক ভাবে সারিয়ে তোলার । ও যে আমাকে এতোখানি ভালোবাসে সেটা আমি আগে এতোটা গভীরভাবে উপলব্ধি করিনি কখনো। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা হচ্ছিলো ,

- তূর্য আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি , অনেক অনেক ।
কিন্তু গলা দিয়ে একটি শব্দ বের হোল না । কখনো এই কথাগুলো মুখে বলিনি আমি , আজও বলতে পারিনি । চোখে চোখে বলেছি অনেক বার কিন্তু এই অতি আবেগি অনুভূতিকে প্রকাশ করার সুযোগ্য কোন শব্দ পাইনি কখনো । একমাত্র এই জায়গা গুলোতে আমি দক্ষ অভিনেত্রীর কাজটি সম্পন্ন করতে পারিনি কখনোই ।

আমাদের পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে আমরা বেশিভাগ সময়ই ব্যস্ততায় কাটিয়েছি , যার যার ক্যারিয়ার আর স্টাডিজ নিয়ে । মা হওয়ার সময়টুকুও বের করতে পারিনি এই পাঁচ বছরে । আজ , এতো এতো পড়াশুনা পিএইচডি সব কিছু অর্থহীন মনে হচ্ছে , মনে হচ্ছে অযথাই এতো কিছু করা । জীবনটা কেমন যেন সাদামাটা হয়ে গেছে , প্রকৃতির রং গুলো এখন আর ওভাবে উপলব্ধি করতে পারি না । বেশিভাগ সময়ই ঘড় অন্ধকার করে বসে থাকি বিমর্ষ হয়ে ...

[ ছবি সূত্র - গুগল , ঘটনার চরিত্র গুলো সম্পূর্ণ কাল্পনিক । আজকাল অনেক রেপ কেইস নিয়ে পড়াশুনা করার ফলে এই প্লটটি মাথায় এলো বলে লিখে ফেললাম । ]





মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার টুইস্ট। ওয়ান, ব্রান্ডি শব্দ দেখেই চিন্তাটা যে দিকে গিয়েছিল ঠিক সেটাই ঘটলো। ২য় প্লাস :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার , আপনি অসাধারণ একজন পাঠক । ভীষণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যে ।

আর সবসময় পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: ছেলেরা সাধারণত সুন্দরি মেয়ে দেখলে বোকার মতো আচরণ করতে শুরু করে - আর এটাই তো স্বাভাবিক । কিন্তু এই ছেলেটি একদমই অন্যরকম । এইতো সেদিন তূর্যের অফিসের পার্টিতে নতুন জয়েন করা আইরিশ একটি মেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল তূর্য , আর ঐ সময়টাতে তূর্য মানে আমার স্বামী ভদ্রলোকটি একেবারেই বোকার মতো আচরণ করছিলো । আমি মনে মনে ভীষণ হাসছিলাম ওর কাণ্ড কীর্তি দেখে । আর শ্যামল একেবারেই অন্য রকম... আসলেই শ্যামলেরা অন্যরকমই হয়-এরা পেশাদার, ভালবাসাটাও তাদের কাছে কমার্শিয়াল,লাভক্ষতির হিসাবে ওজন করে...

চমৎকার ভালোলাগা-অনবদ্য,ভালোলাগা রেখে গেলাম, অ নে ক..।শুভকামনা জানবেন সুহৃদ আপু- গুলশান কিবরীয়া ...

