নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো...

গুলশান কিবরীয়া

ফেসবুকে চারুলতা আরজু নামে পরিচিত।

গুলশান কিবরীয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবারো প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন !! বিজ্ঞ জনেরা বিচলিত , হায় হায় , কি হলো কি হলো !!

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৫



আবার ওপেন প্রপোজ !! বিজ্ঞ জনেরা বিচলিত , হায় হায় , কি হলো কি হলো !! এত অধঃপতন এও কি স'হা যায় !! হায় ! হায় ! মরি মরি জাত গেলো জাত গেলো । ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু । কিন্তু এতো হায় হায় করে কি হবে ? এখনই তো ওদের প্রেম করার বয়স , ওরা তো ওটা করবেই । হয়তো বলবেন এভাবে খোলাখুলি হয়ে কেন , চুরি করে নয় কেন ? কিন্তু প্রেম তো চুরি করে করার জিনিস না , পরকীয়া হলে সেটা চুরি করে করার একটা বিষয় থাকে । প্রেম করাটা তো অন্যায় না , পরকীয়া অন্যায় হতে পারে যেখানে অন্যকে ঠকানোর একটা ব্যপার থাকে । প্রেম করছে করুক না , সমস্যা কি ? এই বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে বাঁধা দেয়ার ফলেই ছেলে মেয়েরা এই বিষয়টাতেই বেশী আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে এবং তাদের প্রধান কাজ থেকে সরে আসে । একটু বোঝার চেষ্টা করুন ওদের উঠতি বয়সটাকে এবং হরমোনাল পরিবর্তনকে । সব কিছুর সাথে ভারসম্য বজায় রেখে ওদের প্রধান যে কাজ সেদিকে ওদের কিভাবে ধাবিত করা যায় সেই চিন্তা করলেই বোধ হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।

আবার কেউ কেউ হয়তো বলবেন আমাদের শাশ্বত সংস্কৃতিতে ওরা আঘাত হেনেছে । কোন সংস্কৃতির কথা বলছেন একটু খোলাসা করে বলবেন কি ? আমি তো জানি যুগে যুগে অনেক গুলো সংস্কৃতির সূচনা হয়েছিলো এবং সময়ের প্রয়োজনে নতুন ধারায় নতুন যুগে গা ভাসিয়েছিল আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতি, এবং এখনো ভাসাচ্ছে । এটাই তো প্রকৃতির নিয়ম , এরকমই তো হয় । নদীর বাঁক যেমন আপনার আর আমার ইচ্ছা অনুযায়ী চলে না এই সংস্কৃতিও তেমনি আপনার আর আমার ইচ্ছার এতোটুকু পরোয়া করে না । সে প্রয়োজন এবং সময় বুঝে বুঝে রঙিন হয়ে আমাদের দিকে ঘুরে ঘুরে তাকাবে । আমি বলছি না সেটার সাথে গা ভাসিয়ে নিঃশেষ হয়ে যেতে । বরং বলছি সেটাকে বুঝতে এবং এর সাথে সুস্থ সহ-অবস্থান কিভাবে করা যায় সেই চিন্তা করতে ।

হিন্দি সিরিয়াল গুলো পাশ্চাত্য কালচার বিকৃত এবং অতিরঞ্জজিত করে প্রচার করে , আর সেগুলোই বাংলার মানুষ ধীরে ধীরে মজ্জাগত করে নিচ্ছে ব্যপক হাড়ে । হিন্দি সিরিয়াল অথবা হিন্দি সিনেমা গুলো পাশ্চাত্যকে নকল করে আর সেই নকল কালচার আবার বাংলাদেশ নকল করে । আর এই নকলের নকল কি ধরনের উদ্ভট হতে পারে তা এই বর্তমান অবস্থা দেখে কিছুটা হলেও উপলব্ধি করা যায় । কিন্তু কি বা করার আছে , বর্তমান বাংলাদেশের নাটক সিনেমা অথবা টিভি প্রোগ্রাম গুলো কি বর্তমান আধুনিক জেনারেশনকে বিনোদন দিতে সক্ষম ? আমার তো মনে হয় না । এরকম অবস্থায় বিদেশি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েও তেমন কোন কাজ হবে বলে মনে হয় না । ইন্টারনেট তো বন্ধ নিশ্চয়ই করা যাবে না , সেটাই যদি করা হয় তাহলে তো অন্ধকার ঘরে বন্দীদশার মত অবস্থা হবে । তাই টিভি চ্যানেল বন্ধ করে কোন লাভ হবে না । বরং দেশীয় কালচার , সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানুষ হিসেবে ভালো মন্দের জ্ঞান দিতে হবে সরকারি উদ্যোগে এবং পারিবারিক ভাবেও ।


আর এই সামান্য প্রেমটেমে কিছু হয় না , এই খানে জোরালো নিষেধাজ্ঞা না প্রয়োগ করে ছেলে মেয়েরা যাতে মাদকাসক্ত হয়ে না ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখা উচিৎ । ছেলে মেয়েরা প্রেম করলে ওদের মধ্যে মাদকাসক্ত হবার সম্ভাবনা কম থাকে । তখন তারা নিজেকে ভালোবাসে অন্যকে ভালোবাসে , তাই নিজের জন্য নিজে ক্ষতিকর কম হয় ।

এই তো কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কমার্স কলেজের কয়েকটি ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করার জন্য । আমার মাথায় কাজ করে না এটা কিভাবে বহিষ্কারের করণ হয় !!! আমার জানতে ইচ্ছে হয় কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে , সে কি শিক্ষা দিলো তার কলেজের ছেলে মেয়েদের যে তারা কলেজের রীতিনীতি ভঙ্গ করার সাহস করে । কলেজ থেকে কি এই ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা ছিল যে তারা রাস্তায় প্রকাশ্যে প্রেম করতে পারবে না ? ছেলে মেয়েরা যদি কোন নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে এটা অবশ্যই দেখবার বিষয় যে কর্তৃপক্ষ তাদের " কোড অফ কন্ডাক্টে" এই ধরেনের নিষেধাজ্ঞা রেখেছিল কিনা এবং তারা তাদের ছাত্র- ছাত্রীদের এ ব্যপারে অবগত করেছিল কি না । যদি এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা না থেকে থাকে " কোড অফ কন্ডাক্টে " তাহলে ছাত্র ছাত্রীরাদের দোষারোপ করা যায় না এবং তাদের বহিষ্কারের কোন অধিকার নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের । আর যদি ওরকম নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের অবগত না করে থাকে , তাহলেও তারা ছাত্র ছাত্রীদের বহিষ্কার করার অধিকার রাখে না আইনত , কারণ এমতাবস্থায় কলেজ তাদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে । কাজেই এরকম হলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সূ করে দিতে পারে গার্ডিয়ানরা ।

পরিশেষে বলতে চাই , পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে যদি না নিতে পারে কেউ তাহলে ভুগতে হবেই । অবশ্য আস্তে আস্তে মেনেও নেয় মানুষ , শুধু একটু সময় লাগবে এই যা । যেমন ফরেন বডি অর্থাৎ যে কোন ভাইরাস এবং ব্যক্টেরিয়া যখন এটাক করে মানব দেহে তখন মানুষের রি-একশনটা এবনরমাল হবেই , ধীরে ধীরে মানুষ সেগুলো কাটিয়েও ওঠে এবং শরীরও সহজ ভাবে নেয় পরবর্তী ভাইরাল অথবা ব্যক্টেরিয়াল এটাককে । আর , সংস্কৃতি নিয়ে যারা সচেতন তাদেরও আবার বলি , কোন কালচারই এক জায়গায় আটকে থাকে না বা এক নিয়মে চলে না । ধীরে ধীরে অতি সূক্ষ্ম পরিবর্তন হতে হতে আমূল পরিবর্তন আসে । ইতিহাসই এর সাক্ষ্য , ইতিহাস বিশ্লেষণ করে যদি দেখেন তবে দেখা যাবে একেকটি বড় বড় যুগের সূচনা হয়েছিলো সেই সময়ের মানুষের চিন্তাধারা অনুযায়ী । আবার ধীরে ধীরে সময়ের পরিবর্তনে চিন্তাধারা সহ সমাজের রীতি নীতি গুলোও বদলে গেছে , বদলে যেতে বাধ্য এটাই প্রকৃতির নিয়ম ।সময়ের অথবা কালের একটা বিশাল মানচিত্রেকে যদি সামনে আনা যায় তবে দেখা যাবে মৌলিক বলতে আসলে কিছুই নেই বা থাকে না , সবই কালের বিবর্তনে একটার সাথে আরেকটা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় । তাই বলবো অতো নাগিং না করে পরিবর্তনকে সঠিক ভাবে গ্রহন করুন , এটাই মঙ্গলকর হবে ।

মন্তব্য ১৫৭ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সহমত জানাচ্ছি। খুবি ভাল পোষ্ট।

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন ।

২| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত অনেকংশেই যদি আমি ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া একজন ছাত্রীর প্রেম গ্রহনের নাটিকাটি না দেখে থাকি! আর যদি সেই বিষয়টা মাথায় রেখে বলি তাহলে বলব প্রেম করাতে আমার কোন আপত্তি নেই তবে অবাধ যৌনাচার, তার সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুকি এবং নিপীড়নের মত ভয়াবহ বিষয়গুলোকে আপনি এড়িয়ে গেলেন!
ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে প্রেমের আহবানে যেভাবে সাড়া দিলেন তা সত্যিই ভীতিকর এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অবশ্যই সেটা অশনি সংকেত! বিবাহের ক্ষেত্রে তবে কঠোর বয়স সীমা আরোপ কেন?

আর আমি প্রেম নিবেদনের ভিডিও ক্লিপ অনলাইনে ছড়িয়ে দেবার ঘোর বিরোধী। ঢাকা কমার্স কলেজের দুজনের প্রনয়ের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়াটায় অনেকেই পক্ষে বলেছেন, অনেকেই বিপক্ষে বলেছেন। কোনোটাতেই আমার আপত্তি ছিলনা। আমার আপত্তির জায়গাটা হল অনুকরন। আর এই অনুকরনের ফলাফল ই হল আজকের ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া একটা বাচ্চার ভিডিও প্রকাশ! আমি শুধু এখানে ভিডিও প্রকাশ কে টেনে আনছি কিন্তু অল্প বয়সে এই জেনারেশনের পেকে যাবার জন্য দায়ী করছি অন্য কিছুকে। আমাদের সমাজ এবং আমরা।

আর সামাজিকতা কিংবা সংস্কৃতির কথা যদি বলি তবে বলব প্রকাশ্য প্রেমের ক্ষেত্রে একটা এটমোস্ফিয়ার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ্য প্রেমিক কিংবা প্রকাশ্য প্রেমিকার প্রতি সমাজের যে লাঞ্চনা, ঘৃনা, ক্ষোভ তার দায় দায়িত্ব কে নেবে? ফলাফল খুব ভয়াবহ হতে পারে। অপমান, লাঞ্চনা আর ঘৃনার সাথে হত্যা, আত্মহত্যার মত বিষয়গুলো যে ঘটবেনা তার দায়িত্ব বা কে নেবে।

আমি শুধু প্রেম নয় বরং প্রকাশ্যে সেক্স করবার ও পক্ষপাতি কিন্তু সেটা যে কেউ যে কারো সাথে হতে পারে তবে তার সাথে যুক্ত ক্ষতিকর দিকগুলোর ঘোর বিরোধী!

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই প্রকাশ্যে যৌনাচার আর প্রেম এক কথা নয় । পাশ্চাত্যে আমি দেখেছি তারা প্রকাশ্যে ফ্রেঞ্চ কিস করে কিন্তু প্রকাশ্যে যৌনাচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ । কোথাও এরকম আজ পর্যন্ত হয় নি । তারা তো আজ থেকে না বহু আগে থেকেই এসব করে আসছে । আর তাছাড়া আমি এসবকে গ্রহন করে নিতে বলছি না । আমি কিন্তু বলেছি তাদের সামাজিক মূল্যবোধ , সামাজিক রীতিনীতি সঠিক উপায়ে শেখাতে - এই দায়িত্ব আমি সমাজকে নিতে বলেছি । দায়িত্ব না শিখিয়ে দায়ভার দেয়ার কোন মানে হয় না ।

ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী আগেও অনেক প্রেম করেছে । আগে লুকিয়ে লুকিয়ে করতো আর এখন প্রকাশ্যে করছে - এই হল পার্থক্য । ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা সেক্সুয়ালি একটিভও ছিল আগে থেকেই , কিন্তু সেটা হত লুকিয়ে লুকিয়ে । আমি আপনাকে পরিষ্কার করে বলতে চাই যে আমি এগুলোকে গ্রহন করতে বলছি না । কিন্তু আমরা এগুলো এড়ানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার নৈতিক শিক্ষা দিতে পারি আর যৌন শিক্ষা দেয়াটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিৎ ।

আমরাই বড়োরা ওদের সামনে দুনিয়ার কালচার তুলে ধরব আবার ওদের সেটা থেকে বিরত থাকাটা এক্সপেক্ট করবো কোন প্রকার শিক্ষা না দিয়ে - এটা তো মানা যায় না । ওদের না শিখিয়েই ওদের ভুলের জন্য ওদের সাজা দেব - এটা তো হয় না । ওদের শেখাতে হবে এবং ওদের শেখার সুযোগ করে দিতে হবে ।

৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

জেন রসি বলেছেন: এই ব্যাপার গুলো নিয়ে আগেও বিভিন্ন জায়গায় বলেছি। আসলে কোন ব্যাপারকে জাজ করতে হলে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। মানদণ্ড কি এবং কেন সেটাও ভেবে দেখতে হবে? যেমন ধরেন গ্রামে বউ পেটানো একটা কালচার! তাদের যুক্তি হচ্ছে এমন বিধান ধর্মে আছে! এমনকি নারীরাও তা মনে করে। সেটা সেখানে খুব একটা সমস্যা মনে করা হয়না। বরং কোন নারী এসবের বিরোধিতা করলেই বলা হয় সমাজ রসাতলে গেল। তারাও তখন প্রথার কথা বলে। আমাদের নাগরিক সমাজেও সেই একই প্রথার অজুহাত দেখতে পাই। কালচার বিবর্তিত হবে এটাই স্বাভাবিক। এটা ঠিক যে সেটা খারাপ ভাবেও হতে পারে। কিন্তু প্রকাশ্যে প্রেম করা কেন খারাপ কিছু হবে? প্রথা এবং কালচার যদি তার একমাত্র কারন হয় তবে বলতে হবে সেই প্রথা কিংবা কালচার সময়ের প্রয়োজনে কতটা যৌক্তিক? আসলেই এসব নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।

এসব বিষয়ে আপনার ভাবনাগুলো খুব যৌক্তিক এবং আধুনিক। :)

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জেন , আমি আসলে বলছিনা রাতারাতি সমাজকে পরিবর্তন করতে অথবা বাইরের কালচার না বুঝে অনুসরণ করতে । বরং বলছি এই গ্লবালাইজেশনের সময় কালচারাল পরিবর্তনের সাথে কি ভাবে সহ - অবস্থান করা যায় সেদিকে একটু খেয়াল রাখতে । বাইরের কালচার আমাদের কালচারের সাথে মিশবেই - এটা কোন কিছু দিয়ে রোধ করা যাবে না । তাই এখনই সময় সতর্ক হওয়া এবং এর সঠিক ব্যবহার করা । আর বাচ্চাদের দায়িত্ব না শিখিয়ে ওদের সেই দায়ে দণ্ডিত না করার জন্য আহবান জানাচ্ছি । যেমন কমার্স কলেজের ছেলে মেয়ে গুলোর কথাই ধরুন -- ওদের কি দায়িত্ব একজন কলেজ ছাত্র -ছাত্রী হিসেবে , সেটা কি ওদের শেখানো হয়েছে ? খোঁজ নিয়ে দেখেন - শেখানো হয় নি । অথচ বহিষ্কার করে কলেজ বেশ একটি সামাজিক দায়িত্ব পালন করলো । আমার বাচ্চার সাথে এরকম হলে আমি বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করিয়ে ছাড়তাম --- এরকম অন্যায়ের ।

৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

জেন রসি বলেছেন: @ অগ্নি সারথি ভাই,

আপনি কিছু পয়েন্ট তুলে ধরেছেন। সেসব ব্যাপারে আমার যা মনে হয় বলছি। যদি যৌনাচার এবং স্বাস্থ্য ঝুকির কথা বলেন তবে আরো অনেক কিছুই বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। যেমন ধরেন এসব ব্যাপারে ঝুকির সম্ভাবনা কখন দেখা যায়? যখন মানুষ সঠিক তথ্য জানেনা। এদেশের কত মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেওয়া হয়? কত মেয়েকে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়? এদেশের কতজন পুরুষের যৌনতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর আপনিও জানেন। যখন বিয়ের পর কোন মেয়েকে বাধ্য করা হয় তার মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেটাও অনেকটা রেপের মতই হয়ে যায়। কিন্তু এসব নিয়ে কারো কোন সমস্যা নেই। কিন্তু খুব স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যায় এসবই আসলে মানুষের ভালোর জন্য খারাপ চর্চা। তাই ফোকাসটা এসব ব্যাপারেই করতে হবে। তা না করে কে কিভাবে প্রেম করল বলে জাত গেল জাত গেল রব তুললে বরং উপরে আলোচ্য কুপ্রথাগুলোকেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়।

পরিবর্তন খুব সহজ সরল পথে হয়না। তার মাঝেও এরর থাকে। তবে পুরানো অপ্রয়োজনীয় প্রথাকে আঁকড়ে ধরে পরিবর্তনে বাঁধার সৃষ্টি করলে বরং ক্ষতিই হবে। তার চেয়ে যৌক্তিক হচ্ছে পরিবর্তনের এরর গুলো দেখে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকেই আরো উন্নতরুপে বিকশিত করা।

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ৩৩ নম্বরের মন্তব্যটি দেখুন অগ্নি আপনাকে কিছু বলেছে ...

৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১০

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল। আগে ডাল ভাত মাছ কালচারের অংশ ছিলো, এখন ফ্রায়েড রাইস, ফ্রায়েড চিকেনও অংশ। জাতির আলাদা আলাদা অংশেও সংস্কৃতি ঐতিহ্য আলাদা হয়। সামাজিক আর আর্থিক অবস্থানের কারণে মুল্যবোধ আলাদা হয়। ক্লাস সিক্সের বাচ্চা প্রেমে পুতে পারবে না এমন কোনো কথা নাই। যারা বলেন এমন হয় কি করে, তারা সম্ভবত নিজের সেই বয়সের স্মৃতি, আবেগ সব ভুলে গেছেন। অথবা কারাগারে বড় হয়েছেন।

যে বাচ্চাটা এই বয়সেই এমন লোকদেখানো কাজ করলো, শো অফে আনন্দ পাচ্ছে, তার প্রতি পরিবারের সুপারভিশন কেমন তাও দেখা উচিত। কেউ বাচ্চাদের সাথে কথা বলেনা, বন্ধু হয়না আজকাল। ওদের শিক্ষা কিংবা কিছু গ্রহনের ব্যাপারটাও হয়ে গেছে টিভি বা অন্তর্জালের নানা মাধ্যম ভিত্তিক। আর সেখানে তো এগুলো স্বাভাবিক।

এদেরই আবার সবাই বন্ধুর মত বোঝাক, দেখবেন নিজের ভুল বুঝতে পারছে। এই বয়সের বাচ্চারা মাটির পুতুলের মতই, যেভাবে ইচ্ছা গড়া যায়। সেটাকে ওদের নিজের উপর ছেড়ে না দিয়ে বাবা মায়ের উচিত তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ এইসব সন্তানদের পেছনে সময় দেয়া। একটা শিশু অপরাধ করে না, ভুল করে। ভুলের সংশোধনের বা ভুওই যাতে না করে, সেই দ্বায়িত্বটা সবার আগে বাবা মায়ের।

কি নিয়ে যে কি বললাম, তবে বললাম আরকি। শুভকামনা রইলো। :)

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । সরি , লেট রিপ্লাইয়ের জন্য । পড়ে আবার আসবো আপনার কাছে

৬| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১০

প্রামানিক বলেছেন: প্রেম করাটা তো অন্যায় না , পরকীয়া অন্যায় হতে পারে যেখানে অন্যকে ঠকানোর একটা ব্যপার থাকে । প্রেম করছে করুক না , সমস্যা কি ? এই বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে বাঁধা দেয়ার ফলেই ছেলে মেয়েরা এই বিষয়টাতেই বেশী আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে

বোন গুলশান কিবরিয়া, প্রেম নিবেদন তো সমস্যা না, সমস্যা হলো দু'দিন পরে মেয়ের সর্বনাশ করে যখন ছেলেটা আরেকজনের সাথে চলে যাবে তখন এই মেয়েটার কি হবে? দেশটা ইউরোপ আমেরিকার মত আর্থিক দিয়ে সচ্ছল নয়, আবার বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের যৌবন আসে অল্প বয়সে সে বয়সে তাদের নিজের মত করে চলার মত যোগ্যতাও থাকে না, ইউরোপ আমেরিকায় যে বয়সে ছেলেমেয়েরা পুতুল খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সেই বয়সে সন্তান ধারণের ক্ষমতা অর্জন করে। সেই কারণে অবাধ মেলামেশায় অবৈধ সম্পর্ক হবে অবৈধ সন্তান হবে গরীবের সন্তানগুলো অতিরিক্ত কষ্ট পাবে। দেশের ভৌগলিক পরিবেশ পরিস্থিতির কারণেই এটা এত সহজে মেনে নেয়া ঠিক হবে না।

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: প্রেম করাটা প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক নিয়ম । এটা যুগে যুগে একটি স্বাভাবিক নিয়মেই হয়ে এসেছে । আর আমাদের সমাজ এটাকে মৌন থেকে সমর্থনও করে এসেছে । এখন কথা হোল এই যে সিক্স এর বাচ্চাটা যে কায়দায় প্রেমটাকে গ্রহন করে নিয়েছে সেটা সে কোথায় শিখেছে ? সে ওটা টিভি দেখে অথবা ইন্টারনেট থেকে শিখেছে । আপনি কি এই টিভি অথবা ইন্টারনেট কন্ট্রোল করতে পারবেন ? পারবেন না --- তো এখন আমাদের করনীয় কি ? তাদের ধরে ধরে মারা অথবা অন্য কোন শাস্তি দেয়া ? যদি আপনি শাস্তি দেয়ার পক্ষে হন তাহলে আমি বলবো --- আপনি ওদের বিভিন্ন কালচার ওদের চোখের সামনে তুলে ধরবেন আবার সেই কালচার ফলো করলে শাস্তি দেবেন , এটা কি আপনার অন্যায় হবে না ? ভালো ভাবে চিন্তা করবেন প্লিজ ।

