নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো...

গুলশান কিবরীয়া

ফেসবুকে চারুলতা আরজু নামে পরিচিত।

গুলশান কিবরীয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মা বলতে কি কিছু আছে ? যদি থাকে মৃত্যুর পরে কি হয় আত্মার ?

০২ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩



মানুষের জানার আগ্রহ সেই আদি কাল থেকেই । অজানাকে আবিষ্কার অথবা অজানার অনুসন্ধান মানুষ সর্বকালেই করেছে । একজন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ কোয়ান্টাম মেকানিক্স , ডার্ক ম্যাটার , ম্যাজিক থিওরি , এক্সট্রা ডাইমেনশন , মাল্টিভারস ছাড়াও আরো অনেক কিছু বোঝার এবং জানার চেষ্টা করে , মূল্যনিরূপক বোঝার চেষ্টা করে নতুন কোন চিত্রকর্মকে , আমরা একে অপরকে বোঝর এবং জানার চেষ্টা করি , আবার কখনো কখনো সম্পূর্ণ রূপে বুঝেছি অথবা জেনেছি বলে দাবীও করি । কিন্তু আসলেই কি আমরা সম্পূর্ণ রূপে কোন কিছু বুঝতে পারি বা জানতে পারি ? তারপরও এই অজানার পেছনে মানুষ ছুটে চলেছে এর শেষ দেখবে বলে । মনে প্রশ্ন জাগে , এর শেষ কি আদৌ আছে ? হয়তো আছে হয়তো নেই ।

বেশ কিছুদিন ধরে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন আর এর রহস্য মাথায় জেঁকে বসেছে , এ নিয়েই ভাবছি অনেক কিছু । মৃত্যু মানব জীবনের অনিবার্য একটি ঘটনা , এখান থেকে কারো নিস্তার নেই । অনেক অনেক মিথ এবং অনেক যৌক্তিক ও অযৌক্তিক ব্যাখ্যা রয়েছে মৃত্যুকে ঘিরে , তারপরও মনে অনেক প্রশ্ন জাগে - কি হয় মৃত্যুর পরে ? কেমন হয় মৃত্যুর ঠিক পরবর্তী অভিজ্ঞতাটা ? মৃত্যু হলো সবচেয়ে বড় রহস্য এই সৃষ্টি জগতের । তাইতো , এই অজানা বিষয়টি নিয়ে ভাবনার জায়গা তৈরি হয় মনের ভেতর , আর তখনই মানুষ এর বিভিন্নমুখী ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে যার যার চিন্তা-চেতনা এবং অভিজ্ঞতার আলোকে । কেউ কেউ বলে মৃত্যু হোল পরিবর্তন - এক জীবন থেকে আরেক জীবনে রূপান্তর , যেমন শুঁয়োপোকার জীবন শেষ হয়ে প্রজাপতিতে রূপান্তরিত হয় । শুঁয়োপোকাটি হয়তো জানেই না সে একসময় প্রজাপতিতে রূপ নেবে , আবার একটু ঘুরিয়ে যদি বলি , প্রজাপতিটির হয়তো মনেই নেই সে একসময় অন্য কিছু ছিল । তবে কি এটাই সত্য যে সব স্মৃতি মুছে দিয়ে আবার নতুন ভাবে নতুন রূপে ব্যাবহার হচ্ছে একই আত্মা বারে বারে , নানান সময় নানান রূপে । এভাবেই বহুমাত্রিক ব্যাখ্যা রয়েছে ব্যক্তি বিশেষে এবং নানান প্রকার বিশ্বাস অনুযায়ী । আবার কেউ কেউ ভাবে আত্মা বলতে কিছুই নেই , মৃত্যুতেই সমাপ্তি একটি জীবনের অথবা আত্মার । কিন্তু কৌতূহলী মন কোন কিছুতেই যেন তুষ্ট নয় , ছুঁয়ে দেখতে চায় অভিজ্ঞতার আলোকে এবং উপলব্ধি করে কৌতূহলের আগুন নেভাতে চায় ।


এটা সবসময়ই লক্ষণীয় যে বিজ্ঞান একটি সুনির্দিষ্ট অথবা অনেকটাই গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করে । মৃত্যুর ব্যপারে বিজ্ঞান বলে জীবনের মতো মৃত্যুও একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যায় , এর কয়েকটি স্তর রয়েছে - প্রথম স্তরকে বলা হয় ক্লিনিকাল ডেথ । এই প্রথম স্তরটি শুরু হয় শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার ঠিক চার থেকে ছয় মিনিট পর । ঐ সময়টাতেও অনেকটা অক্সিজেন জমা থাকে মানুষের মস্তিষ্কে , যার ফলে তখনও মস্তিষ্ক পুরপুরি এর কার্যকারিতা হারায় না অর্থাৎ মস্তিষ্কের নেটওয়ার্ক সিস্টেম ক্লিনিকালি মৃত্যু ঘোষণা করার পরও সচল থাকে । তার মানে মানুষ ঐ সময়গুলোতে উপলব্ধি করতে পারে পারিপার্শ্বিকতা , অঙ্গপ্রত্যঙ্গের চালিকা শক্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রকাশ করার ক্ষমতা হারায় । যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ভিন্নতা দেখা যায় । অর্থাৎ কেউ কেউ উপলব্ধি করতে পারে আবার কেউ কেউ পারে না । সাধারণত মানুষ ক্লিনিক্যাল মৃত্যু অবস্থা থেকে পুনরায় জীবিত অবস্থায় ফেরত এসে কিছুই মনে রাখতে পারে না , তাদের জীবন থেকে ঐ সময় গুলো চিরতরে হারিয়ে যায় ।

দ্বিতীয় স্তরটি হলো বায়লজিকাল ডেথ - এই স্তরে মানুষের হৃৎপিণ্ডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় , সমস্ত শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের ক্রিয়া কর্মও সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যায় । তারপর মানুষের দেহকোষ গুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে শুরু করে এবং চূড়ান্ত ভাবে মানুষকে মৃত হিসেবে ঘোষণা করা হয় । এখন কথা হলো এই ক্লিনিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল মৃত্যু স্তর এর পরবর্তী স্তরটি কি ? আসলেই কি মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে ? ধর্মগ্রন্থ গুলোতে এর সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছে , কিন্তু কৌতূহলী এবং বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা সবসময়ই প্রমাণ চায় । বিজ্ঞান সন্দেহের চোখে তাকাবেই , আর একারনেই আমরা নতুন নতুন আবিষ্কারের উপর ভর করে আধুনিক জীবনের পথে হেঁটে চলেছি ।



মৃত্যুর এই অজানা স্তরটি সম্পর্কে সর্বজন গ্রাহী সুস্পষ্ট কোন সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা নেই , যার ফলে ভিন্ন ভিন্ন মতপার্থক্য রয়েছে এবং বিশ্বাস - অবিশ্বাস রয়েছে । বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের " প্রায় মৃত্যু" অভিজ্ঞতাকে গবেষণা করে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করতে পারছে যে মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বলে কিছু থাকলেও থাকতে পারে । যাদের " প্রায় মৃত্যুর" অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা প্রায়ই একই ধরনের অভিজ্ঞতার কথা বলে থাকে , যেমন প্রায় সকলেই বলে থাকে যে তারা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া অনুভব করেছে , তারা দেখেছে যে দ্রুতগামী একটি টানেলের ভিতর দিয়ে ছুটে চলেছে অসীম একটি আলোর দিকে , কখনো কখনো তারা দাবী করে যে তারা তাদের মৃত আত্মীয় স্বজনের সাথে ছিল অনেকটা সময় । যদিও কোন কোন বিজ্ঞানী এই অবস্থাকে বলে - এক ধরনের " লুছিড ড্রিম" অথবা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে এই ধরনের অনুভূতি হতে পারে । তারা কিন্তু সবাই একটা সম্ভাবনার কথা বলেছেন । নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারেননি । তার মানে হলো এই " প্রায় মৃত্যু " অভিজ্ঞতাটা একটা রহস্যের মধ্যেই রয়ে গেলো ।

ওয়ার্ম হোল

আসলেই কি আত্মা শরীর থেকে আলাদা হয়ে অন্য কোন জগতে ধাবিত হয় বলেই এরকম অসীম আলো দেখতে পায় মানুষ এই " প্রায় মৃত্যু" অথবা ট্রাঞ্জিশনের সময় ? হতে পারে মানব আত্মা শরীর থেকে আলাদা হয়ে " ওয়ার্ম হোল" দিয়ে যাত্রা শুরু করে অন্য কোন জগতের দিকে ছুটে চলে , হতে পারে তৃতীয় মাত্রা থেকে চতুর্থ মাত্রায় প্রবেশের রাস্তা হিসেবে এই " ওয়ার্ম হোল" ব্যবহৃত হয় । সবই অনুমান , এর একটাও ফিজিক্যালি কোয়ানটিফাই করা সম্ভব না , আবার একে ভুল প্রমাণ করাও সম্ভব হয়নি এখন পর্যন্ত । আমরা মানুষেরা কতটা অসহায় অথবা কতটা ক্ষুদ্র আমাদের ক্ষমতা যে আমারা আমারদের শুরুর কথাই প্রমাণ করতে পারি না এবং আমাদের গন্তব্যসম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট কোন ধারনা নেই ।

শর্ট কাট যাত্রা এক বিশ্ব থেকে অন্য বিশ্বে ওয়ার্ম হোলের মাধ্যমে ।

তবে আত্মা এবং শরীর যে আলাদা কিছু এটা কিছুটা হলেও প্রমাণিত , কারন মানুষ এখন মানুষের চেতনাকে আবার কেউ কেউ বলছে আত্মাকে আপলোড করতে সক্ষম হবে সুপার কাম্পিউটারে , যেটাকে অনেকে দাবী করছে মানুষের অমরত্ব হিসেবে । কতটুকু সম্ভব এটা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে । এই চেতনা আপলোডের জন্য প্রয়োজন হবে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরন গুলো এবং এর নেটওয়ার্ক সিস্টেমটা কিভাবে ওয়ার্ক করে এবিষয়ে গভীর জ্ঞানের , কারন মানুষের মস্তিষ্কের ক্রিয়া কর্ম সম্পর্কে মানুষ এখনো পর্যন্ত সুস্পষ্ট ধারনা অর্জন করতে পারেনি ।

