নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেউ কেউ নারী দিবসের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না । কেন করেন না সেটাও ব্যাখ্যা করে বলেছেন তাদের নিজেদের মত করে । একজন আধুনিক পুরুষের বাণী তুলে ধরলাম, " নারী দিবসের কি আছে? পুরুষ দিবস ত কোথাও নাই। তাই না?
সব দিবস'ই হোক নারী এবং পুরুষের। সমানে-সমান! যে যা খুশি করুক, যেভাবে খুশি। দিবস দিয়ে আইডেন্টিফাই না করা হউক। এটাই কাম্য!"
ঠিক আছে , অসুবিধা নেই -- এরকম কামনা বাসনা করতেই পারে একজন "স্বাধীন আধুনিক পুরুষ" ।এই ধরনের যারা ভাবেন তাদের কাছে আমার সবিনয়ে ছোট্ট এবং খুবই সহজ একটা প্রশ্ন-- আপনারা কি জানেন কোন কিছু বিশেষ ভাবে কেন পালন করা হয় ? জানি এই সহজ প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা ভুলে গিয়েছে । কোন সমস্যা নেই আমি বলে দেব এখনি । মানুষ আসলে যেটাকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় মনে করে সেটা সে ভুলে যায় । আপনাদের কাছে এই নারী দিবসটি খুবই অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয় , তাই ভুলে গেছেন হয়তোবা ।
অল্প করে বলি , বেশী বলার সময় নেই । আর তাছাড়া আপনাদেরও হয়তো সময় নেই নারী দিবসের মত অপ্রয়োজনীয় একটি বিষয়ের তাৎপর্য সম্পর্কে জানার ।
নারীরা অনেক বেশী বেশী বঞ্চিত ছিল বহু বহু যুগ ধরে , এখনো অনেক আছে একেবারেই যায়নি । আর এই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটা আন্দোলন প্রয়োজন ছিল - সেটা হয়েছে বিভিন্ন ভাবে , লেখকের লেখায় , পথে প্রান্তরে , মিছিল মিটিং এ । যার ফলে নারীরা এখন অনেকটাই এগিয়ে গেছে । যে কোন অধিকার এমনি এমনি আসে না , এজন্য প্রয়োজন হয় বিশেষ কিছু পদক্ষেপের , আন্দোলনের । এও সত্য এই আন্দোলনে কিছু কিছু নারী প্রয়োজনের অতিরিক্ত আন্দোলিত হয়ে পড়েছিল বা এখনো পড়ছে । এটা তাদের দোষ না , এটা সময় এবং পরিস্তিতির কারনে হয়েছে এবং ব্যাক্তি বিশেষে মানসিক চিন্তা চেতনার কারনে হয়েছে । অথবা ভুল বোঝাবুঝির কারণেও হতে পারে । তবে সুশিক্ষিত নারী কখনোই বিদ্বেষমূলক আচরণ করে না বলে আমি মনে করি । কারণ বিদ্বেষ কখনোই ভালো কিছু হতে পারে না , এটা মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যায় । এই বিষয় গুলো সবার জানার কথা । যাই হোক হয়তোবা ভুলে গিয়েছে কেউ কেউ ।
তাই বিশেষ ভাবে অর্জিত একটি প্রাপ্তির বিশেষ দিন থাকবেই , যেমন রয়েছে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে - শহিদ দিবস , স্বাধীনতা দিবস , বিজয় দিবস । এরকম ইন্টারন্যাশনাল ভাবে বেশ ক'টি দিবস রয়েছে যেগুলোর বিশেষ কিছু তাৎপর্য রয়েছে এবং একে বিশেষ ভাবে স্মরণ এবং সম্মান দেখাবার জন্যই এগুলোর বিশেষ দিন ধার্য করা হয় ।
আমার মনে হয় যারা বলে নারী দিবসের প্রয়োজন নেই তারা আসলে অভিনব কায়দায় নারীদের আবার বাক্সবন্দি করতে চায় ধীরে ধীরে । আর কেউ কেউ না বুঝেই অযথা বাক্য অপচয় করে । তারা আধুনিক যুগের মানুষ কিন্তু সেক্সিস্ট মনোবৃত্তি কিছুতেই ছাড়তে পারছে না , এটা হয়তো জীনগত সমস্যা ।
আর একটা কথা- নারী অধিকার বোলতে যে উদ্ভট কিছু ধারণা রয়েছে কিছু কিছু সেক্সসিট পুরুষের মধ্যে সেই ধারনা থেকে বেরিয়ে আসতে আপনাদেরকে বলবো Suffragette(2015) সিনেমাটি দেখুন , উপকার পাবেন । তাহলে কিছুটা ধারনা হবে নারী অধিকার বলতে আসলে কি বোঝায় , এর উৎস এবং কিছুটা তাৎপর্য সম্পর্কেও ধারনা হবে ।
তাই ভুলেও বলবেন না এই দিবসের প্রয়োজন নেই । এর প্রয়োজন আছে এবং থাকবে আজীবন ।
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ জানবেন । শুভকামনা ।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
স্পর্শ বলেছেন: আশ্চর্য!কি বিকৃত তাদের চিন্তাধারা!