এই জন্যই আমি বলেছি , বাচ্চাদের শিখাতে হবে ভাল মন্দ এবং উপায় বের করতে হবে কিভাবে এই নতুন কালচারের সাথে সুস্থ সহ - অবস্থান করা যায় অযথা একে দোষারোপ না করে । পৃথিবীর কোন কিছুই এক জায়গায় আটকে থাকে না , এটা চলমান , চলতে থাকবে আপন নিয়মে । চলতি পথে অনেক সমস্যা আসবে সেগুলোর যুগ উপযোগী সমাধানও বের করতে হবে ।

অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের প্রেম করার আমিও বিরোধী কারণ অবৈধ সন্তান হবার সম্ভাবনা থাকে , এজন্যই তারা যাতে ঐ রকম কিছু না ঘটায় তার জন্য প্রপার শিক্ষা দেয়া বাবা মার দায়িত্ব । কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান আবার এও বলে যে স্বাভাবিক নিয়মে বাঁধা দিলে মানসিক বিকাশ সুষ্ঠু হয় না --- এই রকম ক্ষেত্রে বিতর্ক আরও বেড়ে যায় । যাক ঐ বিতর্কে আমি যাবো না , কারণ দেশের মানুষের ঐ টলারেন্সি এখনো আসেনি । আরও ২০০ বছর সময় লাগবে ।

৭| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

সাধারন জন বলেছেন: একটা খারাপ কাজ করা এক জিনিস, কিন্তু সেটার জাস্টিফাই যখন শুরু হয় তখন বুঝতে হয় শেষের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়াচ্ছি। আশা করি আপনার মেয়ে এমন করলে কোনদিন বাধা দেবেন না।

০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার লেখাটি আপনি বুঝতে পারেননি । ভালো ভাবে পড়ার আহবান জানালাম । আমরা মেয়েকে আমি যদি কিছু না শেখাই , সে ক্ষেত্রে আমি তাকে দোষারোপ করতে পারি না । যদি আমি তাকে নিজের মত ছেড়ে দেই এবং ভুল করলে তাকে শাস্থি দেই , সেটা তার প্রতি আমার অন্যায় হবে ।

আবার একটু ভালো ভাবে পড়ুন । আসছি আবার আপনার কাছে ।

৮| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

রোয়ানু বলেছেন: স্থান কাল পাত্র বলে কি দুনিয়ায় কিছুই নেই? তাহলে হলিউডের সিনেমাগুলো কেন বয়স ভিত্তিক ক্যটাগরিতে ভাগ করা থাকে? এই বয়সের একটি ছেলে বা মেয়ে এইভাবে রাস্তায় আলিঙ্গন করবে চুমু বিনিময় করবে, এটা আমাদের সমাজে সত্যিই আপত্তিকর। এটা পশ্চিমা বিশ্বে চলতে পারে, আমাদের সমাজে না। অনেক প্রবাসী আছেন, যারা ওখানে থেকেও নিজেদের সংস্কৃতিকে লালন পালন করছেন, আর এই দেশে থেকে আমরা কেন সেই কালচার এডাপ্ট করতে যাব? তাহলে তো ধীরে ধীরে বিবাহ উঠে গিয়ে লিভ টু গেদারের পদ্ধতি চলে আসবে। বিয়ে, পারিবারিক বন্ধন, সব ধীরে ধীরে উঠে যাবে, আসবে ওল্ডহোমের বাস্তবতা ... কালের স্রোতে সাবাই গা ভাসাতে পারেনা, ভাসানো যায় না .... যারা ভাসাবেন, তাদেরকে কেউ রুখবে না, তাই বলে যারা ভাসাবেন না, তাদেরকে ভাসানোর জন্য অনুপ্রাণিত না করার ভালো .... বেহায়াপনা মানেই বুঝি আধুনিকতা .... কোন কিছুই তো তবে রাখ ঢাকের প্রয়েজন রাখে না। নারী পুরুষের কোথায় কোন অর্গান আছে, তা তো সবাই জানে, তবে কেনো পোশাকের বিড়ম্বনা, খুলে ফেলে রাস্তায় নেমে পড়লেই তো হয়, লোকে তখন পাগল বলে ঢিল দিলে বলবেন, এটাই এডপট করেছি, ;)

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হলিউডের ক্যাটাগরি করা হয় বয়সের ভিত্তিতে --- এটা ঠিক আছে । ফ্রেঞ্চ কিস এবং আলিঙ্গন আছে উনিভারসাল ক্যাটাগরিতে যেটা সবার জন্য স্যুইটেবল । সেক্সসুয়াল কোন দৃশ্য যদি থাকে সেটা চলে যাবে ১৬ + এ । ভয়ংকর মারামারি বিশেষ করে চুরি কাঁচি দিয়ে মার্ডার করার দৃশ্য , রক্ত , আত্মহত্যার দৃশ্য ইত্যাদির দৃশ্য যদি থাকে সেটা চলে যাবে ১৮+ এ । এরকম ভাবেই ক্যটাগরাইজ করা আছে । সে হিসেবে ঐ ছেলে মেয়ে গুলো যা করেছে তা হোল ইউনিভারসাল ক্যাটাগরিতে আছে , সেটা প্রকাশ্যে হতে পারে ।

আমিও আমার দেশীয় কালচারই অনুসরণ করি , পহেলা বৈশাখ পালন করি , ঈদ পার্বণ পালন করি , রোযা নামাযও করার চেষ্টা করি এবং আমার ছেলে মেয়েকে আমার কমিউনিটির মূল্যবোধ শিক্ষাই , ভালো মন্দ শিক্ষা দেই ।

কাপড় খুলে রাস্তায় নামলে ওটা বর্বরতা হয়ে যাবে , আদিম যুগের বাসিন্দা হয়ে যেতে হবে । আদিম যুগে ভালোবাসা বলতে কিছু ছিল না শুধু ছিল সহবাসের বাসনা । সহবাসের বাসনা প্রার্থীব এবং পাশবিক বাসনা আরা ভালোবাসা স্বর্গীয় --- এই পার্থক্যটা বুঝলেই হবে ।

৯| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমিও আপনার কথার সাথে অনেকটাই সহমত। দেশের প্রতিটা স্থানে যেখানে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে, সেখানে ওরাও বা পিছিয়ে থাকবে কেন? করুক না একটু প্রেম প্রেম খেলা। প্রেম ভালবাসা কেউ ঘরের খিল এঁটে করে, কেউবা খোলা ময়দানে, হোটেল-পার্কে বসে করে। ওরা না হয় রাস্তা-ঘাটে করছে!

এইটা অনেকটাই গিভ & টেকের ব্যাপার! কথায় আছে, মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া করেগা কাজি! কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা। ভাবছি আমার সন্তান জন্মানোর আগেই তার জন্য একটা ভাল দেখে ছেলে/মেয়ে ঠিক করে রাখবো। যাতে ভবিষ্যতে তাকে অযথা কষ্ট করে আর ভালবাসা খুঁজতে না হয়। ;)

আজকালকের পোলা পান যে বয়স থেকে প্রেম করা শুরু করছে, তাতে মায়ের গর্ভের থেকে ছিট বুকিং ছাড়া পরবর্তিতে খালি সিট পাওয়া যাবে বলে তো মনে হয় না! :P

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ গেম্ভাউয়ের নানি (আমার আপু)! শুভ কামনা জানবেন!

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সাহসী ধন্যবাদ আপনাকে , পড়ে আবার আসবো ... এখন ঘুম লাগছে ... যাই ওকে ...

১০| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

শেয়াল বলেছেন: আবার ওপেন প্রপোজ !! বিজ্ঞ জনেরা বিচলিত , হায় হায় , কি হলো কি হলো !! এত অধঃপতন এও কি স'হা যায় !! হায় ! হায় ! মরি মরি জাত গেলো জাত গেলো । ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু । কিন্তু এতো হায় হায় করে কি হবে ? এখনই তো ওদের প্রেম করার বয়স , ওরা তো ওটা করবেই । হয়তো বলবেন এভাবে খোলাখুলি হয়ে কেন , চুরি করে নয় কেন ? কিন্তু প্রেম তো চুরি করে করার জিনিস না , পরকীয়া হলে সেটা চুরি করে করার একটা বিষয় থাকে । প্রেম করাটা তো অন্যায় না , পরকীয়া অন্যায় হতে পারে যেখানে অন্যকে ঠকানোর একটা ব্যপার থাকে । প্রেম করছে করুক না , সমস্যা কি ? এই বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে বাঁধা দেয়ার ফলেই ছেলে মেয়েরা এই বিষয়টাতেই বেশী আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে এবং তাদের প্রধান কাজ থেকে সরে আসে । একটু বোঝার চেষ্টা করুন ওদের উঠতি বয়সটাকে এবং হরমোনাল পরিবর্তনকে ।

ওপেন প্রপোজ ব্যাপার না। ভার্সিটিতে এইগুলা অহরহ হয়েছে। কথা হইলো ওপেন প্রপোজের পরে কি হইবে ? খুব স্বাভাবিক যেইটা সেইটা হইলো সেক্স।
কিন্তু সেক্সের পরে কি? বাচ্চা? ঐ মেয়েটা কি বাচ্চা পালন করব নাকি পড়াশোনা করবো?
আর যদি বাচ্চা এবোরশন করে তাহলে? একটা শিশুকে খুন করলো।
আবার জন্মদিতে গিয়া যদি ঐ মেয়ের কোনকিছু হয়??
আচ্ছা ধরে নিলাম, বাচ্চা হবে না । জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করবে । কিন্তু এটাও অনেক ঝুঁকির কারণ । সমস্যা হইলো অনেকেই পরে আর বাচ্চা জন্ম দিতে পারে না। অথবা নানান শারিরিক সমস্যা হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইগনোর করেও পার পাওয়া যায় সেটাও ঠিক।
কিন্তু একটা সময় পরে মেয়েটা যখন বুঝতে শিখবে তার একমাত্র সামাজিক অবলম্বন ঐ প্রেমিকই তখন সে তার কাছে নত হয়ে থাকবে কারণ আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ঐ মেয়েকে এটা ভাবা ছাড়া কোন উপায় নাই।
আর ঐ ছেলে যদি ডাব্বা মারে তখন তো মেয়ের জন্য গ্লানির জীবন/আত্মহত্যার পথ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।
এখন কথা হইলো সমাজ বদলানোর ব্যাপার! সমাজ বদল মানে যদি মনে করেন অবাধ যৌনাচারের স্বাধিনতা তাহলে সেটা আমার কাছে মানবতার জন্য ভুল চিন্তা বলেই মনে হয়।
আর যদি সমাজ বদল মানে হয় দৃষ্টিভংগির পরিবর্তন তাহলে ঠিক আছে। অন্য ছেলে মেয়ের প্রেম ও সেক্স করতে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের আলোকে সিদ্ধান্তকে সমর্থন করাকে আমি সমর্থন করি।
কিন্তু পশ্চিমা দুনিয়াকে ফলো করার ট্রেন্ডকে আমি মুর্খতাই মনে করি।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এজন্যই যৌন শিক্ষা দিতে হবে বয়ঃসন্ধিতে । ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে হবে ।

আর যদি হিন্দি সিরিয়াল দেখে মনে করে পশ্চিমা কালচার অনুসরণ করছে তাহলে তো ভুল করবে । আমার পোস্টে লিখেছি এব্যপারে ।

১১| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: @সাধারন জন,
লেখিকা এই পোস্টার মাধ্যমে এইসব তথা কথিত প্রেম ভালবাসা এবং নষ্টামির বিরুদ্ধে একটা সুক্ষ্ম খোঁচা দিয়েছেন, যেটা সম্ভাবত আপনি বুঝতে পারেন নি! প্রেম ভালবাসা মানে ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে চু কিত কিত খেলা আর সেটার দৃশ্য ধারন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার নাম নয় সেটা সবাই বোঝে।

আমার মেয়ে একটা ছেলেকে ভালবেসে (সে ছেলে যতই ভাল হোক না কেন) এসে যদি বলে যে, আমি ঐ ছেলেটাকে ভালবাসি। তাহলে প্রথম স্টেপে যে কোন বাবা মা-ই একটা ধাক্কা খাবে এটাই স্বাভাবিক! কেউ সহজ ভাবে মেনেও নিতে পারবে কিনা সন্দেহ। এখন কথা হলো, প্রকাশ্য বিরোধীতা করার পরেও যখন কোন কাজ না হয়। তখন এভাবে তাদের অনুভূতিতে আঘাত হানা ছাড়া আর কোন উপায় আছে কি?

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হাই সাহসী , জেন রসির মন্তব্য গুলো পড়ার আহবান রইল ।

১২| ০২ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

সাধারন জন বলেছেন: তাহলে ছেলে মেয়েকে পরিবার থেকে স্কুল - কলেজ থেকে যে কিছু শিখাচ্ছে না বরং এইসব নস্টামিকে উতসাহিত করছে সেটাকে আপনি সমাজের ব্যাপার রাষ্ট্রের ব্যাপার বলে গা বাচিয়ে চলবেন?

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: না , আমি গা বাঁচানো পাব্লিক না । সেটাই যদি হতাম এরকম কন্ট্রভারশিয়াল পোস্ট করতাম না , করলেও মুখ লুকিয়ে করতাম । সেটা যেহেতু করিনি আমি গা বাঁচিয়ে চলার মত মানুষ না । যেটাকে সত্য সুন্দর মনে করি সেটা আমার সমাজকেও জানাতে চাই । আমি একজন মা , তাই বাচ্চাদেকে অন্যায় অত্যাচার করা পছন্দ করি না ।

আমার দেয়া প্রতি উত্তর গুলো পড়ে দেখতে পারেন ।

১৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০০

কল্লোল পথিক বলেছেন:


প্রেম করা অপরাধ না।
তবে সেটা যদি অপ্রাপ্ত বয়স্কের ক্ষেত্রে হয় তখন তা
অপরাধ বলে গণ্য হবে।

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: প্রেম করারটা যে কোন বয়সেই আসতে পারে । এটা ন্যাচারালি আসে এবং এটা কখনোই অপরাধ নয় , কিন্তু আমাদের দায়িত্ব হলো অপ্রাপ্ত বয়স্করা যাতে ভুল ভাবে এই প্রাকৃতিক আচরণতাকে ব্যবহার না করে । তার জন্য অনেক ভালো ভালো বিজ্ঞান সম্মত পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে । তাদেরকে বাঁধা দিয়ে , শাস্থি দিয়ে এই গুলো দুর করা যাবে না ।

আমার মূল বক্তব্য হোল --- প্রেম করাটাকে বিশাল অপরাধ না ভেবে আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলোর কারনে ছেলে মেয়েরা গল্লায় যায় সেই দিকে বেশী নজর দিতে বলেছি । আর ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব কর্তব্য বোধ জাগাতে বলেছি এবং সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতে সয়াহতা করতে আহবান জানিয়েছি , অযথা তাদের শাস্থি প্রদান না করে ।

১৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০৩

আব্দুল্লাহ বিন হাবিব বলেছেন: পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে বলছেন? তাহলে বলবো সমাজে পরিবর্তন এসেছে, ব্লগারদের ধরে ধরে কোপান হচ্ছে এসবও মেনে নিন। যারে কোপায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাবেনা, দোষ দেওয়া যাবেনা কিচ্ছুটি বলা যাবেনা কারণ এই সমাজ তাদের সেই শিক্ষা দেয়নি!

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: মিস্টার হাবিব , আপনার মন্তব্য পড়ে অবাক হলাম । যে কোন কিছুর বিশ্লেষণ সঠিক ভাবে করতে না জানলে অনেক বিপদ । উপড়ে জেন রসির মন্তব্যটাও একটু পড়ে নেবেন ৩ নম্বরে আছে । একটার সাথে আরেকটার পার্থক্য নিরূপণ না করতে জানলে এরকম চিন্তা ধারাই আসবে । মানুষ মারা আর প্রেম করার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারলে আপনি কখনোই কোপা কুপির চিন্তা করবেন না । আপনাকে অনুরধ করবো --- ভালো ভাবে সময় নিয়ে লেখাটি পড়ুন এবং মন্তব্য এবং প্রতিউত্তর গুলো পড়ুন ।

১৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

নতুন বলেছেন: পরিবত`ন দরকার কিন্তু কিভাবে হবে সেটাই সমস্যা।

স্কুলের প্রেমে খুব কমই বিয়েতে গড়ায়.... কিন্তু স্কুলের প্রেম অনিরাপদ যৌন সম্পক থেকে প্রেগনেন্সি পযন্ত যেতে পাররে খুব সহজেই।

প্রেমের বিচ্ছেদ অনেক বড় মানুষিক কস্ট দেয় এবং সেটার ফল পরিক্ষার ফল খারাপ থেকে আত্যহত্না পযন্ত যেতে পারে।

মেয়েদের অভিঙ্গতা কম তাই তারা বেশির ভাগ সময়েই ভুল ছেলের সাথেই প্রেম করে।

প্রেমের বিচ্ছেদ অবশ্যই মন ভেঙ্গে দেয়। কয়েকটা রিলেসনে ব্রেকআপ হলে পরে বিয়ের পরে স্বামীর সাথে ভালোবাসার সম্পকটা কতটুকু মজবুত হয়??? -- এটা একটা জিঙ্গাসা আমার মনে।

আমি আমার মেয়ের পছন্দের গুরুত্ব দিতে চাই অবশ্যই দেবো কিন্তু স্কুল বয়সে প্রেমের ঝামেলায় দেওয়া কি ঠিক হবে?

আমার মেয়ের বয়স ১ বছর হলো..... তাই চারিপাশের সবকিছু দেখে ভাবি ও যখন স্কুলে যাবে...কলেজে যাবে তখনকার পরিবেশ কেমন থাকবে এবং তখন আমি বাবা হিসেবে কতটা আধুনিক হতে পারবো। :(

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার প্রশ্ন গুলোর যুক্তি আছে । পিতা মাতা হিসেবে আপনার এরকম ভাবনা আসাটা স্বাভাবিক । আমারও আসে , তাই আমি আমার ছেলে মেয়েকে ভালো মন্দ , সামাজিক মূল্যবোধ এবং নিজ কমিউনিটির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত রাখার চেষ্ঠা করি এবং তার ভবিষ্যৎ কিসে কিসে ভালো হবে এবং কোনটাতে ব্যঘাত ঘটবে সেটাও শেখাই । এমনকি স্কুল থেকেও এধরনের শিক্ষা পায় তারা , সেকেন্ডারি স্কুলে উঠলেই তারা নানা রকম ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার পন্থা গুলো সেখান হয় । এবং স্কুল কোড অফ কন্ডাক্ট শেখানো হয় সঠিক নিয়মে ।

আমার ছেলে মেয়ের সাথে আমি প্রচণ্ড খোলা মেলা ভাবে সব বিষয় আলোচনা করি । তাদের বয়সে তাদের ইমশন্টা কেন এরকম হয় , কেন তাদের বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ হয় এবং এর উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে কথা বলি । আমি তাদেরকে বলি আমারও ঠিক এমনটাই হত তোমাদের এই বয়সে । এতে করে অনেক সুফল আমি পেয়েছি --- তা হল তারা আমার চাহিদাটা মানে আমি কি চাই ওদের থেকে ওরা বুঝতে পারে আর আমি ওদের মটিভটা বুঝতে পারি এবং যে কোন ইমোশনাল ক্রাইসিসে আমি অনেকটাই সাহায্য করতে পারি ।

আমিও চাই না অল্প বয়সে ছেলে মেয়েরা এধরনের প্রেমে জড়িয়ে পরুক , আর যদিও বা পড়ে, সেটা এমন কিছু পাপের নয় । এর ছেয়ে জঘন্য পাপ থেকে হয়তো এরা মুক্তি পাবে এই ধরনের এক্টিভিটিতে জড়িত থাকলে , যেমন ---- মাদকাসক্ত , জঙ্গিবাদ শিক্ষা , মানুষের জীবন নাশের চিন্তা , ধর্ষণ ইত্যাদি ইত্যাদি । আরও অনেক কিছু বলতে চাচ্ছিলাম , কিন্তু লিকে লিখে তো আসলে সব প্রকাশ ও করা যায় না । দেখি পরবর্তীতে আবার আসবো আপনার কাছে ।

১৬| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯

বিজন রয় বলেছেন: প্রবল প্রাসঙ্গিক বিষয়। অনেক কথা বলা যেতে পারে। দরকার নেই, আপনি ও অন্যরা অনেক কথা বলছেন।
শুনতে থাকি।

শুধু বলি নিজে করলে দোষ নেই অন্যে করলে দোষ।
লেখায় ++++

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য । একদম ঠিক বলেছেন ।

১৭| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮

আমি হিমু বালক সুদীপ্ত বলেছেন: একমত দাদা :D B-)

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৫২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । আমি দাদা না দাদী ... :D

১৮| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনা বেশ অপরিচ্ছন্ন । কি যে বলতে চাইলেন কিছুই বুঝলাম না ।

প্রেম করা অপরাধ নয় অবশ্যই, কিন্তু স্কুল ইউনিফর্ম পড়ে চুমাচুমি করা এবং ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ । রাজউক বা কমার্স কলেজের মত প্রতিষ্ঠানের "কোড অব কন্ডাক্টে" এই বিষয়টা খুব পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ থাকারই কথা । খুব সম্ভব এই কোড অব কন্ডাক্টের ভিত্তিতেই কমার্স কলেজের ছেলে-মেয়ে দুটিকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।

সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল এবং অনেক নতুন অনুসঙ্গের বাস্তবতার আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে এটা শরীর-মানসিকভাবে কতটুকু হেলদি এবং এর টলারেন্স লিমিটটাও আমাদেরই ঠিক করতে হবে । যদিও রাজউকের ছেলে-মেয়ে দুটোকে আমার ক্লাস সিক্সের বলে মনে হয়নি । তবে ক্লাস সিক্সে প্রেম করাট আমার কাছে অস্বাভাবিক বলেই মনে হয়েছে, কেননা এটা অনুভুতি শেয়ার করার বয়স নয় , অনুভুতিশীল হয়ে ওঠা এবং দায়িতশীল হয়ে ওঠার বয়স । এর দায় আমাদেরই ।

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " এই তো কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কমার্স কলেজের কয়েকটি ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করার জন্য । আমার মাথায় কাজ করে না এটা কিভাবে বহিষ্কারের করণ হয় !!! আমার জানতে ইচ্ছে হয় কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে , সে কি শিক্ষা দিলো তার কলেজের ছেলে মেয়েদের যে তারা কলেজের রীতিনীতি ভঙ্গ করার সাহস করে । কলেজ থেকে কি এই ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা ছিল যে তারা রাস্তায় প্রকাশ্যে প্রেম করতে পারবে না ? ছেলে মেয়েরা যদি কোন নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে এটা অবশ্যই দেখবার বিষয় যে কর্তৃপক্ষ তাদের " কোড অফ কন্ডাক্টে" এই ধরেনের নিষেধাজ্ঞা রেখেছিল কিনা এবং তারা তাদের ছাত্র- ছাত্রীদের এ ব্যপারে অবগত করেছিল কি না । যদি এ ধরনের কোন নিষেধাজ্ঞা না থেকে থাকে " কোড অফ কন্ডাক্টে " তাহলে ছাত্র ছাত্রীরাদের দোষারোপ করা যায় না এবং তাদের বহিষ্কারের কোন অধিকার নেই কলেজ কর্তৃপক্ষের । আর যদি ওরকম নিষেধাজ্ঞা থেকে থাকে কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র ছাত্রীদের অবগত না করে থাকে , তাহলেও তারা ছাত্র ছাত্রীদের বহিষ্কার করার অধিকার রাখে না আইনত , কারণ এমতাবস্থায় কলেজ তাদের কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে । কাজেই এরকম হলে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সূ করে দিতে পারে গার্ডিয়ানরা ।" ---- এই প্যারাটাতে পরিষ্কার করে বললাম তারপরও বুঝতে অসুবিধা হলে আমার আসলে তেমন কিছুই করার নেই ।

আবার বলছি যদি কোড অফ কন্ডাক্টে থাকে তাহলে ছাত্র ছাত্রীরা অন্যায় করেছে এবং কলেজ কর্তৃপক্ষর ও অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে এই কোড অফ কন্ডাক্টকে সঠিক ভাবে সকল ছাত্র ছাত্রীর কাছে পৌঁছে দেয়া । যদি কলেজ সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তবে কলেজের কোন রাইট নেই ছেলে মেয়ে গুলোকে বহিষ্কার করার ।


" সংস্কৃতি পরিবর্তনশীল এবং অনেক নতুন অনুসঙ্গের বাস্তবতার আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। কিন্তু দেখতে হবে এটা শরীর-মানসিকভাবে কতটুকু হেলদি এবং এর টলারেন্স লিমিটটাও আমাদেরই ঠিক করতে হবে" --- আপনি এটা বলেছেন

আর আমি বলেছি আমার পোস্টে---- " আমি বলছি না সেটার সাথে গা ভাসিয়ে নিঃশেষ হয়ে যেতে । বরং বলছি সেটাকে বুঝতে এবং এর সাথে সুস্থ সহ-অবস্থান কিভাবে করা যায় সেই চিন্তা করতে ।" এই লাইন গুলো আপনি মনে হয় পড়েননি । আপনার আর আমার কথা গুলো কিন্তু মোটামুটি একি রকম ।

ঠিক আছে বুঝতে না পারলে অসুবিধা নেই আমি আছি আরও কিছুক্ষণ আপনাদের যে কোন অনুসন্ধানের উত্তর দিতে । আর সময় যদি হয় তাহলে সময় করে পড়ে নেবেন তাহলে কিছুটা বুঝতে পারবেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।


০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি বলেছেন " আপনার চিন্তাভাবনা বেশ অপরিচ্ছন্ন" ----- তাই !!!! সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন ?

