নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের শিক্ষার মান সব সময়ই খারাপ , এটা নতুন কিছু না । তবে পারিপার্শ্বিকতা দেখে মনে হচ্ছে বর্তমান অবস্থা একটু বেশী পরিমাণে খারাপ । আমাদের দেশের শিক্ষাকে সবসময়ই নিম্নমানের ধরা হয় । এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের শিক্ষাকে বিশ্বে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয় , আমাদের তার থেকে একটু নিচু মানের মনে করা হয় । আমাদের দেশের তিন বছরের গ্রাজুয়েশনকে বহির্বিশ্বে এডভান্স লেভেলের এইচ এস সি ধরা হয় , অপরপক্ষে ভারতের তিন বছরের গ্রাজুয়েশনকে গ্রাজুয়েশন হিসেবেই ধরা হয় । এটা বর্তমানের কথা বলছি না , বহু আগে থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে ।
শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে বেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে , যেটা সব দেশেই হয় । কারণ যে কোন বিষয় নিয়ে প্রাটিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ঐ ব্যবস্থার সুফল এবং কুফল সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেয়া সম্ভব নয় । এই শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা সর্বত্র , সমালোচনা তো অবশ্যই দরকার । কিন্তু সমালোচনাটা করছে কারা সেটা দেখার বিষয় । এ নিয়ে তো বেশ ঝড় উঠেছে যেখানে সেখানে , যাদের এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান আছে তারা তো করছেই আর যাদের এতোটুকু জ্ঞান নেই তারাও মেতে উঠেছে , " হই হই হরতাল " মনবৃত্তি নিয়ে , যেটা তাদের দলাদলি করার জন্য বেশ মুখরোচক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে । যখন কেউ কিছু না বুঝে " হই হই হরতাল " শুরু করে দেয় তখনই একটা সুষ্ঠু লক্ষ পণ্ড হবার সম্ভাবনা থাকে । যেটা করেছে ঐ বেসরকারি টিভি চ্যানেল । একেবারেই নীতি বিবর্জিত একটি প্রোগ্রাম তারা সমগ্র জাতির সামনে তুলে ধরেছে বেশ কটি অল্প বয়সি ছেলেমের জীবনে কলঙ্ক লেপন করে ।
সৃজনশীল পদ্ধতিটি অত্যন্ত ভালো একটি পদক্ষেপ , কিন্তু সমস্যা হলো সর্বস্থরের শিক্ষকরাই এর যথাযথ ব্যবহার জানে না । আবার সরকার থেকে একটা টার্গেট থাকে প্রতিটি স্কুলের জন্য , যেই টার্গেট সম্পন্ন না করতে পারলে স্কুল গুলো বিভিন্ন রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় । আর তখনই কিছু কিছু স্কুল অসৎ উপায়ে সেই টার্গেট ফুলফিল করতে চায় । এভাবেই শিক্ষার মান আরও খারাপ হতে থাকে । সরকার প্রদত্ত এই টার্গেট তো থাকবেই যেটা এগিয়ে নেবে শিক্ষা ব্যবস্থা , কিন্তু এই পদ্ধতি মনিটর করার জন্য কমিটি গুলো ঠিকঠাক কাজ করছে না বলে মনে হচ্ছে । এভাবেই শিক্ষা ব্যবস্থা চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে ।
আমাদের দেশের একাডেমিক কারিকুলাম আরও পরিবর্তন করতে হবে । পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে দুই ধরনের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয় সরকারি ভাবে । একটার স্ট্যান্ডার্ড একাডেমিকালি অনেক উন্নত , উন্নত বলতে একটু কঠিন পদ্ধতি , যেটা শুধু তারাই নিতে পারবে যারা ঐ পদ্ধতি কোপ করতে পারবে অর্থাৎ যাদের ঐ পরিমাণ মেধা রয়েছে । আর , আরেকটা একটু সহজ পদ্ধতি - এটাও নির্ণয় করা হয় মেধার ভিত্তিতে । সাধারণত ঐ রাষ্ট্রের ভালো স্কুল বলে পরিচিত স্কুলেই ঐ কঠিন পদ্ধতি বহাল থাকে ।
ইংল্যান্ডে তিন ধরনের একডেমিক বোর্ড রয়েছে , যার প্রত্যেকটার একটার থেকে আরেকটার অনেক পার্থক্য । যেমন , সহজ , মধ্যম এবং কঠিন - এই ভাবে রয়েছে । " এডেক্সসেল" হলো সহজ , " এ কিউ এ" হলো মধ্যম এবং " ও সি র" হলো কঠিন । এই তিনটি বোর্ডেরই আবার আলাদা আলাদা স্তর রয়েছে - এটা স্কুল গুলো ঠিক করে কোন ছাত্রের জন্য কোনটা উপযোগী । কারণ সব ধরনের মানুষই এক রকমের মেধা নিয়ে জন্মায়নি , তাই কম মেধা সম্পন্ন ছাত্রের উপর কঠিন পদ্ধতি থাকাটা জুলুমের পর্যায়ে পরে । আবার সবার জন্য এক ধরনের সাধারণ পদ্ধতি বহাল থাকলেও সেটা একজন তুখড় মেধাবীর মেধাকে বাঁধা গ্রস্থ করা হয় , তাই এই বিভাজন । ইংল্যান্ডে তিন ধরনের স্কুল রয়েছে - একটা হলো সাধারণ স্কুল যেটা কম্প্রিহেন্সিভ স্কুল নামে পরিচিত এবং তারা সাধারণত সহজ এবং মধ্যম কারিকিউলাম বোর্ডের অধীনে থাকে । দ্বিতীয় স্কুল হলো গ্রামার স্কুল এবং তারা অত্যন্ত কঠিন " ও সি র " একাডেমিক পদ্ধতি অনুসরণ করে যেটা হলো অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ এর কারিকিউলাম । যার ফলে ঐ স্কুল গুলোর ছেলে মেয়েরা সাধারণত অক্সফোর্ড , কেম্রিজ সহ রাসেল গ্রুপের ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে সক্ষম হয় যেগুলো দেশের সর্ব শ্রেষ্ঠ ইউনিভার্সিটি । আর তৃতীয় হলো প্রাইভেট স্কুল যেটা অত্যন্ত যত্নের সাথে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর প্রয়োজনীয়তাকে সূক্ষ্ম বিবেচনায় রেখে তার জন্য টেইলর মেইড কারিকিউলাম ঠিক করে থাকে । প্রতিটি কারিকিউলাম বোর্ডই সৃজনশীল কায়দায় চলে । আর বাংলাদেশে বহাল আছে সবার জন্য একি কারিকিউলাম যেটা সাইন্টিফিক্যালি ভুল একটি পদ্ধতি ।
এখন আসা যাক ঐ ভিডিও ক্লিপটির কথায় , দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে , তা না হলে কোন সুস্থ নীতিমালা এই ধরনের ভিডিও তৈরিতে উৎসাহ প্রদান করতে পারে না । দেশে এখনো অস্তিত্বের লড়াই , ক্ষমতার বীভৎস লড়াই চলছে তাই এই স্পর্শকাতর বিষয় গুলো নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই । কোন সভ্য মানুষ এরকম আচরণ করতে পারে না । দেশে ডিফেমেশন আইনটি এখনও সঠিক ভাবে কাজ করে বলে মনে হচ্ছে না । ডিফেমেশন আইনটি একমাত্র সভ্য জাতিরাই অনুসরণ করে । ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে এটি শুধুই বিলাসিতা । যেখানে এখনো মানুষ মানুষের মুণ্ডু কেটে উল্লাস করে , সেখানে এই ধরনের সভ্যতা আশা করাটাই অন্যায় । ভাবতে কষ্ট হয় যে , এখনো মানুষের মন মানসিকতা ২০০ বছর পেছানো । মনে পরে যায় ফ্রেঞ্চ রিভলিউশনের কথা যখন মানুষ " লুই দা সিক্সটিন" এবং " ম্যারি আন্টনেট" এর মুণ্ডু নিয়ে উল্লাস করেছিল ২০০ বছরেরও আরও আগে । তখন নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখে মানুষ সেটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে হয়তো সমাজ ব্যবস্থার জন্য , গণতন্ত্রের জন্য , কিন্তু ওটা তো ছিল বর্বরচিত আচরণ । আমি এটা বলছি এই কারনে যে আমাদের মন মানসিকতা এখনো অনেক পেছনের দিকে আটকে আছে । শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করতে হবে , এটা ঠিক আছে , তাই বলে এভাবে -- মানুষের জীবন বিপন্ন করে ? তাও আবার ছোট ছোট কতগুলো জীবন নিয়ে , যারা তাদের জীবন শুরু করেছে মাত্র । জীবন শুরুতেই তাদের এভাবে আঘাত না করলেই কি হতো না ? শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ , কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই তাদের না ।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য । আমার কাছে সব থেকে অবাক লাগে মানুষের এই নিম্ন মানের চিন্তা ধারাকে । হয়তো ঐ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ বেশ পপুলারিটি পেয়েছে এই ধরনের একটি ক্লিপ তৈরি করে যেটা বেশ লাভজনক তার প্রতিষ্ঠানের জন্য । কিন্তু ঐ ছোট্ট ছেলেমেয়ে গুলোকে হেনস্থা করার কি অধিকার তাদের আছে ?