আশ্চর্য! যারা নগ্ন শরীর দেখিয়ে যুবক-যু্বতীদের নৈতিক চরিত্র ধ্বংস করে দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে উৎসাহ দেয়, যাদের উলঙ্গপনা দেখেই যুবসমাজ নানা রকম সহিংসতা, নির্যাতন ও এসিড সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়, যাদের কারণে নারী এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়, তারাই নাকি সেই এসিডদগ্ধ নারীকে সাহায্য করবে তাদের সেই নগ্ন শরীর দেখিয়ে! অর্থাৎ নগ্ন শরীর দেখিয়ে প্রথমে নারীকে এসিডে দগ্ধ করার ব্যবস্থা করা হবে, আবার সেই নগ্ন শরীর দেখিয়ে এসিডদগ্ধ নারীকে সাহায্য করা হবে...! কি বিকৃত তাদের চিন্তাধারা! বেশ কয়েক বছর যাবৎ ঈদকে সামনে রেখে ৯০% মসলিমের দেশে পবিত্র রমযান মাস আসলেই নামী দামী হোটেলগুলোতে শুরু হয়ে যায় ফ্যাশন শো'র নামে নগ্নতা ও অশ্লীলতা। এ বছরও হয়ত এর কোন ব্যতিক্রম হবে না বা হচ্ছে না। তারপর ফ্যাশনশোর আদলেই তৈরী করা হবে বিজ্ঞাপন চিত্র। এখানেও উপজীব্য মেয়েদের শরীর। এই বিজ্ঞাপন দেখে অনেক মা বোনেরা এই পোশাক পরাটাকেই স্মার্টনেস এবং মেয়েদের আকর্ষণের অস্ত্র হিসেবে মনে করবে। তারপর ঈদের দিন চলবে ঢাকার রাস্তায় র্যাম্প মডেলিং। তাদের মডেলিং দেখে মুগ্ধ হয়ে দুই একজন যদি হাত তালি কিংবা শিষ দিয়েই ফেলে তবে অবাধ্য অসভ্য ছেলের আর দোষ কোথায়?? আর সবকিছুর পরে ক্ষতি যা হওয়ার নারীরই হবে, এদেশের যুবক-যুবতীদের হবে, এদেশের পরিচ্ছন্ন সংর্স্কৃতির হবে, আগামী প্রজন্মের হবে এদশের আপামর জনগনের নৈতিক চরিত্ত্রের র এর বিলোপ ঘটবে। কিন্তু নারীর শরীরকে পুজি করে যারা ব্যবসা করার তারা ঠিকই অবাধে ব্যবসা বানিজ্য করে যাবে আর নারী তার সম্ভ্রম হারাতেই থাকবে......................আফসুস!!!!!!!!!!