আমাদের বাংলাদেশীদের এই এক সমস্যা , খুব সহজেই সার্টিফিকেট ইস্যু করে দেয় ।

১৯| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮

আহলান বলেছেন: কাপড় খুলে রাস্তায় নামলে ওটা বর্বরতা হয়ে যাবে , আদিম যুগের বাসিন্দা হয়ে যেতে হবে । আদিম যুগে ভালোবাসা বলতে কিছু ছিল না শুধু ছিল সহবাসের বাসনা । সহবাসের বাসনা প্রার্থীব এবং পাশবিক বাসনা আরা ভালোবাসা স্বর্গীয় --- এই পার্থক্যটা বুঝলেই হবে ।

এইতো আপনার সেকেলে চিন্তা কিন্তু পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। এখন ন্যাচারলিষ্টরা আপনার বিরুদ্ধে কথা বলবে। তারা বিভিন্ন বীচে, নির্দিষ্ট শহরে কাপড় খুলেই ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির কাছাকাছি হওয়ার জন্য, শরীরিক কামনা বাসনা পূরন তাদের উদ্দেশ্য নয়। আর আপনি কিনা বলছেন ওটা বর্বরতা!! একটি বয়সে যে কেউই এটা করতে পারে, তবে অবশ্যই তা সময় ও পরিবেশ এর সাথে মানিয়ে। ঢাকার রাস্তায় একজন নেচারলিষ্টকে আমরা পাগল ছাড়া আর কিছু বলবো না। স্থান কাল পাত্রকে অবজ্ঞা করলে ভালো কিছু পাওয়া যাবে না ....এটাই মোদ্দা কথা।

** রোয়ানু আউট, আহলান ইন!

০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দেখুন আপনি ফ্লাড গেট তৈরি করতে যাচ্ছেন । একটা মন্তব্য থেকে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাচ্ছেন । পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়ে কথা বলুন উত্তর দিবো ।

আপনার এই মন্তব্যের উত্তরও আমার কাছে আছে কিন্তু আমি টু দা পয়েন্টে থাকতে পছন্দ করি , ইরিলিভেন্ট কথা না বাড়ানোই ভালো , এতে ফ্লাড গেট ওপেন হয় মূল লক্ষ্য ব্যহত হয় ।

আপনার পোস্টের ব্যপারে কিছু জানার থাকলে জানাবেন । ধন্যবাদ ।

২০| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

অপ্‌সরা বলেছেন: ভাবছিলাম ভালোবাসাবাসি নিয়ে কিছু বলবো!!!!!!!!!:(


এখন ভাবছি একটু চিন্তা করে আসি!!!!!!!!!!!!!!!!!:(


ভাবতে একটু সময় লাগবে । তবে আসছি অবশ্যই!:)

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সরি আপুনি , দেরি হয়ে গেলো উত্তর দিতে । আসলে উত্তর দিতে দিতে টায়ার্ড হয়ে গেছি । তাই দ্বিমত পোষণকারীকে আগে উত্তর করলাম । আইশো কিন্তু তোমার মন্তব্য নিয়ে । :D

২১| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫

আহলান বলেছেন: আপনি আজকে ক্লাস সিক্সের মেয়ের প্রকাশ্যে চুম্বনকে বৈধতা দিয়ে যে অনৈতিক গেট খুলতে চাচ্ছেন, সেটা কিছু না, আর এই চুম্বন ভবিষ্যতে যে আরো ভয়বহ রুপ গ্রহণ করবে, সেটা বল্লেই তা ফ্লাড গেট হয়ে গেলো? আপনি আপনার পোষ্টের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন আগের মন্তব্যে। দেখুন কাপড় খুলে রাস্তায় নামাকে আপনি যেখানে বর্বরতা বলছেন, আমাদের থেকে অনেক ধাপ এগোনো ইউরোপের সভ্য সমাজ, তা সাদরে গ্রহণ করছে, তার মানে কি? আপনার চোখে তারা বর্বর না মূর্খ না আদিম? নেচারালিষ্টরা আপনার চোখে বর্বর, আর আমাদের সমাজে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ক্লাস সিক্সের মেয়ের প্রেম আপনার কাছে আধুনিকতা, এডপ করার মতো বিষয়। এরপরে গে লেসবিয়ান সবই আপনাদের কাছে আদরনীয় হয়ে উঠবে ... যাক ভাই! আমি আর মন্তব্য করবো না আপনার পোষ্টে। শুধু এটুকুই বলবো ধর্মিয় মূল্যবোধ, প্রচলিত সামাজিকতা, কোন কিছু একদিনে তৈরী হয়নি। কোনটা ভালো ফলাফল বয়ে আনে আর কোনটা খারাপ, সেটা সবাই বুঝে, আপনিও বুঝেন। আজকে যে বিড়ি খায় কাল সে সিগারেট, পরশু মদ তরশু আরো কিছু খাবে সেটাই বোঝা যায়, সুতরাং খারাপ যে কোন কিছুই শুরুতেই ঠেকাতে হয়, বাহবা দিতে হয় না ... ধন্যবাদ।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি দয়া করে আমার আরও কিছু প্রতিউত্তর পড়ুন , তাহলে আমার সম্পর্কে এবং আমার পোস্টের উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারবেন ।

ইউরোপের সভ্য সমাজ এটাকে " সাদরে" গ্রহন করেনি । এরা সভ্য জাতি তো তাই কারো লাইফ স্টাইলকে ঘৃণা করে না । আর কাপড় ছাড়া উলঙ্গ জাতি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় থাকে এরা পাবলিকের সামনে আসে না , সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ ।

উলঙ্গ হয়ে ঘোরা আর প্রেম করা এক জিনিস নয় । এখানেও নির্দিষ্ট বিধি নিষেধ আরোপ কারা যেতে পারে , প্রপার ল এন্ড অর্ডার থাকলে কখনোই অনৈতিকতা বৃদ্ধি পাবে না ।

আবারো বলছি পোস্টের উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করুন , আমার উত্তর গুলো পড়ুন ।

২২| ০২ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি আমেরিকায় বসে না বুঝতেছেন আইন, না বুঝতেছেন সংস্কৃতি ।

" এই তো কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কমার্স কলেজের কয়েকটি ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করার জন্য । আমার মাথায় কাজ করে না এটা কিভাবে বহিষ্কারের করণ হয় !!!"

প্রথমত এই বহিষ্কারের কারণটাই আপনি বোঝেন নি। এই বহিষ্কারের কারণ কোন ১৬/১৭ বছরের কিশোরের, ১৬/১৭ বছরের কিশোরীকে প্রেম নিবেদন নয়। কারনটা হলো স্কুলের ইউনিফর্ম পড়ে কি করা যাবে আর কি করা যাবেনা সংক্রান্ত । অপরাধটা তাদের প্রেম নিবেদন নয়, স্কুলের ইউনিফর্মে প্রেম নিবেদন, ভিডিও ধারণ, এর প্রচার । আর এটা তাদের কোড অব কন্ডাক্টেই বলা আছে । এখন বিষয় হলো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল কি না? ধরে নিচ্ছি স্কুল/ কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্ত্তির সময় ছাত্র-ছাত্রী / অভিভাবক দের দায়সারা ভাবে কোড অব কন্ডাক্টের একটা বুকলেট দিয়ে তাদের কাজ শেষ করেছে । এখন বিষয়টা কোর্টে গেলে স্কুল/ কলেজ কর্তৃপক্ষ বলবে ছাত্র-ছাত্রীরা এ বিষয়ে অবগত, আর অভিযুক্তরা বলবে অবগত নয়। এর পরে যখন সাক্ষী হিসেবে আরও ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী বা অভিভাবককে আদালতে ডাকা হবে তখন অন্তত ৯ জন বলবে যে তারা অবগত যে "স্কুলের ইউনিফর্মে প্রেম নিবেদন, ভিডিও ধারণ, এর প্রচার অপরাধ" ।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমি যেখানেই থাকি না কেন , সেটা মুখ্য বিষয় না । আমিও ঐ দেশেরই সন্তান ।

" এই তো কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া কমার্স কলেজের কয়েকটি ছাত্র ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদন করার জন্য । আমার মাথায় কাজ করে না এটা কিভাবে বহিষ্কারের করণ হয় !!!" --- এটা আমি ব্যক্তিগত ভাবে মানতে পারছি না একারনেই বলেছি ।

আবারো আপনি একি কথা বলছেন --- যদি অবগত করে থাকে তাহলে বহিষ্কার ঠিক আছে --- এটাতো আমি বলেছি । করেছে কি করেনি এটাতো আমি বা আপনি পরিষ্কার ভাবে জানি না , এজন্যই " যদি" কথাটি উল্লেখ করেছি ।

আর আইন নিয়েই আমার পড়াশোনা , কাজেই সেটা না বোঝার কোন কারণই নেই । ধন্যবাদ আপনাকে ।

২৩| ০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৩

শ্রাবণধারা বলেছেন: এটা তারা কোড অব কনডাক্টের বই পড়ে না জানলেও জানছে "সংস্কৃতিগত" ভাবেই ।

আর আপনার এই লেখার সবচেয়ে আপত্তিকর অংশ আপনার এই উপদেশটা "তাই বলবো অতো নাগিং না করে পরিবর্তনকে সঠিক ভাবে গ্রহন করুন , এটাই মঙ্গলকর হবে ।"।

আসলে ব্যাপারটা ঠিক গ্রহনের নয়, দরকার আসলে করার, সৃষ্টি করার, দেবার, তৈরী করার, পথ দেখাবার । দুর্বিষহ এই ঢাকা শহরে আমরা শুধু খারাপটাই পচ্ছি । বিষাক্ত খাবার, বিষাক্ত পরিবেশ, বিষাক্ত মানুষ ।

আমদের শিশুদের জন্য খেলার মাঠ নেই । গাছ-পালা, প্রকৃতি, নদী, পাহাড় অরন্য, সবুজ মাঠ, শিশির, শিউলি ফুল কিছু নেই । একটা ভাল গল্প নেই, চাঁদের পাহাড় নেই, রবিনসন ক্রুসো নেই, বিজ্ঞান ক্লাব নেই, রোল মডেল নেই । তাই আমরা সস্তা জিনিস দ্বারা, হিন্দি ছিঃনেমা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি ।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: একটু খেয়াল করবেন --- আমি পরিবর্তনকে " সঠিক" ভাবে গ্রহন করতে বলেছি । আর আমার প্রতিউত্তর গুলো পড়ে নেবেন দয়া করে তাহলে আরও পরিষ্কার হতে পারে আমার উদ্দেশ্যটি ।

২৪| ০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

তানভীর ফুয়াদ রুমি বলেছেন: লেখক আপুর মত যদি সবার মা বাবা, শিক্ষক আধুনিক হত তবে আর কাউরে ছ্যাক খেয়ে তাড়ি বা নরিয়াম কজেতে হত না। সমাজটা আসলেই পুরোনো ঘুণে ধরা রয়ে গেল। 'সভ্য' পশ্চিমা দেশের 'সভ্য' সংস্কৃতিগুলো ধারণ করতে পারে নি। তাই তারা ফ্রেঞ্চ কিস এখনো শেখেনি। বাবা মায়েরাও হুদাই রাগারাগি করে। ওদের বহিঃষ্কার না করে, মেডেল দেয়াটাই ভালো ছিল। পশ্চিমা দের সভ্যতাকে ধারণ করা এবং ইন্টারনেট ও ইউটিউবের সঠিক ব্যবহার করার জন্য। আর তাদের সিনামাটোগ্রাফিও খুব ভাল ছিল। এই বয়সেই এতো ভাল, বড় হয়ে না জানি কি হবে।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।

তারা আসলে মেডেল দেয়ার মত কোন কাজ করেনি আবার শাস্তি পাবার মতও কোন কাজ করেনি ।

তারা যদি স্কুলের বিধি নিষেধ জানা সত্ত্বেও ওরকম কাজ করে থাকে , তাহলে অন্যায় করেছে । সেক্ষেত্রে বহিষ্কার ঠিক আছে । অন্যথায় ঠিক নেই ।

আর একটা কথা পশ্চিমা কালচার নাটক সিনামা দেখে শেখা যায় না , শেখা উচিৎও না । দুর থেকে উঁকি মেড়ে মানুষ ভুলটাই শেখে আর অযথাই পশ্চিমা কালচারকে গালাগালি করে ।

২৫| ০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাজকালকার পোলাইপান এর বহুত সাহস! বিশ্ববিদ্যালয়ে উঠার পরও কন্যাকে ভালো লাগার কথাটা বলতে পারিনি! তাই ওদের কাজ-কাম দেখে মাঝে মাঝে হিংসে হয়!

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , মজা পেলাম মন্তব্যে । আমার মনে হয় এই জন্যই আজকালকার অভিভাবকরা জেলাস হয়েই ওদের কঠোর সমালোচনা করে এবং শাস্তি দেয় । অথচ পোলাপান গুলার কোন দোষই নাই । ওরা যা দেখে তাই শেখে ।

আমাদের বাবা মারাও আমাদের কাণ্ড দেখে অবাক হতো । এখন আমরা হই ।

আমরা দায়িত্ব পালন ঠিক মত করি না অথচ শাস্তি দেবার সময় কঠিন সমালোচক হয়ে উঠি ।

২৬| ০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ব্য‌তিক্রম কখ‌নো উদাহরণ হ‌তে পা‌রে না। কাজটা যেমন ভা‌লো হয়‌নি তেম‌নি এই কাজ‌কে জা‌স্টিফাই ক‌রে ব্লগ লেখাটাও সমর্থন ক‌রি না।
আমরা না হয় মুস‌লিম আর রক্ষণশীল ব‌লে বেশী খারাপ লা‌গে। কিন্তু যেভা‌বে ইউ‌নিফর্ম প‌রে প্রেম নি‌বেদন কর‌লো এটা অ‌নেক আধু‌নিক দেশও গ্রহণ কর‌বেনা।

০২ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: পোস্ট এবং প্রতিউত্তর পড়ুন ভালো ভাবে । কি জাস্টিফাই করতে চাচ্ছি বুঝতে পারবেন । বার বার একি কথা বলতে গেলে সময় নষ্ট । আপনি ১৮ , ২২ , ২৩ নম্বর উত্তর গুলো দেখে নেবেন ।

" ব্য‌তিক্রম কখ‌নো উদাহরণ হ‌তে পা‌রে না।" ---- আপনি এই কথাটি কেন বললেন সঠিক বুঝতে পারিনি ।


২৭| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ২/৪ টা ছে‌লে মে‌য়ে বেয়াদ‌বি কর‌লে সেটা পু‌রো সমা‌জের প‌রিবর্তন বলা যা‌বে না। এটা উদাহরণ হ‌তে পা‌রে না।
এখ‌নো শিক্ষা ব্যবস্থা প‌রিবর্ত‌নের সময় আ‌সে‌নি। আমরা বি‌দেশী‌দের দেখ‌তে পা‌রি কিন্তু গ্রহণ করতে পা‌রিনা।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমি কি বলছি শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার কথা এই পোস্টে ? কি বলছেন কিছুই বুঝতে পারছি না ।

২৮| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আবার ওপেন প্রপোজ !! বিজ্ঞ জনেরা বিচলিত , হায় হায় , কি হলো কি হলো !! এত অধঃপতন এও কি স'হা যায় !! হায় ! হায় ! মরি মরি জাত গেলো জাত গেলো । ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু । কিন্তু এতো হায় হায় করে কি হবে ? এখনই তো ওদের প্রেম করার বয়স , ওরা তো ওটা করবেই । হয়তো বলবেন এভাবে খোলাখুলি হয়ে কেন , চুরি করে নয় কেন ? কিন্তু প্রেম তো চুরি করে করার জিনিস না , পরকীয়া হলে সেটা চুরি করে করার একটা বিষয় থাকে । প্রেম করাটা তো অন্যায় না , পরকীয়া অন্যায় হতে পারে যেখানে অন্যকে ঠকানোর একটা ব্যপার থাকেপ্রেম করছে করুক না , সমস্যা কি ? এই বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব সহকারে বাঁধা দেয়ার ফলেই ছেলে মেয়েরা এই বিষয়টাতেই বেশী আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে এবং তাদের প্রধান কাজ থেকে সরে আসেএকটু বোঝার চেষ্টা করুন ওদের উঠতি বয়সটাকে এবং হরমোনাল পরিবর্তনকে । সব কিছুর সাথে ভারসম্য বজায় রেখে ওদের প্রধান যে কাজ সেদিকে ওদের কিভাবে ধাবিত করা যায় সেই চিন্তা করলেই বোধ হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে ।

আবার কেউ কেউ হয়তো বলবেন আমাদের শাশ্বত সংস্কৃতিতে ওরা আঘাত হেনেছে ।


আপনার এই আর্টিকেলের প্রথমদিকের কথাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়ঃ-
১। বিজ্ঞজনেরা হায় হায় করছে। অধঃপতন হয়ে গেছে বলে শংকা প্রকাশ করছে। আর এটাকেই আপনি উপহাস করছেন।
২। ষষ্ট শ্রেণির কাঁচা বাচ্চার বয়সকেও আপনি প্রেম করার বয়স বলছেন।
৩। প্রেম খোলাখুলি করা দরকার। লুকিয়ে নয়। সো, ভাইরাল ভিডিও ছেড়ে দেওয়াটা বাজে কিছু নয়।
৪। পরকীয়া অন্যায় কারণ এটা অন্যকে ঠকানো হয়।
৫। প্রেম করা নিষিদ্ধ বিধায় ছেলেমেয়েরা এতে বেশি ইন্টারেস্টেড।
৬। তাদের উঠতি বয়সে প্রেম এলাউড। বোঝা উচিত। তাদের মনোবাসনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৭। প্রেম করতে দিতে হবে এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে পড়াশোনায়(তাদের প্রধান কাজ)।

{ আপাতত সময় করে উঠতে পারছি না বলে দুঃখিত। তবে আসছি!!! :) }

০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমার প্রথম প্যরায় আমি বিদ্রূপ দিয়ে শুরু করেছি এটা ঠিক আছে । কিন্তু মূল কথাটি হোল আমরা এই ব্যপার গুলোতে বেশী রেস্ট্রিকশন প্রয়োগ করে আরও বেশী বাচ্চাদের আগ্রহী করে তুলি এই ব্যপার গুলোতে । এটা রেস্ট্রিকশন করার মত কোন বড় বিষয় না । রেস্ট্রিকশন যদি করতে হয় অন্যান্য বড় বিষয় আছে সেগুলোতে করা উচিৎ ৬ এবং ১৫ নম্বর প্রতিউত্তর পড়ে দেখবেন ।

বয়ঃসন্ধিতে মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে থাকে , কাজেই এটা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম , তাই ষষ্ঠ শ্রেণীর বাচ্চা প্রকৃতির ডাকে সারা দিতেই পারে । এখন আমাদের সমাজ কতটুকু রেস্ট্রিকশন করবে সেটা সমাজ যুগের সাথে যুগউপযোগী যেটা মনে করবে সেটা করবে । তবে চোখের সামনে ভিন্ন কালচার ধরে সেটা অনুসরণ না করতে বলাটা নিশ্চয়ই ঠিক হবে না ।

ভিডিওটি ঠিক হয়েছে কি না তা আমি একবারও বলিনি , ঐ বিষয়টি আমি আনিনি আমার পোস্টে । তবে আমি বলেছি ছেলে মেয়েদের নৈতিক শিক্ষা , সামাজিক মূল্যবোধ শেখাতে , ভালো মন্দের জ্ঞান দিতে । --- ওরা যা শিখেছে ওরা তো তাই করবে । ভিডিও তে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি যে কোন প্রবলেম হয়নি -- পর্ণগ্রাফিতে আপত্তি করতাম । আপনাদের সাথে আমার এই ব্যপারে হয়তো মতের মিল হবে না ।

২৯| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনাদের সাথে আমার এই ব্যপারে হয়তো মতের মিল হবে না।

মতের অমিল ব্যাপার না। মাইন্ড খাওয়াটা হলো ব্যাপার!!!!!! :|

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি বোধ হয় আমাকে জানেন , আমি মতের মিল না হলে মাইন্ড করি না । আমি ব্যাড এটিটিউট এবং ভাষার রূঢ় ব্যবহারে মাইন্ড করি । :D

৩০| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: এটা কি সহজ সমাধান হবে না যদি আমি তাকে শিক্ষা দেই বিবাহপূর্ব প্রেমে শুধু ক্ষতিই বয়ে নিয়ে আসে কিংবা ম্যাচুরিটি আসার পূর্বে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বিশেষ দৃষ্টিপাত না করতে।
এতে করে কি মনে হয় না যে অনৈতিক শারিরীক সম্পর্কগুলোর পরিমান অনেকাংশে কমে যাবে??