এরিজোনা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর স্টিউয়ারট হেমেরফ মানুষের চেতনাকে কাম্পিউটারে আপলোড করার ব্যপারে যথেষ্ট আগ্রহী এবং এটা সম্ভবপর বলেও মনে করেন । তিনি মনে করেন মানুষের আত্মা চিরন্তন এবং শরীর থেকে আলাদা কিছু যেটা মানুষের মস্তিষ্ক নামক যন্ত্রে প্রাকৃতিক ভাবে আপলোড করা হয়েছে , অতএব এর মেকানিজম বুঝতে পারলে একে কৃত্রিম ভাবেও সুপার কাম্পিউটারে আপলোড করা সম্ভব মানুষের পক্ষে । অপরদিকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর সার রজার পেন্রজ কিছুটা দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন যে মানুষের চেতনা হয়তো রেপ্লিকেট করা সম্ভব কিন্তু আত্মা রেপ্লিকেট শুধুমাত্র প্রাকৃতিক উপায়েই সম্ভব অর্থাৎ তিনি সম্ভবত বলতে চেয়েছেন ওটি শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তার দ্বারাই সম্ভব ।যদিও তিনি পরবর্তীতে ডক্টর হেমেরফ এর আইডিয়াতে সম্ভবপর বলেও সম্মতি দিয়েছেন ।

আমি বেক্তিগত ভাবে মনে করি আত্মা চিরন্তন এবং এটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা সম্ভব নয় , এটা সম্পূর্ণ ভাবেই সৃষ্টিকর্তার নিজস্ব এলাকা ।


পরবর্তী পর্ব আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এবং মানুষের অমরত্ব নিয়ে থাকবে ।

কৃতজ্ঞতা ঃ
লাইফ সাইন্স
দা ডেইলি টেলিগ্রাফ
মৃত্যুর পরের জীবন
https://www.youtube.com/watch?v=R5DqX9vDcOM
https://www.youtube.com/watch?v=3WXTX0IUaOg



মন্তব্য ১২৮ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (১২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:০০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আবার কেউ কেউ ভাবে আত্মা বলতে কিছুই নেই , মৃত্যুতেই সমাপ্তি একটি জীবনের অথবা আত্মার । কিন্তু কৌতূহলী মন কোন কিছুতেই যেন তুষ্ট নয় , ছুঁয়ে দেখতে চায় অভিজ্ঞতার আলোকে এবং উপলব্ধি করে কৌতূহলের আগুন নেভাতে চায় ।" মানুষ যদি একবার মরে মৃত্যুর পরে কী হয় দেখে আসতে পারতো, তাহলে বোধহয় অনেক প্রশ্নের সমাধান হয়ে যেতো ।

গুলশান আপা কি ইদানীং আজরাইল মামুকে স্বপ্নে দেখছেন নাকি? ভাবগতি তো ভালো ঠেকছেনা!

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: না না , কাউরে স্বপ্নে দেখি না । এই প্রশ্ন আমার সেই বুঝ হবার পড় থেকে । :)

২| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:০০

হাটহাজারির তইন বইলচি বলেছেন: ইন্নালিল্লাহ। বেগানা আওরাত এই ব্লগে লেখে। বেগানা নারী পুরুষের অবাধ মিলামিশা অবিলম্বে বন্ধ করতে হইবে এই ব্লগে।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হাই , কেমনচেন ? দেন সব বন্ধ করি দেন , হেইডাই ভালা । আপনি যে হুজুর না সেটা আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি । আমি আবার মানুষের অন্তরের খবর টের পাই । হি হি

৩| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:০৫

মুসাফির নামা বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৭

সুমন কর বলেছেন: আত্মা চিরন্তন এবং এটি কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা সম্ভব নয় , এটা সম্পূর্ণ ভাবেই সম্পূর্ণ রূপে সৃষ্টিকর্তার নিজস্ব এলাকা। -- এসব লেখায় কি বলবো, বুঝতে পারিনা ! মৃত্যুর কারণে আমরা প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলি !

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: মৃত্যু একটি অনিবার্য ঘটনা মানুষের জীবনে , হয়তো সাময়িক কষ্ট হয় মানুষের কিন্তু সবচেয়ে সত্য এবং নিষ্ঠুর যে আমরা তারাতাড়ি সব ভুলেও যাই প্রিয়জনের মৃত্যু ।

৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৮

নতুন বলেছেন: এটি কম্পিউটার চালু অবস্তায় জীবিত এবং বন্ধ অবস্তায় এক রকমের মৃতই বলা চলে....

কিন্তু আলাদা করে কিন্তু শুধু ১টা জিনিস আত্নার মতন কাজ করেনা।

কোড ছাড়া হাডওয়ার গুলি কাজ করে না... তেমনি বিদ্যুত ছাড়া সব কিছুই অচল....

আমাদের শরীরও মনে হয় এই রকমের কিছু একটা হতে পারে.....

হয়তো আত্না বলে কিছুই নেই.... হয় তো আছে...

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হয়তোবা । তবে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আত্মা বলে কিছু আছে । এর প্রমাণও আছে কিন্তু ঝট করে কাউকে কিছু বিশ্বাস করানো মুশকিল তাই ও বিষয়ে কিছু বলতেও চাই না । অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

৬| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:২২

রোষানল বলেছেন: গুলশান আপাবলেছেনঃ মৃত্যু হলো সবচেয়ে বড় রহস্য এই সৃষ্টি জগতের

এটা খুবই নর্মাল। যার শুরু আছে তার শেষ আছে।দ্যাটস ইট

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমিও তাই মনে করি , শুরু যেহেতু আছে এর শেষও আছে । তবে শেষ কোথায় এই চিন্তা করলে মাথা খারাপ হয়ে যায় ।

৭| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

প্রামানিক বলেছেন: মৃত্যু একটি কঠিন বিষয়। এটার উপর আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ।

৮| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

গ্রিন জোন বলেছেন: কুরআনের দিকে তাকান সব সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। মৃতু্য সম্পর্কিত বুখারির হাদিস গুলো পড়ুন। কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ একটা ভালো লেখার জন্য।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৯| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিষয়টা আমাদের কাছে রহস্যই থেকে যাবে। :|

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:১৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হয়তোবা , তবে বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে এটি জানার ।

১০| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:০৪

জিয়ানা বলেছেন: এসব লেখা পড়েছি আগেই...আলোচনা করার জন্য কঠিন বিষয়টা। তবে,ধর্মভীরু একজন মানুষ হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ইসলাম ধর্মে এসব বিষয়ে দেয়া ব্যাখ্যাগুলো।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:২২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমিও তাই বিশ্বাস করি তবে আমি ভীরু নোই আমি বিশ্বাসী । আমার বিশ্বাসকে আমি লজিক দিয়ে সবসময় ধারালো চকচকে করে রাখতে চাই যাতে ঐ বিশ্বাসে মরছে না পরে ।
অনেক ভালো থাকবেন জিয়ান ।

১১| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:০৭

শায়মা বলেছেন: মরার পরে বুঝা যাবে আসলেই কোথায় গেলাম। :( তবে তোমার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা লাগছে আপুনি!:(

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , সায়মা আপুনি , চিন্তার কিছু নেই , ভয়েরও কিছু নেই - এতো অনিবার্য সত্য - এটা ঘটবেই কোন না কোন সময় । :)

১২| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:১৮

অন্য কথা বলেছেন:
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الرُّوحِ قُلِ الرُّوحُ مِنْ أَمْرِ رَبِّي وَمَا أُوتِيتُم مِّن الْعِلْمِ إِلاَّ قَلِيلاً (১৭:৮৫)
তারা আপনাকে রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।
They ask thee concerning the Spirit (of inspiration). Say: "The Spirit (cometh) by command of my Lord: of knowledge it is only a little that is communicated to you, (O men!)"

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । একেবারি সত্য কথা , আমরা খুব সামান্যই জানি এবিষয়ে ।

১৩| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:১৯

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: আপু সময়ের অভাবে এই মুহূর্তে পড়তে পারছিনা বলে দুঃখিত।

আপনার প্রতি উত্তর পাওয়ার পরে পড়ে নেব নিশ্চিত।
আশা করি তখন সময় আমার বাধার প্রাচীর হতে পারবেনা।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম আপনার ।

১৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২২

রাঙা মীয়া বলেছেন: ভাল লিখেছেন।দেহের মৃত্যুর পর আত্মার গতি বা প্রানের রূপান্তর হয়

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কি যে হয় একমাত্র তিনিই জানেন । আমরা তো শুধু ধারনা করেই খালাস ।

১৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই বিষয়ের ওপর আমি একটা গল্প লেখার চেষ্টা করছি।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: খুবই ভালো , আমার আবার আত্মা বিষয়ে ভীষণ আগ্রহ । লিখুন - লেখা হলে জানাবেন ।

১৬| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া,




চিরকালের উত্তর না জানা একটি জটিল প্রশ্ন রেখেছেন । আর চির অনুসন্ধিৎসু মানুষ তার উত্তর খুঁজেই চলেছে যেমনটা আপনি বলেছেন ।
ঘাবড়াবার কিচ্ছু নেই । নিঃশ্চিন্তে দিন পার করুন । উত্তরটা পাওয়া গেলে রেডিও-টেলিভিষনের সংবাদে জানতে পারবেন । হয়তো ফেবুতে কেউ আগেই ষ্ট্যাটাস দিয়ে দেবে । এখন এতো জটিল প্রশ্নটি নিয়ে খামোকা মাথা ঘামিয়ে আয়ু কমিয়ে লাভ কি ? :( :P

তবে বলতেই হয়, চরম একটি জিজ্ঞাসার সামনে পাঠককে দাঁড় করিয়ে দিলেন । আবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্ট এবং মানুষের অমরত্ব নিয়ে লিখবেন বলেছেন । এও তো বেশ জটিল বিষয় । বিশ্বব্রম্মান্ডের তাবৎ জ্ঞান সম্পর্কে ভালো ধারনা না থাকলে সহজে কেউ এগুলো বুঝে উঠতে পারবেন না । ধোঁয়াসা মনে হবে ।

আপনার এমন আত্মজিজ্ঞাসা আমাদেরও জ্ঞানের আলো দেখাক.......................