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার কথার আগা মাথা কিছুই বোধগম্য হলো না । অপ্রাসংগিগ কথা বার্তা ।
জানেন তো অপ্রাসঙ্গিক বিষয় হলে পরীক্ষার খাতায় সম্পূর্ণ ০ মার্ক দেয়া হয় । এই কথা গুলো কেন এখানে টেনে আনলেন সেটি ব্যাখ্যা করুন ।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
প্রামানিক বলেছেন: নারী দিবসের প্রয়োজন আছে, তবে নারীদেরকে আরো মূল্যায়ন করা দরকার।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন প্রামানিক ভাই । তবে আমাত মনে হয় যতটুকু প্রাপ্য ততোটুকুই যথেষ্ট । বেশী দরকার নেই ।
৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৩
স্পর্শ বলেছেন: তারা আসলে অভিনব কায়দায় নারীদের আবার বাক্সবন্দি করতে চায় ধীরে ধীরে । আর কেউ কেউ না বুঝেই অযথা বাক্য অপচয় করে
এই কথা টুকুর জবাবে বলেছি জনাবা। আমি অপ্রাসঙ্গিক কিছু বলিনি সব প্রাসঙ্গিকই আছে কিন্তু আপনি অপ্রাসঙ্গিক ভাবে নিয়েছেন বলেই।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বাক্সবন্দী বলতে আপনি কি বুঝেছেন আমি জানি না , তবে আমার যা মনে হচ্ছে আমি যা বোঝাতে চেয়েছি সেটা আপনি বুঝতে পারেননি ।
৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: গুলশান কিবরীয়া ,
অনেকের কাছেই বুঝেও বোঝার ভান করা একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন । বলেছেন , অনেকের কাছেই দিবসটি অপাঙতেয় ।
আসলেই যারা এমন করেন তারা হয়তো জানেনই না বা অনুভবই করতে পারেন না যে - বিশ্বজুড়ে যে দিবস গুলো পালন করা হয় তার সবগুলোরই বিশেষ কিছু তাৎপর্য রয়েছে এবং একে বিশেষ ভাবে স্মরণ এবং সম্মান দেখাবার জন্যই এগুলোকে বিশেষ দিন হিসেবে পালন করা হয় । এগুলো সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যায় । গুটিকয়েক লোকের মতো পৃথিবীর সবাই তো আর গর্দভ নয় !
ভালো লিখেছেন ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ,
কিছু মানুষ তাদের এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া কেন যে দেখায় মাঝে মাঝে বুঝতে পারি না । কি অর্জন করতে চায় এসব করে সেটাও মাথায় প্রসেস করতে পারি না । যাই হোক , এরা থাকবেই । এটাও একটা পৃথিবীর জীবনের এক প্রকার উপাদান । এই উপাদান ব্যতীত পৃথিবীর জীবন হয়তোবা অচল হয়ে যেত । থাকুক , কি আর করা ...
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৮
জুন বলেছেন: তাই ভুলেও বলবেন না এই দিবসের প্রয়োজন নেই । এর প্রয়োজন আছে এবং থাকবে আজীবন ।
ঠিক বলেছেন গুলশান কিবরিয়া ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । অনেক দিন পরে পেলাম আপনাকে । আসলে আসাই হয় না ব্লগে । আশা করি আপনি ভালোই আছেন ।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৫১
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আমার মনে হয় না প্রয়োজন আছে .....ভিক্টিম হুড দিয়ে যে ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটার হয় তা ঠিক নয়, আসলে অল লাইভ ম্যাটার ।হয়তো ছেলে বলেই মেয়েদের কষ্ট গুলি বুঝে উঠতে না পেরে এতো সহজে কথা গুলি বলে দিলাম ।যাইহোক আমার মা অসুস্থ থাকবার সময় বাবা ঘরের বাইরের সব কাজ করতো ,যেটা আগে বাবা কোনো দিনও করে নি ।সেই সময় বাবা আমাকে বলেছিলো ,যে ছেলে রান্না করতে জানে না ,সে আসলে খুবই নিষ্ঠুর ।আমি শুধু এই টুকুই বুঝি ।