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:২৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অবশ্যই , এই ধরনের শিক্ষা দিতে হবে বাবা মাকে এবং সেটা খোলা মেলা ভাবে আলোচনা করতে হবে বাচ্চাদের সাথে , বাচ্চাদের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশতে হবে । আর স্কুলের উচিৎ স্কুলের নিয়ম কানুন গুলো সঠিক ভাবে শেখানো বাচ্চাদের । না শেখাতে পারলে সে দায় ভার তাদেরকেই নিতে হবে ।

৩১| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫২

মাহিরাহি বলেছেন: শিশুদের প্রকাশ্যে প্রেম নিবেদনের অধিকার প্রতিষ্ঠার করতে চান কিছু প্রগতিশীলেরা, শিশুদের দুমুঠো ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার ব্যপারে তাদের কোন মাথাব্যথা নেই।


http://www.somewhereinblog.net/blog/mahirahiblog/30137615

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এসব কি বলছেন মাহি রাহি ? কমপ্লেইন এর অভ্যাসটা ভালো না । আপনি একটা ভালো কাজ করছেন ভালো কথা এজন্য কমপ্লেইন করতে হবে কেন ?

আর পৃথিবীতে সব কাজ সবাই করে না , সবার কাজ ভাগ করে দিয়েছে সৃষ্টিকর্তা । সবাই যদি একটা কাজই করবে তাহলে তো অন্য কাজ গুলো পড়ে থাকবে । সমাজের প্রতিটি ইস্যুই গুরুত্বপূর্ণ , একটার সাথে আরেকটা ইন্টারলিংক । কাজেই নেগিং না করে ভালো কাজ করছেন করুন না ...

৩২| ০২ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি লেখকের সাথে শতভাগ সহমত.. উনি আমার মনের কথা লিখে দিয়েছেন। আমি তো গুছিয়ে লিখতে পারি না :( তাই এ ব্যাপারে পোস্ট করি নাই।

সবই কালের বিবর্তনে একটার সাথে আরেকটা মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় । তাই বলবো অতো নাগিং না করে পরিবর্তনকে সঠিক ভাবে গ্রহন করুন , এটাই মঙ্গলকর হবে ।

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৩৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সহমত পোষণ করার জন্য । :D

৩৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: @জেন রসি ভাই, আপনি যদি আমার মন্তব্যের শুরুটা পড়ার পর আপনার মন্তব্য করে থাকেন তাহলে ভাই আমি আপনাদের সাথে নাই।
সহমত অনেকংশেই যদি আমি ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া একজন ছাত্রীর প্রেম গ্রহনের নাটিকাটি না দেখে থাকি! আর যদি সেই বিষয়টা মাথায় রেখে বলি তাহলে বলব প্রেম করাতে আমার কোন আপত্তি নেই তবে অবাধ যৌনাচার, তার সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুকি এবং নিপীড়নের মত ভয়াবহ বিষয়গুলোকে আপনি এড়িয়ে গেলেন!
ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া মেয়ে প্রেমের আহবানে যেভাবে সাড়া দিলেন তা সত্যিই ভীতিকর এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অবশ্যই সেটা অশনি সংকেত! বিবাহের ক্ষেত্রে তবে কঠোর বয়স সীমা আরোপ কেন?
আর আপনাদের উন্নতি যদি ১০/১২ বছরের একটা শিশুকে যৌনতার দিকে ধাবিত করে তবে এমন আধুনিকয়ার আমার দরকার নেই এবং আপনারা পাগলের প্রলাপ বকছেন!

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:৫৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি বার বার যৌনাচার নিয়ে বলছেন কেন ? এখানে তো একটি বারের জন্যও যৌনাচারকে উৎসাহিত করিনি আমি । আগের পোস্টেও আমি বলেছি । আগেও বলেছি , আবার বলি --- একটু খোলা করেই বলি আপনার বোঝার সুবিধার্থে যৌন উন্মাদনা আর প্রেম কিন্তু ভিন্ন জিনিস - এটা তো মানবেন ? একটা ছেলের একটা মেয়েকে ভালো লাগলে নিশ্চয়ই যৌন চাহিদার উদ্রেগ থেকে হয় না ? হয় কি ? আর ১১ /১২ বছরের ছেলেমেয়েরা যখন প্রেম করে তখন ঐ ধরনের যৌন লালসা থেকে করে না যদি না পর্ণগ্রাফিতে আসক্তি থাকে । এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ ? অবশ্যই পর্ণগ্রাফি বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে । এই কাজটা কে করবে ? বাবা মা করবে সব সময় বাচ্চাদের মনিটর করে ।

ঐ টুকু বাচ্চারা যৌনাচারটা করবে কোথায় ? নিশ্চয়ই রাস্তায় করবে না -- কখনো দেখেছেন এই কাজ কোন মানুষ রাস্তায় করে ? যদি কেউ করে সে পাগল , তার জন্য পুলিশ আছে । তাই বাবা মা যদি মনিটর করে সঠিক ভাবে তাহলে ঐ কাজ করার সম্ভাবনা নেই । তাদের ভালোবাসা ঐ আলিংগন আর ফ্রেঞ্চ কিস পর্যন্তই থাকবে --- এটাকে কিছুতেই ঠেকাতে পারবেন না , ওরা প্রতিনিয়ত শিখছে । এটা ঠেকাতে গেলে আপনাকে টিভি , ইন্টারনেট সব বন্ধ করে দিতে হবে এবং বহিরবিশ্বের সব ধরনের কালচার থেকে বাচ্চাকে দূরে রাখতে হবে , আলটিমেটলি দেশটাকে একঘরে বানিয়ে রাখতে হবে উত্তর করিয়ার মত । পারবেন এগুলো করতে ? নিশ্চয়ই না --- তাহলে কি করবেন ? ওরা তো ওরকম করবেই --- মারবেন , শাস্তি দেবেন ? এটা করা কি অন্যায় হবে না ? আপনি ওড় চোখের সামনে ফ্রেন্স কিস করা সিনেমা দেখাবেন আর আশা করবেন ওরা ওটা শিখবে না --- এটা কেমন করে সম্ভব ???? এই ধরনের আচরণ যদি করেন তাহলে সমাজ কলাপ্স করবে ভয়ানক ভাবে ...। এর ভার কিন্তু তখন সইতে পারবেন না ।

এই কারণেই আমি বলেছি এই নতুন কালচারকে বুঝতে এবং এর সুস্থ সমাধান বেড় করার কোথা বলেছি ।

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে আমি অনুরোধ করবো আমার কথা গুলো একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবেন । আমি বিশ্বাস করি যে আপনি অন্যের মতামতে দ্বিমত পোষণ করলেও , অন্যের মতকে নিয়ে ভাবার জায়গা রাখেন আপনার মাথায় ।

৩৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ২:৫৭

শেয়াল বলেছেন: লেখক বলেছেন: এজন্যই যৌন শিক্ষা দিতে হবে বয়ঃসন্ধিতে । ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে হবে ।

যৌনশিক্ষা বলতে কি মিন করছেন সেটা খোলাখুলি আলোচনা করতে হবে কারণ আপনি বিষয়টা নিয়ে আলোচনার সুত্রপাত করেছেন । যৌনশিক্ষা বলতে যদি যৌন মিলন সংক্রান্ত ব্যাপার হয় তাহলে ১৮ বছরের আগে কেন এ শিক্ষা তাদের দেয়া দরকার সেটা আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকছে ।
আর যদি যৌনশিক্ষা বতলে বয়ঃসন্ধিতে তাদের শারিরিক+মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে হয় তাহলে ঠিক আছে । কারণ ১৮ বছরের আগে ছেলে ও মেয়ের শারিরিক পরিবর্তন হয়, অনেক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয় তারা । এগুলো নিয়ে স্বাস্থ্য সচেতন করা যেতে পারে, ভুল ধারনা না পেতে পারে যাতে সে ব্যাপারে শিক্ষা দেয়া যায় ।
যেমন ছেলেদের স্বপ্নদোষ হতে পারে, মেয়েদের মাসিক হতে পারে । এগুলো স্বাভাবিক এবং ভয়ের কারণ নেই সেটা অবশ্যই শিকষা দেয়া দরকার ।
এই বয়সে মেয়েরা ছেলেদের প্রেমে পড়ে এবং সাধারণত সেটা বীরত্ব/সৌন্দর্য দেখেই হয় । আর ছেলেরা আকৃষ্ট হয় মেয়েদের সৌন্দর্য দেখে । এই ব্যাপারগুলোই স্বাভাবিক আর এই সময়ে এটা করা ঠিক হবে না এটাও তাদের বোঝানো উচিত।
পুরো ভবিষ্যৎ পড়ে আছে সামনে সেই বিষয়ে তাদের সজাগ রাখতে হবে এতেই সমাজে অনাকাংখিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে । তারা আরো বেশি মনোযোগ দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্মানে সক্রিয় হতে পারবে ।

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:১৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: যৌন শিক্ষা বলতে যৌন স্বাস্থ্য এবং শারীরিক মিলন দুটোই । এটা বয়স অনুযায়ী দিতে হবে । কোন বয়সে কোনটা দিবে এটা সমাজ ঠিক করবে সামাজিক সমস্যার মাত্রা বিবেচিনা করে । এখন সমাজে যদি পর্ণগ্রাফি দেখার মাত্রা বেশী থাকে , সে ক্ষেত্রে ওটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করবে আর না করতে পারলে , শারীরিক মিলনে সুস্থ থাকার জন্য কি কি করতে হবে সেটা শেখাবে । সমস্যা আসবেই , তাই এর সমাধানও বেড় করতে হবে সমাজকেই , অকারনে না বুঝে শুনে কাউকে শাস্তি দিতে পারবে না । বুঝতে পেরেছেন শেয়াল ।

৩৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:০২

আমি দেলোয়ার বলেছেন: আপনার কিছু কথায় সহমন প্রকাশ না করে পারছি না। সন্তানদের প্রথম শিক্ষক তাদের মা বাবা। তারপর তাদের লেখাপড়ার শিক্ষক এবং অন্যরা। বাচ্চারা যা দেখবে, যা শিখবে তাই করবে। এটাই স্বাভাবিক। এখানে সমাজকেও এর দায় নিতে হবে। তবে বাচ্চাদের তাদের ভুলটাকে না সুধরিয়ে সেটা করার অনুপ্রেরণা দেওয়া অনুচিত। প্রেম করা অন্যায় নয়। তবে বাচ্চারা যখন তা প্রকাশ্যে করার সাহস করে সেটা ভবিষ্যতের এক ভয়াবহতার অগ্রিম বার্তা। এই মেয়ে প্রকাশ্যে কিস করেছে। কাল সে অবৈধ সম্পর্ক গড়বে। তার পেটে বাচ্চা হবে। একটা সময়ে অনুতপ্ত ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে আত্মহত্যা করবে। এটা শুধু হবে তার ঐ ভুলকে সঠিক বলে বুঝানোর কারণে। যাই বলি না কেন এখানে দোষটা কার তা বের করা সহজ নয়। তবে দোষটা যে পুরো সমাজের। সমাজই তাদেরকে এর কোন না কোন ভাবে এই কাজের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। এখন যদি বলা হয় তারা তো কেবল প্রেম নিবেদন করতে গিয়ে একটা কিসই তো করেছে। বিশাল কিছুতো করি নি। এটা বলাটা এখন অস্বাভাবিক কিছু না। যে সমাজে তারা এটা শিখেছে সে সমাজে এটা স্বীকৃতি পাওয়া দোষণীয় কিছু নয়। তবে কোন অঘটন ঘটলে সেই সমাজই প্রথম সেই দায় থেকে মুক্ত হতে চাইবে।

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ এবং আংশিক সহমতের জন্য । আপনার ভাষার ব্যবহারে আপনাকে বেশ মার্জিত মনে হচ্ছে ।

আসলে আমি কিন্তু অনুপ্রেরণা দেবার চেষ্টা করিনি । আপনার যদি মনে হয় সেরকম তাহলে কোন জায়গাটায় হয়েছে বুঝিয়ে বললে আমি আপনাকে ক্লিয়ার করতে পারতাম । আপনি ৩৩ নম্বর প্রতিউত্তরটা একটু পড়ে দেখতে পারেন । আমি আপনার কাছে আবার না হয় আসবো ।

৩৬| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

মহা সমন্বয় বলেছেন: অনেকেই প্রেম আর যৌনাচারকে গুলিয়ে ফেলছেন!!! আচ্ছা প্রেম মানেই কি যৌনাচার? প্রেম আর যৌনাচার কি এক?
যেখানেই প্রেম সেখানেই যৌনাচার টেনে আনছেন কেন? X((
এখানের সবাই তো কম বেশি প্রেম করেছেন তাই বলে কি আপনারা সবাই যৌনাচার করেছেন? :`>
আপনাদের সকলের কানে কানে একটা কথা বলি, কাউকে বলবেন না কিন্তুু :P যৌনাচার হয় পরকীয় প্রেমের মধ্যে না।
প্রেমের মধ্যে কোন যৌনাচার নেই বুঝতে পারছেন কিছু?

০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৪:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দেখেন দেখি !!! কাউকে বুঝাতেই পারছি না এ বিষয়টা । আমার এখন মনে হচ্ছে কেউ বোধহয় প্রেম টেমে আর বিশ্বাসী না , ডায়রেক্ট যৌনাচার খোঁজে ... :P

৩৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ ভোর ৫:১৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: Real opinion of your writing

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: Many many thanks

৩৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

জেন রসি বলেছেন: @অগ্নি সারথি ভাই,

আমি আপনার কমেন্ট ভালো করে পড়েই মন্তব্য করেছি। আপনি বলেছেন এসব ব্যাপারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হলে প্রেমিক প্রেমিকাদের হেনস্থার দায়িত্ব কে নেবে? কিন্তু অনুকূল পরিবেশ কিন্তু এমনি এমনি সৃষ্টি হবেনা। সৃষ্টি করতে হবে। এসব ভিডিও দেখে জাত গেল গেল বলে রব তুললে সেই পরিবেশ সৃষ্টি হবেনা। আমার কমেন্টে আমি বলেছি অজ্ঞানতা থেকেই ক্ষতিকর যৌনাচারে মানুষ লিপ্ত হয়। এখানে যেটা বুঝতে হবে সেটা হচ্ছে তাদের এই ভালোবাসার অনুভূতিটাকে ছোট করা যাবেনা। সেটা অন্যায় কিছুনা।বরং তাদের মমতা নিয়ে বুঝাতে হবে। যদি ফোকাস করতেই হয় তবে তা করার জন্য আরো ভয়াবহ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব আমি আমার কমেন্টে উল্লেখ করেছি। আমার কমেন্ট থেকে আবার তুলে দিচ্ছি!

পরিবর্তন খুব সহজ সরল পথে হয়না। তার মাঝেও এরর থাকে। তবে পুরানো অপ্রয়োজনীয় প্রথাকে আঁকড়ে ধরে পরিবর্তনে বাঁধার সৃষ্টি করলে বরং ক্ষতিই হবে। তার চেয়ে যৌক্তিক হচ্ছে পরিবর্তনের এরর গুলো দেখে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকেই আরো উন্নতরুপে বিকশিত করা।

কথাগুলোর অর্থ যদি বুঝে থাকেন তবে আশা করি এটাও বুঝে থাকবেন যে, আমি তাদের ভালোবাসাকে প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষতিকর যৌনাচারের দিকে ধাবিত করার কথা বলিনি। বরং বলেছি তাদের মমতা দিয়ে বুঝাতে হবে তাদের ভালোবাসার অনুভূতিটা খারাপ না। তবে কি কি করলে তাদের জন্য ক্ষতিকর হবে সেটাও বুঝাতে হবে। আশা করি এবার বুঝেছেন।

তারপরও যদি আমার কথা আপনার কাছে পাগলের প্রলাপ মনে হয় তবে আমি আপনার কাছে বারবার পাগল হিসাবেই আবির্ভূত হব। এবং সেটা খুশী মনেই হব। আলাপ যদি আপনার কাছে প্রলাপ মনে হয় তবে তাই নাহয় করব! সব আলাপই কারো কাছে প্রলাপ, কারো কাছে আলাপ। সুতরাং এইটা কোন ব্যাপার না!

শুভকামনা রইলো অগ্নি ভাই। :)

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ জেন , আপনার সুচিন্তিত এবং বিশ্লেষণী মন্তব্যের জন্য । অগ্নি নিশ্চয়ই ভালো ভাবে পড়েছেন ।

৩৯| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: প্রেম করা অবশ্যই কোনো অপরাধ নয়। যেকোনো বয়সের যেকোনো কেউই প্রেমে পরতে পারে, আই রিপিট.. প্রেমে পরতে পারে। কিন্তু আজকাল যেগুলো হচ্ছে, বা ষষ্ঠ শ্রেনীর স্টুডেন্টের যে কাহীনী সেগুলোকে কি প্রেম বলা যায়? এগুলোকে প্রেমের আওতায় আনা যায় না।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । আপনি অন্যান্য মন্তব্য এবং এর উত্তর গুলো একটু পড়ে দেখতে পারেন ।

৪০| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: @ জেন রসি ভাই, আপনি তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় চাচ্ছেন যেখানে আমি আমার মন্তব্যে বারংবার বলে চলেছি যে, সহমত অনেকংশেই যদি আমি ষষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া একজন ছাত্রীর প্রেম গ্রহনের নাটিকাটি না দেখে থাকি! আর যদি সেই বিষয়টা মাথায় রেখে বলি তাহলে বলব প্রেম করাতে আমার কোন আপত্তি নেই তবে অবাধ যৌনাচার, তার সাথে যুক্ত স্বাস্থ্য ঝুকি এবং নিপীড়নের মত ভয়াবহ বিষয়গুলোকে আপনি এড়িয়ে গেলেন!
আপনি বলছেন, পরিবর্তন খুব সহজ সরল পথে হয়না। তার মাঝেও এরর থাকে। তবে পুরানো অপ্রয়োজনীয় প্রথাকে আঁকড়ে ধরে পরিবর্তনে বাঁধার সৃষ্টি করলে বরং ক্ষতিই হবে। তার চেয়ে যৌক্তিক হচ্ছে পরিবর্তনের এরর গুলো দেখে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকেই আরো উন্নতরুপে বিকশিত করা।
আমি কি তাহলে ধরেই নেব যে, আপনারা ১০/১২ বছরের একটা বাচ্চা আরেকটা বাচ্চার সাথে প্রনয় ঘটিত সম্পর্কে জড়াবে সেটাই আপনাদের কাছে পরিবর্তন আর আমরা যারা এটা বিরোধীতা করছি তারা পরিবর্তনের পথে অন্তরায়! আমার মন্তব্যে আপনি কি পরিবররতনের এরর গুলো খুঁজে পান নাই!
শিশুদের যৌন শিক্ষার প্রয়োজন আছে কিন্তু তার প্র্যাকটিকাল ক্লাসের দরকার আছে বলে আমি মনে করছিনা।

শুভ কামনা রইল!

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে উত্তর দিয়েছে জেন রসি নিচে ৪৭ নম্বরে । আর আপনি কাইন্ডলি ৪৪ নম্বর উত্তরটি পড়ে দেখবেন ।

৪১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: @ লেখক, সাম্প্রতিক সময়ের প্রনয় গুলোর দিকে যদি না তাকাতে চান যেগুলোর বেশির ভাগের সাথেই যৌনতা জড়িত তবে আমি বলব আপনি সিগমন্ড ফ্রয়েড পড়ে দেখতে পারেন। সেখানে আশা করি প্রেম এবং যৌনতা কিভাবে একটা আরেকটার সাথে অঙ্গা অঙ্গী ভাবে জড়িত এবং কেন আমি বারংবার যৌনতার কথা নিয়ে আসছি তার উত্তর পেয়ে যাবেন।

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমি আসলে ঐ কিসিং আর আলিঙ্গনে কোন যৌনাচার হয়েছে বলে লক্ষ্য করিনি । ওটা আমার কাছে ভালোবাসা - প্রেম । আমি আগেও বলেছি ঐ বয়সের বাচ্চার যৌন লালসা হয় না যদি না তারা পর্ণগ্রাফিতে আকৃষ্ট হয় ---- এ ক্ষেত্রে আমি একটা সমাধান এর কথা বলেছি ৩৩ নম্বরের উত্তরে , ওটা আপনি এড়িয়ে গেছেন , সেটা হল ---- " এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ ? অবশ্যই পর্ণগ্রাফি বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে । এই কাজটা কে করবে ? বাবা মা করবে সব সময় বাচ্চাদের মনিটর করে । "

আপনি ফ্রয়ডের প্রেম এবং যৌনলালসার উপর কোট করতে পারতেন , তাহলে ভালো হতো । তবে আপনি যদি চান আমি আপনাকে যথেষ্ট প্রমাণ এবং অথরিটি দিতে পারবো যে প্রেম এবং যৌনলালসা দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং ব্রেইনের আলাদা আলাদা এলাকায় এর জন্ম হয় ।

৪২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দেশীয় কালচার , সামাজিক মূল্যবোধ এবং মানুষ হিসেবে ভালো মন্দের জ্ঞান দিতে হবে সরকারি উদ্যোগে এবং পারিবারিক ভাবেও ।

সহমত ! সহমত !! সহমত !!!
( দেখি শায়মা আবার কোন কেলেঙ্কারি করছে ! এতক্ষন হল ফেরার নাম নাই B-) )

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সহমত প্রকাশের জন্য । অনেকে আমার পোস্টের উদ্দেশ্যটাই বুঝতে পারেনি । আমিও দেখি সায়মা আপুর কি অবস্থা । :D

অনেক ভালো থাকবেন ।

৪৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

অপ্‌সরা বলেছেন: আমি লুকাই আছি গিয়াসভাইয়া!!!!!!!!!!