শুভেচ্ছান্তে ।


০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আসলে দুশ্চিন্তা করি না , আত্মা বিষয়টা আমার আবার খুব পছন্দের , আমি ভীষণ স্পিরিচুয়ালও মাঝে মাঝে । তাই একটু আধটু চিন্তা ভাবনা করি আরকি , তো নিশ্চিত বলতে পারি যে দুশ্চিন্তা করি না । :D
আয়ুর কথা বলছেন --- আমি আবার এ ব্যপারে ভাগ্যে বিশ্বাসী তাই এতে আমার কোন ভয় ভীতি কাজ করে না ।

দেখা যাক সময় সুযোগ করে ওগুলো পোস্ট করে ফেলবো ।

অনেক অনেক ভালো থাকবেন । :)

১৭| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এভাবেতো যাচ্ছে জীবন যাউক, জেনে গেলেও যখন মৃত্যুকে ঠেকানো যাবেনা। যেনে লাভ কি। কোন বিজ্ঞানী ও আজো টেকেনি। সবাইকে মরতে হবে।

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কিন্তু কৌতূহলী মন যে জানতে চায় অনেক কিছু । তাদের কৌতূহল কিছু দিয়ে দমন করা সম্ভব নয় ।

১৮| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:১৫

পুলহ বলেছেন: ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়ের ওপর পোস্ট, ভালো লাগলো...
আপনার কোন একটা মন্তব্যে কোথাও দেখেছিলাম যে- ফিজিক্স (সম্ভবতঃ কোয়ান্টাম ফিজিক্স) নিয়ে আপনার খুব আগ্রহ। এনিওয়ে, আপনার এই লেখায় ওয়ার্ম-হোল সম্পর্কে যেটা বলেছেন- সেটা সম্ভবতঃ রিগোরাস ফিজিসিস্টগণ খুব একটা প্রেফার করবেন না। কারণ ওয়ার্ম হোল তৈরির জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট কন্ডিশন প্রয়োজন হয়, যেটা মৃত্যুর সময় পাবার সম্ভাবনা নেই...
এম্নিতে মেডিক্যাল বিষয়- যেগুলো তুলে এনেছেন নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ! খুব ভালো লাগলো, এবং অবশ্যি অবশ্যই পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকা হোক সব সময়। লেখায় প্লাস

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আমার আসলে এন্সাইকপ্লেডিক ইন্টারেস্ট :) । আসলে ওয়ার্ম হোলের ফিজিক্যাল প্রমাণ নেই তবে গাণিতিক ভাবে এটা গণনা করা যায় । আমার কাছে কেন জানি মনে হয় আত্মা ওয়ার্ম হোল দিয়েই বাইপাস হয়ে অন্য জগতে যায় যেটা হয়তো ফিজিক্যালি কোন সময়ই প্রমাণ কারা যাবে না ।

আশা করি পরবর্তী গুলোও পোস্ট করবো সময় সুযোগ মত ।

১৯| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

রাঙা মীয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: কি যে হয় একমাত্র তিনিই জানেন । আমরা তো শুধু ধারনা করেই খালাস
-----------------------------------------------------------------------------------------------
হুমমম,সহমত।এই রহস্য একমাত্র মহাপুরূষগনের কাছেই উদঘাটিত।আর তাদের দেওয়া ব্যাখ্যা থেকেই আমরা কিছুটা ধারনা করতে পারি

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আরও একবার ধন্যবাদ আপনাকে আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের জন্য । আপনার সাথেও সহমত পোষণ করছি ।

২০| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


মজাদার আলোচনা। পুরোটাই উপভোগ করলাম। মৃত্যুর পরেও মানুষ বেশ কিছুক্ষণ জীবিত থাকে... তারা নিকটাত্মীয়দের কথোপকথন শুনে... আসন্ন বিদায়ের জন্য শঙ্কিত হয়... সন্তানের কান্নায় ব্যকুল হয়। কিন্তু জীবিতরা সেটি বুঝতে পারে না কারণ মৃত্যুপথযাত্রী তো সম্পূর্ণ ফিরে আসতে পারে না আর। আপনার আলোচনায় এটি ভিন্নভাবে এসেছে।

আমিও আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি।

মন/অন্তর, মস্তিষ্ক আর দেহ পর্যন্তই বিজ্ঞানের আলোচনা। মানুষ যখন খুশি হয় অথবা তৃপ্ত হয়, তখন আসলে দেহের কোন্ অংশটি প্রভাবিত হয়? নিরুদ্দেশ সন্তানটি বারো বছর পর ফিরে এলে, মায়ের মন খুশি হয় নাকি আত্মা খুশি হয়? প্রখর রোদে এক ক্লাস তরমুজের জুস সামনে পেলে, আমাদের অন্তর তৃপ্ত হয়, নাকি আত্মা? বিজ্ঞানীরা কী বলেন, কৌতূহল জাগে।

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো আপনার অনুভূতির কথা জেনে । আপনি ঠিকি ধরেছেন , কিছুটা ওরকম ভাবেই এসেছে ।
বিজ্ঞানীরা সবসময় একটা ফিজিক্যাল প্রমাণ চায় , এছাড়া তারা সন্তুষ্ট হতে পারে না । আমার কাছে মনে হয় আত্মা যতক্ষণ পর্যন্ত শরীরে আটকে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার অনুভূতিতে সে শারীরিক ভাবে সেটা প্রকাশ করে , আর যখন আত্মা থাকে না তখন এই শরীরের তো কোন ক্ষমতাই থাকে না , তাই মনে হয় আত্মাই হয়তো খুশী হয় অথবা তৃপ্ত হয় । আবার মনে হয় , হয়তোবা শরীর এবং আত্মা যৌথ ভাবেই এই অনুভূতির কারন ।

২১| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
dang! interesting one.

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২২| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:০০

বিজন রয় বলেছেন: আমি জানিনা। এসব ভাবলে আমার মাথা গুলিয়ে যায়।

ভাল পোস্ট।
++++

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলেই মাথা গোলানোর মতই তো । আমরা এই ক্ষুদ্র মানুষেরা ধাঁধাঁর বিরান ভূমিতে পড়ে আছি । জীবন কাটিয়ে দিচ্ছি কোন মতে ।

২৩| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হৃদয়/অন্তর, মন/মস্তিষ্ক আর দেহ পর্যন্তই বিজ্ঞানের আলোচনা। (শেষ প্যারার প্রথম বাক্যের সংশোধন)

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ । আসলেই হৃদয় =অন্তর আর মন = মস্তিষ্ক , যেটা আমরা প্রায়ই ভুল করি । :)

২৪| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৪২

জিয়ানা বলেছেন: গুলশান কিবরিয়া, ধর্মভীরু বলতে আমি বোঝাতে চাইছি আমি ধর্মবিশ্বাসী। ভীরু আর ধর্মভীরুর মধ্যে অনেক পার্থক্য। ভীরু নই আমি। আপনার আর আমার বিশ্বাস আলাদা হতেই পারে। আমি আমার মতামত শুধু আমার মন্তব্যের মাধ্যমে বোঝাতে চাইছিলাম। সমালোচনা দূরের কথা। ...আমি জিয়ান না। 'া' টা লিখতে হ্য়তো ভুলে গেছেন।

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দুঃখিত জিয়ানা , আপনার নামের বানানটা ভুল হওয়াতে ।

আপনি ঠিকি বলেছেন , বিশ্বাস , মত এসবের পার্থক্য তো থাকবেই । আমি আসলে ধর্মভীরুই বোঝাতে চাচ্ছিলাম । আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু ভিন্ন আপনার থেকে । আমার কাছে ভালো লাগে ধর্মবিশ্বাসী অথবা ধর্মের অনুসারী হতে । ধর্মপ্রাণ কিংবা ধর্মভীরু হতে আমার আপত্তি । আমার কাছে মনে হয় ধর্মপ্রাণ অথবা ধর্মভীরু যারা তারা ইমশন দ্বারা প্রভাবিত হয় , ফলে চরমপন্থি হবার একটা সম্ভাবনা থাকে আর এই চরমপন্থিতে আমার ঘোড় আপত্তি । কিছু মনে করবেন না প্লিজ , আমি শুধুমাত্র সততার সাথে আমার একান্ত নিজের দৃষ্টিভঙ্গিটি প্রকাশ করলাম আপনার সাথে ।

২৫| ০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৫১

জিয়ানা বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া, তবে আপনার লেখা ভাল হয়েছে। সন্দেহ নেই।

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে জিয়ানা , অনেক ভালো থাকবেন ।

২৬| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৯

তানজির খান বলেছেন: কিছুদিন হলো মৃত্যু চিন্তা আমাকে জেঁকে ধরেছে। বায়লজিকাল মৃত্যু হলে খুব খুশিই হতাম হয়তো। তবে মৃত্যুর সাথে আমার আড়ি, মরতে মরতেও বেঁচে গেছি তিন দিন আইসিইউ তে থেকে!

আপু পোস্ট ভাল লেগেছে। আপনাকে ফেবুতে পাইনা আর!

০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানজির । আশা রাখি ভালোই আছেন । আসলে কিছু দিন হয় বন্ধ রেখেছি , একটু অন্য কাজে ব্যস্ত আছি তাই । আর কটা দিন পড়েই চলে আসবো । :)

২৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১:১৫

মোস্তফা ভাই বলেছেন: ASTRAL PROJECTION PRACTICE KOREN....বুঝতে পরবেন। অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=QIq2FViJ0qQ

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার তথ্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।

২৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৪৬

মোঃ আলমগীর হোসেন নাহিদ বলেছেন: আমি জিবনের প্রথম আমার মনের মতন একটা পোস্ট পেলাম। আমি আপনাদের মতো এত জ্ঞানী না। তবে আপনার এ পোস্ট পড়ে মনে হইলো এই প্রশ্ন গুল আমারও। হয়তো আমি প্রকাশ করার কোন ভাষা পাইনি। অনেক ধন্যবাদ, আসা করি এ বিষয়ে আপনার আরও লিখা পাবো।
মৃত্যু নিয়ে একটি প্রশ্ন আমি প্রায় সবাইকে করে থাকিঃ মৃত্যু কি জীবনের সমাপ্তি নাকি পূর্ণতা? সবাই বলে দুটোই। কিন্তু আমি একটা উত্তর চাই ব্যাখ্যাসহ।
ধর্ম বলতে বংশগত ভাবে আমি মুসলমানের সন্তান। কিন্তু আমি নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারিনা। আজ যদি আমার জন্ম কোন হিন্দু ঘরে হইত তাহলে আমি হয়তো হিন্দু হইতাম।
আমি ইমান নিয়ে মৃত্যু গ্রহন করতে চাই। কিন্তু আমি আল্লাহ কে অন্ধ বিশ্বাস করতে চাই না। আমি চাই আমি জেন বুঝে, সুনে, আল্লাহ কে বিশ্বাস করতে চাই। বংশগত ভাবে মুসলমান হইতে চাই না।

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নাহিদ মন্তব্যের জন্য । আর আমি জ্ঞানী গুণী কিছু নই , খুবই সাধারণ একজন ।
আমার বিশ্বাসটাকে আমি লজিক দিয়ে ভেরিফাই করে নেই - এই টুকুই । আমারও ভালো লাগে না অন্ধের মত কোন কিছু বিশ্বাস করতে ।

ধর্মের একটা মহৎ উদ্দেশ্য রয়েছে যেটা মানুষকে আলোর পথ দেখায় , সেটা যে ধর্মই হোক না কেন । তবে ধর্মকে ভালভাবে বুঝতে গেলে জ্ঞান অর্জন আবশ্যক । জ্ঞান অর্জনেই আপনি পরিপূর্ণ রূপে ধর্মকে বুঝতে সক্ষম হবেন । যুগে যুগে আলোর পথ দেখিয়েছেন মহা মানবগণ , এদের প্রত্যেকের গন্তব্য কিন্তু একই জায়গায় । তাই জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আপনার কাছে যে পথটি শ্রেষ্ঠ মনে হবে আপনি সেটাই অনুসরণ করবেন - এই তো । ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে । অনেক ভালো থাকবেন ।

২৯| ০৩ রা মে, ২০১৬ ভোর ৬:০১

মুক্ত মনের বাক্য বলেছেন: আলমগীর হোসেন,,, ভাই আপনি যা বললেন,, তা একজন মুক্তমনা হিসেবে আমিই ভালো জানি, তার কারন আমি আপনাদের ধর্ম গ্রন্থ আল কুরআন পড়েছি,, এতেই সবচেয়ে সঠিক ধারনা পেয়েছি, তাতে বলা আছে সবচেয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে,, রূহ বা আত্মা হলো আল্লাহর হকুম বিশেষ, যা চোখে দেখা যায়না, এক কথায় রুহ বা আত্মা মহান সৃষ্টিকর্তার আদেশ, যেমন বলেছেন হও তখন হয়েগেছে, আরো বলা আছে এ সম্পর্কে তুমাদের খুব কম জ্ঞান দেয়া হয়েছে, ধন্যবাদ।

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে বর্ণনা করার জন্য ।

৩০| ০৩ রা মে, ২০১৬ ভোর ৬:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: খুবই চমত্কার একটি লেখা ! আপনার কাছ থেকে এই ধরনের আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম !