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কিরমানী লিটন । শ্যামল চরিত্রটি অতি জটিল আর বিকৃত রুচির । এদের চেনা যায় না সহজে । আপনি হয়তো ঠিকই বলেছেন , এরা হয়তো পেশাদারই ।
অনেক শুভকামনা জানবেন ।

৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:

ভালো লাগেনি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার যতটুকু মনে পড়ে , আপনি এই প্রথম আমার ব্লগে মন্তব্য করেছেন । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । কিন্তু কেন ভালো লাগেনি সেটাও বলুন ।

ভালো লেগেছে এক কথায় প্রকাশ করা গেলেও , ভালো না লাগাটা এক কথায় প্রকাশ করা যায় না , কারণ এর পর আরও কিছু প্রশ্ন জাগে । যাই হক , ইচ্ছে হলে বলেন কেন ভালো লাগেনি । :)

৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: প্রথমের প্রাকৃতিক বর্ননা অনেক সুন্দর হয়ছে।এবং গল্পটাও অনেক সুন্দর।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ঈশান । অনেক সুন্দর আর অনুপ্রেরনাদায়ক মন্তব্য করেছেন , ভীষণ ভালো লাগছে । :)

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর
+

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে । :)

৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: খুব ভাললেগেছে :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার ভালো লাগায় আমার ভালো লাগা অনেক গুন হোল । অনেক ভালো থাকবেন ।

৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এ ধরনের ঘটনা অনেকই ঘটে, সেই হিসেবে কমন প্লট। তবে তুলে ধরেছেন ভালোভাবেই। আরেকটূ গোছানো হতে পারতো হয়তো।

শুভকামনা রইলো। :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য । অবশ্যই , একেবারেই কমন প্লট । আসলে , মাথায় এখন এই বিষয় গুলো রয়েছে বোলেই এই রকম একটা প্লট বেঁছে নিলাম ।

আমার মনে হয় , একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলেছি । আসলে বেশি বড়ো করতে চাইনি লেখাটিকে ।
আপনাকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ ফিটব্যাক এর জন্য । :)

৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অল্প কথায় চমৎকার লিখেছেন । ভাল লাগলো ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সবসময় পাশে থাকার জন্য ।

৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রথম প্যারাতে আপনি প্রকৃতির যে বর্ণনা দিয়েছেন, তা বেশ কয়েকবার পড়লাম-অসাধারণঃ
// রাস্তায় পড়ে থাকা শুঁকনো পাতা গুলোর ক্রাশ ক্রাশ শব্দে অন্য রকম একটি ছন্দ যুক্ত হয়েছে প্রকৃতিতে । থেকে থেকে হিমশীতল উত্তরী বাতাস বইছে শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে । শীতের দেশে চারটি ঋতু - গ্রীষ্ম , শরত , শীত আর বসন্ত , মাঝে হেমন্ত আর বর্ষা নেই । শরত আমার ভীষণ প্রিয় - চারপাশে রং এর ছড়াছড়ি , হলুদ লাল সবুজ , প্রকৃতি এ সময়ে এক অসামান্য রূপ ধারণ করে , সবুজ ঘাসের উপর হলদে পাতায় ছেয়ে স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় । প্রকৃতির এই শোভা দেখতে দেখতে ভুলেই যাই নিজেকে , সমস্ত কাজ আর জাগতিক সম্পর্ক গুলোও আবছা হয়ে আসে । //

জীবনে কখনো কখনো অভিনয়ের খুব প্রয়োজন হয়ঃ
//বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে দক্ষ ভাবে অভিনয় করতে পারলেই জীবন প্রবাহ বোয়ে চলে সার্থক ভাবে । যে'ই এখানে দক্ষ অভিনয় করতে ব্যর্থ ,তারই প্রবাহে গতিবিঘ্ন ঘটে ।//

শ্যামলদের চেনা বড্ড কঠিনঃ
//আর শ্যামল একেবারেই অন্য রকম , আসলে , ও একটু অন্যরকম বোলেই একসাথে কাজটা করতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না । //

//ছেলেটা ভীষণ অমায়িক, মাঝে মাঝে আমি বুঝতেই পারি না আমি একটি ছেলের সাথে কথা বলছি নাকি মেয়ের সাথে । //

ঠিক সময়ে ঠিক কথাটা মুখে না আসাটা যে কত বেদনারঃ
//- তূর্য আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি , অনেক অনেক ।
কিন্তু গলা দিয়ে একটি শব্দ বের হোল না । কখনো এই কথাগুলো মুখে বলিনি আমি , আজও বলতে পারিনি । চোখে চোখে বলেছি অনেক বার কিন্তু এই অতি আবেগি অনুভূতিকে প্রকাশ করার সুযোগ্য কোন শব্দ পাইনি কখনো । একমাত্র এই জায়গা গুলোতে আমি দক্ষ অভিনেত্রীর কাজটি সম্পন্ন করতে পারিনি কখনোই ।//


শেষ করলাম, কিন্তু কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না?