এই পরিবর্তন, বিবর্তন, রুপান্তরে মুখ খুলতে গিয়ে মুখ স্কচটেপ লাগাই রাখছি অনেক কষ্টে! :(


আমি ভীতু মানুষ তো! বাট স্কচ টেপ ছুটে গেলে আবার কি হয় না হয়!!!!!!! তার থেকে যাই আরেকটা টেরারিয়াম বানাই।:)

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: "" আমি ভীতু মানুষ তো! বাট স্কচ টেপ ছুটে গেলে আবার কি হয় না হয়!!!!!!! তার থেকে যাই আরেকটা টেরারিয়াম বানাই।"" --- তোমার এই কথাতে মজা পাইলাম ।

নিচে দেখলাম তোমার মনে হয় স্কচ টেপটা খুলে গেছে । :P থাক ওটার আর দরকার নাই --- খুলে ফেলো ।

৪৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ক্লাস সিক্সের মেয়েটি কমার্স কলেজের ঐ মেয়ের থেকে একধাপ এগিয়ে এসেছে। হাগের সাথে এখানে কিসও ফ্রি ছিল। ;) ;)

লক্ষণীয়- মেয়েটির চক্ষুলজ্জা অনেক কমে গেছে বলেই সে এটা করতে পেরেছে তার হিরোর সাথে। :)

এই ব্যাপারটি যারা যারা অ্যাপ্রেসিয়েট করছেন তাদের অধিকাংশের মত হলো, মেয়েটি খারাপ কিছু করেনি। এটা কোন অন্যায় বলে গণ্য হতে পারে না। এইরকম ব্যাপারে শাস্তি দেয়া মোটেই ঠিক কাজ নয়।

মোটামুটি তাদের সবার আগ্রহের জায়গা হচ্ছে এরা নতুন প্রজন্মকে প্রগতির পথে নিয়ে চলেছে। এটাই এগিয়ে যাওয়া। :)

কিন্তু প্রগতি বলতে কি লজ্জাবোধের হৃাস মিন করে? অথবা সামাজিক সিস্টেমের কলাপসকে বোঝায়? কিংবা সামাজিক মুল্যবোধের পরিবর্তন?

সত্যি কথা বলতে কি প্রগতি প্রকৃষ্ট গতি তথা সভ্যতার উন্নতিকে বোঝায়। আপাদমস্তক বোরকায় ঢেকে ফেলা যেমন সভ্যতার অবনতি ঠিক তেমনি বিকিনি/নগ্নতা/লজ্জাহীনতাও সভ্যতার অধঃপতন।
এখন কেন নগ্নতা/বোরকা উভয়ই প্রগতির অন্তরায় সেটা বুঝতে হলে সার্বজনীন মানদন্ড হিসেবে বিজ্ঞান ও মানুষের মানবিক বোধ-বিবেচনা/নৈতিকতার দিকে যেতে হবে।

দেখতে হবে, লজ্জাহীনতা মানুষকে কি করে? এটা কি মানুষকে কল্যাণমূলক কাজের দিকে অগ্রসর করে? নাকি এর বিপরীতে ধাবিত করে?
চিকিৎসা বিজ্ঞান মেয়েদের এইভাবে লজ্জা হারানোর ব্যাপারটা কিভাবে দেখছে? এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি পয়েন্ট যারা প্রগতির দিকে এগুতে চান।

@জিনি ভাই, পরিবর্তের ক্ষেত্রে আপনি অপ্রয়োজনীয় প্রথার বিলোপ করতে বলছেন। এখন কথা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় প্রথগুলো কি কি সেটা জানা জরুরী! আর এইগুলো কোন দৃষ্টিকোণ/তত্ব থেকে অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে?

অনুকূল পরিবেশ কিন্তু এমনি এমনি সৃষ্টি হবেনা। সৃষ্টি করতে হবে। এসব ভিডিও দেখে জাত গেল গেল বলে রব তুললে সেই পরিবেশ সৃষ্টি হবেনা।

এখানে আপনি চাচ্ছেন এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যেখানে জাত গেল বলে রব উঠবে না। খুবই ভাল কথা, কিন্তু এটা অবশ্যই দেখার দরকার আছে যে- এই পরিবেশ সৃষ্টি করলে জাতিগতভাবে আমাদের কি কি লাভ হবে? আর এই পরিবেশ থাকায় কি কি সমস্যা হচ্ছে?

- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
তবে, আমার মতে মানুষের বিয়ে/প্রেম ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি ব্যাপার। একা একা মনের মানুষটির কথা ভেবে ভেবে আগেকার মেয়েরা/ছেলেরা কষ্ট পেয়েছে কিন্তু সমাজ/পরিবার/প্রত্যাখানের ভয়ে কিছুই করতে পারতো না। এই ব্যাপারে আসলেই ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার।
মানে, একটি মেয়ে/ছেলের নিরাপদ বয়সে যৌনতায় আপত্তি না করতে সমাজের দৃষ্টিভংগির অভিযোজন ঘটানো উচিত। বিয়ের ব্যাপারে যে কড়াকড়ি ও খরচের ব্যাপার থাকে সে ব্যাপারে শিথিলতা আরোপ করা যেতে পারে। তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের চিন্তা করতে গিয়ে মা-বাবার উচিত নয় যৌন চাহিদা পুরণে বাঁধার সৃষ্টি করা। সর্বোপরি সভ্য, সুন্দর ও সুস্থতর একটি উপায়ের অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের, যাতে যৌনতা থেকে সংঘঠিত অপরাধগুলো কমে যেতে থাকে।

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: দুঃখিত আপনি পয়েন্ট বুঝতে পারেননি অথবা এই পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্যটা হয় তো ধরতে পারেননি--- আপনাকে বলি শোনেন ---
১ . আমিও এটাকে সামাজিক প্রবলেম হিসেবে দেখছি আপনিও দেখছেন কিন্তু পার্থক্য হোল আপনি প্রবলেমটাকে নেগেটিভ ভাবে সমাধান করতে চাচ্ছেন আর আমি পজেটিভ্লি সমাধান করতে চাচ্ছি ।

২ . নেগেটিভ এই কারনে বলছি যে আপনি এটাকে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সেটাকে ক্রিমিনাল পানিশমেন্ট দিতে চাচ্ছেন আর আমি এটাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে নিচ্ছি এবং" অলটারনেটিভ ডিসপিউট রিজোলিউশনের" কথা ভাবছি ।

৩ . আমি প্রবলেম এর প্রধান কারণ গুলোর কথা বলছি আর আপনি কারণ গুলো একবার উচ্চারণ করেননি । বরং সহজ সমাধান খুজচ্ছেন শাস্তি দিয়ে ।

৪ . আমি সমস্যাকে সমূলে বিনাশের কথা ভাবছি আর আপনি টেম্পোরারি সমাধান করছেন । টেম্পোরারি এই কারনে যে --- আপনি সমস্যার মূলে হাত দিতে চাচ্ছেন না । সমস্যার মূল উৎপাটন না করলে এই সমস্যার কোন দিন সমাধান হবে না । যদি হয় হবে টেম্পোরারি সমাধান ।


আর এটাকে তো প্রগতি ভাবার কোন কারণই নেই । নানাজান ......... আপনার কি ধারনা আমার মাথায় গোবর ??? এটা কিভাবে প্রগতি হবে????? ----- এটা হোল সোশ্যাল এটেটিউট , সোশ্যাল বিহেইভিওর ---- এই বিহেইভিওর কোথা থেকে এসেছে ?? এসেছে হলো আমাদের মডার্ন লাইফ স্টাইল থেকে ...।। এখন আপনি নির্ধারণ করবেন আপনি মডার্ন লাইফ স্টাইলে থাকবেন নাকি আপনার শাশ্বত সামাজিক এবং ধর্মীয় কাস্টমস এর আওতায় থাকবেন ।

আপনি যদি মডার্ন লাইফস্টাইলে থাকতে চান তবে আপনাকে মডার্ন সমাধান খুঁজতে হবে , আর যদি তা না চান তবে বহিরবিশ্বের সাথে সমগ্র সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে টিভি চ্যানেল গুলো বন্ধ করে , ইন্টারনেট বন্ধ করে একঘরে হয়ে থাকতে হবে , ভায়া । এ বড় জটিল সমস্যা গো !!! আমি মাল্টি কালচারে থাকি তো আমি জানি কি হয় আমার মধ্যে ।

৪৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১০

আমি দেলোয়ার বলেছেন: "এই মেয়ে প্রকাশ্যে কিস করেছে। কাল সে অবৈধ সম্পর্ক গড়বে। তার পেটে বাচ্চা হবে। একটা সময়ে অনুতপ্ত ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে আত্মহত্যা করবে"
আমার এই বাক্য গুলো হয়তো আপনার কাছে কঠিন মনে হচ্ছে। যদি বাক্য গুলোই কঠিন মনে হয় তাহলে বাস্তবতা কেমন ভয়াবহ কঠিন হতে পারে! যদি বাক্য গুলো আপনার খারাপ লাগার কারণ হয় তাহলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

একটি ছোট বীজ থেকেই বড় একটি গাছ হয়। এই ভাবে বাচ্চাদের খোলাখুলি প্রেম যে তাদের জীবনের ভয়াবহ দিকের জন্ম দিবে না এমনটা ভাবা কি ভুল? ছোট একটি অন্যায়ের বৈধতা অনেকগুলো অন্যায়ের জন্ম দিতে পারে।



"আবার ওপেন প্রপোজ !! বিজ্ঞ জনেরা বিচলিত , হায় হায় , কি হলো কি হলো !! এত অধঃপতন এও কি স'হা যায় !! হায় ! হায় ! মরি মরি জাত গেলো জাত গেলো । ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক কিছু । কিন্তু এতো হায় হায় করে কি হবে ? এখনই তো ওদের প্রেম করার বয়স , ওরা তো ওটা করবেই । হয়তো বলবেন এভাবে খোলাখুলি হয়ে কেন , চুরি করে নয় কেন ? কিন্তু প্রেম তো চুরি করে করার জিনিস না , পরকীয়া হলে সেটা চুরি করে করার একটা বিষয় থাকে । প্রেম করাটা তো অন্যায় না , পরকীয়া অন্যায় হতে পারে যেখানে অন্যকে ঠকানোর একটা ব্যপার থাকে । প্রেম করছে করুক না , সমস্যা কি ?"

যাই বলি না কেন সমালোচনা বা আলোচনা শেষ হবে না। তবে পিতা-মাতা, শিক্ষক এবং সমাজ যদি সঠিক ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে এবং যে কোন শিক্ষার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম তার সন্তান বা তার ছাত্র-ছাত্রীকে তার মানসিক পবিত্রতা রক্ষা করার শিক্ষা প্রদান করে হয়তো তারা সমাজের আদর্শ মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " এই মেয়ে প্রকাশ্যে কিস করেছে। কাল সে অবৈধ সম্পর্ক গড়বে। তার পেটে বাচ্চা হবে। একটা সময়ে অনুতপ্ত ও মানসিক যন্ত্রণার কারণে আত্মহত্যা করবে" ---- আপনি এই কথাটি বলেছেন । না আমার কাছে এটা কঠিন মনে হয়নি --- আমি ক্রিমিনাল নিয়ে ডিল করি , সোশ্যাল প্রবলেম নিয়ে ডিল করি । আপনার এই ব্যপার গুলো অন্যান্য মন্তব্যের প্রতিউত্তরে উঠে এসেছ , তাই আপনাকে অন্য মন্তব্য গুলো পড়তে বলেছিলাম । তাই বার বার একি কথা রিপিট করিনি । আপনি সম্ভব হলে সব মন্তব্যের উত্তর পড়তে পারেন ।

আমি এটাকে সোশ্যাল প্রবলেম হিসেবেই নিয়েছি এবং এর মডার্ন সমাধানের কথাও ভাবছি । সমাধান গুলো বললে আপনাদের হয়তো ভালো লাগবে না । কিন্তু আলটিমেটলি ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে আপনারা ঐ সমাধানই অনুসরণ করবেন ---- আমি কথা দিচ্ছি । আর আপনি ৪৪ নম্বরের উত্তরটা পড়ে নেবেন প্লিজ ।

৪৬| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

অপ্‌সরা বলেছেন: গেমুভাইয়ার বিয়েতে দাওয়াৎ চাই!:)

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: গেমু নানার বিয়ে নাকি ? আমাকে দাওয়াত দেয়নি । :((

৪৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

জেন রসি বলেছেন: @অগ্নি সারথি ভাই,

কোথায় পরিবর্তন চাচ্ছি তা খুব স্পষ্ট ভাবেই উল্লেখ করেছি। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। ভালোবাসার অনুভুতি যে কোন অন্যায় কিছুনা সেটা বিবেচনায় রেখেই এসব ছেলে মেয়েদের গাইড করতে হবে। তাদের যদি এই বয়সে শেখানো হয় ভালোবাসা পাপ তবে তারাও বড় হয়ে প্রতিক্রিয়াশীল আচরনই করবে। কিন্তু এখন যেভাবে এদেরকে খুব খারাপ উদাহরন হিসাবে উপস্থাপন করে আলোচনা করা হচ্ছে, পানিশমেন্ট দেওয়া হচ্ছে তা প্রতিক্রিয়াশীল আচরন। কারন এসব প্রতিক্রিয়ার পেছনে আছে কিছু পুরানো সামাজিক প্রথা যে প্রথায় প্রকাশ্যে প্রেম করা খারাপ কিন্তু কোন মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়াটা খারাপ না। পারস্পরিক ইচ্ছায় ভালোবাসা থেকে শারীরিক সম্পর্ক খারাপ কিন্তু কোন মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করা খারাপ না। এখন আপনারাই বিবেচনা করে দেখেন কোনটা খারাপ এবং কোনটা ভালো। এসব ব্যাপারেই আমি আপনাকে দেওয়া প্রথম কমেন্টে ফোকাস করেছি।

আমি কি তাহলে ধরেই নেব যে, আপনারা ১০/১২ বছরের একটা বাচ্চা আরেকটা বাচ্চার সাথে প্রনয় ঘটিত সম্পর্কে জড়াবে সেটাই আপনাদের কাছে পরিবর্তন আর আমরা যারা এটা বিরোধীতা করছি তারা পরিবর্তনের পথে অন্তরায়! আমার মন্তব্যে আপনি কি পরিবররতনের এরর গুলো খুঁজে পান নাই!
শিশুদের যৌন শিক্ষার প্রয়োজন আছে কিন্তু তার প্র্যাকটিকাল ক্লাসের দরকার আছে বলে আমি মনে করছিনা।


আপনি পরিবর্তনের ব্যাপারটা ধরতে পারেননি। ১০-১২ বছরের ছেলেমেয়েদের প্রেমকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে তাদের সাথে কি ধরনের আচরন করা উচিৎ আমি সেই পরিবর্তনের কথা বলেছি। আপনি বারবার বলছেন যৌনাচারের কথা। বিকৃত যৌনাচার সে সমাজেই বেশী হয় যেখানে তা সাপ্রেশ করে রাখা হয়। এখন এদের এই কিস দেওয়াটাকে যদি আপনি অবাধ যৌনাচার বলে থাকেন তবে তাও অযৌক্তিক হবে। তাদের বুঝাতে হবে যে তাদের অনুভুতি খারাপ কিছুনা। তবে শারীরিক সম্পর্কের জন্য একটা বয়স আছে। তার আগে এসব করলে তাদেরই ক্ষতি হবে। তা না করে যদি তাদের পাপী বানিয়ে ফেলা হয় তবে তারা যা করার লুকিয়েই করবে। এখন যেমন অনেকেই সমাজের ভয়ে লুকিয়ে অনেক কিছু করতে বাধ্য হয় যার ফলে অপরাধও বেড়েই চলছে।

এসব নিয়ে এত জাত গেল রব না তুলে যদি ইভ টিজিং, বাল্য বিবাহ, মাদক, বিয়ের পরও কত নারী স্বামীর দাড়াই যৌন নির্যাতনের স্বীকার হয়- এসব ব্যাপারে মানুষ সচেতন হত তবেই কাজের কাজ হত।

পরিবর্তনের এরর বলতে আমি এমন কিছু এররের কথা বুঝিয়েছি যা পরিবর্তনের মধ্যেই থাকে। আপনাদেরকে মিন করিনি। তবে প্রসঙ্গ যেহেতু তুলেছেন তাই বলছি, সব কিছুতেই পক্ষ বিপক্ষ থাকে। পরিবর্তন কিভাবে হবে সেটাও এই পক্ষ বিপক্ষের দ্বন্দ্ব থেকেই নির্ধারিত হয়। তবে পরিবর্তন হবেই। কারন সামাজিক প্রথা কখনো স্থির থাকেনা। এখন সেই পরিবর্তনটাকে কোন পথে নেব সেই পথটা আমাদেরকেই বিনির্মাণ করতে হবে।

আশা করি কি বলতে চেয়েছি বুঝেছেন। যদি তারপরও কোন সংশয় থেকে থাকে তবে অবশ্যই নিঃসঙ্কোচে তা জানাবেন। আমি আমার অবস্থান থেকে উত্তর দেব। ধন্যবাদ আপনাকে। :)

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " আপনি পরিবর্তনের ব্যাপারটা ধরতে পারেননি। ১০-১২ বছরের ছেলেমেয়েদের প্রেমকে কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে তাদের সাথে কি ধরনের আচরন করা উচিৎ আমি সেই পরিবর্তনের কথা বলেছি। আপনি বারবার বলছেন যৌনাচারের কথা। বিকৃত যৌনাচার সে সমাজেই বেশী হয় যেখানে তা সাপ্রেশ করে রাখা হয়। এখন এদের এই কিস দেওয়াটাকে যদি আপনি অবাধ যৌনাচার বলে থাকেন তবে তাও অযৌক্তিক হবে। তাদের বুঝাতে হবে যে তাদের অনুভুতি খারাপ কিছুনা। তবে শারীরিক সম্পর্কের জন্য একটা বয়স আছে। তার আগে এসব করলে তাদেরই ক্ষতি হবে। তা না করে যদি তাদের পাপী বানিয়ে ফেলা হয় তবে তারা যা করার লুকিয়েই করবে। এখন যেমন অনেকেই সমাজের ভয়ে লুকিয়ে অনেক কিছু করতে বাধ্য হয় যার ফলে অপরাধও বেড়েই চলছে।" ----- এই কথাটি অত্যন্ত মূল্যবান একটি কথা ।

যে বুঝতে চাবে না তারে কিভাবে আপনি তারে এসব বুঝবেন ? তবে এটা সত্য প্রবলেম না হলে এর সমাধানও হয় না । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান কিছু কথা রাখার জন্য ।

৪৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অপ্‌সরা বলেছেন: গেমুভাইয়ার বিয়েতে দাওয়াৎ চাই!:)

হোয়াই নটট!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! অবশ্যই!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: গেমু নানা আমার দাওয়াত কৈ ? আপনি কি আমার উপর নাক কচ্ছেন ? :P

৪৯| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

অপ্‌সরা বলেছেন: লেখক বলেছেন: দুঃখিত আপনি পয়েন্ট বুঝতে পারেননি অথবা এই পোস্টের প্রধান উদ্দেশ্যটা হয় তো ধরতে পারেননি--- আপনাকে বলি শোনেন ---
১ . আমিও এটাকে সামাজিক প্রবলেম হিসেবে দেখছি আপনিও দেখছেন কিন্তু পার্থক্য হোল আপনি প্রবলেমটাকে নেগেটিভ ভাবে সমাধান করতে চাচ্ছেন আর আমি পজেটিভ্লি সমাধান করতে চাচ্ছি ।

২ . নেগেটিভ এই কারনে বলছি যে আপনি এটাকে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সেটাকে ক্রিমিনাল পানিশমেন্ট দিতে চাচ্ছেন আর আমি এটাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে নিচ্ছি এবং" অলটারনেটিভ ডিসপিউট রিজোলিউশনের" কথা ভাবছি ।

৩ . আমি প্রবলেম এর প্রধান কারণ গুলোর কথা বলছি আর আপনি কারণ গুলো একবার উচ্চারণ করেননি । বরং সহজ সমাধান খুজচ্ছেন শাস্তি দিয়ে ।

৪ . আমি সমস্যাকে সমূলে বিনাশের কথা ভাবছি আর আপনি টেম্পোরারি সমাধান করছেন । টেম্পোরারি এই কারনে যে --- আপনি সমস্যার মূলে হাত দিতে চাচ্ছেন না । সমস্যার মূল উৎপাটন না করলে এই সমস্যার কোন দিন সমাধান হবে না । যদি হয় হবে টেম্পোরারি সমাধান ।


এক কোটি লাইক! :)

আমিও এটাই বলতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এত সব খড়গহস্ত কমেন্ট দেখে ..... শক্তি সঞ্চয় করছি!

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বুঝেছি তোমার স্কচ টেপ খুলিয়া গিয়াছে । ;)

তোমার মন্তব্যের জন্যও এক মিলিয়ন , ট্রিলিয়ন লাইক ...