আর কিছু কিছু আবর্জনা আছে যারা নারীর অধিকার থেকে নারীর পোশাক নিয়ে কথা বলতে বেশি ভালোবাসে ।আপনার এই ব্লগেই সেরকমই একজন কীট কমেন্ট করেছে যে ছেলে হয়েও নির্লজ্জ এর মতো মেয়েদের কে পোশাক নিয়ে উপদেশ দেয় ।উপরে সেরকমই
একটা মৌলবাদী কমেন্ট করেছে ,ওটাকে ইগনোর করুন ।ওগুলো জঞ্জাল ,আবর্জনা ।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হতেই পারে , ভিন্ন ভিন্ন মত তো থাকবেই । যেমন আপনি ভাবছেন দরকার নেই আবার আমি ভাবছি আছে ।
আমি মনে করি এই দিন পালন করার মানে এই নয় যে সকল পুরুষ জাতিকে ব্লেইম করা , এমনটা ভাবা যে পুরুষদের কারণেই নারী জাতি পিছিয়ে ছিল বা আছে । আসলে এটা ছিল একটা ইল ট্রিটেট সিস্টেম যেটা নারী-পুরুষ সকলকেই আঁকড়ে ছিল বা এখনো আছে , আর এটার ফলেই নারীরা পিছিয়ে ছিল অনেক দিন এবং ধীরে ধীরে কালের বিবর্তনে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে । এই এগিয়ে যাবার পথটা খুব সহজও নয় , নানা প্রকার জঞ্জাল আবর্জনা আসছেই আসবেই ।
আমি মনে করি এই দিনটি স্মরণ করার দরকার আছে কিন্তু বিদ্বেষপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে নয় । আর বাংলাদেশে যেভাবে স্মরণ করা হয় সেটাও একেবারেই অপ্রয়োজনীয় । আমাদের দেশে যেকোন বিষয়কেই একেবারে উৎসবে পরিণত করে ফেলে ।
উন্নত দেশ গুলোতে নারী দিবস নিয়ে কোন মাতা মাতি নেই । পত্রিকাতে বিভিন্ন রকম আর্টিকেল আসে , এইটুকুই । আর কোন প্রকার মাতা মাতি নেই আমাদের দেশের মত ।আমাদের দেশের মানুষেরা অতিরিক্ত হই হই করতে করতে দিনটির আসল তাৎপর্য নষ্ট করে ফেলে ।
যাক , ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে । ভালো থাকবেন ।
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০২
স্পর্শ বলেছেন: সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আর কিছু কিছু আবর্জনা আছে যারা নারীর অধিকার থেকে নারীর পোশাক নিয়ে কথা বলতে বেশি ভালোবাসে ।আপনার এই ব্লগেই সেরকমই একজন কীট কমেন্ট করেছে যে ছেলে হয়েও নির্লজ্জ এর মতো মেয়েদের কে পোশাক নিয়ে উপদেশ দেয় ।উপরে সেরকমই
একটা মৌলবাদী কমেন্ট করেছে ,ওটাকে ইগনোর করুন ।ওগুলো জঞ্জাল ,আবর্জনা ।
জি জনাব আমরা জঞ্জাল আবর্জনা কীট !!! মৌলবাদী কারণ উচিৎ কথায় বিলাই ভেজার !!! নারীর স্বাধীনতা আসলেই কি স্বাধীনতা??শেয়ালেরা চায় সব মুরগীর স্বাধীনতা , প্রশ্ন করুন নিজের বিবেক কে!
নারী যখন এয়ার-হোস্টেজ হয়ে বিমানের যাত্রীদের সামনে খাবার পরিবেশন করে, মিষ্টি সুরে কথা বলে, যাত্রীদের কামনার স্বাদ পুরা করে তখন সেটা হয় নারী স্বাধীনতা।
আর সে যখন নিজের ঘরে নিজের জন্য, স্বামী ও সন্তানের জন্য, পিতামাতার জন্য খাবার রান্না করে তখন সেটা হয় "পরাধীনতা"।
তনুৱা কেন ধর্ষিতা হয় আমার বোন,আপনার বোন রাস্তায় বেরুলে হায়েনারা কেন তাদের দিকে বাড়ায় কালো হাত? বিবেক কোথায়, মানবতা কোথায়? ... কেন আজ তনুরা লাঞ্ছিত ?