দুঃখ হলো শিক্ষা ব্যবস্থার ভুল ধরা এবং এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করার জন্য প্লাটফর্মই নেই , এজন্যই এই ঘৃণ্য বিশৃঙ্খলা ।আর এই বিশৃঙ্খলকে আরও বেশী করে ঘোলাটে করছে কিছু উশ্রিংখল গোষ্ঠী ।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাই , ভালো থাকবেন ।
২| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১
প্রামানিক বলেছেন: উপস্থাপকের ভুল আছে ক্যামেরায় মুখটা না তুলে পিছন থেকে তুললেই হতো।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অবশ্যই সেটা করা উচিৎ ছিল । প্রপার নীতিমালাই তো এরা অনুসরণ করে না । এদের শিক্ষা নিয়েই তো প্রশ্ন ওঠে এখন ।
৩| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
অপ্সরা বলেছেন: এখন আসা যাক ঐ ভিডিও ক্লিপটির কথায় , দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে , তা না হলে কোন সুস্থ নীতিমালা এই ধরনের ভিডিও আলাউ করতে পারে না । দেশে এখনো অস্থিত্তের লড়াই , ক্ষমতার বীভৎস লড়াই চলছে তাই এই স্পর্শকাতর বিষয় গুলো নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই । কোন সভ্য মানুষ এরকম আচরণ করতে পারে না । দেশে ডিফেমেশন আইনটি এখনও সঠিক ভাবে কাজ করে বলে মনে হচ্ছে না । ডিফেমেশন আইনটি একমাত্র সভ্য জাতিরাই অনুসরণ করে । ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে এটি শুধুই বিলাসিতা । যেখানে এখনো মানুষ মানুষের মুণ্ডু কেটে উল্লাস করে , সেখানে এই ধরনের সভ্যতা আশা করাটাই অন্যায় । ভাবতে কষ্ট হয় যে , এখনো মানুষের মন মানসিকতা ২০০ বছর পেছানো । মনে পরে যায় ফ্রেঞ্চ রিভলিউশনের কথা যখন মানুষ " লুই দা সিক্সটিন" এবং " ম্যারি আন্টনেট" এর মুণ্ডু নিয়ে উল্লাস করেছিল ২০০ বছরেরও আরও আগে । তখন নানা প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখে মানুষ সেটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছে হয়তো সমাজ ব্যবস্থার জন্য , গণতন্ত্রের জন্য , কিন্তু ওটা তো ছিল বর্বরচিত আচরণ । আমি এটা বলছি এই কারনে যে আমাদের মন মানসিকতা এখনো অনেক পেছনের দিকে আটকে আছে । শিক্ষা ব্যবস্থার সমালোচনা করতে হবে , এটা ঠিক আছে , তাই বলে এভাবে -- মানুষের জীবন বিপন্ন করে ? তাও আবার ছোট ছোট কতগুলো জীবন নিয়ে , যারা তাদের জীবন শুরু করেছে মাত্র । জীবন শুরুতেই তাদের এভাবে আঘাত না করলেই কি হতো না ? শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ , কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই তাদের না ।
আপু অনেক অনেক ভালো লাগা! মাছরাঙ্গা টিভির প্রত্যেকটা মানুষকে কিছু ইন্টারভিউ নেবার দরকার মনে হচ্ছে আমাদেরও। এইভাবে এই ছোট ছোট সহজ সরল ছেলেমেয়েগুলোকে অপমান করার রাইট ওদেরকে কে দিয়েছে? শিক্ষাব্যাবস্থা খবর নাই বা লাগবার সাহস নাই উনারা এসেছেন এদেরকে নিয়ে ফান করতে।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু , আমারও তাই মনে হয় । ঐ চ্যানেলের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়া উচিৎ নাহলে ঐ ছেলেমেদের প্রতি অন্যায় করা হবে । তারা প্রপার নীতিমালা অনুসরণ করেনি । তাদের সাজা হবার দরকার ।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার তথ্যবহুল, যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য ভালো লাগল। সত্যি বলতে কি শিক্ষা ব্যবস্থার নাজেহাল দশার দায় যেমন একা সরকারের না, তেমন শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরও না। প্রকৃতপক্ষে আমরা সকলেই এর সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছি। এমন অভিভাবক দেখেছি যারা পিএইসি, জেএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন খোঁজে পরীক্ষার আগে। এই মনোভাব প্রশ্নপত্র ফাঁসকে উৎসাহিত করে। শিক্ষকদের গালি দিতে কারোই বাঁধে না অথচ একজন দিনমজুরের দৈনিক পারিশ্রমিকের থেকে কম বেতন দেয়া হয়। এক বাক্যে সকল শিক্ষক মূর্খ বলাটা সমীচীন না। যে শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতি বুঝে শিক্ষার্থীদের বোঝা চেষ্টা করেন, তাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বলা হয় 'এত লেকচারবাজি বাদ দিয়ে সিলেবাসটা শেষ করেন'। এভাবে আরও শত শত বাক্য লিখতে পারব। কিন্তু দোষটা ঠিক নির্দিষ্ট কাকে দেব? তবে একটা বাক্য আমার খুব প্রিয় 'নেতৃত্বের প্রধান শর্ত যা ঘটবে তার সম্পূর্ণ দায়ভার নিতে হবে নেতাকে'। এটা অবশ্য আমাদের দেশে বিস্ময়সূচক বাক্য। আর সংবাদ মাধ্যম নিয়ে কিছু বলার নাই। আমি বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমকে সামগ্রিক ভাবে একটি সংগঠন ঘোষণা করতে চাই, যাদের লোগোতে একটাই মাত্র রং থাকবে। সেটা গাঢ় টুকটুকে হলুদ।
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন । এ দায় কারো একার নয় । আর কথায় কথায় শিক্ষকদের অপমান করে কথা বলাটা অন্যায় এবং মুর্খ আচরণ । সামগ্রিক ভাবে একে সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনা করতে হবে এবং এর দায়ভার সকলের ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন সব সময় ।
৫| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১৬
পুলহ বলেছেন: অধিকাংশ ব্যাপারেই আপনার সাথে আমি একমত আপু। ভবিষ্যত রেফারেন্সের জন্য পোস্ট সংগ্রহে রাখলাম।
একটা ঘটনা শেয়ার করি আপনার সাথে। আমার এক বড় ভাই একটা কোচিং সেন্টার চালাতেন। তাকে একদিন জিজ্ঞাস করলাম, "ভাই, আপনের কোচিং কেমন চলতেছে?"
উনি মহাবিরক্ত গলায় বললেনঃ "আর ধুর মিয়া কোচিং! পোলাপাইন ফাস হওয়া প্রশ্ন নিয়া আসে, ঐগুলা সলভ কইরা দেই.... এম্নেই চলতেছে আর কি"
সত্যি কথা বলতে- আমি জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তদের জ্ঞানের অভাব দেখে খুব একটা চিন্তিত না। হতে পারে- এদের মধ্যে কেউ কেউ মেধা, প্রজ্ঞা আর জ্ঞানে ভবিষ্যতে ছাড়িয়ে যাবে আমাদের অনেককে [এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি আছে]। আমি বরং চিন্তিতঃ উপরের প্রশ্ন ফাসের মত ঘটনাগুলা নিয়া। ছেলেমেয়েদের হৃদয় করাপ্ট করার এই প্রক্রিয়াটা যদি মহামারীর আকারে ছড়িয়ে পড়ে, সেটাই হবে মহা ভয়ের বিষয়। অসততাকেই যদি তারা নিয়ম বলে ছোট বয়সে শিখে যায়- সেটাই আসলে সত্যিকারের আশংকার কথা।
পরিশ্রম আর স্ট্র্যাটেজি দিয়ে না-জানার অভাব/ জ্ঞানের অভাব পুষিয়ে ফেলা যায়। কিন্তু সততার অভাব পোষানো কিন্তু এতো সহজ না।
আর আমি সাংবাদিকতার ছাত্র না, তারপরো মনে হচ্ছে- যে ছেলেমেয়েগুলোর সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে- তাদের ফেইসটা ব্লার করে দেয়া উচিত ছিলো।
নতুন প্রজন্ম ভালো থাকুক!
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পুলহ আপনার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরার জন্য আর লেখাটি পড়ারা জন্য ।
আপনার অভিজ্ঞতার কথা জেনে আরও খারাপ লাগলো । শিক্ষা ব্যবস্থা আর এই অনৈতিক প্রশ্ন পত্র সাপ্লাই দেয়া - দুটোই ভহংকর রূপ নিয়েছে । ভয় হয় এভাবেই কি একদিন শিক্ষার অচর্চার ফলে জাতি মেধা শূন্য হয়ে পরবে কি না । শিক্ষা যেখানে বিক্রি হয় সেখানের কথা আর কি বলবো ।
এই প্রশ্নপত্র সাপ্লাই যারা দিচ্ছে তারা তো অল্প বয়সী কেউ নয় , এরা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু প্রাপ্ত বয়স্ক যাদের মাঝে কোন প্রকার নৈতিক জ্ঞানই নেই ।
৬| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:২৩
স্যাম উইনচেষ্টার বলেছেন: সারাদেশের মানুষের সামনে চেহারাটা না দেখায়া পিছনি থিকা দেখাইলেও পারত। এখন এরা যদি পড়াশুনায় খারাপ করে বা সবচেয়ে খারাপ, যদি সুইসাইড কৈরা বসে, ইন্টারে জিপিএ পাইপ কৈমা যাইব তো
৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা , সঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
৭| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:২২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষাদানের দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের শিক্ষা বিভাগ নিয়েছে। কমন সেন্স, জেনারেল আইকিউ অবশ্যই সে নিজের/পরিবারের কাছ থেকেই নিবে। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়-
❓আসলেই সরকার কি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে??
❓আমাদের সরকার কি ১০০% কার্যকরী ও এই শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো কোনও শিক্ষাব্যবস্থা/কাঠামো তৈরি করেছে??
❓সরকারের আন্তরিকতা ও সুশিক্ষায় অবদান কি যথেষ্ট??
❓....
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গেম মূল্যবান কিছু প্রশ্ন রাখার জন্য । আমিও আপনার সাথে একমত - সরকারের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি পরিবারেরও অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে তার সন্তানদের সুষ্ঠু শিক্ষা দেবার ব্যপারে । এটা অনেকটা প্যারেন্টস - স্কুল পার্টনারশিপ এ হতে হবে । স্কুল যেমন পারেন্টসদের উৎসাহ দিবে যার যার ছেলে মেয়েকে তার নিজ নিজ ক্ষমতা মেধা অনুযায়ী সাহায্য করতে এবং প্যারেন্টদেরও উচিৎ ছেলেমের দিকে যথা সম্ভব নজর দেয়া ।
এটা তো প্রতিটি প্যারেন্টসই করে , যে যতটুকু বোঝে ।
পেরান্টসকে আমি ওরকম দোষ দিতে চাই না , কারণ , এখানে ভিন্ন ভিন্ন যোগ্যতার পারেন্টস থাকতে পারে । কিন্তু শিক্ষার সাথে যারা জড়িত , তারা তো একটি স্ট্যান্ডার্ড মেইন্টেন্ট করেই ঐ পজিশনে গিয়েছেন । তাই তারা যদি তাদের দায়িত্ব ঠিক মত পালন না করেন , তাহলে কেন সেখানে অবস্থান করছেন ?