৫০| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৮

অপ্‌সরা বলেছেন: আর এটাকে তো প্রগতি ভাবার কোন কারণই নেই । নানাজান ......... আপনার কি ধারনা আমার মাথায় গোবর ??? এটা কিভাবে প্রগতি হবে????? ----- এটা হোল সোশ্যাল এটেটিউট , সোশ্যাল বিহেইভিওর ---- এই বিহেইভিওর কোথা থেকে এসেছে ?? এসেছে হলো আমাদের মডার্ন লাইফ স্টাইল থেকে ...।। এখন আপনি নির্ধারণ করবেন আপনি মডার্ন লাইফ স্টাইলে থাকবেন নাকি আপনার শাশ্বত সামাজিক এবং ধর্মীয় কাস্টমস এর আওতায় থাকবেন ।


গুড গুড গুড পয়েন্ট। কখনই থাকবো না তাহলে তো সেই আবারও আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। যখন মানুষ আগুনের ব্যাবহার জানতো না। কাঁচা মাংস খেত। B:-)


আপনি যদি মডার্ন লাইফস্টাইলে থাকতে চান তবে আপনাকে মডার্ন সমাধান খুঁজতে হবে , আর যদি তা না চান তবে বহিরবিশ্বের সাথে সমগ্র সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে টিভি চ্যানেল গুলো বন্ধ করে , ইন্টারনেট বন্ধ করে একঘরে হয়ে থাকতে হবে , ভায়া । এ বড় জটিল সমস্যা গো !!! আমি মাল্টি কালচারে থাকি তো আমি জানি কি হয় আমার মধ্যে ।


ইয়েস। সমাধান ! গেমু ভাইয়া আতেল হয়েও, নিজেকে বিজ্ঞান মনস্ক মনে করেও কোনো সমাধান না খুঁজে পাচ্ছে না,:( বিবর্তন পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে পারছে না!!!!!!!!!:( :( :(


গেমুভাইয়া তোমার মত এমন একজন জিনিয়াস মানুষের মুখে এমন কথা মানায় না। এখনকার বর্তমান সমাজের ম্যুভি, নেট, টিভি না দেখে তুমি কি পারবে তোমার বেবির চোখ দুটোকে বন্ধ রাখতে? কানদুটো তালা দিয়ে দিতে? নতুন প্রজন্ম যা দেখবে তাই শিখবে। নিজেদের সমাজের চোখে কোনটা রাখবো কি রাখবোনা তা নিজেদের ব্যাপার। এতই যদি মনে হয় এতে জাত গেলো তো ফিরেই যাই সেই আদিযুগে। যখন মানুষ আগুনের ব্যবহার জানতো না, কাঁচা মাংস খেত!!!!!!!!! :)

এবং তখন কিন্তু বর্তমান যে সমাজে বাস করছো তুমি সেটাও ছিলো না। মানুষের মাঝে বিবাহ প্রথাও অনেক অনেক পরে এসেছে। তোমার সমাজে যা সিদ্ধ অন্য সমাজে তা অসিদ্ধ বটে। এবং যুগে যুগে দিনে দিনে দেশ কাল ভেদে সমাজের নানা প্রথা,নিয়ম কানুন রীতিনীতিরও পরিবর্তন ঘটেছে।

এখন কথা হলো আমাদের সমাজে এই সব কিস মিস কি? হ্যাঁ আমার জেনেরেশনও এই কিস দেখে চক্ষু মুদবে। এমনকি আমিও লুইজ্জা পাইসি কিন্তু এই পরিবর্তন বন্ধ করা প্রায় অসম্ভবের পথে। করলে তা একমাত্র ধর্মীয় অনুশাসনে কট্টর নীতিতে আটকাতে হবে। তখন কিন্তু টিভি দেখা না জায়েজ হয়ে যাবে। ম্যুভি তো নাউজুবিল্লাহ। আর নেট মেট সবই বাদ।

:( :( :(

হায় হায় কি হবে তখন!!!!!!!!!!!!!! B:-)

হ্যাঁ এখন পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষা এমন হতে পারে যেখানে ছোট থেকেই ছেলেমেয়েকে শেখাতে হবে। এই মর্ডাণ যুগে উন্নত বহির্বিশ্বে যা কিছু হচ্ছে তা শুধু আমরা গ্রহন করবো আমাদের সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে। শিখাতে পারি ব্যাটম্যান বা স্পাইডার ম্যানের মত ম্যুভি দেখে কেউ যেমন ২০ তলা থেকে লাফ দিতে পারবেনা সেটা হবে অবাস্তব তেমনি আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতেও এই কিস মিস বড়দের চোখে সমাজের চোখে গ্রহনযোগ্য নয়, ম্যুভি বা বহির্বিশ্বের আধুনিকায়ন দেখেও তা গ্রহনযোগ্য নয়। তবে এই শিক্ষাও কতদিন কতটুকু মানবে এই নতুন প্রজন্ম তা ভাবনার বিষয় বটে। কাজেই সমাজের পরিবর্তন দিনে দিনে যা পরিবর্তিত হয়েছে তা ঠেকাতে কেউ কখনও পারেনি পারবেও না শুধু নিজ জাত সংস্কৃতির কাছে মূল্যবোধ কতটুকু কতখানি কতদিন ধরে রাখা যাবে (যদিও আদৌ তার প্রয়োজন আছে কিনা তাও জানিনা। ) সেটাই ভাবা যেতে পারে। যদিও তেমন লাভ নেই!


উফ টায়ার্ড হয়ে গেলাম!!!!!!

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " গুড গুড গুড পয়েন্ট। কখনই থাকবো না তাহলে তো সেই আবারও আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। যখন মানুষ আগুনের ব্যাবহার জানতো না। কাঁচা মাংস খেত।" --- হা হা ... কেউ কেউ মনে হয় পিছন দিকেই হাঁটতে চায় । মরি মরি !! হায় হায় !!

অনেক সমাধান আছে আমার কাছে এখন খোলা খুলি বলতেও পারি না । কিছুটা প্রচেষ্টা চালিয়েই যে অবস্থা !!

সরি আপু উত্তর দিতে দেরি হোল -- বাচ্চাকাচ্চার সংসার তো , বাচ্চাকাচ্চাও ডাণ্ডা করতে হয় আবার ব্লগের হাউকাউও মেটাতে হয় । যাক ভালো লাগলো তোমার সহমত আর দৃষ্টিভঙ্গি ।

৫১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বাপরে!!
এততো রেগে গেলে হবে??
আমি আপনার এই রিপ্লাইয়ে পুরাই!!!!!!!! গেছি!!!!!!!!! গুলনানী!!!!!!! সম্ভবত আপনি এখন রাগের মাথায় কথা বলছেন!!!!!!!!!!! আমার পুরো মন্তব্য পড়ে থাকলে আপনাকে এত এত কথা বলতে হতো না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :| :|

তবে, আমার মতে মানুষের বিয়ে/প্রেম ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি ব্যাপার। একা একা মনের মানুষটির কথা ভেবে ভেবে আগেকার মেয়েরা/ছেলেরা কষ্ট পেয়েছে কিন্তু সমাজ/পরিবার/প্রত্যাখানের ভয়ে কিছুই করতে পারতো না। এই ব্যাপারে আসলেই ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার।
মানে, একটি মেয়ে/ছেলের নিরাপদ বয়সে যৌনতায় আপত্তি না করতে সমাজের দৃষ্টিভংগির অভিযোজন ঘটানো উচিত। বিয়ের ব্যাপারে যে কড়াকড়ি ও খরচের ব্যাপার থাকে সে ব্যাপারে শিথিলতা আরোপ করা যেতে পারে। তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের চিন্তা করতে গিয়ে মা-বাবার উচিত নয় যৌন চাহিদা পুরণে বাঁধার সৃষ্টি করা। সর্বোপরি সভ্য, সুন্দর ও সুস্থতর একটি উপায়ের অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের, যাতে যৌনতা থেকে সংঘঠিত অপরাধগুলো কমে যেতে থাকে।


#১ পার্থক্য হোল আপনি প্রবলেমটাকে নেগেটিভ ভাবে সমাধান করতে চাচ্ছেন আর আমি পজেটিভ্লি সমাধান করতে চাচ্ছি ।
#২ আপনি এটাকে ভয়াবহ অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সেটাকে ক্রিমিনাল পানিশমেন্ট দিতে চাচ্ছেন আর আমি এটাকে সামাজিক সমস্যা হিসেবে নিচ্ছি এবং" অলটারনেটিভ ডিসপিউট রিজোলিউশনের" কথা ভাবছি।
##২ বরং সহজ সমাধান খুজচ্ছেন শাস্তি দিয়ে

আরেহঃ আমি তো এটার পজেটিভ সমাধান চাচ্ছি। খুব সম্ভবত আপনিও চাচ্ছেন তবে আপনার-টা পুরোপুরি পরিস্কার মনে হলো না। উপরে বোল্ড করা অংশে কি কি নেগেটিভ কথা আছে সেটা কি আমাকে বলবেন। অথবা অন্য কোথাও যেখানে আমার বক্তব্য নেগেটিভ ব্যাপারে পরিণত হচ্ছে। তবে পর্যালোচনা করার সময় আপেক্ষিকভাবে অবশ্যই নেগেটিভ আকারে কথা উঠে আসে যেটা স্টেটমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। আমি তো কেবল এই বোল্ড করা অংশেই সমাধান নিয়ে কথা বলেছিলাম। এখানে কোথায় পানিশমেন্টের কথা/শাস্তির কথা বললাম আমি???



#৩ আমি প্রবলেম এর প্রধান কারণ গুলোর কথা বলছি আর আপনি কারণ গুলো একবার উচ্চারণ করেননি ।
এর কারণ নিয়ে আলোচনা করার দরকার বোধ করি নি। কারণ আজ আকাশ সংষ্কৃতি শুধু স্যাটেলাইটে না, ইন্টারনেট, পেপার/পত্রিকা সবকিছুর মাধ্যমেই ধেয়ে আসছে!!!!!!

#৪ আমি সমস্যাকে সমূলে বিনাশের কথা ভাবছি আর আপনি টেম্পোরারি সমাধান করছেন । টেম্পোরারি এই কারনে যে --- আপনি সমস্যার মূলে হাত দিতে চাচ্ছেন না ।
সমস্যার মূলে হাত দিই নি এই কথাটি একদম ঠিক বলেছেন। সবাই মিলে আলোচনা করে সমস্যার মূল বের করার জন্যই তো এই পোস্ট নয় কী?
তবে আরেকটা কথা বলা দরকার, এই ইঁচড়ে পাকা ছেলে মেয়েদের এইসব পাঁকামোর পেছনে আজকালকার প্রযুক্তির অবদান যে সবচেয়ে বেশি সেটা সবাই জানি। আর আমিও কিন্তু এইগুলো জেনেই বলেছিলাম ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা। যাতে প্রযুক্তিও থাকে আর ট্রান্সফর্মেশনটা হয় পজিটিভ ওয়েতে। :)

#৫ আর এটাকে তো প্রগতি ভাবার কোন কারণই নেই । নানাজান ......... আপনার কি ধারনা আমার মাথায় গোবর ??? এটা কিভাবে প্রগতি হবে????? ----- এটা হোল সোশ্যাল এটেটিউট , সোশ্যাল বিহেইভিওর

প্রগতির অংশ বলে না ভাবলে আমার কিছু করার নেই। পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে সমাজের মানুষের দৃষ্টিভংগি/আচার/যন্ত্র-উপকরণ সবকিছুর পরিবর্তনই হলো প্রগতি। তাহলে এটাকে এর সাথে না মেলালে ক্যামনে কী!!!!!!!!!! :||

#৬ এই বিহেইভিওর কোথা থেকে এসেছে ?? এসেছে হলো আমাদের মডার্ন লাইফ স্টাইল থেকে ...।। এখন আপনি নির্ধারণ করবেন আপনি মডার্ন লাইফ স্টাইলে থাকবেন নাকি আপনার শাশ্বত সামাজিক এবং ধর্মীয় কাস্টমস এর আওতায় থাকবেন।
#৭ মডার্ন লাইফস্টাইলে থাকতে চান তবে আপনাকে মডার্ন সমাধান খুঁজতে হবে , আর যদি তা না চান তবে বহিরবিশ্বের সাথে সমগ্র সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে টিভি চ্যানেল গুলো বন্ধ করে , ইন্টারনেট বন্ধ করে একঘরে হয়ে থাকতে হবে , ভায়া । এ বড় জটিল সমস্যা গো !!! আমি মাল্টি কালচারে থাকি তো আমি জানি কি হয় আমার মধ্যে ।


এই যে আপনি মডার্ন লাইফ স্টাইল বলে কিছু মিন করছেন। এটা কিন্তু প্রগতিই। :) আবারো বলছি অধূনা দুনিয়ার সাথে এগিয়ে থাকাটাই হলো প্রগতি। এখন আমি কি কোথাও বলেছি বলেন মডার্ন লাইফ স্টাইল থেকে বিচ্যুত হয়ে পেছনে একঘরে হয়ে পড়ে থাকতে???
এত এক্সট্রিম ভাবনা ভাবলে কি চলে?? আলোচনা করতে হলে তো সহনশীল ও যথাসম্ভব শান্ত আচরণ করা দরকার নয় কী? :|

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ও আল্লারে !! আমারে মাইরালা !!! |-)
এখন তো প্রগতি নিয়ে কথা বলতে হবে ---- প্রগতি তো প্রগ্রেস আর এটা হোল সোশ্যাল ক্রাইসিস , যেখানে আমারা সবাই সমাধান খুচ্ছি । এটা প্রগতি না গো নানাজান !!!!!!!!

আপনি উপড়ে বোল্ড করে যা বলেছেন সেটা আমার আলোচনার বিষয় না , কাজেই ওটা অপ্রাসঙ্গিক , তাই ও ব্যপারে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করিনি । আপনি বলেছেন ভালো কথা কিন্তু আমি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করি না , পয়েন্ট টু বি নটেট , মাই নানাজান ।

এখানের বিষয় হোল ---- প্রকাশ্য প্রেম নিবেদন -- কিসিং আলিংগন -- এর টলারেন্স লেভেল কি হওয়া উচিৎ -- এই সমস্যা কোথা থেকে এসেছে --- এর সমাধান কি ?

আপনি কোথায় পজেটিভ সমাধান চাচ্ছেন ? আপনার কথায় ফুটে উঠেছে আপনি ওদের শাস্তি দিতে চান ওদের দায়িত্ব বোধ না শিখিয়ে । ওদের অপরাধী ভাবছেন আপনি যেই আপনি তথা সমাজ ওদের শিখিয়েছেন কিসিং ভালোবাসা --- ওরা তো অপরাধী না --- ওরা ভিক্টিম । অপরাধী যদি কেউ হয় সেটা আমি আপনি সমগ্র সমাজ । তাহলে কেন ওদের ধিক্কার দেব ? ভ্রু কুঁচকে ওদের দিকে তাকাবো ?

আমি এক্সট্রিম না আমি যে কতটা নমনীয় হেইডা এতো দিনেও বুঝেনি --- বড়োই কষ্ট পেলাম । :(


০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হাই গেম , জেন আপনাকে উত্তর করেছে ৫২ নম্বরে ।

৫২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

জেন রসি বলেছেন: @জিনি ভাই, পরিবর্তের ক্ষেত্রে আপনি অপ্রয়োজনীয় প্রথার বিলোপ করতে বলছেন। এখন কথা হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় প্রথগুলো কি কি সেটা জানা জরুরী! আর এইগুলো কোন দৃষ্টিকোণ/তত্ব থেকে অপ্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে?

অনুকূল পরিবেশ কিন্তু এমনি এমনি সৃষ্টি হবেনা। সৃষ্টি করতে হবে। এসব ভিডিও দেখে জাত গেল গেল বলে রব তুললে সেই পরিবেশ সৃষ্টি হবেনা।

এখানে আপনি চাচ্ছেন এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে যেখানে জাত গেল বলে রব উঠবে না। খুবই ভাল কথা, কিন্তু এটা অবশ্যই দেখার দরকার আছে যে- এই পরিবেশ সৃষ্টি করলে জাতিগতভাবে আমাদের কি কি লাভ হবে? আর এই পরিবেশ থাকায় কি কি সমস্যা হচ্ছে?




আমি হালকা ভাবেই বলার চেষ্টা করছি। কারন না হলে অনেকেই কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে।এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে বুঝতে হবে পাপ কি? মানে সমাজে কিছু ব্যাপারকে পাপকাজ বলে গণ্য করা হয়। আইন কানুনের সাথে তার একটু পার্থক্য আছে। তবে ধর্ম এবং কালচারের সাথে গভীর সম্পর্ক আছে। যেমন ধরেন একটা সময় হিন্দু রক্ষণশীল সমাজে সতী দাহ প্রথা ছিল। মানুষ মৃত স্বামীর সাথে বউকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারাটাই ঠিক কাজ মনে করত! বরং না করাটাকেই পাপ মনে করত। আবার ধরেন বিধবা বিবাহকে পাপ মনে করত। এসব কিন্তু সমাজের অধিকাংশ মানুষেরই বিশ্বাস ছিল। কিন্তু এখন অধিকাংশ মানুষই এসবকে কুপ্রথা মনে করে। মাঝখানের সময়টা এমন কি হইল যে মানুষের ধারনা পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বিদ্যাসাগররা এখানে একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি করে গেছেন। যা বিবর্তিত হইতে হইতে একটা পরিবর্তিত দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরিত হয়েছে। এখন দেখেন মুস্লিম সমাজে আগে মেয়েদের ঘরে বসে থাকাটাকেই ঠিক মনে করা হইত। তারপর শিক্ষা দেওয়ার প্রচলন শুরু হইল বেগম রোকেয়াদের চেষ্টার ফল হিসাবে। কিন্তু এর মানে কিন্তু এই না যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। সমস্যা সবসময়ই থাকবে। তার সমাধানের উপায়ও থাকে। তাই সামাজিক প্রথাগুলোরও পরিবর্তন হবে। এখন আপনারা বলেন পরিবর্তন হোক, কিন্তু সেটা এ দেশের কালচার অনুযায়ী হতে হবে। এবার নিজেদের দিকে একটু তাকাইয়া দেখেন। আমরা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছি তা ২০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে কতটা পরিবর্তিত? কিছু ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনই বলতে হবে। জাতীয় খেলা কাবাডি ছাইড়া ইংল্যান্ডে থেকে আমদানিকৃত ক্রিকেট নিয়া এত মাতামাতি কেন? এসব হাল্কা উদাহরন আলোচনার জন্যই দিলাম। অর্থাৎ পরিবর্তন হবেই। আমার আপনারও হয়েছে। আমি আপনিও আমাদের বাবা মায়ের সব ধারনা মেনে নেই নাই। আমাদের পরের প্রজন্মও মাইনা নিবেনা। এটাই স্বাভাবিক।

প্রকাশ্যে প্রেমের ব্যাপারটা কোন ভাবেই খারাপ না। বরং এটাই সমাজের জন্য সুস্থ চর্চা। এখন বিতর্কটা হচ্ছে আন্ডার এইজ ছেলেমেয়েদের নিয়ে। তারা প্রযুক্তির কারনে আগেই অনেক কিছু সম্পর্কে ধারনা পেয়ে যাচ্ছে। প্রেমের ব্যাপারটা এবং শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারটাও তেমন। এখন তাদের মধ্যে যদি এসব সম্পর্কে একটা খারাপ ধারনা ধুকিয়ে দেওয়া হয় তাদের পানিস করে অথবা ট্রল করে তবে তার পরিনাম হবে ভয়াবহ। সাপ্রেস হয়ে এরাই তখন পর্ন এডিক্ট হয়ে যাবে। হচ্ছেও। এবং তার পরিনামও আমরা দেখছি। তাদের বরং খুব বন্ধুর মত শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা দেওয়া যেতে পারে।

এই দেশে বর্ষবরণের উৎসবে যৌন হয়রানীকারীরা ধরা পড়েনা। অথচ প্রপোজ করার অভিযোগে টিসি দেওয়া হয়। সুতরাং আমি কি পরিবর্তনের কথা বলতে চেয়েছি তা আশা কড়ই বুঝতে পেরেছেন। এমন একটা সমাজ যেখানে নারীরা নিরাপদ থাকবে ঘরে বাইরে সবখানে এবং যেখানে ভালোবাসকে উৎসাহ দেওয়া হবে এবং হয়রানীকারীদের পানিস করা হবে। খুব সহজ ভাবেই বলার চেষ্টা করলাম।

আমার প্রিয় কবি Kahlil Gibran এর On Children কবিতাটি দিলাম।

Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life's longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.

You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday.

You are the bows from which your children
as living arrows are sent forth.
The archer sees the mark upon the path of the infinite,
and He bends you with His might
that His arrows may go swift and far.
Let your bending in the archer's hand be for gladness;
For even as He loves the arrow that flies,
so He loves also the bow that is stable.

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " আমরা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছি তা ২০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে কতটা পরিবর্তিত? কিছু ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনই বলতে হবে। জাতীয় খেলা কাবাডি ছাইড়া ইংল্যান্ডে থেকে আমদানিকৃত ক্রিকেট নিয়া এত মাতামাতি কেন? এসব হাল্কা উদাহরন আলোচনার জন্যই দিলাম। অর্থাৎ পরিবর্তন হবেই। আমার আপনারও হয়েছে। আমি আপনিও আমাদের বাবা মায়ের সব ধারনা মেনে নেই নাই। আমাদের পরের প্রজন্মও মাইনা নিবেনা। এটাই স্বাভাবিক। " ---- অসাধারণ বলেছেন ।

এই কথাটা আমিও সবাইকে বোঝাতে চাই কিন্তু কেউ বোঝে না :(


" You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday." ---- কি সুন্দর কথা গুলো , কিন্তু এগুলো কে বোঝাবে কাকে ? উল্টা মিনিং বের করে ছেড়ে দেবে আপনাকে ।

আপনার প্রতিটি মন্তব্যে অসাধারণ চিন্তার স্রোত ধারা দেখলাম আমি । আপনাকে উত্তর দেরি করে করেছি কারণ আপনার প্রতিটি শব্দ এবং বাক্যের সাথে আমি একমত ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ জেন ।



৫৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

জেন রসি বলেছেন: ৫২ নং কমেন্টটা গেম ভাইয়ের জন্য। :)

৫৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: গেমের সাথে আদিম যুগের কোনো মহামানবীকে বিয়ে দেওয়া হোক।:)


আর তারপর তাহারা সুখে শান্তিতে বাস করিবেক।( গুহায় :) )

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: গেম কিন্তু বিয়েতে দাওয়াত দিবে না । এখন তাকে তেলাইতে হবে , না হলে দাওয়াত মিস । :P

৫৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৭

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: " আমরা এখন যেভাবে জীবন যাপন করছি তা ২০ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে কতটা পরিবর্তিত? কিছু ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনই বলতে হবে। জাতীয় খেলা কাবাডি ছাইড়া ইংল্যান্ডে থেকে আমদানিকৃত ক্রিকেট নিয়া এত মাতামাতি কেন? এসব হাল্কা উদাহরন আলোচনার জন্যই দিলাম। অর্থাৎ পরিবর্তন হবেই। আমার আপনারও হয়েছে। আমি আপনিও আমাদের বাবা মায়ের সব ধারনা মেনে নেই নাই। আমাদের পরের প্রজন্মও মাইনা নিবেনা। এটাই স্বাভাবিক। " ---- অসাধারণ বলেছেন ।



আরেকটা কথা মনে পড়ে গেলো.......আগের দিনে নাকি ডক্টর কোনো মহিলা রোগীকে দেখতে এলে তার নাড়ী পরীক্ষা করা হত একটা দড়ি হাতে বেঁধে দিয়ে। সেই দড়ির অপর প্রান্তে পাশের রুমে থাকতো ডক্টর সাহেব। সেমতাবস্থায় রোগিনীর নাড়ি দেখা চলিত!!!!!!!!!!