ভাল থাকুন। সবসময়্

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার এই বিষদ বিশ্লেষণী মন্তব্যে । আপনিও অনেক ভালো থাকবেন সবসময় । :)

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

যেভাবে গল্পের মাঝে কড়া ব্রেইক করে সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে মোড় দিলেন.... মুগ্ধ হলাম।

//আজকাল বেশ দক্ষ অভিনেত্রীও হয়ে উঠেছি ,মনের অজান্তেই পরিবেশের সাথে খাপ রেখে গল্প সাজিয়ে তাতে অভিনয়ও করে ফেলি , অতি সহজ ভাষায় বলতে গেলে - তাৎক্ষনিক মিথ্যে কথায় বেশ পারদর্শী হয়ে উঠেছি । এই মাত্র শ্যামলের সাথে যেটা বললাম , আমিতো মোটেই ট্রাফিক জ্যামে ছিলাম না । আসলে সবকিছুর সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য কতো কি না করতে হয় । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চরিত্রে দক্ষ ভাবে অভিনয় করতে পারলেই জীবন প্রবাহ বোয়ে চলে সার্থক ভাবে । যে'ই এখানে দক্ষ অভিনয় করতে ব্যর্থ ,তারই প্রবাহে গতিবিঘ্ন ঘটে। //

-এ অংশটি বেশি ভালো লেগেছে।

গল্পের ঘটনা সত্য না হোক :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ । আপনার মুগ্ধতায় ভালো লাগা দ্বিগুণ হোল ।

অবশ্যই , এরকম ঘটনা না ঘটুক । পৃথিবীতে ভালোর সংখ্যাই বেশি , গুটি কয়েক বিকৃত রুচির মানুষ সুন্দর পৃথিবীকে বিনষ্ট করে ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

১১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: মুগ্ধ প্রকৃতির আবেশ দিয়ে গল্পের শুরু।গল্প বেশ ভালো লেগেছে।লেখায় কয়েকটি টাইপো মিসটেক রয়েছে বোধহয়,তাতে তেমন সমস্যা নেই। তবে আপুনি আমাদের সমাজে আপনার গল্পের চরিত্রের মতো বাস্তব সমাজেও এরকম কতগুলো সাইকো টাইপের পাবলিক রয়েছে,যাদের কারণে সমাজে এ ধরনের আত্মবিধ্বংসি ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে!!!এদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদান করা উচিত। ভালো থাকুন আপুনি অনন্তকাল

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য । আপনি ঠিকই বলেছেন , এরকম সাইকো আছে তবে খুব বেশি নেই । আর এই আল্প সংখ্যক মানুষ গুলোই পরিবেশ দূষিত করতে যথেষ্ট , এদের উপযুক্ত বিচার হওয়া উচিৎ ।

আর টাইপোর কথা বলছেন , আসলে আমার বাংলার অবস্থা খুব একটা ভালো না আর সবসময় অটো কারেকশনে অব্যস্থ , তাই কষ্ট করতে ইচ্ছা করে না । আর আপনার চোখে যদি স্পেসিফিক কিছু ধরা পড়ে তাহলে বলতে দ্বিধা করবেন না । আবারও অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সবসময় ।

১২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



লেখাটা খুব ভাল লাগলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অসাধারণ ভালোলাগা কাজ করছে । অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,



আসলেই পৃথিবীর রং মুহূর্তেই বদলায়, বদলে যাই আমরাও ।

ভেবে দেখেছেন কখনও , ঢাকার এই ট্রাফিক জ্যাম কিন্তু তাৎক্ষনিক মিথ্যে কথায় আমাদের বেশ পারদর্শী করে তুলেছে ? একটু একটু করে বদলে ফেলছে ?