আর সরকারে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক প্রবলেম আছে এবং আমি মনে করি সেই মোতাবেক তারা কাজও করছে , যেমন সৃজনশীল শিক্ষা , যেটা খুবই ভালো , কিন্তু এর সুফল পেতে শিক্ষকদের অনেক ট্রেইনিং এর ব্যবস্থও করতে হবে সরকারকে । হয়তো করেও , সমস্যা হল মানুষ এসবের ধার ধরে না - মানুষের মধ্যে নীতিবোধ , জবাবদিহিতা নেই , যার ফলে যে যার মত চলছে আর বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে । যেটা করেছে ঐ টিভি চ্যানেলটি ।
৮| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৫৮
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: মাছরাঙার কান্ডটাতে আমি এখনো অবাক! আসলে তারা কি বুঝাতে চেয়েছে বুঝলাম না এখনো।
আপনার এই লেখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আসলেই.. আমাদের দেশেও শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন খুব প্রয়োজন।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য । আসলেই কতটা দায়িত্বহীন হতে পারে মানুষ , ভাবতেই অবাক লাগে ।
একটা ব্যপার হলো যতই পরিবর্তন করুক না কেন যতদিন মানুষের দায়িত্ববোধ , নীতিবোধ এবং জবাবদিহিতার মনবৃত্তি জাগ্রত না হবে ততদিন তেমন কিছুই হবে না । মানুষ নকল করবে , প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাবে - এগুলো তো কারিকিউলাম পরিবর্তন করে ঠেকাতে পারবে না কেউ । আর যেটাই পরিবর্তন করবে মানুষ বুঝে না বুঝে সেটার সমালোচনা করতেই থাকবে দলা দলি করার জন্য ।
এই সমস্যা গুলো এখনই দুর না করলে দিনে দিনে এগুলো একটার সাথে আরেকটা মিশে ভয়াবহ রকম জটিল রূপ নেবে । তাই শিক্ষার দিকে অন্ততপক্ষে নজর দেয়াটা খুবই জরুরী ।
৯| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৩:১৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারতে দুই ধরনের কারিকুলাম অনুসরণ করা হয় এটাও নির্ণয় করা হয় মেধার ভিত্তিতে । সাধারণত ঐ রাষ্ট্রের ভালো স্কুল বলে পরিচিত স্কুলেই ঐ কঠিন পদ্ধতি।
ইংল্যান্ডে তিন ধরনের একডেমিক বোর্ড রয়েছে, যেমন - সহজ , মধ্যম এবং কঠিন। এটাও মেধার ভিত্তিতে।
বাংলাদেশেও বিভাজন আছে সেটা টাকার ভিত্তিতে উচ্চ টিউশান ফির ভিত্তিতে। ভাষার ভিত্তিতে।
১। বাংলা মাধ্যম
২। বাংলা মাধ্যম ইংরেজি ভার্শন।
৩। সম্পুর্ন ইংরেজি মাধ্যম।
৪। আলিয়া মাদ্রাসা মাধ্যম
৫। কাওমি মাদ্রাসা মাধ্যম
৬। সুপার কাওমি (বালিকাদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ)
বোকো হারাম এখনো বাংলাদেশে আসেনি। তাদের কাছে বালক বালিকা কেন? সকল শিক্ষাগ্রহন নিষিদ্ধ।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান । আপনি যে বিভাজন এর কথা বললেন সেটা একটা অসুস্থ বিভাজন । আপনিও হয়তো একটা খোব অথবা দুঃখ থেকে বলছেন ।
আমি যে বিভাজনের কথা বলেছি সেটা খুব জরুরী একটি সুষ্ঠু শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য । উন্নত বিশ্বে এরকম বিভাজন আছে , যার অনেক সাইন্টিফিক কারণ রয়েছে । কারণ সব মানুষের মেধা এক সমান নয় , তাই সবাইকে এক ধরনের কারিকিউলামে বসিয়ে দিলে এটা ব্যক্তির উপর অন্যায় করা হয় । উপড়ে আমি আমার লেখায় বলেছি যে সবার মেধা একধরনের নয় , তাই কঠিন পদ্ধতি যেমন কম মেধাবীর জন্য জুলুম তেমনি সবার জন্য একি সাধারণ পদ্ধতির ব্যবস্থা থাকাটাও একজন তুখড় মেধাবীর মেধাকে বাঁধা গ্রস্থ করা হবে ।
উন্নত বিশ্বে এখন টেইলর মেইড কারিকিউলামকে অনেক প্রাধান্য দিচ্ছে । কারণ একেকটা মানুষের চাহিদা একেক রকম , তাই ব্যক্তির চাহিদা , মেধা এবং ক্ষমতা অনুযায়ী কারিকিউলাম সেট করার চিন্তা ভাবনা করছে । কিন্তু এই পদ্ধতি খুবই ব্যয়বহুল , তাই এই পদ্ধতি শুধু প্রাইভেট স্কুল গুলোই করে থাকে - এরকমই দেখেছি আমি ইংল্যান্ডে । যাদের অনেক পয়সা , তারা পয়সা দিয়ে এই সার্ভিস কিনে নেয় অর্থাৎ বাচ্চাদের প্রাইভেট স্কুলে পাঠিয়ে সমস্ত টপ ক্লাস সুবিধা গ্রহন করে থাকে ।
যাই হোক , ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে । ভালো থাকবেন ।
১০| ০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: মাছরাঙা কি দেখিয়েছে আমি সেটা দেখিনি। অল্প অল্প পড়েছি এদিক সেদিক। আমার মনে হয় দেখানোটা সম্পূর্ণ ঠিক আছে। বাস্তব অবস্থা যখন ভয়াবহ তখন সেটার চিত্রটা এমনভাবেই উঠে আসে। আমি মনে করি তাদের ভুল কিছু হয়ে থাকলে চেহারা কিংবা পরিচয় আড়াল করে কেবল কথাগুলো প্রচার করতে পারতো, সেটাই হতো সবচেয়ে বিবেচকের মত কাজ। তবে প্রচার যখন করেই ফেলেছে তখন কি আর করা। এটা নিয়ে অনেক কথাও হচ্ছে। কিন্তু কথাগুলো জায়গামত পৌছাচ্ছে নাকি বা পৌছালেও কতটা গুরুত্ব দেয়া হবে জানি না।
পাঠ্যপুস্তক একেবারে বদলে দেবার সময় এসেছে। অনেক কঠিন সেসব এবং মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসুচীতে অনেক তিরিক্ত জিনিস আছে যা বুঝবার ক্ষমতা আমার এই বয়সেও নেই। মুখস্ত করে কিংবা ভাসা ভাসা বুঝে ভালো রেজাল্ট সম্ভব, কিন্তু বেসিক ভালো হবে না। আবার সৃজনশীল নামটা সুন্দর, উদ্যোগটাও ভালো। কিনু সেই সৃজনুশীলতা কি আমাদের সর্বস্তরের শিক্ষকদের আছে? আমাদের দেশে সবচেয়ে ভালো যারা তারা তো শিক্ষকতা পেশায় আসেন না। যাদের উপায় নেই, শিক্ষাগত যোগ্যতাও তেমন সুবিধার না, তারাই দ্বায়িত্ব নেন জাতির ভবিষ্যতে। কিন্তু এ পেশায় তো আসবার কথা সবচেয়ে প্রতিভাবান, জ্ঞানীদের।
সবমিলিয়ে সমাধান কি আমি জানি না। হয়তো মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়লে মানসম্মত স্কুল কলেজের চাহিদা আরও বাড়বে। ভালো শিক্ষকের চাহিদাও বাড়বে। সুযোগ, সুবিধা, সম্মান সব সহই বাড়বে। এর আগে অন্তত মুড়ী মুড়কির মত জিপিএ ফাইভ দেয়া বন্ধ করা হোক। যারা অনেক ভালো কেবল তারাই পাক। কিংবা ৮০ থেকে ৯০ এ নিয়ে আসা যেতে পারে এ+ এর ধাপটা। আন্তর্জাতিক মানের সাথে আমাদের দেশের ব্যবস্থা মানানসই নই। এমনকি অন্য দেশে ৫ এর সর্বোচ্চ গ্রেডে গ্রেডীং সিস্টেম আছে নাকি আমি তাও জানি না।
শুভকামনা রইলো।
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বিস্তারিত মতামতের জন্য ।
আমিও আপনার সাথে একমত । তারা ঐ বাচ্চাদের পরিচয় এবং তদের চেহারা না দেখিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রচার করতে পারতো । এতে করে সবার জানাও হতো আর বাচ্চাগুলোকেও কলঙ্কিত করা হতো না । তবে এটাও সত্য এই ভিডিওটির বদৌলতে সংশ্লিষ্ট মহলে কিছুটা হলেও কম্পন উঠেছে । এই সূত্রেও যদি কিছুটা সংশোধন হয় , তাহলেও মিশন সাকসেসফুল । তারপরও বলবো কাজটা সঠিক পথে হয়নি ।
পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করা খুব দরকার- একদম সঠিক বলেছেন । এজন্যই আমি দুটি দেশের কারিকিউলাম কিছুটা তুলে ধরেছি , এবিষয়ে আরও অনেক কিছু বলার আছে , কিন্তু বলতে গেলে এই পোস্ট অনেক বড় হয়ে যাবে এবং এই পোস্টর মূল উদ্দেশ্য ব্যহত হতে পারে বলে আর বললাম না । আসলে ভালো ভালো অনেক পদ্ধতি আছে যেগুলো এপ্লাই করা যায় কারিকিউলামে - এটা সংশ্লিষ্ট মহল ও ভালো ভাবে জানে । কিন্তু ওগুলো এপ্লাই করতে গেলেই নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে , সমালোচনার ঝড় উঠবে অজ্ঞ মহল থেকেও । কারণ ভালো জিনিস হজম করার ক্ষমতা এখনো দেশের সব মানুষের হয়নি । শিক্ষকদেরও ভালো ভাবে ট্রেনিং দেবার ব্যপার রয়েছে , যেগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল । দেখা যাক , আমি আশাবাদী - হয়তো ভালো কিছুই হবে ভবিষ্যতে ।
ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে , এটাও সত্য । এযাবৎ কাল নিম্নমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেশিভাগই নিম্নমানের শিক্ষক বেড়িয়ে আসবে , এটাই তো স্বাভাবিক । খুব অল্প সংখ্যক আছে ভালো , সেটাও হয়েছে ব্যক্তি নিজের চেষ্টায় । আর ভালো শিক্ষক পেতে হলে শিক্ষা খাতে বাজেট অনেক বাড়াতে হবে । ভালো পারিশ্রমিক পেলে এবং লবিং ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হলে অবশ্যই ভালো শিক্ষক পাওয়া যাবে ।
ভালো লাগলো কথা বলে , অনেক ভালো থাকবেন ।
১১| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮
অদৃশ্য বলেছেন:
আপনার লিখাটি চমৎকার... বাইরের দেশের কথা না হয় আপাতত থাকুক...