তনুরা মরে যায়। তাদের ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ফেসবুকে এর প্রতিবাদে দুই, চারটি স্ট্যাটাস লেখা হয়। রাজনীতিবিদরা এ ব্যাপারে মুখ খোলেন না। ক্ষমতার হিসাব না থাকায় চুপ থাকেন নাগরিক সমাজ। দুই/এক দিন মানববন্ধন হয়। মিডিয়ায় এই সংবাদ কোন প্রচার পায় না। একটি পরিবারের স্বপ্ন মরে যায়।
প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের সমাজ এমন ধর্ষণপ্রবল কেন? কেন দুই লিঙ্গের মধ্যে একটা এমন আক্রমণাত্মক, আর অন্যটাকে তার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত? ধর্ষণের ভয় মনের মাঝে নিয়ে প্রতিমুহুর্তে চলতে হয় দ্বিতীয় লিঙ্গকে!! রাত তো বাদই দিলাম, দিনের আলোও নিরাপদ নয় তার জন্য। তার গতিবিধি সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় প্রবল ভয়ে!!
এই কি সেই বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে টিভি চ্যানেল খুললেই উন্নয়নের গল্প। পরিচিত সব মুখ প্রতিদিন। বাংলাদেশ নাকি এগিয়ে যাচ্ছে। এই কি তবে এগিয়ে যাওয়া। পূর্ণিমার কথা মনে আছে। মনে আছে মুক্তিযুদ্ধকালীন নিপীড়নের শিকার বীরঙ্গনাদের কথা।
প্রতিদিনের নিউজপেপারগুলো চোখে পড়ে? ধর্ষণ কিংবা ইভটিজিং এর খবরগুলো দেখেন? পাহাড়ি মেয়েদের দুর্ভোগের কথা শুনেছেন? রাস্তায় হাঁটার সময় চোখ খোলা থাকে? একটা মেয়েকে যখন রাস্তায় বাজে কথা বলা হয় তখন না শোনার ভান করে পাশ কাঁটিয়ে চলে যান? সুযোগ পেলে নিজেও মেয়েদের যৌন হয়রানি করেন? কিংবা ধর্ষণের ইচ্ছা জাগে?
শূণ্য থেকে এক আসে। তারপরে ২,৩,৪........ শুরু হয়। আপনি উঠে আসুন। প্রতিবাদ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, দিনের শেষে দেখবেন লাইনটা অনেক বড় হয়ে গেছে...... আসুন তনুদের পথ থেকে কাঁটাগুলো ফেলে দিয়ে তাদের পথের আলো হয়ে দাড়িয়ে যাই.... আমি কিন্তু আমার বোনের কথা মাথায় রেখে চলাচল করি।
লাইনটা কি বড় করবেন? প্রকৃত ভাই কিংবা সন্তান হয়ে উঠতে পারবেন? বিবেকের ময়লাটা এবার ঝেড়ে ফেলবেন না? নপুংসক হয়ে আর কতদিন? প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় ব্লগারগন ......
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনি সম্পূর্ণই অন্য দিকে মোর নিয়েছেন । আপনাকে আমি একটু সাহায্য করি খুব স্ট্রেট ফরওয়ার্ড প্রশ্ন দিয়ে --- আপনি কি মনে করেন , নারী দিবসের প্রয়োজন আছে নাকি নেই ?