অফিসে ইচ্ছেকৃত লেট তো বলে দাও - ট্রাফিক জ্যাম । বাড়ীতে ফিরতে দেরী করে ফেলেছেন আড্ডা দিতে গিয়ে, তো বললেই হয় - ট্রাফিকে আটকে ছিলাম অনেকক্ষন ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কিছু করার নেই মিস্টার আহমেদ , আমরা সবাইই পরিস্থিতির স্বীকার । এরকম প্রায়ই করে থাকি আমরা

অশেষ ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন । :)

১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনায় ভালো লাগা রইলো।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি একজন চমৎকার পাঠক । আপনার অনুপ্রেরণায় মুগ্ধ হই প্রতিবারেই । ভালো থাকবেন প্রতিনিয়ত । :)

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! অনেক ভাল লাগলো আপু!

শুভ কামনা!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনিও শুভকামনা জানবেন আর ভালো থাকবেন সবসময় । অশেষ ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য । :)

১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৮

জুন বলেছেন: অনেক অনেক ভালোলাগলো গল্পটি গুলশান কিবরিয়া। হোক গতানুগতিক কন্টেম্পোরারি ঘটনা। আপনার লেখার মুন্সিয়ানায় চমকৃত আমি।
ছোট একটু টাইপো ঠিক করে নিন আপা। ঘড় না হয়ে ঘর হবে :)
+

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন আপু । ঠিক করে দিয়েছি - মাঝে মাঝে কনফিউশনে পড়ে যাই এই বানান গুলো নিয়ে । আপনার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ কারেকশনের সাজেশনের জন্য ।

ভীষণ মুগ্ধ হলাম আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকুন । :)

১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: গল্পে ভাল লেগেছে । বর্ণনায় প্রাঞ্জলতা আছে ভাল । অতি সাধু থেকে সাবধান !

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সঠিক বলেছেন অতি সাধু থেকে সাবধান । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শ্যামলের সাথে নিজেকে মেলানোর চেষ্টা করছিলাম, পরে দেখি বড় ভুল হয়ে গেছে । এমনটা কি অাসলেই হয়? অালাভোলা ছেলেরা কি এমন করে? করলেও সম্ভবত খুব কমই । ভালোই লেগেছে বিশেষ করে প্রকৃতির বর্ণনা, শ্যামলের বর্ণনা!

১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শ্যামলের সাথে নিজেকে মেলানোর চেষ্টা করছিলাম, পরে দেখি বড় ভুল হয়ে গেছে । এমনটা কি অাসলেই হয়? অালাভোলা ছেলেরা কি এমন করে? করলেও সম্ভবত খুব কমই । ভালোই লেগেছে বিশেষ করে প্রকৃতির বর্ণনা, শ্যামলের বর্ণনা!

১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলে মানুষ চেনা ভীষণ কঠিন । ভোলাভালাদের দিয়েও অনেক সময় এমন কিছু সম্ভব যা হয়তো কল্পনাও করা যায় না । আবার এরকমও হতে পারে , যে মানুষটি এই রকম কাজ ঘটায় তাতে তার নিজেরও কন্ট্রোল থাকে না আর এই কাজটি এমনই ঘৃণ্য যে অনুতাপেও কোন কাজ হয় না । এখানে গিলটি মাইন্ড আর গিলটি অ্যাক্ট এর ব্যপার থাকতে পারে । গিলটি মাইন্ড ধারণকারী ব্যাক্তি অতি ভয়ংকর , তারা সবকিছু প্ল্যান করে করে আর গিল্টি অ্যাক্ট হতে পারে অসহিশ্নু মুহূর্তের কিছু ভুল পদক্ষেপ ।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো থাকবেন । :)

২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পটা ভাল লেগেছে । বর্ণনায় ভিন্নতা আছে । কাহিনী তথাকথিত সমাজের ঘৃণ্য আচরণ ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটা পড়ার জন্য । ভালো থাকবেন । :)

২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

দীপংকর চন্দ বলেছেন: গল্পকথন সাবলীল!