প্রশ্ন হলো,
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পেছনে কারা কাজ করে যাচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে...
বাঙালীদের মেরুদন্ডহীন বানানোর প্রজেক্টটা হাতে নিয়েছে কারা আর কিসের জন্য...
শুভকামনা...
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার মনে হয় না এই প্রজেক্ট কেউ হাতে নিয়েছে । কেন জানি মনে হচ্ছে আমরা নিজেরাই নিজের অজান্তে শিক্ষা নিয়েও দলা দলির মনবৃত্তি নিয়ে একে ধ্বংস করে চলেছি । তবে আমি আশাবাদী যে বড় একটা ধাক্কা খেয়ে জাতি একসময় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই ।
আর বিদেশের কথা বলেছি এই কারনে যে , তাদের ভালো দিক গুলো নিয়ে যদি আমরা কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারি ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য ।
১২| ০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৩
তানজির খান বলেছেন: আপু ঠিক বলেছেন। গঠনমূলক পোস্ট।
০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তানজির । ভালো থাকবেন সবসময় ।
১৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৫
জেন রসি বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা আসলে কাদের জন্য এবং কি জন্য? খুব সহজ সরল ভাবে যদি ভাবি তবে সহজেই বুঝে ফেলা যায়। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ব্যবহারিক জ্ঞানকে আপডেট রাখার পদ্ধতিটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থা।কিন্তু এই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথেও ক্ষমতার এবং সুকৌশলে মাস পিপলের মগজ ধোলাইয়ের একটা গভীর সম্পর্ক আছে। যেমন উদাহরন হিসাবে বলি, এক সময় চার্চের আধিপত্যের যুগে যাজক হওয়াটা খুব সন্মানের ব্যাপার ছিল। যারা হত, তারা কি করত? তারা কষ্ট করে কিছু অযৌক্তিক ব্যাপার শিখত। সেসব প্রচারও করত। সমাজের মানুষ তাদের খুব শিক্ষিত ভাবত।কারন এমনি একটা সিস্টেম তৈরি করা হয়েছিল। তখন বিজ্ঞানীদের লুকিয়ে লুকিয়ে গবেষণা করতে হত।কারন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য চার্চ এমনি একটা আবহ তৈরি করে ফেলেছিল।
এই আধুনিক যুগেও আমেরিকার অনেক নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেবাস থেকে বিবর্তনবাদ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাদের আর্থিক এবং সামাজিক প্রভাবের কারনে এমনটা করা হয়েছে তাও সবাই জানে। তাই যা শেখনো হয় তা শিখেলেই যে আমারা শিক্ষিত হয়ে যাব এমন কোন ব্যাপার নেই।
আর আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষমতাবানদের এমন অনেক খেলাই চলছে। যার ফলাফল আমারা নিজ চোখেই দেখছি আজ।
প্রাসঙ্গিক মনে করায় পোস্টের মূল বিষয় থেকে কিছুটা সরে এসে মন্তব্য করেছি।
চমৎকার পোস্ট আপু।
০২ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৬:২১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ।মন্তব্যটি পড়লাম এবং সময় করে উত্তর দিবো পরে, এখন খুব ঘুম লাগছে । ভালো থাকবেন ।
১৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,
আপনার তথ্য ও তত্ত্ববহুল লেখাটি অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার । যে আঙ্গিকে আপনি আলোচিত একটি ঘটনাকে দেখেছেন তাতে একজন সচেতন মানুষেরই ছায়া । তবে শিরোনামটির বিষয়ে কিছু কথা থাকে ।
শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ , কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই তাদের না ।
দ্বিমত করছি ।ছাত্রছাত্রীদেরও দায়ভার আছে শেখার এবং শিক্ষার মূলটা এখানেই।এবং এটাই সবার আগে তাদের ফরজে আইন ।জ্ঞানের জন্যে ছাত্রছাত্রী না , ছাত্রছাত্রীদের জন্যেই জ্ঞান । শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ বলে আমি কিছুই শিখবোনা , এটা তো হয়না । আমি আমার মা-বাবার নাম জানবোনা , এটা কি মা-বাবার দোষ নাকি আমার গাফিলতি ; না জানার ইচ্ছে ?
আসলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাটাই প্রচন্ড রকমের ভুলে ভরা এবং উর্বর মস্তিষ্কের ফসল । আপনি সৌদি আরবের খেজুর এদেশের মাটিতে জন্মাতে পারবেন না যতোই কোশেশ করুন না কেন ।সৌদি আরবের খেজুর জন্মাতে হলে মরুভূমির পরিবেশ তৈরী করতে হবে ।এই সাধারন প্রাকৃতিক নিয়মের কথাটি কি এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে জড়িত রাঘব-বোয়াল পন্ডিতদের বুঝিয়ে বলার দরকার আছে ? আমার তো মনে হয় এসব লোকদের মেধা ও সৃজন শক্তি আগে যাচাই করা উচিৎ । এদের উর্বর মস্তিষ্কই শিক্ষার ব্যবস্থা ও মানকে পাতালে নিয়ে ঠেকিয়েছে ।এরা না জানে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার চরিত্র, না জানে সমাজের লোকেদের অর্থনৈতিক কাঠামো ও বিন্যাস, না জানে সমাজের চাহিদা ও তার জন্যে যথোপযুক্ত বিষয়ের সরবরাহের পদ্ধতি ।
শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে বেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে , যেটা সব দেশেই হয় । কারণ যে কোন বিষয় নিয়ে প্রাটিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ঐ ব্যবস্থার সুফল এবং কুফল সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেয়া সম্ভব নয় ।
তাই যদি আমাদের দেশের জন্যেও অনুকরনীয় হয় , তবে দিনের পর দিন যে সব পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হয়েছে তার ফলাফল কি আমাদের বোধগম্য হয়েছে ? সেখান থেকে কিছু কি আমরা শিখেছি, ভালোটি কিম্বা মন্দটি ? আমরা এর সুফল এবং কুফলের কোনও কারন অনুসন্ধানে না গিয়েই তো নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েছি । অর্থাৎ কিছু তথাকথিত শিক্ষিতদের হাতে পড়লে যা হবার তাই-ই হয়েছে এক্ষেত্রে ।অনার্স নিয়ে গ্রাজুয়েট আর মাস্টার্সকরা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা আর বললুম না । এ আরো ভয়াবহ ।
আমাদের ছাত্রছাত্রী সমাজ কি এগুলো অনুধাবন করতে পেরেছে আদৌ ? যদি পেড়ে থাকে তবে শিক্ষানীতি নিয়ে কোনও আন্দোলনে তারা গিয়েছে কি ? যায়নি বরং “ অমুক ভাইয়ের হুলিয়া নিতে হবে তুলিয়া” জাতীয় আন্দোলনে তারা রক্ত দিতেও পিছপা নয় । প্রমান ভুরি ভুরি । তাই কেউ যদি মনে করেন ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের বহর নিয়ে কিছু বলা যাবেনা কারন এর জন্যে ছাত্রসমাজ দায়ী নয় তবে বলতে হবে তার চিন্তা-চেতনা পরিপক্ক নয় ।
আবার সরকার থেকে একটা টার্গেট থাকে প্রতিটি স্কুলের জন্য , যেই টার্গেট সম্পন্ন না করতে পারলে স্কুল গুলো বিভিন্ন রকম সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় ।
সে টার্গেটটা কি ? শুধু পাশের হার বাড়ানো ? নাকি মেধা বাড়ানো ? যদি মেধা বাড়ানোই হয় তবে শিক্ষার কারিক্যুলাম আমুল ঢেলে সাজানোর প্রয়োজন তো সবার আগে । সেটা কি হয়েছে ? এম.সি.কিউ দিয়ে কি মেধা যাচাই হয় ? নাকি কোনও একটি বিষয়ের উপরে ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের দখল কতোখানি তা যাচাই করা জরুরী ? সেখানে তো বিশদ বর্ণনার প্রয়োজন । অথচ বছরের পর বছর এম.সি.কিউ চলে আসছে ।এখন আবার সৃজনশীলের ঘনঘটা । যে ছাত্রসমাজের মুখ থেকে এখনও এম.সি.কিউ এর গন্ধ যায়নি সেই তাদেরকেই কিনা সৃজনশীল হতে বলা ! যেখানে সৃজনশীল বিষয়ে স্বয়ং আমাদের শিক্ষকরাই নাকি প্রয়োজনীয় জ্ঞানসমৃদ্ধ নন । কি বিচিত্র এ দেশ !!!!!