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । আশা করি আরও আসবে এরকমের লেখা ।

৩১| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ৮:১০

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: পড়তে ভালো লেগেছে। তবে আবার মৃত্যু চিন্তা মাথায় চাড়া দিয়ে উঠলো!

০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । হা হা তাই ! চিন্তার কিছু নাই ...

৩২| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১০:১২

চিত্রনাট্য বলেছেন: একটা মানুষ নিজেই কি পরিমাণ জটিল হতে পারে, বা কি পরিমাণ উল্টো ভাবনা ভাবতে পারে সেটা নিজেই বুঝতেই পারে না। সেক্ষেত্রে মানব মস্তিষ্ক কি আর কিভাবে কাজ করে তা সত্যিই বের করা যাবে অথবা আদৌ সম্ভব কিনা তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমরা কে? কিভাবে আসছি আর কোথায় যাবো এই তিনটা প্রশ্ন সব মানুষের মাথায় কমবেশি ঘুরপাক খায়। যদি আমরা ধর্ম বিশ্বাস করি তাহলে এর উত্তর খুব সহজ। আর যদি না করি তাহলেও বলবো যুগ যুগ ধরে ধর্মগ্রন্থ মানুষের এইসব চিন্তাভাবনাকেই স্থান দিয়েছে পাপ পূণ্য, স্বর্গ নরক দিয়ে।

গত বছর রাতের সমুদ্র সৈকতে দাঁড়িয়েছিলাম, রাতের সমুদ্র যদি দেখে থাকেন তাহলে অনুভব করবেন রাতের সমুদ্রের গর্জন আর সাদা ঢেউয়ের ফেনা কেমন হয়! একজন মানুষ যে কতটা ক্ষুদ্র হতে পারে! কতটা ছোট হতে পারে!

তখন মনে হয়েছিল এইসব প্রশ্ন আসলে বৃথা। এইসবের কোন অর্থ নেই।

শুধু শুধু তথ্যসমৃদ্ধ লেখা ভালো লাগে না। আপনার লেখাটা ছুঁয়ে গেছে। আমরা কিরকম ভাবছি আর ভাবনাগুলোর সহজ করে প্রকাশ!

পরবর্তী পোস্টের জন্যও অপেক্ষা।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য । আসলেই , আমরা এক ফোঁটা পানির সমান বিশাল সমুদ্রের কাছে । আর আই মহাবিশ্বের কাছে আমাদের অস্তিত্বই কল্পনা করা যায় না ।

আমরা কে ? কোথা থেকে এসেছি এবং কোথায় যাব ? এর কোন ক্লু আমাদের নেই , এই কৌতূহল মোটামুটি সকলেরই । মাথা খারাপ করা প্রশ্ন । এর সুযোগ্য উত্তরও আছে পবিত্র ধর্মগ্রন্থে , তারপরও কৌতূহলী মন যেন কিছুতেই তুষ্টি পায় না । তবে বেশী কৌতূহলও বোধ হয় ভালো না । :) জানি না ...

৩৩| ০৩ রা মে, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভাবনা।

আত্মা আপনার সজীবতা। আপনার কর্মক্ষতা, অনুভব. ক্রিয়াশীলতা।
একটা আদেশ। আলো এবং শক্তির সমন্বয়ে গঠিত অস্তিত্ব।
দেখতে কিসমিস দানার মতো ছোট, উজ্জ্বল সবুজের সাথে সাদা মিক্সড কালার, সদা কম্পমান সুগন্ধিযুক্ত। সারা দেহে এর ক্রিয়াশীলতা বিরাজমান থাকে। কম্প্রেসড করে দেহ থেকে এটাকে পৃথক করা যায় সুনির্দিষ্ট পদ্ধিতেত সাধনা করে। এবং তাঁকে নিয়ে মহাশূণ্য ভ্রমন করা যায় আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে। সৃষ্টি জগতের সকল সীমা অতিক্রম করার সক্ষমতা সহ।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সুন্দর বলেছেন । হয়তো তাই । আমার কাছেও মনে হয় আত্মা আলোর গতির চেয়েও অনেক বেশী দ্রুতগামী যেটা শরীর নামক যন্ত্রে বন্দী থাকে এর সৃষ্টিকর্তার আদেশক্রমে । আবার প্রয়োজন শেষ হলে চলে যায় এর সৃষ্টিকর্তার কাছে অসীম গতিতে ।

৩৪| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৭

উল্টা দূরবীন বলেছেন: চিন্তার অনেক বিষয় আছে লেখার মাঝে। তবে ভাবলে মাথায় হিজিবিজি লাইগা যায়।

মানুষের মৃত্যু খুব কাছ থেকে দেখেছি। ক্লিনিকাল ডেথ যাকে বলে আরকি। এক সেকেন্ড আগে যে মানুষ জীবিত ছিলো এক মুহূর্তে পরেই সে কোথায় যেন চলে গেল।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , হিজিবিজি করার কোন দরকার নেই । এটা তো খুবই স্বাভাবিক একটি নিয়ম , তবে খুবই কঠিন একটা নিয়ম ।

৩৫| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

লায়ন ইন দ্য ডার্ক উডস্‌ বলেছেন: This is my most favourite topic. I try to read as much as I can about this. I can suggest a few books in case you haven't read them already.
1. Many Lives, Many Masters (Dr Brian L. Weiss, MD)
2. Same Soul, Many Bodies (Dr Brian L. Weiss, MD)
3. Messages From the Masters (Dr Brian L. Weiss, MD)
4. Proof of Heaven (Dr. Eben Alexander, MD)
5. Life After Life (Dr Raymond A. Moody, Jr., MD)
6. On Death and Dying (Dr Elisabeth Kubler Ross)
7. Breakthrough: An Amazing Experiment in Electronic Communication with the Dead (Konstantins Raudive, Phd)

These are only a few (my favourites) but there are many more. Also, if you can practice Meditation, Astral projection, Astral travelling, Lucid dreaming etc. you can experience things that no books can teach you. Good luck.

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: Thank you so much for the list of books , thats really so kind of you .

৩৬| ০৩ রা মে, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

ভবঘুরে মানুষ বলেছেন: ক্ষণজীবনের সমাপ্তি অনন্ত জীবনের শুরু ইহ জগতের কর্মফলই অনন্ত অধ্যায়ের মহারথী৷

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সুন্দর বলেছেন ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩৭| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

হুকুম আলী বলেছেন: আত্মা যে কি জিনিষ এটা এখনও আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে মানুষ চেষ্টায় আছে।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হুম , দেখা যাক কি হয় , তবে আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো এটা সম্ভব হবে না ।

৩৮| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

মুহিউদ্দীন ইকবাল বলেছেন: মৃত্যু একটি রহস্য।একে বুঝতে হলে যিনি এটা সৃষ্টি করেছেন তাঁর কাছ থেকেই জানতে হবে।কুরআন খুলে দেখুন।সেখানে রয়েছে প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট বর্ণনmewherein/pictures/MUHIUDDINIQBAL/MUHIUDDINIQBAL-1462269184-9e21c7f_xlarge.jpg]

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । অবশ্যই দেখে নেব ।

৩৯| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: আত্মা অবিনশ্যর , মৃত্যুর পরে কি হবে এটা যদি জানা যেত ভলোই হত । হুম মৃত্যুর পর ভুত হওয়া গেলে এক টা কাজ করতাম, আপনার ঘাড়ে ভর করতাম । :D

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , কোন সমস্যা নেই । আমি অবশ্য ভূতকে ভয় পাই না --- কত ভূত দেখলেম । B-))

৪০| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

Md Rafi Hasan বলেছেন: চোখ বন্ধ করে চোখের উপর চাপ প্রোয়োগ করলে, মনে হয় একটি টানেলের মদ্ধে দিয়ে কোনো প্রকার আলোর দিকে যাচ্ছি

৪১| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

Md Rafi Hasan বলেছেন: এই বিষয়ে কিছু জানাবেন please?

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: তাই বুঝি ? তবে এই কাজটা না করাই ভালো , এতে আপনার নিউরাল সিস্টেমে কোন সমস্যা হলেও হতে পারে । আসলে জানি না কেন হয় ।

৪২| ০৩ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

কল্লোল পথিক বলেছেন: ব্যাপক চিন্তার বিষয়।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলেই তাই ।

৪৩| ০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: আত্মা বলে কি সত্যিই কিছু আছে? এই প্রশ্নটা আমারো খুব আগ্রহ।তবে আমি বিশ্বাস করি আছে।তবে বিশ্বাস দিয়ে তো আর বিজ্ঞান চলে না। সচলায়তনে অভিজিৎ এর আত্মা নিয়ে একটা পোস্ট পড়েছিলাম।

০৩ রা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আছে কি নেই এটা জোরালো ভাবে বলা যায় না , কারন বিজ্ঞান যেমন এটাকে প্রমাণ করতে পারেনি তেমনি ভুল প্রমাণ করতেও সক্ষম হয়নি । তার মানে এর দুই দিক থেকেই সম্ভাবনা আছে । তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হোল - আছে , আত্মা বলে কিছু আছে । কিন্তু প্রমাণ যদি চান তবে সেটা দিতে পারবো না , এটা সম্পূর্ণই অনুভূতির ব্যপার ।

৪৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:১২

মোঃ আলমগীর হোসেন নাহিদ বলেছেন: জ্ঞান অর্জনের পিছনে যদি আমি সব সময় খরচ করে ফেলি, তাহলে এ ছোট্ট জীবন উপভোগ করবো কখন? ঘুমে চলে যায় জীবনের অনেকটা সময়। পেটের তাগিদে কর্মক্ষেত্রে জীবনের অর্ধেক সময় দিয়ে দেই। নিজেকে পরিছন্ন রাখা, গুছিয়ে চলা এসবের পিচনেও কিছু সময় যায়। শংসারের কথা না হয় বাদ দিলাম। এর মাঝে কখন আমি জ্ঞান অর্জন করবো, কখন আমি জীবন উপভোগ করবো? আসলে জীবন উপভোগের জন্য নয়। তাহলে জীবন কিসের জন্য?