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
জেন রসি বলেছেন: অধিকার এবং স্বাধীনতার দাবী একটা আপেক্ষিক বিষয়। সেটা কোন ভাবেই সবার জন্য একরকম হতে পারেনা। এটা নারী পুরুষ সবার জন্যই সমান। ঢাকা শহরে যেসব ভাসমান নারীরা ঘুরে বেড়ায় তাদের পোশাক নিয়ে নারীবাদী কিংবা মৌলবাদী কারোরই খুব একটা সমস্যা নেই।তারা খোলামেলা পোশাক পড়লে বা রাস্তায় পুরুষদের পাশাপাশি থাকলে সেটা আধুনিকতাও হয়না আবার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পাপও হয়না। আর সেসব নারীদের জন্য লড়াই হচ্ছে খাদ্য, আশ্রয়, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা! আবার মধ্যবিত্ত সমাজে আসলে চিত্রটা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। এখানে পরিবার সমাজ এবং ধর্মীয় বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে একটা কালচার গড়ে উঠেছে।সেটা কেউ ভেঙ্গে ফেললে অনেকেই মেনে নিতে পারেনা প্রথমে।কিন্তু সে সমাজও সবসময় সময়ের সাথে একটা পরিবর্তনের মধ্যেই থাকে। একসময় বেগম রোকেয়াকে অনেকেই পছন্দ করত না। এখন তিনি অনেকের কাছেই আদর্শ নারী। আবার এখন তসলিমা নাসরিনকে মানুষ গালি দেয় বা কেউ কেউ পূজা করে। বিশ বছর পর হয়তো দেখা যাবে তিনিও আদর্শ নারী হয়ে যাবেন। আবার উচ্চবিত্ত সমাজে গেলে ভিন্ন চিত্র পাওয়া যাবে। তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা নেই। সেখানে অধিকার বা স্বাধীনতার কনসেপ্টটাও ভিন্ন।
আবার কে কী চাচ্ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যেমন তালেবানরা ধর্মের নামে কোন নারীকে পর্দা মানতে বাধ্য করলে সেটা সে নারীর জন্য শৃঙ্খল। আবার তুরুস্কে কাউকে হিজাব না পড়তে বাধ্য করা হলে সেটাও তার জন্য শৃঙ্খল!(উদাহরন হিসাবে বললাম।আপেক্ষিতার ব্যাপারটা বুঝাতে।)
ইদানীং দেখি এসব নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়!কিন্তু সেখানে ভিন্নমত দেখে আমি অবাক হইনা। কারন পৃথিবীতে যতদিন পর্যন্ত অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক বৈষম্য, অনেক রকম ধর্মীয় এবং কালচারাল বিশ্বাস এবং চর্চা থাকবে ততদিন পর্যন্ত একেকজনের কাছে স্বাধীনতা বা অধিকারের ব্যাপারটা একেকরকম হবে। কারো কাছে সেটা হবে দুমুঠো ভাত খাওয়ার লড়াই, কারো কাছে বোরকা পরার লড়াই, কারো কাছে ওড়না না পড়ার লড়াই আবার কারো কাছে লিভ টুগেদার করার লড়াই!(এমন অনেক অনেক লড়াই)।
কথাগুলো পুরুষদের ব্যাপারেও প্রযোজ্য।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০৯
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার সাথে আমার মতের মিল হয় , সামান্য কিছু বাদ দিয়ে । আমিও মনে করি অধিকার স্বাধীনতা মানুষ , সময় এবং সমাজ ভেদে ভিন্নতর হয় । তবে কিছু আছে ইউনিভার্সাল যেটা সবার জন্য সমান ।
বেগম রোকেয়া বাঙ্গালী নারী জগরনের অগ্রদূত , নারীজাতির আদর্শ , রোল মডেল , এটা ঠিক আছে । কিন্তু তসলিমা নাসরিনের পক্ষে সেটা সম্ভব নয় । তিনি সবচেয়ে বেশী গলদ করে গিয়েছেন বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে , এখানেই তিনি ছোট মনমানসিকতার পরিচয় রেখে গিয়েছেন । একটি জাতির রোল মডেল হবার মত তিনি নন । হ্যাঁ , তিনি এক ধরনের জাগরণ সৃষ্টি করেছেন , অনেক ভালো ভালো কথাও বলেছেন , কিন্তু তিনি উদার নারী নন । অপ্রয়োজনীয় বিদ্বেষমূলক আচরণই বলে দেয় সে জাতির প্রেরণার উৎস হবার মত নারী নন ।
যাক , ভালো থাকুন জেন রসি । পরে আর কথা হবে ,
১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: হ্যাঁ, আর এজন্যে নারীকে আরো পুরুষ হতে হবে, আর পুরুষকে হতে হবে আরো নারী!