এটা তাদের দলাদলি করার জন্য বেশ মুখরোচক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে । যখন কেউ কিছু না বুঝে " হই হই হরতাল " শুরু করে দেয় তখনই একটা সুষ্ঠু লক্ষ পণ্ড হবার সম্ভাবনা থাকে ।
এটাই আমাদের বিপথগামী শিক্ষাব্যবস্থার ফসল । ফলহীন উদ্ভিদ থেকে আগাছাই শুধু জন্ম নেয় ।যার প্রমান আপনার এই বাক্যটি ।
তাই , শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ বলে নিজেদের দায়ভার এড়িয়ে চলার কোনও প্রশ্ন নেই, কারন বিদ্যমান এই বিপথগামী শিক্ষাব্যবস্থার ভালোমন্দ বুঝে সেইমতো চলার দায়িত্ব তাদেরই ।
পাথরের বুকে ক্যাকটাস নামের রূক্ষ গাছেও তো দৃষ্টিনন্দন ফুল ফোঁটে !!!!!! ছাত্র সমাজ নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পারলেই এমন ফুল ফুঁটতো ।
দায়ভার আমাদের সবার , বিশেষ করে রাষ্ট্রের। যে দেশে সার্টিফিকেট না হলে জীবনধারনের কোন ব্যবস্থা করায়ত্ব করার সুযোগ তৈরী হয়না, সে দেশে যে কোনও মূল্যে একটি সার্টিফিকেট পকেটস্থ করার ব্যবস্থা ছাত্র সমাজ থেকে শুরু করে অভিভাবক সমাজও করবেনই । আর এটা করতে গিয়েই যতো অনাসৃষ্টি । এখানে জ্ঞানার্জনের কোনও সম্পর্ক নেই ।
অনেকেই সুন্দর ও যোগ্যতর মন্তব্য করেছেন পক্ষে বিপক্ষে । সবটাকেই আমলে আনা উচিৎ যাতে কাঁটাছেড়া করে তার ভেতর থেকে সত্যিকারের সমাধানটি বেরিয়ে আসতে পারে । সমাধানই যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে আমাদের তবে এটা করাই সুবিবেচনার লক্ষন ।
আলোচ্য সাক্ষাৎকারটিকে তাই মন্দ চোখে দেখার চেয়ে পজেটিভলিই নেয়াই উচিৎ আমাদের ছেলেমেয়েদের স্বার্থেই এবং একমাত্র তাদেরই স্বার্থে ...................
শুভেচ্ছান্তে ।
০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:৩২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ , কিন্তু এর দায়ভার তো নিশ্চয়ই তাদের না ।--- গুলশান কিবরীয়া
আপনি বলেছেন , " ছাত্রছাত্রীদেরও দায়ভার আছে শেখার এবং শিক্ষার মূলটা এখানেই "- আহমেদ জী এস --- উপরোক্ত বাক্যে ছাত্রছাত্রীদের এই দায়ভারের কথা অস্বীকার করা হয়নি । ভালো ভাবে যদি খেয়াল করেন , আমি বলেছি - " শিক্ষা ব্যবস্থা খারাপ" - হলে সেই দায়ভার ছাত্রছাত্রীদের উপর পড়ে না । সেটা অবশ্যই শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যারা জড়িত তাদের দায় । ছাত্রছাত্রীদের কাজ হল শিক্ষা অর্জন করা , কিন্তু সেই শিক্ষা সর্বরাহকারী যদি সঠিক শিক্ষার জোগান না দেয় তাহলে নিশ্চয়ই আপনি ছাত্রছাত্রীদের দায়ী করবেন না । উন্নত বিশ্বে দেখেছি , সমগ্র সিলেবাসটাকে একটা কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসে , শিক্ষকরা আপ্রাণ চেষ্টা করে তার ছাত্রছাত্রীদের সেই কাঠামো অনুযায়ী শিক্ষা দিতে এবং সমগ্র সিলাবাস শেষ করার চেষ্টা করে স্কুলের ভিতরেই । যার ফলে স্কুলের বাইরে এক্সট্রা প্রেশার নেই । একটা ক্লাসে শুধু মাত্র ৩০ টি ছাত্রছাত্রী থাকবে এর বেশী একটাও নয় । তাদেরকে মনিটর করার জন্য ১ জন শিক্ষক এবং ১ জন সহকারী শিক্ষক মজুত থাকে । সেই ৩০ জনের ভেতর আবার ৫ থেকে ৬ টা গ্রুপ করা থাকে , তাদের শিক্ষা গ্রহণের অ্যাবিলিটি অনুযায়ী । কারণ সবার অ্যাবিলিটি এক রকম নয় । যার শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ নেই তাকে ব্যসিক শিক্ষা দিয়ে তার কিসে আগ্রহ তাকে সেই দিকে অনুপ্রাণিত করা হয় । এখানে কেউ কাউকে জাজ করে না তার শিক্ষা অ্যাবিলিটি নিয়ে । এতো সুন্দর সিস্টেমের ভিতরে থেকেও তারা ছাত্র ছাত্রীদের দায়ী করে না , কারণ তারা মানুষের ক্ষমতা সম্পর্কে অবগত , এবং প্রতিটি মানুষই একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে এটাও তারা বিশ্বাস করে না । অন্যান্য অনেক রাস্তা তৈরি করে তাদের জীবন সুষ্ঠু ভাবে চালানোর জন্য ।
----" আমার তো মনে হয় এসব লোকদের মেধা ও সৃজন শক্তি আগে যাচাই করা উচিৎ । এদের উর্বর মস্তিষ্কই শিক্ষার ব্যবস্থা ও মানকে পাতালে নিয়ে ঠেকিয়েছে ।এরা না জানে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার চরিত্র, না জানে সমাজের লোকেদের অর্থনৈতিক কাঠামো ও বিন্যাস, না জানে সমাজের চাহিদা ও তার জন্যে যথোপযুক্ত বিষয়ের সরবরাহের পদ্ধতি ।" -----আহমেদ জী এস
উপরে আপনি যা বললেন , তাতে আবারো বলতে হয় - শিক্ষা ব্যবস্থা আজ থেকে নয় বহু কাল ধরেই খারাপ অবস্থা । তাই এই বাজে শিক্ষা ব্যবস্থার খেসারত হলো এই মেধাশূন্য মস্তিষ্ক । আবার এও হতে পারে যেকোন পজিশনে সঠিক ব্যক্তি নিয়োগ হচ্ছে না ।
" শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে বেশ পরীক্ষা নিরীক্ষা হচ্ছে , যেটা সব দেশেই হয় । কারণ যে কোন বিষয় নিয়ে প্রাটিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ঐ ব্যবস্থার সুফল এবং কুফল সম্পর্কে সম্যক ধারনা নেয়া সম্ভব নয় ।"--- গুলশান কিবরীয়া
আমাদের দেশের মানুষের যে মানসিক অবস্থা তাতে যে কোন প্রকার ভালো কাজ করাটা খুব বেশী রকম কষ্টসাধ্য ব্যপার । মানুষের ধৈর্য কম , মানুষ খুব সহজেই মারমুখী এবং বাজে রকম সমালোচনা মুখর হয়ে ওঠে , সব জায়গায় পলিটিক্স করতে চায় । তাছাড়াও যেহেতু ভালো শিক্ষকের অভাব রয়েছে তাই যত ভালো ব্যবস্থাই আসুক না কেন শিক্ষকের মান ভালো না হওয়া পর্যন্ত সুফল পাওয়াটা এত সহজ না । এটাও সত্য সরকারের এখানে যথেষ্ট পরিমাণে উদাসীনতা রয়েছে , কারণ তারা তদের আসনটাকেই এখনো পর্যন্ত মজবুত করে সেটেল করতে পারেনি , তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের কাছে এখনো মাইনর একটি ব্যপার । রাজনীতিতে যতদিন লোভী শ্রেণীর আনাগোনা থাকবে ততদিন এই হানাহানী শেষও হবে না ।
---- "আমাদের ছাত্রছাত্রী সমাজ কি এগুলো অনুধাবন করতে পেরেছে আদৌ ? যদি পেড়ে থাকে তবে শিক্ষানীতি নিয়ে কোনও আন্দোলনে তারা গিয়েছে কি ? যায়নি বরং “ অমুক ভাইয়ের হুলিয়া নিতে হবে তুলিয়া” জাতীয় আন্দোলনে তারা রক্ত দিতেও পিছপা নয় । প্রমান ভুরি ভুরি । তাই কেউ যদি মনে করেন ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের বহর নিয়ে কিছু বলা যাবেনা কারন এর জন্যে ছাত্রসমাজ দায়ী নয় তবে বলতে হবে তার চিন্তা-চেতনা পরিপক্ক নয় ।"---- আহমেদ জী এস
আপনি এখানে ১৮+ অর্থাৎ ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের কথা বলছেন - আমার বিষয়বস্তু যদিও এটা ছিল না , তারপরও বলি - ব্যসিক যার যেভাবে গড়ে উঠবে সে বড় হয়েও তার ঐ ব্যসিকের উপর দাড় হয়েই সব কাজ করবে । যাদের শুরুটাই খারাপ ছিল তারা তো ভালো কিছু করার ক্ষমতা রাখে না । তাছাড়া ছাত্ররা কখনোই তাদের নিজ দায়িত্বে কোন আন্দোলনে যায় বলে আমার মনে হয় না , তারা নিয়ন্ত্রিত হয় অন্য কোন শক্তি দ্বারা । এই ক্ষেত্রে আমি ঐ শক্তিকে ব্লেম করবো ।
আর, আমি প্রধানত যে বিষয়টিতে ঘোর সমালোচনা করেছি সেটা হলো ঐ টিভি চ্যানেলটির নীতি বিবর্জিত ভিডিও তৈরি করাকে এবং যেটাকে আপনি ইন্ডায়রেক্টলি সাপোর্ট করছেন এবং সম্ভবত আপনি আপনার বিপরীত ভাবনায় কেউ অবস্থান নেয়াকে " অপরিপক্ক " চিন্তা বলেও ভাবছেন । আমি যদি ভুল বলে থাকি আমাকে কারেক্ট করবেন প্লিজ ।