বর্ণনায় ভালো লাগা। অনেক।

ভালো থাকবেন। অনেক ভালো। সবসময়।

অনিঃশেষ শুভকামনা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য । আপনার জন্যও রইল অশেষ শুভকামনা ।

২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: হুম ভাল লিখছেন।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য ।

২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

প্রামানিক বলেছেন: গল্প ভাল লাগল। চমৎকার বর্ননা। ধন্যবাদ

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য । :)

২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: কমন প্লট, তবে বর্ননা বেশ সাবলিল ছিল। শেষে একটু চমক, ট্রাজেডি সব মিলিয়ে মুটামুটি ভালো লেগেছে, সামনে আরও ভালো গল্পের প্রত্যাশা রইল। শুভকামনা।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য । অবশ্যই আরও ভালো কিছু আসবে সামনে । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।

২৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৭

আলোরিকা বলেছেন: আপনার গল্প ও মন্তব্য গুলো পড়ে অনেক দিন আগের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল । তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আমরা কয়েক জন ভাই - বোন ও ভাবি মিলে ঢাকার একটা বাসায় থাকতাম । আমাদের পাশের বাসায় এক রহস্যময় দম্পতি থাকত । কিন্তু মহিলাটি বেশ আলাপি ছিল । উনি প্রায়ই আমাদের ভাইবোনদের সাথে গল্প করতে আসতেন । একদিন কথা প্রসঙ্গে বললেন , আমার হাসবেন্ড বলেছেন , অমুক আপুটা দেখতে ........। আমি অবাক হয়ে বললাম , আপনার হাসবেন্ডতো সবসময় মাটির দিকে তাকিয়ে চলে উনি কখনও আমার দিকে তাকিয়েছে বলে তো মনে পড়ছেনা! উত্তরে বললেন , আপু ছেলেরা এমনই ওরা না তাকিয়েও অনেক কিছু দেখে ফেলে :D

গল্প ভাল লেগেছে আপু । শুভ কামনা ।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে । আপনার নামটা আমার খুবই ভালো লাগে :)

আসলে আপু , পৃথিবীর বেশি ভাগ মানুষই ভালো হয় । অল্প সংখ্যক আছে এরকম বিকৃত রুচির হয়ে থাকে । যারা মেয়েদের দিকে তাকায় না তারা অবশ্যই বিকৃত রুচির কেই নয় , হয়তোবা তারা স্বভাবগত ভাবেই ওরকম এবং অনেক ভালো মানুষও । আমি শুধু আমার গল্পটাকে ইন্টারেস্টিং করার জন্য এই শ্যামল চরিত্রটিকে সৃষ্টি করেছি । আসলে শ্যামল চরিত্রটিকে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে তার সুন্দর এর প্রতি আগ্রহ কম কিন্তু ভোগে তার আগ্রহ বেশি । সে নারীর সৌন্দর্যে আগ্রহী নয় মোটেই ।

আমার নিজস্ব এবং একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত হোল , যে মানুষ যেকোনো সৌন্দর্য চোখ ভরে দেখে সে মানুষের অন্তরটা পরিষ্কার থাকে ।

আবার অনেক সময় দেখা যায় , যে মানুষ নিজেকে অতি মাত্রায় ডিপ্রাইভ করে সে মানুষটি কখনো সখন মনের অজান্তেই এমন ভয়ংকর কিছু করে বসে যা কিনা সে কখনো কল্পনাও করেনি । আসেল মানুষের মন আনপ্রেডিকটেবোল , মানুষ নিজেও জানে না সে কখন কি করে বসবে ।