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা ভালো বলেছেন । আসলে কি জানেন , জ্ঞান অর্জনটাকেও কিন্তু উপভোগ্য মনে হয় যদি আপনার ওটার প্রতি গভীর আগ্রহ থাকে । গভীর আগ্রহ থাকলে কোন কিছুই বাঁধা মনে হবে না । আর জ্ঞান অর্জনে যদি এতো বাঁধা থাকে তাহলে সেটার অন্বেষণ না করাই ভালো । সেক্ষেত্রে কোন প্রকার প্রশ্ন না করে যে কোন একটি জীবন বিধান অনুসরণ করাই ভালো । কারন সুন্দর একটি জীবন বিধান আপনাকে সুন্দর সুনির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করবে ।

আর জীবন অবশ্যই উপভোগ করার জন্য , কেন নয় ? অন্যের ক্ষতি না করে , এমন কি নিজের ক্ষতি না করে আপনি যেমন ইচ্ছা তেমন করে জীবন উপভোগ করতে পারেন । এতে তো কোন সমস্যাই হবার কোথা না ।

৪৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ সকাল ৯:২৮

লায়ন ইন দ্য ডার্ক উডস্‌ বলেছেন: You are welcome. You may search in google for "10 amazing examples of mind over matter" and find interesting facts about how our mind controls our body. Also, search for placebo effect and you may find it interesting. Can science really explain what is mind, what it is made of, where it is located? Not really. But no one can ignore the existence of mind. The mind is way much more powerful than anyone can even imagine. The more I try to know the more I am surprised.

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: Thank you so much for your second comment and thanks again for those suggestions. I'm also very curious about mind as well as spirit. In connection with such curiosity , I come across lots of mind and spirit related sources . And the good thing is that sources are very open to everyone. In that case, I can say, I’m very lucky that I’ve unlimited access to different kinds of libraries . But anyway I do appreciate the suggestion you gave .

Actually , the thing is , I have the spiritually , I do understand the mind , Im very telepathic too , however I haven’t got the proof . If you want to make people understand you need to prove it . That’s why , I am inquest of scientific proof . spirituality doesn’t work for everyone , you need some solid proof to make sense . I believe that science will do that soon .

৪৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬

জেন রসি বলেছেন: প্রাণের সৃষ্টি যদি জড় থেকে হতে পারে তবে আত্মার ধারনাটা একধরনের ভাববাদী চিন্তার ফল ছাড়া আর কিছুনা। আমার ধারনা মৃত্যুর পর সব শেষ হয়ে যাবে এমন চিন্তা মানুষ নিতে পারেনি। তাই সে শূন্যস্থান পূরণ করতে আত্মার ধারনা নিয়ে আসে। মৃত্যুর পরেও তার কিছু একটা থেকে যাবে এমন ভাবনা ভাবতে মানুষ একধরনের আরাম পায়। কিন্তু পৃথিবী এবং প্রানের সৃষ্টির এবং ধ্বংসের ইতিহাস যৌক্তিক ভাবে পর্যালোচনা করলে আত্মার অস্তিত্বের কোন ধারনা পাওয়া যায় না। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করলে আরো অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করতে হবে।

আপনার অনুসন্ধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা রইলো। যেহেতু আমি মনে করি আত্মার ধারনাটা এক ধরনের বিভ্রান্তকর মতবাদ, সেহেতু আপনার মতের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা চালাতে পারি এ বিষয়ে। অবশ্যই যদি আপনি চান!

শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:১৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাকে স্বাগতম - আপনার যে কোন মতবাদ নিয়ে আপনি এখানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন , অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়াটা খুবই জরুরী যেটা আপনিও বলছেন । আর তাছাড়া আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভিন্ন ভিন্ন মত এবং আলোচনা পছন্দ করি , এতে করে অনেক কিছু স্পষ্ট হয় । কিন্তু সমস্যা হোল আমি সময় করে হয়তো উত্তর দিতে পারবো না , একটু দেরি হতে পারে । you can move on জেন রসি ...

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আরেকটা কথা আপনাকে বলে রাখি আমি কোন রিজিট মতবাদে বিশ্বাসী না , ভীষণ ফ্লেগজিবল আমার মন । দেখুন পারেন কি না আমার চিন্তা গুলো পালটাতে । :)

৪৭| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মোঃ আলমগীর হোসেন নাহিদ বলেছেন: মৃত্যুর পরে আমার আত্মা কই যাবে এটা নিয়ে চিন্তা না করে, জন্মের আগে আমার আত্মা কোথায় চিল, এটা নিয়ে ভাবলেই আসা করি উত্তর পাওয়া জেতে পারে।

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলে একই কথা । মৃত্যুর আগে যেখানে ছিল সেখানেই ফেরত যেতে হবে ।

৪৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৫

লায়ন ইন দ্য ডার্ক উডস্‌ বলেছেন: Good to hear that you are very telepathic. I am telepathic too. In fact, everyone is telepathic but the problem is most of us do not actually pay attention (or may be don't know how to pay attention) to our sixth sense. In the same way, spirituality works for everyone but most of us don't know how to respond to what we feel. Most of us are not used to believe in our guts. I am also in quest for genuine proof. If you have a chance to read the books I mentioned you may find yourself well ahead in your journey of quest. I have been searching for answers since my childhood and those books (in particular, the book #1 in the list) have changed my life upside down. I have been meditating since I was a teenager and my meditation experience actually helped me to properly understand some of those books. I also have had many spiritual experiences in my life. My personal experiences along with my meditation and the evidences provided on those books helped me to see life and death from a difference perspective. I would like to add one more book to the suggestions: Biocentrism (by Dr. Robert Lanza, MD). I haven't finished reading this book yet. I am going very slow reading this book because the contents of this book much harder to understand as it explains things in relation to quantum mechanics. Also, books and research papers by Dr. Ian Stevenson provided evidences that are amazing. Anyway, keep reading and searching, you will find your answers if you are really keen to find them. And yes, be sure to search with an open mind because if you search with a closed mind you will not find anything. Good luck.

০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: o really !! that’s cool !! you are telepathic, too !! it is really fascinating experience if one has this kind of experience . I have some bizarre experience which made me little bit of spiritual, but I am the person who always looking for logic for anything and try to solve those scientifically. I found some of the answer but some are really difficult to put a logic on it , therefore , Im still in my quest . hope your suggested books might have some clue . actually , life on earth , our existence , our destination is quite complicated . when I have learnt about multiverse , its kind of crazy feelings , cant think of it , its really really enormous craziness .

Yes, I am really keen to find out all the logic ,and I will continue to do that . yeah , my mind is always wide open like sky . I will try all the books as you suggested . Thank you so much , and you take a good care of yourself .

৪৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:২০

চিত্রনাট্য বলেছেন: লায়ন ইন দ্যা ডার্ক উডস, আপনার কমেন্ট পড়ে ভালোই লাগলো। ধ্যানের জগতটাও আমার কাছে এক ধরণের বিভ্রম মনে হয়। অস্থির স্বভাবের হওয়ার কারণে এইটা কন্টিনিউ করতে পারি নি। জীবন, মৃত্যু আপনার দেখা বা আমার দেখা হয়তো কখনো এক হবে না, বা এক করে দেখানোর চেষ্টা করলেও হবে না।
আর মুক্ত মনের কথা বললেন তো, সেটাও কি বিভ্রম নয়।

আপনার লিস্টের প্রথম বইটা অন্তত পড়তে ইচ্ছে করছে। কিন্তু ইংরেজী বই অতটা ভালো লাগে না। ভাষার গভীরে পৌঁছাতে পারি না। অনুবাদ গুলো ছাড়া ছাড়া মনে হয়।
শুভকামনা রইলো।

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলেই অনুবাদ মনের মত হয় না । :)

৫০| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৪

বৃতি বলেছেন: রহস্য ও অজানা নিয়ে মানুষের যে চিরন্তন আগ্রহ, তার চমৎকার উদাহরণ আপনার এই পোস্টটি। ভালো লাগলো আপনার অনুসন্ধিৎসা :)

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ারা জন্য , অনেক ভালো থাকবেন । :)

৫১| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আত্মা হচ্ছে চিরন্তন এটা আমি ও বিশ্বাস করি ,ভালো লেগেছে :)

০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমিও তাই ভাবি , অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য । :)

৫২| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫২

মুছাফির বলেছেন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রহস্য মৃত্যু থাকা। আপটার ডেথ রহস্যে ঘেরা।

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হয়তোবা , কত কিছুই তো হতে পারে । :)