আমি এখনো আপনার বিপরীতেই অবস্থান করছি , যদিও আমি অন্য কারো ভাবনাকে জাজ করতে পছন্দ করি না । ঐ ভিডিওটি কোন ভালো নীতির আওতায় পড়ে না । তাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল -এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু একশনটা খারাপ ছিল । কোন ভালো কাজের জন্য খারাপ কাজ করা যাবে না , তাহলে খারাপ কাজকে উৎসাহিত করা হয় । কোন প্রকার খারাপ কাজকে একটি সুস্থ সমাজ উৎসাহিত করবে না , এর ফল ভয়াবহ হয় । আপনি একজন গরীব দুঃখীকে খাওয়াবেন বলে একজন ধনীর ঘরে লুট করতে পারবেন না । গরীবকে খাওয়ানো তো ভালো কাজ কিন্তু তারপরও করা যাবে না । তাহলে সমাজে লুটপাট বেড়ে যাবে , অশান্তি বেড়ে যাবে । এজন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি সুষ্ঠু নিয়ম মান্য করা বাধ্যতামূলক । তাদের হাতে ক্যামেরা আছে বলেই একটা মানুষকে কলঙ্কিত করার কোন অধিকার তাদের নেই ।
ঐ ছেলে মেয়ে গুলো তাদের বয়সী অন্য ছেলে মেয়ে দ্বারা এমনকি বড়দের দ্বারাও বুলি হবে , তারা স্বাভাবিক ভাবে কারো সাথে মিশতে পারবেন না , আল্টিমেটলি তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে । একটা মানুষের জীবন এভাবে নষ্ট করাটা কি কোন সুস্থ সমাজ মেনে নিতে পারে ? আপনার কাছে আমার প্রশ্ন রইল ।
পরিশেষে , অশেষ ধন্যবাদ জানাই আপনার বিস্তারিত এবং গভীর বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য ।
১৫| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:১১
মহা সমন্বয় বলেছেন: গত দুই দিন থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার বুঝতে পারছি আর তা হল আমাদের দেশের শিক্ষার মান আসলেই খারাপ। কেন তা বিস্তারিত বলতে পারব না। শুধু এতটুকু বলব শিক্ষার মান আসলেই খারাপ। শিক্ষাটা মনে হয় আমাদের দেশে এখন একটি লাভজনক ব্যবসা।
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? তা ভাবতেছি.... এর মূলে যে জিনিসটি পেলাম তা হচ্ছে জনসংখ্যা এই জনসংখ্যাই হচ্ছে সকল সমস্যার মূল। এত পিচ্চি একটা দেশে এত এত জনসংখ্যার জন্য কোন কিছুরই মান ঠিক নেই,না শিক্ষা, না চিকিৎসা, না অন্যান্য মৌলিক চাহিদা।
আর আমার মনে হয় যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারে শিক্ষা, হ্যাঁ একমাত্র শিক্ষাই পারে আমাদের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে। কিন্তু.... কিন্তু.. ওই সরষের মধ্যেই তো ভূত... শিক্ষার মানই যে ঠিক নেই। এক দুষ্ট চক্রের আবর্তনে আবদ্ধ রয়েছি আমরা এই দুষ্ট চক্র থেকে বের হওয়া অনেক টাফ।
তাহলে আমরা এখন কি করব??
কি আর করব বসে বসে আল্লা আল্লাহ করি.. আল্লাই সব সমাধান করে দিবেন।
১৬| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১১:২৪
মহা সমন্বয় বলেছেন: আর ওই ভিডুর কথা আর কি বলব.. এটা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। তবুও বলি.. এই ভিডুর ছাত্ররা পুরো দেশের ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব বহন করে না। সারা দেশের ছাত্ররা এত গবেট না। তারা হয়ত ক্যামেরা,সাংবাদিক দেখে কিছুটা নার্ভাস ছিল।
অনেক সময় সহজ প্রশ্নেরও উত্তর দেয়া যায় না। আর বেছে বেছে যারা উত্তর দিতে পারেনি তাদেরকেই দেখানো হয়েছে।
তবে ভিডিওটা প্রকাশ করে আমার মনে হয় ভালই হইছে,এবার পোলাপনের কিছুটা হলেও টনক নড়বে আমি শিওর।
এই একটি ভিডিওই সারা দেশের ছাত্রদের নড়চড়ে বসতে বাধ্য করবে।
তাই বলব এটা ভাল হইছে উচিৎ কাম হইসে
১৭| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,
আপনার এই প্রতি মন্তব্যের জবাবে অনেক কথাই আলোচনায় চলে আসা উচিৎ । কিন্তু তেমন বিশদ আলোচনার সুযোগ এখানে নেই । তাই যতোটুকু না হলেই নয় সেভাবেই আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই ।
আপনি শিক্ষা ব্যবস্থার গাছটিকেই শুধু দেখলেন ! এর পেছনে শিকড়, মাটি , পানি , সার , রোদ, বৃষ্টি, পরিবেশের ভূমিকা দেখলেন না ! ছাত্ররাও কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার তেমন একটি অংশ বা অঙ্গ । এখানে তাদের ভূমিকাটাও মনে রাখতে হবে । যার যার অবস্থান থেকে তার তার কাজটি ঠিকঠাক করলেই তবে ব্যবস্থাটিকে ভালো বলা যাবে ।
ভালো করে ভেবে দেখুন, যে উন্নত বিশ্বের কথা আপনি বললেন সে বিশ্বের সাথে আমাদের কি তুলনা চলবে ? সেই বিশ্বের সামাজিক, রাষ্ট্রীয়,অর্থনৈতিক বিন্যাস কি আমাদেরও আছে ? ছোট্ট একটু উদাহরন দেই, উন্নত বিশ্বের হাইস্কুল লেভেল পর্য্যন্ত সকল ছাত্রদের লকার , জিম, লাইব্রেরী, টিফিন ও লাঞ্চ এর মতো ব্যবস্থা কি আমাদের পক্ষে সম্ভব ? সম্ভব হলেও তো তা আগেই যাবে কারো না কারো পেটে ।
আমাদের স্কুলগুলির তো মাথার উপরে ছাদই থাকেনা । একটুখানি ক্লাসরুমে গরুঠাসার মতো ছাত্র ঠাসিয়েও তো সবাইকে জায়গা দেয়া যায়না । দুই তিন শিফটে স্কুল চালঅতে হয় । কোনও কোনও স্কুল তো খোলা মাঠ আর গাছের নীচেও হয় । এগুলো নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয় । এই অব্যবস্থার কারনে কি ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া ( জ্ঞানার্জন ) করবে না বা এর প্রয়োজন নেই , এটা মেনে নেয়া যায় ?
যে শিক্ষা ব্যবস্থার ও সিষ্টেমের কথা আপনি বলেছেন সেটা কোথায় পাবেন এখানে ? আমাদেরকে গায়ে দেয়ার জামাটি বানাতে হবে আমাদের কাপড় বুঝে । সে জন্যেই বলেছিলুম , সৌদি আরবের খেজুর আমাদের দেশে হবেনা ।
এটা ঠিক বলেছেন আপনি , শিক্ষা ব্যবস্থা আজ থেকে নয় বহু কাল ধরেই খারাপ তাই এই বাজে শিক্ষা ব্যবস্থার খেসারত হলো এই মেধাশূন্য মস্তিষ্ক ।
বিশেষ করে গত ১৫টি বছর ধরে বেশী নম্বর পাওয়ার দৌড় প্রতিযোগিতা, আর যে কোনও মূল্যে একটি সার্টিফিকেট অর্জনের অভিলাষ আমাদের শিক্ষার অবস্থাটিকে আস্তে আস্তে ঘুনে কেটে কেটে ফোপরা করে দিয়েছে । ফলে শিক্ষা জীবন শেষ করে যারা বেরুচ্ছে তারা মেধাশূন্য মস্তিষ্ক নিয়েই বেরুচ্ছে । এদের মধ্যে থেকেই তো আমরা শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছি প্রাইমারী ও সেকেন্ডারী লেভেলে । এরা ছাত্রছাত্রীদের কি শেখাবেন ? তাই বলে কি ছাত্রছাত্রীরা নিজের গরজে কিছু শিখবেনা ? শেখা তো ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব । শিক্ষক ও স্কুলগুলি তার এই শেখাতে সহায়তা করে মাত্র । এই সব মেধাবিহীন শিক্ষকদের কারনেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা জ্ঞানার্জন থেকে সরে থাকবে , তা কি হয় ?
আমার করা একটি মন্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে আপনিই বলেছেন --------------ছাত্ররা কখনোই তাদের নিজ দায়িত্বে কোন আন্দোলনে যায় বলে আমার মনে হয় না , তারা নিয়ন্ত্রিত হয় অন্য কোন শক্তি দ্বারা । এই ক্ষেত্রে আমি ঐ শক্তিকে ব্লেম করবো ।
যারা অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তারা তো তাদের দায়িত্ব ভুলে, নিজের ভূমিকা বাদ দিয়ে আত্মসর্মপন করে । তাহলে শুধু নিয়ন্ত্রিতকারী শক্তিকে দোষ দেবেন কেন ? যারা আত্মসর্মপন করে বসে আছে দোষ কি তাদের মোটেও নেই ? আপনাকে যদি কেউ আপনার দায়িত্বে অবহেলা করতে বলেন, তবে সব দোষটা কি যিনি বলেছেন তার ঘাড়ে চাপবেন না কি আপনার ঘাড়েও কিছু চাপবে ?