পরিশেষে , আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য । অনেক ভালো থাকবেন ।

২৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।






ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , আপনিও ভালো থাকবেন সবসময় ।

২৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

তাহসিনুল ইসলাম বলেছেন: ভালো লাগলো। সুন্দর সাবলীল বর্ণনা ।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য । অনেক ভালো থাকবেন ।

২৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: সুন্দর

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

আরজু পনি বলেছেন:

আমি পড়তে গিয়ে তো দেখি তারাতারিই শেষ হলো...কিন্তু আগে আরেকদিন এসে ভয়ে শুধু লাইক বাটন চেপে গিয়েছি।
শ্যামলের ভেতরে যে অন্ধকারাচ্ছন্ন শ্যামল ছিল তা কখনো কখনো সবসময় থাকে কোন কোন মানুষের মধ্যে আর কোন কোন কোন মানুষের মধ্যে পরিবেশ পেলে জেগে উঠে...জেগে উঠেনা এমন মানুষের দেখা পা্ওয়া মুশকিল।
সুযোগের অভাবে সবাই সাধু থাকে...সুযোগ এলেই বোঝা যায় কে আসল সাধু।
পছন্দ হয়েছে লেখনি ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা , একেবারে সঠিক বলেছেন । হবে হয়তো সুযোগের অভাবে সবাই সাধু :D

৩০| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২০

rajia বলেছেন: "বেশিভাগ সময়ই ঘড় অন্ধকার করে বসে থাকি বিমর্ষ হয়ে ..."
হুম, এটা আমাদের জীবনের ই অংশ।
অনেক ভালো লেগেছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য আর মন্তব্যের জন্য ।

৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রোপিক চেঞ্জ করা ভাল। মাঝে মাঝেই করা উচিত।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ছবি দেখে ভয় পেয়েছেন । ভূতের মত না ? B-))

৩২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: একদম না। ব্রিটিশ আমলে তোলা আমার এক দাদির ইয়াং বয়সের ছবির মতো........। খ্রাপ না। ভালোই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হায়রে কপাল !! আমি এখন কৈ যাই , নানী থেকে দাদি । আমি তো ভাবছিলাম হাসিটা দেখে সবাই ভয় পাবে । B-))

৩৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দাদি মিন'স আমার দাদার বোন। দাদা মিনস আমার বাবার বাব........। আশা করি এবার আর জটিলতা পাবেন না। :) :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার কি মনে হয়েছে আমি জটিলতা পেয়েছি ? :) lol

৩৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:

শেষটুকু না পড়লে বুঝতে পারতাম না যে, এটি একটি গল্প!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: my goodness !! আপনি ভেবেছিলেন এটি সত্য ঘটনা ?? lol =p~

৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক বলেছেন: হায়রে কপাল !! আমি এখন কৈ যাই , নানী থেকে দাদি । আমি তো ভাবছিলাম হাসিটা দেখে সবাই ভয় পাবে । B-))

এই যে এখানেই......... পেয়েছিলেন। সো মনে হয়েছিল। #:-S

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: একেবারে হাতে নাতে ধরাই দিলেন । =p~

৩৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: প্রকৃতির বর্ননা খুব ভালো লেগেছে। গল্পটাও কারণ পরিচিত প্লট হলেও ভাষাটা সুন্দর। তবে শেষটা আরেকটু বাড়ালে পারতেন।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তনিমা পড়ার জন্য , আসলে বেশী বড়ো করতে চাইনি । হয়তোবা এর দু একটা পর্ব বাড়ানো যেতে পারে ।

৩৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

শামীম আরেফীন বলেছেন: গল্পটা সুন্দর। আপনি ব্যাস্ততার মধ্যেও লিখছেন, এটা খুব ভালো। অনেক ভালোলাগা জানবেন :)

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । অনেক দিন পর আপনার দেখা পেলাম , ভালো তো ?