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: থাক , নারী নারীই থাক আর পুরুষ থাক পুরুষ হয়ে শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে । তবে মানুষ হিসেবে কিছু কমন প্রয়োজনীয়তা এবং অধিকার রয়েছে নারী- পুরুষ উভয়েরই , সেটা যথাযত ভাবে দুজনেই বুঝে পাক , কিছু কমও নয় আবার বেশীও নয় -- সেটাই আমি চাই ।
১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আচ্ছা।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হাই , হাতুড়ে লেখক ।
১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫
বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নারী দিবসের পোস্ট!!
দিনে দিনে নারীরা বেরিয়ে আসছেন।
সেটাই আশার কথা। একদিন আশাকরি সব নারীই সবখানেই নিরাপদবোধ করবেন।
শুভকামনা রইল।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকেও জানাই অনেক শুভেচ্ছা । ভালো থাকবেন ।
১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
স্পর্শ বলেছেন: আমি কি ফাস্ট কমেন্টে অন্য ভাবে নিয়েছিলাম। আর এসব হলে আপনি নারী দিবস টিবস দিয়ে করবেন। আমি বিপক্ষে কি বলেছি আপনাকে তাহলে কেন এত সব ;
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: স্পর্শ ভাইয়া অথবা আপু , কেমন আছেন ? আপনার ফার্স্ট লাস্ট যেটাই করেছেন একটারও প্রয়োজন ছিল না । আমি নারীর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে কিছু বলিনি । নারী দিবস মানে নারীর পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে নয় । নারী কি পরিধান করবে , সেটা সম্পূর্ণ নির্ধারণ হবে সামাজিক ব্যবস্থার উপড়ে । পোশাক নিয়ে আমি চিন্তিত নোই । ওটা আমার বক্তব্যের বিষয়ও না । কাজেই ওটা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক ।
আমি বলতে চেয়েছি নারী দিবস কেন প্রয়োজন এবং এটা পালন করার দরকার আছে কি নেই । এবং ৯ নম্বরের উত্তরে আমি বলেছিও নারী দিবস উৎসবের মত পালন করবার একদমই প্রয়োজন নেই । বাঙ্গালী নারীর পোশাক কি হওয়া উচিৎ সে ব্যাপারে অন্য আলোচনা হতে পারে । কিন্তু এখানে নয় । আমি টু দা পয়েন্টে কথা বলতে পছন্দ করি । বাড়তি কথা কম বলি । বাড়তি কথা বললে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় ।
১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১
সুমন কর বলেছেন: সহমত জানিয়ে গেলাম। ভালো বলেছেন।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন কর । ভালো থাকবেন ।
১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৭
মাহিরাহি বলেছেন: আজ গুলশান থেকে অফিসের কাছ শেষে ফেরার পথে দেখলাম রাস্তার মেরামতের কাজ করছে কিছু দরিদ্র নারীরা। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি মাটি খোড়াখুড়ি আর মাথায় তা নিয়ে টানাটানি। আর ঠিক রাস্তার উল্টো পাশে কোন অভিজাত রেস্তোরায় বসে আমরা সুস্বাদু খাবার গিলতে গিলতে, নারী স্বাধীনতার জন্য আহাজারি করছি।
অনেকটা নিশ্চিত, জেনারেশন আফটার জেনারেশন এদের জীবনাবসান ঘটবে এভাবে কঠোর পরিশ্রমে, আর জেনারেশন আফটার জেনারেশন আমরা নাচ গানের মাধ্যমে নারী দিবস পালন করব, নারী স্বাধীনতার জন্য গলা ফাটাবো।