আর, আমি প্রধানত যে বিষয়টিতে ঘোর সমালোচনা করেছি সেটা হলো ঐ টিভি চ্যানেলটির নীতি বিবর্জিত ভিডিও তৈরি করাকে এবং যেটাকে আপনি ইন্ডায়রেক্টলি সাপোর্ট করছেন এবং সম্ভবত আপনি আপনার বিপরীত ভাবনায় কেউ অবস্থান নেয়াকে " অপরিপক্ক " চিন্তা বলেও ভাবছেন । আমি যদি ভুল বলে থাকি আমাকে কারেক্ট করবেন প্লিজ ।
আপনার বলা এ প্রসঙ্গটি নিয়ে বলি ---- ব্যাপারটি আমার সাপোর্টের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্যে বলিনি । আমার অবস্থানের সাথে এই " অপরিপক্ক " বলার কোনও সম্পর্ক নেই । এটা জেনারালাইজড অর্থে করা । কেন জেনারালাইজড তা বুঝতে আবার পড়ে দেখুন আমি কি বলেছি - “কেউ যদি মনে করেন ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের বহর নিয়ে কিছু বলা যাবেনা কারন এর জন্যে ছাত্রসমাজ দায়ী নয় তবে বলতে হবে তার চিন্তা-চেতনা পরিপক্ক নয় ।“ এর আগের লাইনগুলো ছাত্রছাত্রীদের দায় দায়িত্বের প্রসঙ্গ নিয়ে ছিলো ।
আপনি সম্ভবত " অপরিপক্ক " ব্যাপারটিকে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়েছেন । না , এটা আপনাকে ইঙ্গিত করে নয় (তার ব্যাখ্যা আগে দিয়েছি ) কারন আপনি একটি আলোচিত বিষয় নিয়ে এই লেখাটি লিখেছেন । এটা আপনার একটি সচেতনতার, পরিপক্কতার পরিচয় । যদিও লেখাটি আপনি আবেগাশ্রয়ী হয়ে লিখেছেন ।
আর তাছাড়া আপনার চিন্তা চেতনাকে প্রাধান্য দিয়েই তো আমি শেষটুকু টেনেছি এই ভাবে ---------
“অনেকেই সুন্দর ও যোগ্যতর মন্তব্য করেছেন পক্ষে বিপক্ষে । সবটাকেই আমলে আনা উচিৎ যাতে কাঁটাছেড়া করে তার ভেতর থেকে সত্যিকারের সমাধানটি বেরিয়ে আসতে পারে । সমাধানই যদি লক্ষ্য হয়ে থাকে আমাদের তবে এটা করাই সুবিবেচনার লক্ষন ।“
আপনি কি জানেন , ঐ টিভি রিপোর্টটি কি পরিমান ঝাঁকি দিয়েছে মানুষ কে ? দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলকে ? দিয়েছে সমস্ত দেশকে ? লজ্জার কালি মেখে গেছে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের মুখে মুখে ?
এবার টনক নড়েছে সকলের । ভাবতে বসেছেন সবাই । একটা পজিটিভ আবহাওয়া হয়তো তৈরী হবে আগামীতে । হয়তো ঐ পাঁচ-ছ’টি ছাত্রছাত্রীর মুখ লজ্জার কালিমায় মেখে গেছে সত্য কিন্তু তারা আগামীর লাখো লাখো ছাত্রছাত্রীকে মুখে কালি মেখে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দেয়ার জন্যে যে একটি রাস্তার প্রয়োজন তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছে , ব্যাপারটাকে আমরা এভাবে দেখতে পারিনে ? আমার তো মনে হয়, সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে গুটি কয়েকের স্বার্থ আমলে নেয়া শেষমেষ বৃহৎ ক্ষতিতেই গড়ায় । একটি কথা আছে “ ইট ইজ দ্য আল্টিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস ....”
টিভির ঐ রিপোর্টটির পরে যে প্রশ্নটি সামনে এসেছে জোড়ালো ভাবে তা হলো , এই প্রজন্ম কি শুধু মুখস্থবিদ্যাতেই আটকে যাচ্ছে নাকি তারা মেধা চর্চ্চার সুযোগও পাচ্ছে । এ নিয়ে এখন প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে সবখানে । এ প্রজন্ম যে মুখস্থবিদ্যাতেই আটকে আছে তাতে কোনও দ্বিমত নেই । আমরা অভিভাবকেরা শিক্ষাব্যবস্থা, স্কুল-কলেজ, কোচিং, গাইডবই এসবের উপর দোষ চাপিয়ে হা-হুতাশ করে নিজেদের দায়িত্বে ক্ষান্ত দিই । অথচ আবার সন্তানদের বেশী নম্বর পাওয়ার দৌড় প্রতিযোগিতায় নামিয়ে দিতেও প্রধান ভূমিকা পালন করি । কিন্তু এই মুখস্থবিদ্যার বাজারে আমাদের সন্তানদের স্বশিক্ষিত – স্বনির্ভর ( শিক্ষার ক্ষেত্রে ) করে গড়ে তোলার মূখ্য দায়িত্ব তো আমাদেরই । আমরা শুধু শিক্ষাব্যবস্থার উপরেই দোষ চাপিয়ে বসে থাকতে পারিনে । দায়িত্ব আমাদের আর আমাদের সন্তানদেরও । কারো কম নয় ।
সবশেষে একটি বিজ্ঞাপনের ভাষাতেই বলি – দাগ থেকেই হোক নতুন কিছু …. ।
আশা করি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:১০
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার ক্ষেত্রেও ঠিক একই অবস্থা ; অনেক কিছুই চলে আসে আলোচনায় কিন্তু সবকিছু এত ডিটেইলে লিখে লিখে কমিউনিকেট করা সম্ভব নয় , তারপরও আমি চেষ্টা করবো আমার দিকটা আপনার কাছে ক্লিয়ার করতে ।
আমি আসলে একটু কনফিউজড হয়ে পড়লাম এই ভেবে যে - আমি কি আপনাকে আমার পয়েন্ট বোঝাতে অক্ষম নাকি আপনি পয়েন্টটি ধরতে পারছেন না ? আমি আপনাকে আবার বলি -- আমি কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে এই টপিক্স লিখিনি , তাই ছাত্রছাত্রী হিসেবে তাদের দায়িত্ব কর্তব্যকে এখানে আনিনি এবং সেটা অস্বীকার করার তো কোন প্রশ্নই ওঠে না । আমি শুধু শিক্ষা ব্যবস্থাকে সমালোচনা করেছি , যেখানে হস্তক্ষেপের কোন সুযোগ নেই ছাত্রছাত্রীদের । ছাত্রছাত্রীর কাজ হলো এই ব্যবস্থার সুফল অথবা কুফল ভোগ করা , তারা হলো এই ব্যবস্থাকে ব্যবহার করবে । কিন্তু ব্যবহারকারী হিসেবে তাদের কি কি দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে তার জন্য আলাদা টপিক্স হতে পারে , আলাদা বিতর্ক হতে পারে । আমি সমস্যাটিকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রধানত দুটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি আমার আর্টিকেলটিতে ।
আমার key point ছিল bad journalism এবং bad education system --- এই পয়েন্ট গুলো ঘিরেই আমি চেষ্টা করেছি কিছুটা এনালাইসিস করতে । আপনি যদি আমার লেখাটিকে বিশ্লেষণ করেন তবে এই পয়েন্টগুলোকেই খুঁজে পাবেন ; এখানে ছাত্রছাত্রীর দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে আলোচনা করার কোন প্রয়োজন নেই , বরং এই বাজে সিস্টেমে ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে এফেক্টেট হচ্ছে সেটাই আমার আলোচ্য বিষয় ; এছাড়াও bad journalism এ একজন মানুষের জীবন কতটা দুর্বিষহ হতে পারে সেটাও আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । সমস্যাকে সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের জন্যই এর মূলে হাত দিতে হয়েছে আমাকে; আর এজন্যই সমস্যাকে ন্যারো সেন্সে বিশ্লেষণের প্রয়াস । হয়তো ব্রড সেন্সে ছাত্রছাত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে বলা যেতে পারে ; কিন্তু সেটাও আসবে আলাদা অধ্যায়ে ; আর এর জন্য একটি আর্টিকেল যথেষ্ট নয় , বরং বই লিখতে হবে ।
একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে যেটা হয়তো কিছুটা হেল্পফুল হবে ক্লারিফাই করার জন্য ---- যেমন ধরুন , আপনি একটি টোস্টার কিনেছেন বাজার থেকে ; সেটা ব্যবহার করতে গিয়ে আগুন ধরে যায় এবং আপনি তাতে শারীরিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন । এমতাবস্থায় প্রথমেই দেখতে হবে যে টোস্টারের মানুফেকচারে কোন সমস্যা ছিল কিনা ; তারপর চেক করতে হবে ব্যবহারকারী সঠিক নিয়মে ব্যবহার করেছে কিনা । যদি ম্যনুফেকচারে সমস্যা পাওয়া যায় তবে ব্যবহারকারী সঠিক নিয়মে ব্যবহার করেছে কি করেনি ওটা জানার প্রয়োজন নেই ; দোষটি সম্পূর্ণ ম্যনুফেকচার কোম্পানিরই ঘাড়ে পরবে । অপরপক্ষে , ম্যনুফেকচারে যদি কোন সমস্যা না থাকে , সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহারকারীর দোষ ছিল বলে ধরে নেয়া হবে । এখন আপনিই বলুন বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কি ঠিক আছে ? নেই --- যেটা আপনিও স্বীকার করেছেন । কাজেই শিক্ষা ব্যবস্থার যতক্ষণ পর্যন্ত সুরাহা না হবে এর আউটকাম কিছুতেই ভালো হবে না বা আশা করাটাও বোকামি ।
ভালো করে যদি খেয়াল করেন আমি আন্ডার ১৮ ছাত্রছাত্রীদের নিয়েই মূলত এই টপিক্স লিখেছি । ১৮+ দের জন্য একধরনের হিসাব হবে আর আন্ডার ১৮ দের অন্য হিসাব । বয়স অনুযায়ী মানুষের দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধও ভিন্নতর হয়ে থাকে । আন্ডার এইজ একটা মানুষকে কন্ট্রোল ভিন্ন কাঠামোতে হবে ।