আসলে , লিখতে তো আমার বেশ লাগে তাই লিখি আর সবার সাথে শেয়ার করি । আগে ডাইরি লিখতাম এখন অনলাইন ব্লগে । কাজে ফাঁকি দিয়ে এখানে চলে আসি মাঝে মাঝে । ভালো থাকুন আর মাঝে মাঝে উঁকি মারতে ভুলবেন না । :)

৩৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: আমিও ভেবেছিলাম বাস্তব নাকি? শেষটুকুতে ধরা পড়ল
এমন ধারার লেখা খুবই যন্ত্রণাদায়ক আপু
শ্যামলের বিপরীতে তূর্যের দেখা না পেলে আপনার খবর আছিল...

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: তাই নাকি ? =p~

যন্ত্রণার কিছু নেই , ভালো খারাপ মিলেই মানুষ হয় । আর আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি জেন্ডার ডিস্ক্রিমিনেশন না করতে । তারপরও হয়তো কখনো সখন মনের অজান্তেই হয়ে যেতে পারে , সেটা কিন্তু আমার দোষ নয় - হয়তোবা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আবেগ অভিমান থেকে হয়ে যায় । আমি পুরুষ বিদ্বেষী নই - তাদের প্রতি রয়েছে অনেক শ্রদ্ধা , ভালোবাসা আর অনেক স্নেহ ।

অনেক ভালো থাকবেন । মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । :)

৩৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০২

তুষার কাব্য বলেছেন: চমৎকার ! ভালো লাগলো।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য । ভালো থাকবেন । :)

৪০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪০

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: নতুন কিছুর খোঁজে এলাম B-)

জিরিয়ে নিচ্ছেন নাকি ? :P

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা , আর জিরতে পারছি কৈ , এতো সুন্দর সুন্দর লেখা পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠলাম । |-)

৪১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

শামীম আরেফীন বলেছেন: হ্যা মাঝে বেশ কিছুদিনের ব্যস্ততায় খন্ড কালীন ছেদ পড়েছিল। আবার এলাম। আর এসেই উঁকি দিলাম আপনার উঠোনে। ভালো না-থাকাদের সাথেই ভালো আছি বেশ।

ডায়েরি লেখার অভ্যাসটা কিন্তু ভালো। তবে ব্লগে লিখছেন বলেই পড়তে পারছি আমরা। মাঝে মধ্যে কাজে ফাঁকি দিয়ে ব্লগে লেখাও স্বাস্থ্যকর। ;)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , আমার উঠোনে মাঝে মাঝে আসবেন । আপনি লেখালেখি শুরু করে দিন ফুল ফেইসে , অনেক ভালো করবেন ।

আসলেই , অনেক ভালো লাগছে এখানে লেখালেখি করতে ।

৪২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২

আমিনুর রহমান বলেছেন:



গল্প ছোট কিন্তু গোছানো ও টুইস্ট ছিলো গল্পে। সবচেয়ে ভালো লাগছে আপনার বানানের প্রতি মনোযোগ দেখে। যদিও এখনো কিছু বানানে ভুল বা টাইপো আছে। যেমন- অনেক্ষন< অনেকক্ষন, বোয়ে< বয়ে, উপড়<উপর, বোলেই< বলেই, হোল< হলো, পুড়নো< পুরনো কিংবা একটু শব্দ স্পেসের কারনে দুটো হয়ে গেছে যেমন- পাঁচ জন< পাঁচজন, সার্থক ভাবে< সার্থকভাবে।

গল্পে ভালো লাগা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আমিনুর মন্তব্যের জন্য । আমি চেষ্টা করছি , এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছিও এটা সত্য ।
ভালো থাকুন ।

৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম বোকামি মেয়েরা কেন যে করে, যেখানে বিশ্বাস করাটাই পাপ।

৪৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার।

কফির মগ হাতে নিয়ে আপনার লেখাটি শেষ করলাম। বাইরে ঝুম বৃষ্টি।

৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

চেনা মুখ, অচেনা ছায়া বলেছেন: সাবলীল বর্ননা। ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.