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ ভোর ৫:১০

মহা সমন্বয় বলেছেন: জন রেসি ভাইয়ের সাথে একমত।
মৃত্যু পরবর্তী জীবন বলতে কিছু নেই। আর থাকলেও তাহাতে আমাদের কিছুই আসে যায় না। যেমন আমার জন্মের আগে এই মহাবিশ্বে সবই ছিল রোদ,বৃষ্টি,ঝড়, গান,কবিতা,খেলাধুলা,যুদ্ধ, আনন্দ,বেদনা,ভালবাসা,ঘৃণা সব সবই ছিল, ছিলাম না শুধু আমি। কত বড় বড় যুদ্ধ হয়ে গেল কই আমি তখন কই ছিলাম তখন আমার ভূমিকাই বা কি ছিল? পৃথিবীর সবকিছুই তো চলছিল স্বাভাবিক গতিতেই কিন্তু আমি এর কিচ্ছু জানি না কারণ তখন যে আমার অস্তিত্বই ছিল না। ঠিক তেমনই আমার মৃত্যুর পরেও আমি অস্তিত্বহীন হয়ে যাব এই মহাবিশ্ব চলবে তার আপন গতিতে থাকব না শুধু আমি। তখনও এই মহা বিশ্বে সবই থাকবে রোদ,বৃষ্টি,ঝড়, গান,কবিতা,খেলাধুলা,যুদ্ধ,আনন্দ,বেদনা,ভালবাসা,ঘৃণা এর সবই থাকবে কিন্তু আমি অস্তিত্বহীন হয়ে যাব বিধায় এগুলা থাকা না থাকায় আমার কিচ্ছু আসে যাবে না। ঠিক যেমন জন্মের আগের মাহাবিশ্বের কোন কিছুতে আমার কিছু আসতো যেত না।
আর প্রায় মৃত্যু অবস্থায় মানুষ যে বিষয়গুলো অনুভব করে এখানে ঐশরীক কিছু নেই এর মূলে রয়েছে মহা বাস্তবতা। যা ঘটে তারা যা অনুভব করে তার সবই মস্তিষ্কের মতিভ্রম ( মস্তিষ্কে প্রচন্ড অক্সিজেনের ঘাটতি হলে সব মানুষই এরকম ঘূর্ণিমান আলোর ট্যানেল দেখতে পায়, বিভিন্ন শব্দ শুনতে পায়, প্রিয়জনের মুখ দেখতে পায়,বিভিন্ন আজগুবি স্বপ্নে দেখে ( এই আজগুবি স্বপ্ন আবার ব্যাক্তি বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন হয়) অনেকের অতীতের স্মৃতি সামনে এসে হাজির হয় যা বাস্তব বলে মনে হয় তাদের কাছে । ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী প্রায় মৃত্যু পথযাত্রী কিছু মানুষের উপর গবেষণা করে দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন ফলাফল যা পুরোটাই মনোস্তাত্বিক। :-P
তবে আলোর ট্যানেল দেখা এবং শুন্যে ভাসা এ দুটি ব্যাপার কমন। তার মানে এই না যে তারা সবাই ওয়ার্ম হোলের দিকে ধ্বাবিত হচ্ছিল। =p~ এর মধ্য রয়েছে বাস্তবতা অলৌকিক আত্না ফাত্না বলে কিছু নেই। B-)
পরকালে বিশ্বাসী কিছু গবেষক এই ব্যাপরগুলোকে ফুঁলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের মত মনগড়া ব্যাঁখ্যা দাঁড় করিয়েছে মাত্র।
ইউটিউবে,গুগলে এ বিষয়ে হাজার হাজার ভিডিও ওয়েব সাইট রয়েছে অনেক বড় বড় গবেষক নিজেদের মনগড়া ব্যাঁখা দাঁড় করিয়েছে মাত্র যার কোনই সত্যতা নেই। প্রকৃত সত্য হচ্ছে এর সবগুলো ভুল মনগড়া এর একটাও সত্য নয়। জ্বীন,ভূত নিয়েও আছে লক্ষ লক্ষ ভিডিও কিন্তু মহা সত্য হচ্ছে এর একটি ভিডিও সত্য নয়।
মাঝে মাঝে আমার মনে হয় এই পুরো পৃথিবীতে মিথ্যা আর ভুলের জয় জয়কার। আর খুব সম্ভবত মানব জাতি এখনো আঁতুর ঘরেই পরে রয়েছে জ্ঞান,বিজ্ঞানের উন্নতির ধারা শবে শুরু হয়েছে মাত্র আরও বহু পথ অতিক্রম করতে হবে বহু অজানাকে জানতে হবে উন্নত মানব জাতি তৈরী হতে সম্ভবত আরও হাজার বছর সময় লাগবে।
প্রবীর ঘোষের: "অলৌকিক নয় লৌকিক" গ্রন্থে এ আত্না এবং প্রায় মৃত্যু পথযাত্রীদের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে। :)
যাই হোক, আপনার পোষ্টে +++ প্রিয়তে রাখছিলাম আজকে পড়লাম। :D
আপনার পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় রইলাম। :)

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলে আমার চিন্তার জগতটাকে আমি ফিক্সড করতে পারি না , তাই বিভিন্ন রকম সম্ভাবনার কথা বললাম । আমি এই বর্তমান সময়ে যা বিশ্বাস করি সেটাই যদি পারসু করতাম তাহলে ঐটাকে ঘিরেই নানা রকম লজিক দাড় করাতাম । আমার চিন্তার আকাশটা আমি মুক্ত রেখেছি , তাই সে ছুটে চলে আলোর গতির চেয়েও অনেক দ্রুত , সে বুঝতে পারে সুপার ব্ল্যাক হোলের টার্ময়েল , ডার্ক ম্যাটার , ডার্ক এনার্জি । কখনো কখনো সে পারি জমায় এই অতি পরিচিত বিশ্বজগত ছাড়িয়ে অন্য বিশ্ব জগতে ( মাল্টি-ভারস এর কথা বলছি ) । হতে পারে আপনিই ঠিক , কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না আমরা কিছুই জানি না , আমরা শুধু অনুমান করতে পারি ।

তবে আমি অবাক হই এই বিশ্ব জগতের রহস্যময় উপস্থিতিতে , এর কারন জানতে চাই । জানতে চাই কেন আমরা বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন প্রাণী , অন্যান্য প্রাণী থেকে কেন আমরা আলাদা - এর ক্লু কোন মহা বিজ্ঞানী আজো খুঁজে পায়নি । আমি কিন্তু কখনোই একটা ফিক্সড আইডিয়া দেইনি , শুধু বলেছি আমি আত্মায় বিশ্বাস করি , আমার বিশ্বাস আমি কারো ঘাড়ে চাপাতে চাই না । আমি চাই মানুষ তাদের অতি মূল্যবান মস্তিষ্ক ব্যবহার করে চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে লজিক দিয়ে কোন কিছু বিশ্বাস করুক ।

"অলৌকিক নয় লৌকিক" বইটি অনেক পুরনো ভার্সন , অনেক পুরনো আইডিয়া । অনেক নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে এখন যেটা প্রকৃত গবেষকরা করছে , আমি তাদের কথাই বলেছি । আমি যে দুজন স্কলার এর নাম বলেছি তারা নিজেরাই একেক জন ইন্সটিটুইশন , তাদের একেকটি বাক্য অনেক মূল্যবান এবং অথেনটিকেটেট । আর যে কটা সোর্স ব্যবহার করেছি প্রতিটি অথেনটিকেটেট সোর্স । হ্যাঁ , তবে তারা বলেছে বলেই যে ওগুলো সত্য হয়ে যাবে , তাও কিন্তু আমি বলিনি , তবে তারা কিন্তু ফিক্সড কোন আইডিয়াও দেয়নি । আর যারা গবেষণা করছে তারা ঈশ্বরে বিশ্বাসী বলেই করছে তা কিন্তু নয় , তারা আসলে কৌতুহোলী , বিজ্ঞানমনস্ক - তারা যে কোন বিষয় জানতে চায় পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে । ঐ বইটিতে সম্ভবত অনেক অলৌকিক জিনিসের লজিকাল ব্যখা দেয়া আছে , তাই না ? অনেক আগে পড়েছিলাম , তখন আমিও নাস্তিক ছিলাম , এখন চিন্তাটা একটু অন্য দিকে মোর নিয়েছে । আপনি রিচারড ডাউকিং এর " গড ডিলুশন" " ম্যাজিক অফ রিয়্যালিটি " পড়তে পারেন , যদি না পড়ে থাকেন । তাহলে আপনার যে বিশ্বাস তার উপর অনেক জোরালো কিছু পাবেন ।

আমার একটা ব্যক্তিগত চাওয়া আছে - সেটা হোল যে যার বিশ্বাস মতই থাক এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনা সমালোচনায় অবতীর্ণ হোক । আর যার যার বিশ্বাস আরেকজনের উপর চাপিয়ে দেবার প্রবণতা থেকে বেড়িয়ে আসুক । আর কুসংস্কারের কথা বলছেন , ঝাড়- ফুঁক , জিন-ভূত - ওগুলো থাকবে না কালের বিবর্তনে । আগে অনেক বেশী ছিল , এখন অনেক কমেছে । ওগুলো সমাজই তৈরি করেছে নানা প্রয়োজনে আবার সমাজই ওটা থেকে বেড়িয়ে আসবে পূর্ণ শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য আর বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন । :)

৫৪| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৫

জেন রসি বলেছেন: নিয়ান্ডার্থাল মানুষের আমলেই সম্ভবত আজ থেকে আড়াই লক্ষ বছর আগে আত্মার ধারনা আসে। তারও আগে পিথেকানথ্রোপাস আর সিনানথ্রোপাসরা ছিল। তবে তাদের মধ্যে এমন কোন প্রথা বা ভাবনার প্রমান পাওয়া নিয়ান্ডার্থাল মানুষের যেসব ফসিল পাওয়া গেছে যা দেখে অনুমান করা যায় যে, নিয়ান্ডার্থালরা তাদের কেউ মারা গেলে তার আত্মার উদ্দেশ্যে ফুল নিবেদন করতো। তারা মৃতদেহ কবর দেয়ার সময় এর সাথে আত্মার শান্তির জন্য অনেক কিছু দিয়ে দিত। অনেক গবেষক (যেমন নিলসন গেসছিটি, রবার্ট হার্টস প্রমুখ) মনে করেন, মৃতদেহ নিয়ে আদি মানুষের এমন চর্চাই বিবর্তিত হয়ে আজকের এই আত্মার ধারনার উদ্ভব হয়েছে।

এখন আমরা জানি মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের কারনেই আসলে আমরা চিন্তা করতে পারি। যাকে আমরা মন বলে থাকি। আর আমাদের মৃত্যুর পরই সব আয়োজন শেষ হয়ে যায়। ডেথ নিয়ে সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। কিন্তু আত্মার ধারনা নিয়ে যা বলা হচ্ছে তা আসলে মানুষের উচ্চস্তরের কল্পনা। একসময় ধারনা করা হত মানুষ ঘুমালে আত্মা ভ্রমনে বেড় হয়। তখন ঘুমকে ব্যাখ্যা করার মত প্রয়োজনীয় গবেষণা হয়নি বলেই এমন ধারনা গড়ে উঠেছিল। এখনো তাই হচ্ছে।

যদি পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস, এখানে প্রানের সৃষ্টি, প্রানের বিবর্তন এসব নিয়ে পড়ে দেখেন তবে দেখবেন- জড় থেকেই প্রানের সৃষ্টি হয়েছে। আর এখানে শাশ্বত আত্মার কোন ব্যাপার নেই। অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আবার অনেক প্রজাতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পুরা মানুষ প্রজাতিটাও বিভিন্ন কারনে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারি।

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । মহা সমন্বয় কে দেয়া প্রতিউত্তরটি পড়ে দেখতে পারেন । আপনাকে আমি পরে বিস্তারিত উত্তর দেবো । এখন একটু বাইরে যাবো । :)

ভালো থাকবেন ।

০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , পৃথিবীর সৃষ্টি , প্রাণের সৃষ্টি পড়তে পড়তে জান শেষ করে ফেললাম , আর কত পড়তে বলবেন । কেউই কোন ক্লু পায়নি ...। সত্যি আজব এই জীবন । পরে আসবো । :)