পর্দা রক্ষার সুবিধার্থে ডক্টরগণ ধাপ্পাবাজ না হইয়া আর উপায় ছিলো না। আর রোগিনী ততক্ষনে পর্দাবাজী আর ধাপ্পাবাজীতে পরপারে যাত্রা করিত।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলেই , ভীষণ কুসংস্কারচ্ছন্ন ছিল আগের দিনের মানুষ । এর পরিবর্তন এক দিনে হয়নি ; ধীরে ধীরে হয়েছে । এই সব প্রবলেম গুলো যুগে যুগে এসেছে এবং আসবে চিরকালই , তাই এগুলো নিবারণ এই সমাজকেই করতে হবে ।

ধন্যবাদ আপু , আর দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য । ভালো থাক আর রমজানের শুভেচ্ছা ।

৫৬| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৫

সাহসী সন্তান বলেছেন: এত জন গুরুত্বপূর্ন একটা পোস্টকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জাতি মনে করছে! এই ব্যাপারে লেখিকাকে আরো কঠোর সতর্কতাবলম্বন করার জোর সুপারিশ প্রদান করা হইলো! আশাকরি পূর্বাবস্থার মত এবারও তিনি এদিকে সদয় দৃষ্টি জ্ঞাপন করবেন! ;)

জেন রসি ভাইয়ের মন্তব্য সহ প্রত্যেকটা মন্তব্যও আমি পড়েছি আপু! গতকাল থেকে এই পোস্টটার দিকেই আমার দৃষ্টি ছিল সব থেকে বেশি। আর সেই সুবিধার জন্য পোস্টটা আমি বুকমার্কও করে রেখেছিলাম!

যাহোক ধন্যবাদ আবারও!

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সাহসী । আসলেই , অনেকেই পোস্টের আসল উদ্দেশ্য ধরতে না পেরে অযথা খালি অপ্রাসঙ্গিক দিকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে । অপ্রাসংগিগ বিষয় এনে শুধুই সময় নষ্ট হয় । পরীক্ষার খাতায়ও দেখেছি অপ্রাসংগিগ বিষয় আনলে ০ মার্ক দেয় শিক্ষকরা ।

দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য । রমজানের শুভেচ্ছা রইল ।

৫৭| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা বলেছেন: গেমের সাথে আদিম যুগের কোনো মহামানবীকে বিয়ে দেওয়া হোক।:)

আর তারপর তাহারা সুখে শান্তিতে বাস করিবেক।( গুহায় :) )


হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ :) :) :)
এটা হলে তো আরো ভালো!!!!!!!!!!! এক্কেরে এক্কেরে ন্যাচারাল সব। সব ন্যাচারাল!!!!!!!!! এটা হলে আমার চেয়ে সৌভাগ্য আর কার হতে পারে??????

@গুলনানী
০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮ ০
লেখক বলেছেন: গেমু নানা আমার দাওয়াত কৈ ? আপনি কি আমার উপর নাক কচ্ছেন


হেঃ হেঃ হেঃ হেঃ
ভুলে গেলেন। :|| আমি যে নাক কলি নাহঃ

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: জানি তো আপনি নাক করেন না । :D

৫৮| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২১

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @অপ্সারপু!!!!!!!!!

গুড গুড গুড পয়েন্ট। কখনই থাকবো না তাহলে তো সেই আবারও আদিম যুগে ফিরে যেতে হবে। যখন মানুষ আগুনের ব্যাবহার জানতো না। কাঁচা মাংস খেত। আমি কি তাই বলেছি! এদিকে যেতে হবে? =p~ =p~ =p~
....
ইয়েস। সমাধান ! গেমু ভাইয়া আতেল হয়েও, নিজেকে বিজ্ঞান মনস্ক মনে করেও কোনো সমাধান না খুঁজে পাচ্ছে না,:( বিবর্তন পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে পারছে না!!!!!!!!!:( :( :(

হাঃ হাঃ হাঃ আমি কিন্তু সমাধানের একটা পথ বের করেছি। আর এটা উপরে বোল্ড করে বলা আছে!!!!!!!!!!! :) :)

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: উপরে বোল্ড করা অংশটি অপ্রাসঙ্গিক । আপনি প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে ওখানে বলেছেন আর আমি অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রেম নিয়ে আলোচনা করছি । :D

৫৯| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: সমাধান কানে কানে যা বলছো এইখানে প্রকাশ করে দিলে !!! হি হি হি


হো হো হো ......যাকগে এতক্ষনে বুঝিলাম আদিযুগের গুহামানব তুমি!!!!!!!!! :)

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা , আসলেই তাই

৬০| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: ৫২ নং কমেন্টে লাইক। আমি আবার বলবো, শিশুরা অপরাধ করে না, ওরা ভুলই করে। ক্ষতিকর বা অনুচিত হলে তা কেন ক্ষতিকর বা অনুচিত তা আগে বোঝান। আর অবরোধ আরোপ করে কিছু ঠেকিয়ে রাখা যায় না, বরং আকর্ষন আরও বাড়ে। আর ছোটোবেলা থেকে জেনে আসছি এটা খারাপ, এটা অন্যরাও করতে পারবে না। কেন পারবেনা তার তেমন যৌক্তিক উত্তর তাদের কাছে নেই। আস্তিক থেকে নাস্তিক কিংবা উল্টোটা সহজে সম্ভব, কিন্তু অনেকদিনের অভ্যাস বা আচরণ নয়। তাই একজন নাস্তিকও দেখবেন এই ধরনের ঘটনার পর বলে বসবে, নৈতিকতার আর কিছু অবশিষ্ট নাই। সব ধ্বংস হয়ে গেলো। স্বাভাবিক আচরণের সাথে অনেককিছুর ত্যানা প্যাচাবো। নিজের সময় ভুলে যাবে। ভুলে যাবে যে নিজে এমন স্বাধীনতা পেলে কেমন আচরণ করতে পারতো। জ্বী ভাই বোনেরা, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই মাস্টারবেশন পৃথিবীর ৯৫% নরনারী শিখে যায়। যে বলে যে, না, আমি এইসব আমাদের সময় করিনাই। সে সম্ভবত নারী পুরুষের ইনবিটূইন কিছু ছিলেন এবং আছেন। যৌনতার ধারনা বাপ মা শিক্ষক দেবার আগেই জেনে যাচ্ছে শিশুরাও। এক্সেস তো অবাধ।

মারমার কাটোকাট অবস্থান নিয়ে তাদের এসব ভালো না খারাপ বোঝানো যাবে না। দরকার তাদের সাথে বন্ধুর মত আচরণ এবং তারা যেন নির্দ্বিধায় অনেককিছু শেয়ার করে, সেটার দিকে নজর দেয়া।

ধন্যবাদ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " শিশুরা অপরাধ করে না, ওরা ভুলই করে।" ---- এটা অত্যন্ত মূল্যবান কথা বলেছেন । এই কথাটিই কাউকে কাউকে বোঝানো এতো কঠিন । মাঝে মাঝে মনে হয় এরা কি বুঝে বোঝে না নাকি সত্যিই বোঝে না ।

আমিও বোঝাতে চাচ্ছি যে আমরা অবাধ এক্সেস দিবো ওইসব তথা কথিত অন্যায় করার জন্য আবার আমারাই তাদের অন্যায়ের শাস্তি দেবো । ছেলেমেয়ে দের দায়িত্ব কর্তব্য শেখাব না আবার আবার শাস্তি দেবার সময় অতি মাত্রায় শাস্তি দেব । এটা হতে পারে না ।

৬১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা বলেছেন: সমাধান কানে কানে যা বলছো এইখানে প্রকাশ করে দিলে !!! হি হি হি

হো হো হো ......যাকগে এতক্ষনে বুঝিলাম আদিযুগের গুহামানব তুমি!!!!!!!!! :)


হাঃ হাঃ হাঃ B-) =p~ =p~ =p~

তাহারে পাইতে আমি গুহা মানব কেন? পাহাড়ের নীচের খাদমানব হইতেও রাজি আছি......... :-P

৬২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

শায়মা বলেছেন: ৬২. ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৫ ০
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শায়মা বলেছেন: সমাধান কানে কানে যা বলছো এইখানে প্রকাশ করে দিলে !!! হি হি হি

হো হো হো ......যাকগে এতক্ষনে বুঝিলাম আদিযুগের গুহামানব তুমি!!!!!!!!! :)

হাঃ হাঃ হাঃ B-) =p~ =p~ =p~

তাহারে পাইতে আমি গুহা মানব কেন? পাহাড়ের নীচের খাদমানব হইতেও রাজি আছি......... :-P



হা হা হা গেমু সাহস করে নামটা বলে ফেলো! নাকি আমিই বলে দেবো!!!!!!!!

তারপর তোমার কপালে কি জুটে আমার দেখার ইচ্ছা!!!!!! :D


হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা

৬৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:০৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: @শায়ামপু!

এইভাবে নাম বলে দিলে কিন্তু খবর আছে!!!!!!!!!!! X(( X(

৬৪| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ///////////ও আল্লারে !! আমারে মাইরালা !!! |-)
এখন তো প্রগতি নিয়ে কথা বলতে হবে ---- প্রগতি তো প্রগ্রেস আর এটা হোল সোশ্যাল ক্রাইসিস , যেখানে আমারা সবাই সমাধান খুচ্ছি । এটা প্রগতি না গো নানাজান !!!!!!!!

আপনি উপড়ে বোল্ড করে যা বলেছেন সেটা আমার আলোচনার বিষয় না , কাজেই ওটা অপ্রাসঙ্গিক , তাই ও ব্যপারে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করিনি । আপনি বলেছেন ভালো কথা কিন্তু আমি অপ্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সময় নষ্ট করি না , পয়েন্ট টু বি নটেট , মাই নানাজান ।

এখানের বিষয় হোল ---- প্রকাশ্য প্রেম নিবেদন -- কিসিং আলিংগন -- এর টলারেন্স লেভেল কি হওয়া উচিৎ -- এই সমস্যা কোথা থেকে এসেছে --- এর সমাধান কি ?

আপনি কোথায় পজেটিভ সমাধান চাচ্ছেন ? আপনার কথায় ফুটে উঠেছে আপনি ওদের শাস্তি দিতে চান ওদের দায়িত্ব বোধ না শিখিয়ে । ওদের অপরাধী ভাবছেন আপনি যেই আপনি তথা সমাজ ওদের শিখিয়েছেন কিসিং ভালোবাসা --- ওরা তো অপরাধী না --- ওরা ভিক্টিম । অপরাধী যদি কেউ হয় সেটা আমি আপনি সমগ্র সমাজ । তাহলে কেন ওদের ধিক্কার দেব ? ভ্রু কুঁচকে ওদের দিকে তাকাবো ?

আমি এক্সট্রিম না আমি যে কতটা নমনীয় হেইডা এতো দিনেও বুঝেনি --- বড়োই কষ্ট পেলাম ।////////


প্রথমেই বলে নিই, আমরা বিতর্কের দিকে চলে যাচ্ছি এবং নিজের মতকে শক্তিশালি হিসেবে প্রতিষ্টিত করতে আদাজল খেয়ে লাগছি। সেটা করতে গিয়ে প্রসংগ বদলে যাচ্ছে এবং নতুন নতুন টার্ম যুক্ত হচ্ছে কেবল। অথচ আমাদের এখানে আলোচনার কথা ছিল।

#১ প্রগতি তো প্রগ্রেস আর এটা হোল সোশ্যাল ক্রাইসিস

@গুলনানী,
প্রগতি নিয়ে আপনি দ্বিমত করলেন। সোশাল ক্রাইসিস বলতে যেটা বোঝাচ্ছেন সেটা হলো সোশ্যাল প্রগ্রেস এর আলোচনার অন্তর্ভুক্ত অধ্যায়!! আপনি এ-জন্য Oxford university press থেকে প্রকাশিত Civilization in East and West : an introduction to the study of human progress দেখতে পারেন।

#২ আপনি উপড়ে বোল্ড করে যা বলেছেন সেটা আমার আলোচনার বিষয় না

!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
হাঃ হাঃ হাঃ তাহলে বোল্ডকৃত অংশটি কি পড়েন নি?
যদি পড়েও থাকেন এই কথাটি একদমই ভুল বললেন। কারণ এই বোল্ডকৃত অংশেই আমার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে। একদম পুরোপুরি!! এখানেই সমস্যার সমাধান কিভাবে দেয়া যেতে পারে সেটার জন্য আমি আমার চিন্তাধারা তুলে ধরেছি। :)
অথচ এই গুরুত্বপুর্ণ অংশটুকুই আপনি অবজ্ঞা করেছেন যার ফলে আপনি দুনিয়া থেকে পিছু হটে টিভি/ইন্টারনেট থেকে সরে যাবার মতো অপ্রাসংগিক কথা তুলতে পেরেছেন।
পুনরায় বলছি! এই বোল্ডকৃত জায়গাটুকু ঠান্ডা মাথায় পড়ে দেখুন, আমি কিন্তু বাচ্চাদের আবেগ/ভালবাসা/ভাললাগাকে গুরুত্ব দিয়েই কথাগুলো বলেছি। বিয়ের মতো গুরুত্বপুর্ণ ব্যাপারকে সামাজিক দৃষ্টিকোন থেকে বিশাল বড় না করতে বলেছি। এটাকে সহজ করার কথা বলেছি।

#৩ আপনি কোথায় পজেটিভ সমাধান চাচ্ছেন ? আপনার কথায় ফুটে উঠেছে আপনি ওদের শাস্তি দিতে চান ওদের দায়িত্ব বোধ না শিখিয়ে । ওদের অপরাধী ভাবছেন

আপনি আগের অভিযোগের রিপিট করেছেন এখানে। আমি এটা অস্বিকার করেছি আগেই। আপনার ঐ মন্তব্যে কোট করে দেখিয়ে দেওয়া উচিত ছিল যে আমি ওদের অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করেছি এবং শাস্তি দিতে চেয়েছি। এটা নিয়ে আর কথা বলছি না। আগে আপনি কোটেশন দিয়ে দেখিয়ে দিন, আমি তাদের অপরাধি হিসেবে ভাবছি এবং শাস্তির কথা বলেছি।
:) অনুরোধ রইল, অযথা বাক্য আরোপ করে প্রসংগের বাইরে আলোচনা না নিয়ে যাওয়ার জন্য।

#৪ আমি এক্সট্রিম না আমি যে কতটা নমনীয় হেইডা এতো দিনেও বুঝেনি --- বড়োই কষ্ট পেলাম

আমি সত্যিই দুঃখিত এই শব্দটি ব্যবহার করার জন্য। এটা ব্যবহার করার কারণ হলো আপনি প্রসংগটির সাথে আরো কতিপয় উপাদান জুড়ে দিয়েছেন আমার ওপর আরোপ করে এবং চিন্তাগত দিক বিবেচনায় তাতে অনেকটা ঐ রকমেরই কাঁচামাল ছিল। যাইহোক, প্রসংগ টেনে বড় হয়ে যাচ্ছে কিভাবে আমি উপরে দেখিয়ে দিলাম।

#৫ এখানের বিষয় হোল ---- প্রকাশ্য প্রেম নিবেদন -- কিসিং আলিংগন -- এর টলারেন্স লেভেল কি হওয়া উচিৎ -- এই সমস্যা কোথা থেকে এসেছে --- এর সমাধান কি ?

ভাল কথা বলেছেন। এইগুলোর টলারেন্স লেভেল কি হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্য যদি থাকে তাহলে আপনার সচেতন থাকা দরকার ছিল যাতে আলোচনা অযথা প্রলম্বিত না হয়। আপনি চাইলে আমি কোট করে দেখাতে পারব- আপনার কি কি স্টেটমেন্ট প্রসংগকে বড় করে তুলছে।

যাইহোক, আমি সমাধানের জন্য আহবান করেছি যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নিরাপদ বয়স বলে বিবেচিত হয় এমন বয়সেই ছেলে-মেয়েদের ভালবাসার চাহিদা পুরণ করতে দেয়া যায়।
আসলে, সমাধানের ব্যাপারে আমার চিন্তাধারা তুলে ধরছি উপযুক্ত বয়সের আগে, তাদের অন্য যেকোনও বিপরীত লিংগের মানুষটিকে ইগনোর করতে শেখাতে হবে। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ও সময়ের অপেক্ষায় থাকা শেখাতে হবে।
এবং লক্ষ্য করবেন, আমি ধর্মকে একবারও টেনে আনিনি। এমনকি সামাজিক প্রথাকেও। কারণ সামাজিক প্রথা নতুন করে তৈরির জন্যই আমার/আমাদের এপ্রোচ!!! আর অবশ্যই সেজন্য বারবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা বলছি। :) :)
সো.., থিংক অন পজিটিভ ম্যানা_!!!!!!!!! :) ওকে?

@জিনি ভাই, আপনার অগ্রগতির লক্ষ্যে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমার মিল আছে। আপনার মন্তব্যের জন্য সময় নিয়ে আসছি। :) :)

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: -------" কিন্তু প্রগতি বলতে কি লজ্জাবোধের হৃাস মিন করে? অথবা সামাজিক সিস্টেমের কলাপসকে বোঝায়? কিংবা সামাজিক মুল্যবোধের পরিবর্তন?

সত্যি কথা বলতে কি প্রগতি প্রকৃষ্ট গতি তথা সভ্যতার উন্নতিকে বোঝায়। আপাদমস্তক বোরকায় ঢেকে ফেলা যেমন সভ্যতার অবনতি ঠিক তেমনি বিকিনি/নগ্নতা/লজ্জাহীনতাও সভ্যতার অধঃপতন।
এখন কেন নগ্নতা/বোরকা উভয়ই প্রগতির অন্তরায় সেটা বুঝতে হলে সার্বজনীন মানদন্ড হিসেবে বিজ্ঞান ও মানুষের মানবিক বোধ-বিবেচনা/নৈতিকতার দিকে যেতে হবে।"--------গেম চেঞ্জজার , কমেন্ট ৪৪. ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৪


আপনি উপরোক্ত কমেন্টে বলেছেন , " সত্যি কথা বলতে কি প্রগতি প্রকৃষ্ট গতি তথা সভ্যতার উন্নতিকে বোঝায়।" আমিও সেটাই বুঝি প্রগতি হিসেবে । আবার আমি যখন বললাম ছেলেমেয়েদের প্রেমের ব্যপারে এই পরিবর্তনটাকে আমি সোশ্যাল প্রবলেম হিসেবে নিয়েছি ঠিক তখনই সেই একই আপনি নিম্নক্ত কথা গুলোতে ভিন্ন কথা বলছেন , আপনিই একবার বলছেন ঐ আচরণ প্রগতি না আবার দ্বিমত করার জন্য আবার বলছেন ওটাই প্রগতি , একটু খেয়াল করে দেখবেন --

---- " @গুলনানী,
প্রগতি নিয়ে আপনি দ্বিমত করলেন। সোশাল ক্রাইসিস বলতে যেটা বোঝাচ্ছেন সেটা হলো সোশ্যাল প্রগ্রেস এর আলোচনার অন্তর্ভুক্ত অধ্যায়!! আপনি এ-জন্য Oxford university press থেকে প্রকাশিত Civilization in East and West : an introduction to the study of human progress দেখতে পারেন।" ----- গেম চেঞ্জজার , কমেন্ট ৬৪ ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩


----------" তবে, আমার মতে মানুষের বিয়ে/প্রেম ইত্যাদি ব্যাপারগুলো খুবই গুরুত্বপুর্ণ একটি ব্যাপার। একা একা মনের মানুষটির কথা ভেবে ভেবে আগেকার মেয়েরা/ছেলেরা কষ্ট পেয়েছে কিন্তু সমাজ/পরিবার/প্রত্যাখানের ভয়ে কিছুই করতে পারতো না। এই ব্যাপারে আসলেই ইতিবাচক পরিবর্তন দরকার।
মানে, একটি মেয়ে/ছেলের নিরাপদ বয়সে যৌনতায় আপত্তি না করতে সমাজের দৃষ্টিভংগির অভিযোজন ঘটানো উচিত। বিয়ের ব্যাপারে যে কড়াকড়ি ও খরচের ব্যাপার থাকে সে ব্যাপারে শিথিলতা আরোপ করা যেতে পারে। তাদের নিজেদের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের চিন্তা করতে গিয়ে মা-বাবার উচিত নয় যৌন চাহিদা পুরণে বাঁধার সৃষ্টি করা। সর্বোপরি সভ্য, সুন্দর ও সুস্থতর একটি উপায়ের অনুসন্ধান করতে হবে আমাদের, যাতে যৌনতা থেকে সংঘঠিত অপরাধগুলো কমে যেতে থাকে।"---------গেম চেঞ্জজার , কমেন্ট৫১. ০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১


আপনি উপরে যা বললেন এটা তো আমার পোস্টের সাথে যায় না , ওটা অন্য বিতর্ক । আমি প্রাপ্ত বয়স্কদের সম্পর্কের কথা তো আমার আর্টিকেলে আলোচনা করি নি ; সেটা সম্পূর্ণ আলাদা প্লাটফর্মে আলোচনা করা যেতে পারে । আমি আবারো বলি আমার পোস্টের বিষয়বস্তু হলো --- ---- প্রকাশ্য প্রেম নিবেদন -- কিসিং আলিংগন -- এর টলারেন্স লেভেল কি হওয়া উচিৎ -- এই সমস্যা কোথা থেকে এসেছে --- এর সমাধান কি ? এবং সেটা আন্ডার এইজদের কথা চিন্তা করেই লেখা হয়েছে । কাজেই আপনার উপরে উল্লেখিত বিষয়ে আলাপ করার কোন প্রয়োজন নেই এই পোস্টের আগেইন্সটে ; এবং ওটা ইরিলিভেন্ট ছিল বলেই আমি ওটা নিয়ে কথা বলিনি । ঐ কথা গুলো পজেটিভ না নেগেটিভ ওটা বিশ্লেষণেরও প্রয়োজন নেই এই ক্ষেত্রে ।


-------- " আগে আপনি কোটেশন দিয়ে দেখিয়ে দিন, আমি তাদের অপরাধি হিসেবে ভাবছি এবং শাস্তির কথা বলেছি।"-------৬৪. ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩

উপরোক্ত কমেন্টে আপনি যা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি ওদের অপরাধী ভাবছেন না , আবার নিম্নক্ত কমেন্টে আপনি ওদের শাস্তির কথা বলেছেন এবং অপরাধ হিসেবেও নিচ্ছেন ; এখন আপনিই বলুন ; আপনার কোন কমেনটাকে আমি সত্য বলে ধরে নেব ???? আপনারই করা নিচের কমেন্টটি একটু দেখুন----


---------" লক্ষণীয়- মেয়েটির চক্ষুলজ্জা অনেক কমে গেছে বলেই সে এটা করতে পেরেছে তার হিরোর সাথে। :)
এই ব্যাপারটি যারা যারা অ্যাপ্রেসিয়েট করছেন তাদের অধিকাংশের মত হলো, মেয়েটি খারাপ কিছু করেনি। এটা কোন অন্যায় বলে গণ্য হতে পারে না। এইরকম ব্যাপারে শাস্তি দেয়া মোটেই ঠিক কাজ নয়।
মোটামুটি তাদের সবার আগ্রহের জায়গা হচ্ছে এরা নতুন প্রজন্মকে প্রগতির পথে নিয়ে চলেছে। এটাই এগিয়ে যাওয়া। "-------গেম চেঞ্জজার , কমেন্ট ৪৪. ০৩ রা জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৪

আপনার কথা গুলো একটার সাথে আরেকটা পরস্পর বিরোধী ।

আপনি বলেছেন,----- " আপনি চাইলে আমি কোট করে দেখাতে পারব- আপনার কি কি স্টেটমেন্ট প্রসংগকে বড় করে তুলছে।" ---- প্লিজ কোট করে এনে দিন , তাহলে আমি ওটা আপনার কাছে ক্লিয়ার করতে পারবো ।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । দুঃখিত আপনাকে দেরি করে উত্তর দেয়াতে , একটু ব্যস্ত আছি ; সময় হয়ে ওঠেনি । আরেকটা কথা --- প্লিজ ইরিলিভেন্ট টপিক্স টানবেন না ; পোস্টের সাথে টু দা পয়েন্টে থাকলে আমার উত্তর করতে সুবিধা হয় ; নাহলে আসল উদ্দেশ্য ব্যহত হয় ; শুধু শুধু সময় নষ্ট হয় ।

৬৫| ০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫৭

জেন রসি বলেছেন: গেম ভাই,

যাইহোক, আমি সমাধানের জন্য আহবান করেছি যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে নিরাপদ বয়স বলে বিবেচিত হয় এমন বয়সেই ছেলে-মেয়েদের ভালবাসার চাহিদা পুরণ করতে দেয়া যায়।
আসলে, সমাধানের ব্যাপারে আমার চিন্তাধারা তুলে ধরছি উপযুক্ত বয়সের আগে, তাদের অন্য যেকোনও বিপরীত লিংগের মানুষটিকে ইগনোর করতে শেখাতে হবে। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের ও সময়ের অপেক্ষায় থাকা শেখাতে হবে।
এবং লক্ষ্য করবেন, আমি ধর্মকে একবারও টেনে আনিনি। এমনকি সামাজিক প্রথাকেও। কারণ সামাজিক প্রথা নতুন করে তৈরির জন্যই আমার/আমাদের এপ্রোচ!!! আর অবশ্যই সেজন্য বারবার চিকিৎসা বিজ্ঞানের কথা বলছি। :) :)
সো.., থিংক অন পজিটিভ ম্যানা_!!!!!!!!! :) ওকে?