---------" আমাদের স্কুলগুলির তো মাথার উপরে ছাদই থাকেনা । একটুখানি ক্লাসরুমে গরুঠাসার মতো ছাত্র ঠাসিয়েও তো সবাইকে জায়গা দেয়া যায়না । দুই তিন শিফটে স্কুল চালঅতে হয় । কোনও কোনও স্কুল তো খোলা মাঠ আর গাছের নীচেও হয় । এগুলো নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয় । এই অব্যবস্থার কারনে কি ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া ( জ্ঞানার্জন ) করবে না বা এর প্রয়োজন নেই , এটা মেনে নেয়া যায় ? যে শিক্ষা ব্যবস্থার ও সিষ্টেমের কথা আপনি বলেছেন সেটা কোথায় পাবেন এখানে ? আমাদেরকে গায়ে দেয়ার জামাটি বানাতে হবে আমাদের কাপড় বুঝে । সে জন্যেই বলেছিলুম , সৌদি আরবের খেজুর আমাদের দেশে হবেনা ।" -------- আহমেদ জী এস
আপনার উপরোক্ত কথাগুলোতেই রয়েছে জাতি হিসেবে আমাদের অপারগতা , শিক্ষা ব্যবস্থার দুরবস্তা । আমি বার বারই বলতে চাচ্ছি একই কথা --- আমরা যেহেতু সঠিক ব্যবস্থার যোগান দিতে পারবো না তাহলে আমরা কিভাবে আশা করবো একটা সঠিক রেজাল্ট ?? এটা অনেকটা এরকম হয়ে যাবে -- জুতা কিনে না দিয়ে ছেলেকে বলা যে সে খালি পায় কেন ; আবার সেই ছেলে প্রতিবাদ করলে তাকে বেয়াদব , বড়দের সাথে ব্যবহার শেখেনি বলতেও আমাদের বাঁধে না ।
-------" তাই বলে কি ছাত্রছাত্রীরা নিজের গরজে কিছু শিখবেনা ? শেখা তো ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব । শিক্ষক ও স্কুলগুলি তার এই শেখাতে সহায়তা করে মাত্র । এই সব মেধাবিহীন শিক্ষকদের কারনেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেরা জ্ঞানার্জন থেকে সরে থাকবে , তা কি হয় ? " ------ আহমেদ জী এস
আপনার উপরোক্ত কথায় আবারো বলতে হয় -- ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য আমার আলোচ্য বিষয় না এবং তাদের যে দায়িত্ব রয়েছে আমি তা অস্বীকার করছি না । এখন শিক্ষা ব্যবস্থা যদি খারাপ হয় তাহলে আপনি সার্বিকভাবে এর সুফল পাবেন না । অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী হয়তো নিজ দায়িত্বে পড়াশুনা করবে কিন্তু বেশীভাগের পরিণতিই খারাপ থাকবে । তাই আপনি যদি সামগ্রিক এবং বেশীভাগ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে ভালো ফল আশা করেন তবে শিক্ষাব্যবস্থা অবশ্যই ভালো এবং বিজ্ঞান সম্মত হতে হবে ।
--------" কেউ যদি মনে করেন ছাত্রছাত্রীদের জ্ঞানের বহর নিয়ে কিছু বলা যাবেনা কারন এর জন্যে ছাত্রসমাজ দায়ী নয় তবে বলতে হবে তার চিন্তা-চেতনা পরিপক্ক নয় " ------ আহমেদ জী এস
আপনি উপরের ঐ কথাটি কালেকটিভ্লি বলেছেন এটা ঠিক আছে ; কিন্তু আপনি যার সাথে কথা বলছেন সেও যখন ঐ নির্দিষ্ট গ্রুপের চিন্তার সাথে একমত পোষণ করে তখন সেও আপনার বাক্য অনুযায়ী ঐ তথাকথিত " অপরিপক্বের " গ্রুপে সামিল হয়ে যায় । যাক ; আপনি যেহেতু বলছেন আপনি আমাকে মিন করেননি সেহেতু এটা নিয়ে আর কথা না বাড়ানোই ভালো ।
-------" আমার তো মনে হয়, সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে গুটি কয়েকের স্বার্থ আমলে নেয়া শেষমেষ বৃহৎ ক্ষতিতেই গড়ায় । একটি কথা আছে “ ইট ইজ দ্য আল্টিমেট রেজাল্টস দ্যাট কাউন্টস ....” " -------আহমেদ জী এস
আপনি উপরে Consequentialism ethics এর কথা বলছেন যেখানে ক্ষুদ্রের স্বার্থকে বলি দেয়া হয় বৃহৎ স্বার্থের কথা চিন্তা করে । কিন্তু সেটার কতগুলো কন্ডিশন থাকে -- যখন আর কোন উপায় থাকে না তখন ক্ষুদ্রের স্বার্থকে বলি দেবার কথা বলে এই এথিক্স এ । আমার তো মনে হয় ভিডিও তৈরি করে যে ভালো কাজটি সম্পন্ন তারা করেছে , তার জন্য তাদের সুযোগ ছিল আরও একটু সতর্কতার সাথে কাজটি সম্পন্ন করার । যেমন অনেকেই উপরে সাজেশন করছে এবং আমিও সেটার সাপোর্ট করি --- তারা ঐ ছাত্রছাত্রীর মুখ আড়াল করে কাজটি করতে পারতো । কিন্তু সেটা না করে তারা নীতি ভঙ্গ করলো । এটাকে কিছুতেই সাপোর্ট করা যায় না ।
যাক , অনেক বড় হয়ে গেলো উত্তরটি ; কথা আর বেশী বাড়াবো না । আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই দ্বিমত পোষণ করে বেশ ভালো ভালো কিছু পয়েন্ট বের করে আনার জন্য । এই পয়েন্ট গুলো না নিয়ে আসলে আমিও হয়তো এই বিষয় গুলো নিয়ে এতো এনালাইসিস করতাম না । দ্বিমতে কোন সমস্যা নেই ; দ্বিমত এবং সুস্থ বিতর্ক ছাড়া ভালো কিছু হয় না । আপনার আরও কিছু বলার থাকলে আপনি বলতে পারেন নির্দ্বিধায় ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন । ধন্যবাদ ।
১৮| ০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যেগুলোকে সমস্যা বলেছেন, সেগুলো সমস্যা নয়।
২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কোনটা সমস্যা না ? শিক্ষা ব্যবস্থা নাকি দায়িত্বকর্তব্যহীন সাংবাদিকতা ? যদি সমস্যা না ই হয় তবে কেন নয় ? দয়া করে বিস্তারিত বলুন ।
১৯| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭
রাফা বলেছেন: যে দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আত্মসন্মান ও বেতনের জন্য আন্দোলন করতে হয়।সেই দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের অবস্থা কেমন সেটা খুব ভালো করেই বুঝা যায়।সেই শিক্ষক কি শিক্ষা দিবে বিবেচনা করে দেখার আছে।শিক্ষা-দানের পদ্মতি কি সঠিকভাবে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে আদৌ?
আর মাছরাঙার দোষ দিয়ে লাভ কি তারাও'তো এভাবে জিপিএ ফাইভ পেয়ে এই পেশা্য এসেছে।তাদের যতটুকু শিক্ষা সেই অনুপাতেই করছে,কাজেই এখানে অবাক বা ধিক্কার দেওয়ার কিছু নেই।শিক্ষা যদি জাতির মেরুদন্ড হয় সেই মেরুদন্ড সঠিকভাবে নির্মানের দায়িত্ব সরকারের উপরেই বর্তায় ৮০ভাগ।
২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৪২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনার সাথে একমত ।
আসলে এই সমস্যা দীর্ঘকালের , সমাধানও হয়তো দীর্ঘকাল নিয়ে হবে । দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য ভীষণ ভাবে দুঃখিত ।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল ।
২০| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান এ লিখাটির সব কিছু এখন পাঠ করতে পারলামনা সময় অভাবে । লিখার সাথে মন্তব্যগুলিও মুল্যবান ।
লিখাটি নিয়ে একটা দির্ঘ আলোচনার অবকাশ আছে । আপাতত লিখাটি নিয়ে গেলাম প্রিয়তে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আপনার বিষদ মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম ।
২১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ, অাসব ফিরে সময় করে ।
শুভেচ্ছা রইল
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।
কাল থেকে দেখে অব্দি এ নিয়ে কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়েই ছিলাম।
মূল বিষয়কে হাইলাইটস না করে তার ফলাফলকে ভ্যাঙ্গকরারীরাও যে বুদ্ধির দৈনত্যায় ভুগছে তা সন্দেহাতীত!
অন্য পোষ্টে একটু র র্যাঙ্গুয়েজে বলেছি কথা গুলো তুলে দিচ্ছি
পুলাপাইনরে দৌড়ায় ক্যারে মাছ রাঙা!!????
সাফল্যের শতভাগ খুশিতে গদগদ.. মাষ্টারগো নাম্বার কম দিলে ডাইকা --- দেয়া শিক্ষা মন্ত্রীর পশ্চাদ দেশে ক্যামেরা লাগাও!
" নাম্বার কি বাপের ঘর থেইক্যা আইনা দিবেন- কম কম নাম্বার দেন বইলা পরীক্ষকদের ধোলাই করা ধোলাইখালের মন্ত্রীরে ধর!!!
ফেসবুকে প্রশ্ন, শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা, শিক্ষা কারিকুলাম ইচ্ছেমতো বদলানো,
সৃজনশীলতার নামে পুরা সিস্টেমরে আউলানো যেখঅনে মাষ্টার নামের গাধারই বোঝেনা সৃজনশীল কি? ছাত্ররা করবে কি?
যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় মোক্ষম খাত ! নানান ফি আর গালভরা সেশন আর সেমিষ্টারের ভারেই কাহিল!
১ম সাময়িক আর ষ্ঠ্যান্ডার্ড না! ফার্ষ্ট সেমিষ্টার কইতে হইব! টিউটরিয়াল কইতে হইব! ফাক দিয়া নাম বদলায়া আর পরীক্ষা বাড়ায়া লাভের লাভ হইছে স্কুলের! ২ বারের জায়গায় ৬ বার পরীক্ষার ফি! নিতাছে!???
গোড়ায় গলদ ঠিক করতে উদ্যেগ দরকার। পুলাপাইন শরমাইব ঠিকাছে- তাগোরে শরমের যোগ্য বানাইল যে সিস্টেম তারা কি কুন দুষ নাই? ক্যামেরা ফোকাস কর সেই জায়গায়!
শিক্ষামন্ত্রী কি এই লজ্জ্বার দায় নিয়ে পদত্যাগ করবেন???????????