০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি ডারউইন এর ইভোলিউশন থিওরির কথা বলছেন তো - ওটা তো খুবই কমপ্লিকেটেট বিতর্কিত থিওরি , যেটা শুধুই থিওরি । ন্যাচারাল সিলেকশন , র‍্যেন্ডম মিউটেশন - এগুলোরও কিন্তু দুই পক্ষ সাপোর্ট করার মত উপযুক্ত যুক্তি রয়েছে । ভাবছি এই থিওরিটি নিয়ে একটা পোস্ট দেবো । আসলে এখন ভীষণ রকমে ব্যস্ত আছি । আপনার কিছু স্পেসিফিক বলার থাকলে বলতে পারেন । আমি ঐ থিওরি নিয়ে পোস্ট দেবো হয়তোবা , তাই এখানে আর বিস্তারিত বললাম না ।

আমি আসলে বলছি না যে আমি যা বলছি সেটাই সত্য , বাকী সব মিথ্যা । আসলে সব কিছুর সাথে লজিক খাপে খাপ মেলে না আর তখনই নানা প্রকার সন্দেহের জন্ম হয় । তখনই মানুষ ফিলসোফিকালি প্রবলেম সল্ভ করার চেষ্টা করে , কারন মানুষ তো রেশনাল বিইং , তাদের রয়েছে উচ্চতর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা - আপনিও যেটা বললেন ," মানুষের উচ্চস্তরের কল্পনা" - এই উচ্চস্তরের কল্পনার মাকানিজমটা কিন্তু অদ্ভুদ - বিজ্ঞানীরা অনেক চেষ্টা করছে বোঝার , কিন্তু এখনো পারেনি । যদি রিয়েল সাইন্টিফিক বিতর্কে আসেন , তাহলে আপনিও স্বীকার করবেন যে এটা বোঝার কেপাসিটি মানুষের এখনো হয়নি ।

I believe you are not feeling offended as I am opposing you . In fact , it is very essential to have different kinds of thought to enhance our critical analysis which will lead us to a glorious day . Dont think of other thing , just feel free to ask me anything you like . I will try my best to answer you back ( If I know the answer :P ) take care ।

৫৫| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৯

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে আমরা অনেক কিছুই জানি না এটাই হচ্ছে সত্য কথা আর এই না জানাটা সম্ভবত চিরকালই থেকে যাবে মনুষ একটা বিষয় জানবে আর হাজারটা নতুন রহস্য এসে হাজির হবে এভাবেই চলবে হয়ত।
আর আত্নার এখন পর্যন্ত বাস্তব সম্মত কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত যারাই আত্না আছে বলে প্রমাণ করতে গেছে তার সবই ভুল প্রমাণ হয়েছে। 'অলৌকিক নয় লৌকিক' গ্রন্থে সেই ভুলগুলো শুধু ধরে দেয়া হয়েছে নতুন কোন আইডিয়া দেয়া হয়নি। আত্নার অস্তিত্ব ভাববাদী যুক্তি দ্বারাই শুধু প্রমাণ করা সম্ভব অন্য কোনভাবে নয়। ( যদিও এখন পর্যন্ত কোন ভাববাদী আত্নার অস্তিত্বের সঠিক কোন প্রমাণ দিতে পারে নি তারা যতগুলো যুক্তি দ্বার করিয়েছে তার সবগুলো ভুল প্রমাণ হয়েছে। ভবিষ্যতে কি হবে জানিনা। )
একটা উদাহারণ দেই- এক ধর্মপ্রাণ বিজ্ঞানী আত্নার আস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য কুকুর,বিড়াল এবং মুমূর্ষ রোগীদের ওজন মাপা শুরু করল যে করেই হোক তাকে আত্নার অস্তিত্ব প্রমাণ করতেই হবে কারণ সে বিশ্বাসী। গবেষণায় দেখা গেল মৃত্যুর আগ মহুুর্তের ওজনের চেয়ে মৃত্যুর পরে দেহের উজন কিছুটা কম হচ্ছে। আর তাতেই সে মানুষকে বলে বেড়াল যে আত্নার অস্তিত্ব আছে এবং তার ওজন ও আছে। =p~ যেহেতু সে একজন বিজ্ঞানী তাই মানুষ তা অতি সহজেই বিশ্বাসও করল। কিন্তু পরবর্তীতে তার এই গবেষণা ভুল প্রমাণ হয়েছে। আত্নার জন্য এই ওজনের তারতম্য হয় না তা হয় মৃত্যুর পর দেহে থেকে বাষ্প আকারে পানি বের হয়ে যায় দেহ সংকুচিত হয়ে যায় যে কারণে ওজন কিছুটা কমে আরও কিছু কারণেও ওজন কমে। ( আবার বাড়েও)
তার এই গবেষণা ছিল যতটা না প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান তার চেয়ে ঢের বেশী ছিল তার বিশ্বাসকে রক্ষা করার গবেষণা। বিশ্বাস নির্ভর কোন গবেষণাই সঠিক হয় না তার মধ্যে থাকে শুধু গুজামিল। :-P

অনেক কিছু বুঝার ক্যাপসিটি মানুষের এখনও হয়নি এটা স্বীকার করছি। অনেক কিছু জানিনা তা জানার চেষ্টা করতে হবে। মনে আছে হাজারো প্রশ্ন তার উত্তর খুঁজতে হবে। কোনমতেই অন্ধবিশ্বাস তার সমাধান নয়।
তবে আত্না নিয়ে আপনার বিজ্ঞান ভিত্তিক আলোচনা ভাল লাগছে :)
( কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আত্না নিয়ে এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানীক যত বিশ্লেষণ হয়েছে তার সবই বিজ্ঞানের নামে অপবিজ্ঞান করা হয়েছে তার সবই যতটা না বিজ্ঞান ভিত্তিক তার চেয়ে ঢের বেশি বিশ্বাস ভিত্তিক বিশ্লেষণ। এই পোষ্টেই একজনের কমেন্টে তার একটা স্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে ;) )
আত্না নিয়ে আপনি পোষ্ট চালিয়ে যান আছি আপনার সাথে, নতুন কিছু শিখতে পারব হয়ত। :) এ বড়ই রহস্যময় ব্যাপার। B:-)

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আবারও অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনি হয়তো ডক্টর ডানকানের ২১ গ্রাম থেওরির কথা বলছেন । আমরা কাছে মনে হয় আত্মার কোন ওজন হয় না । যেমন ডার্ক ম্যাটারের আশ্চর্যজনক পার্টিকেল এর কোন ওজন নেই বা ওটা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারনাই নেই এখন পর্যন্ত । তাই ডানকানের ঐ থিওরি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় । আমি যেহেতু আত্মায় বিশ্বাসী তাই আমার মনে হয় আত্মা পরিমাপ কারা সম্ভব না এটা শুধুমাত্র অনুভবের ব্যপার । তবে বিজ্ঞান যে হাড়ে অগ্রসর হচ্ছে তাতে মাঝে মাঝে মনে হয় বিজ্ঞান এর অস্তিত্ব খুঁজে পেলে পেতেও পারে ।

দেখি সময় সুযোগ হলে আরও অনেক কিছু লিখবো । অনেক ভালো থাকবেন । :)

৫৬| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: আমরা দুজনই দুভাবে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করছি। তাই আলোচনা করতে এসেছি। আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন বলে রেগে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। বরং এসব ব্যাপার নিয়ে আপনার অনুসন্ধান আমাদেরকেও অনুপ্রানিত করবে। আর আমি মনে করি বৈচিত্র্যই সুন্দর।

আমি নিজেও কিছুটা বিজি থাকায় সময় করে কিছু ব্যাপার ব্যাখ্যা করতে পারিনি। তবে ব্লগার মহা সমন্বয় ভাই কিছু চমৎকার ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ইভোলিউশন থিওরি নিয়ে পোস্ট দেন। অপেক্ষায় থাকলাম। সেখানে অবশ্যই সময় করে তর্ক, বিতর্ক, আড্ডা সবই হবে। :)

শুভকামনা রইলো। :)

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে । আসলে কি জানেন , এই পৃথিবীতে ভিন্ন ভিন্ন মত আছে বলেই এই পৃথিবীকে এতোটা সচল আর আনন্দপূর্ণ মনে হয় । আর যদি সব একমতাবলম্বী হতো তবে সব বোরিং লাগতো । সব কিছুরই একটা বিপরীত অবস্তান আবশ্যক , অন্যথায় পৃথিবী তার ভারসম্য হারাবে । রাত আরে দিনের মত - দুটারই প্রয়োজন সমান ভাবে ।

দেখি সময় হলে ইভোলিউশন নিয়ে পোস্ট দেবো । তবে এটা বেশ বিতর্কিত একটি বিষয় তো তাই অনেক সুন্দর পরিকল্পিত হতে হবে । তা না হলে অনেক ভুল ভ্রান্তির জন্ম হবে । আর একজন বুদ্ধিবৃত্ত সম্পন্ন মানুষ হিসেবে একটা দায়িত্ব তো রয়েই যায় সমাজের প্রতি । তাই অনেক টপিকস মাথায় থাকলেও হুট করে আমার পোস্ট করা হয় না । তাছাড়া সময়ও অতোটা নেই ।

যাক ভালো থাকবেন । অনেক অনেক শুভকামনা । :)

৫৭| ০৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:০৪

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ব

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করবেন প্লিজ । অপেক্ষায় থাকবো ।

৫৮| ০৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১:১৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
প্রশ্নটিকে আরও অর্থবহ করতে- আমাদের বাংলা আত্ম-আত্মা-আত্ম বা ইংরেজি soul-spirit শব্দগুলোকে বৈজ্ঞানিক ডিসিপ্লিনে সচল করতে হবে। প্রাথমিক তরফায় যদি একে ইলেক্ট্রিসিটি/তরঙ্গ দ্যোতক ভাবতে(কনসেপ্ট) চাই তাহলে এর existance ডার্ক মেটার বা এনার্জির সাথে রিলেটেড হয়ে পড়ে। আবার যদি ডানক্যানের একুশ গ্রামস থিউরির মতো করে এগুতে চাই তাহলে গোস্ট/unknown সাবজেক্ট আমরা কোনটাকে গণ্য করবো! দেহ(self) না দেহ অভ্যন্তরের মেকানিজমকে ?


যেকয়েকটি প্রশ্ন আমাকে দারুণ রকম বিব্রত করে তার একটি সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দাড় করাতে, আপনার প্রশ্নটিও তেমনি। কারণ, লিভিং অবজেক্ট ডেফিনিশন বলছে nature/mantle কিন্তু প্রশ্নটি করা হচ্ছে মেটাফিজিক্যাল ইন্টেলিজেন্স থেকে!! তাই কানেক্টিভ unconscious থেকে চিন্তন পর্যন্ত এটা বার বার আমাদের কনফিউজড করবেই।

রামায়ণে বিশ্বামিত্র মুণিকে আমরা প্রায় একই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে দেখি সেটা ছিলো আত্মবোধ ও পরমবোধের বিনির্ণয়। self with determination of soul & body.