আপনার উল্লেখ করা এই পয়েন্টের সাথে তীব্র ভাবে দ্বিমত পোষণ করছি।


আপনার এই মতামতের সাথে ন্যাচারাল সাইন্স কনফ্লিক্ট করে। মনোবিজ্ঞানের আলোকে বললে সরাসরি বলতে হবে এটার ফলাফল খুব ভয়ংকর হয়।বয়ঃসন্ধি কালে ছেলে মেয়ে উভয়েরই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের ব্যাপারটা শুরু হয়। এটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে। তখন মনঃজগতেও অনেক পরিবর্তন আসে। এই সময় ছেলে মেয়েদের বরং বন্ধুর মত বুঝাতে হবে যে, পরস্পরের প্রতি তাদের এই আকর্ষণটা খারাপ কিছু না। নিষিদ্ধ কিছুনা। বরং এটাই স্বাভাবিক। আপনি যে ইগনোর করার ফর্মুলা দিলেন তাত নতুন কিছুনা। এই ফর্মুলা গ্রামে গঞ্জে মাদ্রাসায় এবং এমনকি নাগরিক সমাজেও বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার ফলে ছেলে মেয়েরা বরং মানসিক ভাবেই আরো অসুস্থ অয়ে যাচ্ছে। তাদের ইগনোর করতে শেখালেও তাদের শারীরিক পরিবর্তন আর আকর্ষণ কিন্তু ইগনোর করা যাবেনা। তখন তারা সেসব কিউরিসিটি মেটানোর জন্য বিপদগামী হতে বাধ্য হবে। যা আমাদের সমাজে প্রায়ই হয়। আপনি যেটাকে সমাধান বললেন তা আমাদের দেশে বহু আগে থেকেই চলে আসছে। এদেশে বয়সন্ধিকালে ইগনোর করতেই শেখানো হয়। কিন্তু সবরকম গবেষণাতেই ছেলে মেয়েদের মানসিক বিকাশের জন্য এটা ক্ষতিকর বলেই প্রমানিত হয়েছে। তাই চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে যে সমাধানের কথা বললেন তা চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেই বাতিল হয়ে গেছে অনেক আগে।

তাই ইগনোর করতে না শিখিয়ে তাদের বরং সত্যটাই জানাতে হবে। কোনটা স্বাভাবিক এবং কোনটা ক্ষতিকর তা বন্ধুর মতই বোঝাতে হবে।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছেন , কিন্তু এই কথা বোঝার লোক তো নাই দেশে । কি আর করা !!! দেখা যাক এক সময় না একসময় মানুষের চিন্তা চেতনা গুলো পরিবর্তন হবেই ।

৬৬| ০৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১:২২

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি । সবাইকে উত্তর দেব একে একে ।

৬৭| ০৫ ই জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: ছেলে মেয়ে দুইটা সাহসী। ইশ আমার সময় যদি এমন সাহস দেখাইতে পারতাম তাইলে আর প্রতিদিন আড়ালে আবডালে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলতে হতো না। ;) অনেক কিছুই মনে পরে যাচ্ছে।

আর একটা কিছু ঘোটলে ওটারে ছিরা টুকরা টুকরা না করা পর্যন্ত আমাদের শান্তি নাই। জনগন চালিয়ে যাও।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সমস্যার মূল উৎপাটন করতে গেলে একটু কাঁটা ছেঁড়া তো হবেই । তা নাহলে সমস্যা সমস্যাই থেকে যাবে সারাজীবন ।

৬৮| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার উল্লেখ করা এই পয়েন্টের সাথে তীব্র ভাবে দ্বিমত পোষণ করছি।

আপনার এই মতামতের সাথে ন্যাচারাল সাইন্স কনফ্লিক্ট করে। মনোবিজ্ঞানের আলোকে বললে সরাসরি বলতে হবে এটার ফলাফল খুব ভয়ংকর হয়।বয়ঃসন্ধি কালে ছেলে মেয়ে উভয়েরই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের ব্যাপারটা শুরু হয়। এটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হয়ে থাকে। তখন মনঃজগতেও অনেক পরিবর্তন আসে।
....
বন্ধুর মত বুঝাতে হবে যে, পরস্পরের প্রতি তাদের এই আকর্ষণটা খারাপ কিছু না। নিষিদ্ধ কিছুনা। বরং এটাই স্বাভাবিক। আপনি যে ইগনোর করার ফর্মুলা দিলেন তাত নতুন কিছুনা।


@জিনি ভাই,
আপনি ফোকাস করছেন, এই আকর্ষণটা নিষিদ্ধ কিছু কি-না এ ব্যাপারে। আর আমি ফোকাস করেছি তাদেরকে ইগনোর করতে শেখাতে হবে।
আমি বলেছি- তাদের ইগনোর করা শেখাতে হবে, এর মানে এই নয় যে এটা নিষিদ্ধ কিছু বলে তাদের আকর্ষণবোধটাকে আরো প্রমোট করা হচ্ছে।
তবে যদি আপনি তাদের এই বয়সের যৌনতাকে বৈধ বলতে চান তাহলে আলোচনা চালাতে রাজি আছি। আপনি স্পষ্টভাবে বলেন, এই বয়সে তাদের যৌন সম্পর্ক হওয়া উচিত কি-না।

স্যরি, লেট করে মন্তব্যের রেসপন্স করার জন্য। এই আলোচনার দরকার আছে, আমরা যার যার সুবিধামত এখানে মন্তব্য করবো। :) ডোন্ট মাইন্ড!! @জিনিভাই @গুলনানী

০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । দেখি আজি আমি আপনার ৬৪ নম্বরের উত্তরটা দেবো ভাবছি । সময়টা আসলে বড় ব্যপার । সময় হচ্ছে না । আপনি সময় নেন কোন সমস্যা নেই । সমস্যা যেহেতু তৈরি হয়েছে সমাজে এর সমাধান যেভাবেই হোক করতে হবে আমাদেরকেই ( মানে সচেতন যারা আছি ) । এটা নিয়ে আলোচনা করলে অবশ্যই সমাধান কিছু একটাতো হবেই - এটা আমার বিশ্বাস ।

৬৯| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনাকে ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কেন ?

৭০| ০৫ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




প্রেমকে নিবেদন করতে হয় না, প্রেম নিবেদিত অবস্হায় অংকুরিত হয়।

প্রেম নিবেদনের নামে চলছে 'শালীন যৌনতা'।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " প্রেমকে নিবেদন করতে হয় না, প্রেম নিবেদিত অবস্হায় অংকুরিত হয়।"------ আপনার এই কথাটি ভীষণ ভালো লেগেছে ; অত্যন্ত সুন্দর একটি কথা ।

" প্রেম নিবেদনের নামে চলছে 'শালীন যৌনতা'।" ----- কথাটি সত্য ; এর কারণ হলো পর্ণগ্রাফির আধিক্য ।

৭১| ০৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:০৬

বলেছেন: সুন্দর
দারুণ

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: নাম কি আপনার ? হাসি মুখ ? হা হা ; ধন্যবাদ ।

৭২| ০৬ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: প্রেম নিবেদনে মন্দ কিছু নেই। কিন্তু ক্লাস সিক্সের বাচ্চা, যারা এখবো নিজের অনুভুতিটাকে নিজেই ভালোভাবে বুঝতে শিখেনি, বাস্তবতা প্রখর আঁচটা এখনো যাদের গায়ে লাগেনি তারা কিভাবে এমন একটা সেন্সেটিভ বিষয়ে মানে প্রেম নিবেদনের মত একটা ব্যাপার ভিডিও করে অনলাইনে ছেড়ে দিতে পারে?

আমি প্রেম নিবেদনে মন্দ কিছু দেখি না। প্রেম নিবেদন করবে করুক, কিন্তু সেটা ভিডিও করে কেন অনলাইনে ছাড়তে হবে? একবার চিন্তা করে দেখুনতো, পাঁচ বছর, সাত বছর, দশ বছর পর কি হতে পারে? পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েটা কি নিজেকে কখনো অন্যের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে পারবে যদি তাদের কচি বয়সের এই কথিত প্রেম ভেঙ্গে যায়? পারবে না। আমাদের সমাজে সেটা কোন ভাবেই সম্ভব না।

এসব ছেলেমেয়েরা এক প্রকার মোহের মধ্যে থেকে এমন কান্ড ঘটিয়ে ফেলছে যেটা ভবিষ্যতের জঅঅন্য খুব ভালো লক্ষণ নয়। আমি এই নিয়ে তিনবার বলছি, প্রেম নিবেদন করে সেটা ভিডিও করে আজ তারা অনলাইনে ছাড়ছে, কাল অন্য কিছু ছাড়বে, তারপরদিন আরো ভয়াবহ কিছু।

বর্তমানে আমাদের দেশে বারো মাসে তেরো পার্বণের মত বছরে ৩৬৬ টা ইস্যু লেগেই থাকে। কচি ছেলেপেলেদের এই কান্ডের পরবর্তী স্টেজ হিসেবে হয়তো দেখবেন আমরা ভবিষ্যতে একটা রেপ কেইস কিংবা একটা আত্মহত্যা নিয়ে কথা বলছি।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ঐ যে দায়িত্ব কর্তব্যবোধ শেখানো হয়নি তাই এরকম করে । পৃথিবী রোলার কোস্টারের গতিতে এগোচ্ছে , তাই ছেলে পেলে সাবধানে না রাখলে দু একতা এদিক ওদিক ছিটকে পরবেই ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আর এই সমস্যাগুলো যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে একে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা হিসেবে নিতে হবে এবং এর আধুনিক সমাধান করতে হবে ।

৭৩| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ২:২৭

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এক সময় কত কত রাত ব্যয় করেছি এই সব আলাপে।

হা হা

কিছু সরলীকরণ বাদ দিলে মোটা দাগে আপনি যা বলতে চাচ্ছেন আমি তার সাথে একমত। আমাদের দেশে কোন কিছুই কাঠামোবদ্ধ ভাবে সঠিক নয়, আর তাই এ ধরণের ঘটনা যেন না ঘটে কিংবা এর প্রতিক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে ফেসবুক ব্লগের ঝড়ই চলে।কাজের কাজ কিছু হয় না

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য এবং কিছুটা একমত হাবার জন্যও অশেষ ধন্যবাদ ।

আসলে , এই ধরনের আলাপ আলোচনায় কাজ হয় না বললে হয়তো ভুল হবে , কারণ যে কোন পরিবর্তনই রাতারাতি সম্ভব নয় এর জন্য বহু সময় লেগে যায় - কয়েক যুগ এমনকি কয়েক শতাব্দী লেগে যেতে পারে একটি সমস্যার পূর্ণ সমাধান আসতে । তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য ইচ্ছা, আগ্রহ এবং চিন্তার সমাবেশ ঘটাতে হবে সরবাগ্রে । আর এতে অনেকটাই সাহায্য করে থাকে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি গুলো চিন্তার জায়গা তৈরির মাধ্যমে ।

আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনার মূল্যবান বক্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।

৭৪| ১৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমি এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাই :P

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এর জন্য আবার বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয় ?? এটা তো প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই শিখে জাবার কথা । 8-|

তারপরও , যদি এডভান্স লেভেলে কিছু শিখতে চান তবে ভর্তি হয়ে যান । =p~

৭৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৪

শায়মা বলেছেন: আপুনি তুমি কোথায় হারালে!

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এই তো এখানেই আছি । :D

৭৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: কমার্স কলেজের ঘটনার সাথে ক্লাস সিক্স এর ঘটনা মেলানোর পক্ষপাতী নই।
কলেজের ওরা ১৭/১৮ বছর বয়সী। তাদের সাথে ১২ বছরের বাচ্চার তুলনা চলে না।

সিক্স এর বাচ্চা গুলার কাউন্সিলিং প্রয়জন।তারা একটা নষ্ট চিন্তাধারা নিয়ে বড় হচ্ছে। তাদের মুখের নোংরা কথা আর ফিজিক্যাল এটিচিউট ও চিন্তার বিষয়। নরমাল চিরকূট প্রেম হলে কিছু বলতাম না। তাদের ফ্যমেলির পরিবেশ ও আশেপাশের পরিবেশ খতিয়ে দেখা উচিৎ। এ দায় আমাদের মিডিয়া ও এড়াতে পারে না।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:০৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আমিও একমত আপনার সাথে । ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারছি না আমারা ছেলে মেয়েদের জন্য ।

৭৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:০৬

বলেছেন: আমাকে হাসি ডাকলেই হবে। :) এবার একটু হাসুন। :)

২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা , অনেক হাসলাম হাসি ... B-))

৭৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এ পোস্টের মুল্যবান লিখাটি ও অনেক বিজ্ঞ ভাই বোনদের মতামত প্রায় ১ ঘন্টা লাগিয়ে পাঠ করলাম । খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে অনেকে কথা বলেছেন , তাদের মুল্যবান কথা শুনে মুগ্ধ হলাম । লিখকের কতার মত তাদের কথামালাতেও অনেক অনেক দিক নির্দেশনা আছে । উঠতি বয়সের টিন এজ ছেলে মেয়েদের বরসন্ধিকালে শিক্ষনীয় বিষয়ে অনেক কিছু ভাবনার আছে । বিষয়টা দেশে বিদেশে সকল জায়গায় এখন একটি সামাজিক সমস্যা হিসাবেই দেখা দিয়েছে । এ বিষয় টি নিয়ে এ পোস্টের লিখক কতকগুলি ভাল প্রশ্ন রেখেছেন; কমার্স কলেজের নীজ দায়ীত্ব নিয়ে । লিখকের কথার সাথে সম্পুর্ণ সহমত পোষন করি । টিন এজারদেরকে যৌনতাবিষয়ক প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও সাপোর্ট দিতে হবে তাদের স্কুল জীবনের বয়স সন্দিক্ষন থেকেই ।
এ মন্তব্যের ঘরে বাংলায় লিখায় বেশ সময় সাধ্য কারণ একটি অক্ষর টাইপ করার জন্য অনেক সময় কি প্যডে তিন চার টি বোতাম চাপতে হচ্ছে এবং ডু আন ডু করার কোন সুযোগ নেই বিধায় সময় অনেক বেশী লাগছে, তাই সময়টা বাচানোর জন্য বাকিটা ইংরেজীর দ্বারস্ত হলাম ।
It is undeniable that as regards supporting teen agers, the parents usually develop some confidence in their capacity to see their young children through problems.

Living with teenagers can be one of the most exciting periods in a parent’s life.

When children reach puberty, they experience quite rapid sexual, physical and emotional changes over which they have no control. They can’t hide their developing breasts or outcrop of spots.

During their early and middle teens, young people develop emotionally by making an important change in how they see themselves and their own independent identity.

Relationships outside the family, particularly with same sex friends, become increasingly important during the teenage years. Teenagers form very intense friendship groups and loyalties, but these may shift and change as they try to sort out who they are and where they belong. Even those long phone calls – sorting out who fancies who and what everyone in class is up to – have a part to play!

As regards teenage girls, parents and teachers may be alert to the vulnerability of girls, since girls are sexually vulnerable and may be susceptible to pressures both to have sex and to get pregnant before they are emotionally ready for either.
As regards teenage boys they can be just as sensitive as girls to problems such as bullying and feeling unfairly treated, but may not feel they can be as open as girls about these sorts of difficulties.They find it hard to cry and show their feelings, but they do have particular areas of vulnerability.

The teenage years put parents under a lot of emotional pressure and they can experience their children’s adolescence as very threatening.
Parents of teenagers often feel very confused and uncertain about rules and sanctions with this age group, particularly if they haven’t quite worked out where they stand on issues to do with control and authority.

Some family circumstances can interfere with or hinder the process of becoming more independent.
A child whose parents are in the process of a divorce or separation may not feel safe enough to let go of the parent who provides the security for the time being.
Breakdown of relationships between parents also play important role ,the family may be destabilised at a time when teenagers are at their most vulnerable.

Most young people want to know more than the bare facts they get at school.
Teenagers need access to information about contraception, the risks of pregnancy and sexually transmitted diseases. Evidence suggests that this approach does not encourage sexual activity but, on the contrary, gives them the confidence to delay it.

A caring school environment thus can provide an invaluable halfway house between the security of home and the demands and pressures of the adult world.
Schools should try to find ways of offering help to vulnerable pupils. It is important for parents to find out how the pastoral side of the school works:
what systems are in place for personal support for each child
who takes responsibility for the pupils
what processes there are for when things go wrong
what is the school’s anti-bullying policy and whether they implement it in a way that’s seen to be effective by the pupils themselves. Teenagers can get very embarrassed and annoyed if they feel their parents are butting in to what they see as ‘their territory’. Work still needs to be done to change the attitude that only the weak and inadequate ask for help. Good home-school contact and involvement, sensitively handled, can make a crucial difference.

However there is no one ‘right’ way of being an effective parent, but the following suggestions may be helpful to parents and others who care for teenagers:
Set limits and be in charge, but keep an open dialogue with children and be willing to reassess.
Keep lines of communication open if at all possible – teenagers who feel they are listened to fare better emotionally and academically.
It needs to keep a balance between respecting teen agers child’s privacy and, at the same time, keeping a watchful eye on them.
Teenagers value need to be treated with fairness and being trusted.
Strong emotional support from the family is the most powerful weapon against peer pressure.
If child does get into trouble – for example, has an unwanted pregnancy or becomes involved with illegal activities – support, advice and reassurance will be all the more important.
Parents need to remember to enjoy with their teenager and have fun together।

সুন্দর একট পোস্টের জন্য শুভেচ্ছা রইল ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি গুরুত্ব সহকারে পড়ার জন্য । আপনি বেশ কিছু মূল্যবান কথা বলেছেন সেগুলো আসলে জানাটা খুবই জরুরী এরকম উঠতি বয়সী ছেলে মেয়ের পিতামাতার । এই টিনএজ ছেলেমেরা যে কতটা সোশ্যাল ক্রাইসিসে ভোগে সেটার খবর হয়তো অনেকেই রাখে না । আমরাও এই দুচারটি লাইন লিখে ক্ষান্ত হয়ে পরি , কিন্তু ওদের জন্য বড়সড় করে অনেক কিছুই করতে পারে সমাজ , রাষ্ট্র এবং পরিবার । তবেই সমাজ মুক্তি পাবে এসকল বিদঘুটে সমস্যা থেকে ।

৭৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতি উত্তরের জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল ।

৮০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

র‍্যাশ বলেছেন: আমরা বর্তমানে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করছি। পুঁজিবাদ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোকেও বাণিজ্যের উপকরন হিসেবে বানিয়ে ফেলে। শিক্ষাও মানুষের একটি মৌলিক অধিকার। মৌলিক চাহিদার অন্য ক্ষেত্রগুলোর মত শিক্ষাও পুঁজিবাদীদের আগ্রাসন থেকে মুক্ত নয়। শিক্ষা কেন্দ্রিক বাণিজ্যেও কর্পোরেটদের বিপুল পরিমাণ অর্থ লগ্নি করা আছে । কাজেই কর্পোরেট দের কাছে এই খাতে বিনিয়োগ কৃত পুজির নিরাপত্তার প্রশ্নটাই সবার আগে উঠে আসবে । সমস্যাটা হল ঐ ছেলেমেয়েগুলো এই ভিডিওটা বানিয়েছে কলেজ ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায়। আমাদের সমাজে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্রান্ডিং হয় ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কতটা উদার ভাবে প্রেম করছে তার উপর নয় বরং ঐ প্রতিষ্ঠানের সামগ্রিক রেজাল্ট, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রভৃতির উপর। ফলে স্বাভাবিক ভাবে ভিডিওটা ঐ প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকৃত পুজির নিরাপত্তার জন্য এক ধরনের হুমকি তৈরী করেছে এবং তারই ইন্সট্যান্ট রিএকশন ছিল সেই ভিডিওর নায়ক নায়িকাদের বহিস্কার।

মনে রাখবেন পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতা নির্ধারণের মানদণ্ডও আমার আপনার উপরে ন্যস্ত নেই , এটা নির্ধারণের দায়িত্বও পুঁজির। সামাজিক -সাংস্কৃতিক বিবর্তন থেকে উদ্ভুত নৈতিকতার চেয়ে পুঁজির নিরাপত্তা থেকে উদ্ভুত নৈতিকতার গুরুত্বটা তাদের কাছে বেশি থাকবে এবং এই প্রক্রিয়া পরিবর্তনের আপাতত কোন সম্ভাবনা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.