লেখা পড়ে মূর্খ পাঠকের দুটো কথা রেখে গেলুম। পথটা অনেক দূর চলে গিয়েছে, প্রশ্নকারীর জয় হোক।

০৯ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ অন্ধবিন্দু , আপনার উপস্থিতি অনুপ্রেরণার সব সময়ই । আপনি দারুণ কিছু পয়েন্ট রেইজ করেছেন ।

আমার কাছে মনে হয় আত্মার কোন ওজন পরিমাপ করা সম্ভব না । তাই ডক্টর ডানকানের ২১ গ্রাম থিওরি আমার কাছে গ্রহনযোগ্য না । ওটা শুধুই ব্যর্থ চেষ্টা বলে মনে হয় । আমার মনে হয় আত্মার অস্তিত্ব বায়লজিতে নেই , যদি থাকে , আছে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এ । যেমন ডার্ক ম্যাটার সর্বত্র রয়েছে , সচল রেখেছে আমাদের বিশ্ব জগতকে - এটা বুদ্ধিবৃত্ত সম্পন্ন মানুষ উপলব্ধি করতে পারছে অথচ প্রমাণ করতে পারছে না । ডার্ক ম্যাটারের অদ্ভুদ পার্টিকেল গুলোর অস্তিত্ব অনুভব করা যায় কিন্তু ঐ পার্টিকেলকে ওজন করা তো দুরের কথা , ওগুলোকে বোঝার ক্ষমতাই নেই মানুষের । হয়তো মানুষ সুদূর ভবিষ্যতে ওগুলো বুঝতে পারবে , কিন্তু তখন যে আবার নতুন সমস্যা আসবে না , তাও কেউ বলতে পারবে না । ঠিক সেরকম ভাবেই আত্মার অস্তিত্বকে কিছু কিছু মানুষ উপলব্ধি করতে পারে , কিন্তু প্রমাণ করার ক্ষমতা নেই ।

আমি আসলে আত্মায় বিশ্বাসী , তাই এই ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দিয়ে সামান্য কিছু ধারনা বিজ্ঞানের আলোকে ভেরিফাই করে নিলাম নিজের মত করে , সেই সাথে অন্যের ধারনাকেও বোঝার জন্য এই পোস্ট করেছি । আমার জন্ম হয়েছে ভীষণ কিউরিওসিটি নিয়ে যেটা হয়তো সবার মধ্যেই আছে । কিন্তু আমার ক্ষেত্রে আমি প্রশ্নের উত্তর ভালো ভাবে না পাওয়া পর্যন্ত সস্থি পাই না এবং তাতে অবশ্যই লজিক থাকতে হবে । তাই হয়তো নিজের মত অনেক লজিক দাড় করাই নিজের বিশ্বাসকে ঘিরে ।

অনেক ভালো থাকবেন । আশা করি পরবর্তী পোস্ট যখন করবো তখন আপনাকে আবারও পাবো আপনার মূল্যবান মন্তব্য নিয়ে । :)

৫৯| ১০ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

লায়ন ইন দ্য ডার্ক উডস্‌ বলেছেন: Mind and spirit go together. You can separate the spirit from the body but mind and spirit cannot be separated from each other.

By proof, if you mean showing definite results using any equipment, then yes there is no such proof as yet. But there are other forms of proofs as well, like evidence-based proofs. And those proofs exist with clear verifiable evidences. But our present day scientific equipment cannot verify them, because science has limitations. (For example, we cannot record what we see in our dreams. But we are sure that we see clear images in our dreams. We even feel what we see in those dreams. We laugh, we cry, and sweat in fear in our dreams. If we could just video record all our dreams that would be a huge breakthrough about knowing our mind and spirit.) Science has not progressed to that advanced level as yet. We are getting there. One day our scientists will figure out ways to verify those evidence based proofs with some sort of equipment. I am 200% sure that one day evidence based proofs and equipment driven proofs will all be aligned together. It's just a matter of time. But how long will it take - that is the question. Will I be lucky enough to see that happen in this lifetime? I don't know. But one thing is sure - This is not the end. This is not the beginning either. This is only a transition. Keep up your good research work. You will find answers when you are ready.

Sorry that I always type in English. karon ta hosse ami bangla type kore ovosto na, tai bangla type korte gele it will take 10 times more time for me. Bnagla typing e expert hole tokhon na hoy bangla type korbo. Please forgive me for not typing in Bnagla. I hope you understand. Thans. valo thakben.

১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: You are absolutely right, science will prove the existence of spirit and that’s just a matter of time . and It is absolutely fine to use English , I don’t have any problem with that . you can carry on what suited you most .

৬০| ১২ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসলে death আর neardeath experience এক বা কাছাকাছি ব্যাপার নয়, মৃত্যুকে জানতে হলে মৃত কাউকেই লাগবে। লেখা সুন্দর হয়েছে। মৃত্যু চিন্তা আর রুহ নিয়ে আমিও লিখেছিলাম পড়ার আহবান থাকল। আসলে মৃত্যু কি জানার আগে জানা দরকার জিবনটা কি। আমার কোষ গুলো এক একটা ব্যাকটেরিয়া দেরমত আলাদা নয় কেন, বা আদৌকি আলাদা নয়?

১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: তা হয়তোবা এক নয় । তবে কাছাকাছি কিছু একটা তো অবশ্যই । আসলেই , জীবনও রহস্যের মরণের মত । মানুষের তো ঐ তিনটাই ব্যসিক প্রশ্ন - কিভাবে এসেছি ? কোথায় যাবো ? কেন এসেছি ?
দেখি , সময় করে যাবো আপনার ব্লগে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৬১| ১৩ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: চিন্তা করে এই ব্যাপারে জানা সম্ভব না। আত্মার ধারণা অবস্তুগত।

আমি মনে করে জাগতিক চেতনাই আত্মা। মষ্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে চেতনা শক্তির বিলুপ্তি। আত্মা বলতে তাই কিছুই নেই।
আরেকটা কথা, ডেথ এক্সপেরিয়েন্স জানা সম্ভব নয়। কোমায় থাকা আর মৃত্যুবরণের অবস্থা দুটির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে বলেই মনে করি।

১৩ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আত্মা হয়তো আছে হয়তো নেই । সমস্তটাই আমাদের নিজ নিজ মস্তিষ্ক থেকে উৎপন্ন যার যার মত চিন্তাধারা । আপনারও যেমন কোন লজিকাল স্ট্যান্ড পয়েন্ট নেই আমারও নেই কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে হয়তো আমারা নিজ নিজ লজিক দাড় করিয়েছি নিজেদেরকে একটি কমফোড়ট যোনে রাখার জন্য । ব্যপারটা হলো এরকম যে ,আমরা দুজনেই একই পথযাত্রী , একই আমাদের গন্তব্য , আর এই গন্তব্য নিয়ে আমি একরকম ভাবছি আর আপনি অন্য রকম - এই তো শুধু পার্থক্য । আমার মনে হয় আত্মার ধারনাটা যেহেতু অবস্তুগত তাই চিন্তাই মনে হয় শ্রেষ্ঠ উপায় একে গণনা করে বের করবার জন্য । যেমন ওয়ার্ম হোলের ফিজিক্যাল একজিস্টেন্স নেই , কিন্তু গাণিতিক ভাবে একে গণনা করা যায় ।

এটা সত্য যে ডেথ এক্সপেরিয়েন্স জানা সম্ভব নয় , তবে নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স অনেকেরই আছে , অদ্ভুত এক অনুভূতি - আপনাকে ব্যখা করতে হয়তো পারবো না । হ্যাঁ , কমায় থাকা আর মৃত্যু একেবারেই ভিন্ন হবারই কথা । :)

তবে একটা ব্যপারে কি কখনো অবাক হন আপনি ? এই যে সমগ্র বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য - এর সৌন্দর্য , এর শৃঙ্খলা , এর নিখুঁত ম্যথমাথেটিকাল অবস্থান , সর্বোপরি এই পৃথিবীর জীবনের অস্তিত্ব - এগুলোর কারন কি ? কেনইবা এই পৃথিবী জীবন ধারণে সক্ষম হোল ? এর প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি পই পই করে খুঁজেছি , এখনো খুঁজি । ছোট বেলায় আমি আমার মাকে অনেক প্রশ্ন করতাম , মা বোলত - এতো কথা বলে না , বড় হয় , পড়াশুনা করো সব জানবে । কিন্তু কৈ আর জানা হলো -আমি এখনো শুধুই প্রশ্ন করি । :)

৬২| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

কুব্বত আলী বলেছেন: একমাত্র ইসলাম নামক ধর্ম গ্রন্থে রয়েছে সঠিক বিজ্ঞান ভিত্তিক উত্তর আর তা হচ্ছেঃ
এটা একটি পরিক্ষা মূলক ঘটনাঃ
একবার হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিঅছাল্লামকে সত্য নবি না মিথ্যে নবি প্রমান করতে আসলো একদল বিধর্মী,
তারা প্রশ্ন করলো আপনি সত্য নবি হলে উত্তর দিন, মানুষের আত্মা কি জিনিষ
সাথে সাথে হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিঅছাল্লামেরর চেহারা মোবারক লাল হয়ে গেলো, একজন ছাহাবী সাথে ছিলেন, তিনি বুঝতে পারলেন হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহুআলাইহিঅছাল্লামের উপর আল্লাহর পক্ষ থেকে অহী নাজিল হচ্ছে,
কিছুক্ষন পর স্বাভাবিক হলেন, ও তাদের বলে দিলেন, এই মাত্র আমার উপর অহী নাজিল হলো, এবং জানিয়ে দেয়া হলো এ প্রশ্নের উত্তর আর তা হলোঃ
হে নবি, তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করছে আত্মা কি বস্তূ ? আপনি বলে দিন, আত্মা হলো আমাদের পালনকর্তা আল্লাহর হুকুম, আর এ সম্পর্কে তুমাদের দেয়া হয়েছে খুব কম জ্ঞান । সুতরাং এর চেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক উত্তর আর হতে পারেনা । যার জ্ঞান আছে ও বোধ আছে সে বুঝে ও মানে, যে নির্বোধ, সে বুঝেনা ও মানেনা, স্রষ্টা বলেনঃ মানুষকি মনে করে তাকে এতো জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে সকল প্রানির উপর শ্রেষ্ঠত্ত্ব দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে অযথাই?? যারা এটা মনে করে ও কুরআনকে মানেনা নিজের মনের খুশি মতো চলে তারা চতুশ্পদ জন্তূর চেয়েও নিকৃষ্ট,, তার মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটাই বিফল হয়েছে, সুতরাং যে বোধ সম্পন্ন সে চিন্তা ভাবনা করুক ।

২১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ারা জন্য । ভালো থাকবেন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.