আমরা যথেষ্ট স্বাধীন আছি। আমাদের সুখ বাধনহারা, চাহিদার শেষ নেই। যার ফলে অনেকেই বিপথে চলতে শুরু করেছি। সকল বৈধ সুখভোগের পর যখন আর কিছুই চাওয়া পাওয়ার থাকে না, তখনই মানুষ অবৈধ সুখ খুজতে শুরু করে। কিছু বিকৃত রুচির পুরুষদের জন্য, নারীরা আরো সহজলভ্য হয়েছে, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। নারী স্বাধীনতার নামে কিছু নারীদের মাথায় উদ্ভট চিন্তাভাবনা ঢুকিয়ে দেয়া, এর জন্য দায়ী । নারী স্বাধীনতার নামে, অবৈধ সুখ খুজছে যারা (পুরুষ বা নারী), তারা সমাজের উপরের তলার মানুষ।
সত্যিকার অর্থে যদি কারো কোন নারীর স্বাধীনতার প্রয়োজন থাকে তাহলে প্রয়োজন এই দরিদ্র নারীদের। পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের স্বাধীনতার কথা ভাবুন দয়া করে একটু। ওদের সাথে আপনার অর্থ বৈষম্যটিকে কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেটি চিন্তা করার সাহস দেখান।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২০
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: " সত্যিকার অর্থে যদি কারো কোন নারীর স্বাধীনতার প্রয়োজন থাকে তাহলে প্রয়োজন এই দরিদ্র নারীদের। পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের স্বাধীনতার কথা ভাবুন দয়া করে একটু। ওদের সাথে আপনার অর্থ বৈষম্যটিকে কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেটি চিন্তা করার সাহস দেখান।" ---- আপনি এটা বলেছেন ।
কেন বললেন এই অপ্রয়োজনীয় কথা গুলো ? আমি কি কোথাও এমন কিছু বলেছি , যেখানে শুধুই ধনীদের কথা বলা আছে ???? আর আমি দরিদ্র শ্রেণী নিয়ে একেবারেই চিন্তা করিনি ।
আমি সমগ্র নারী জাতির কথাই বলেছি । নারী দিবস সমাজের সর্ব স্তরের নারীদের জন্য ।
এই যে বললেন দরিদ্র নারীরা রাস্তা মেরামতের কাজ করছে । নারীরা আজ বাইরে কাজ করছে পুরুষের পাশাপাশি -- এতো সুখবর !!!
আজ থেকে ২০/ ৩০ বছর আগেও নারীরা এই সুযোগ পেতো না । তারা ঘরে বন্দী থাকতো । কারণ নারী জাতি চোখের সামনে পড়লেই কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ রূপি পশুর উত্তেজনা উঠে যায় বলে তাদেরকে চার দেয়ালে বন্দী করে রাখা হতো । নারী জাগরণের জন্যই কিন্তু নারীরা এই সব কাজ করতে পারছে ।
আপনার কাছে আমি পরে আবার আসছি । আরও কিছু কথা আছে আপনার সাথে ।
১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৯
স্পর্শ বলেছেন: সিদ্ধার্থ সাহেব আমার কমেন্টে মৌলবাদী পাইলেন কোত্থেকে?! এখানে মৌলবাদীর কিছুই আমি বলিনি আর আপুর পোস্টের বিরুদ্ধেও যায়নি। সমাজের কিছু বাস্তব কর্ম সত্য তুলে ধরেছি। আর আপু আসলে আমার কমেন্ট টা অপ্রাসঙ্গিক ছিল বলে মনেও হয় না কারণ আপনার পোস্ট নারী নিয়ে আর কথাও আটকে নিয়েই ছিল যদি সমাজে এসব কর্ম কান্ড চলে তাহলে আপনি আমি এই নারী দিবসঃ দিয়ে করব বলেন।
সিদ্ধার্থ সাহেব কে বলতে হয় সেই কথা আপনি বলেছেন মেয়েদের পোশাক নিয়ে কথা বলেছি তাহলে শিয়ালের মোট হল না সব শিয়ালেই চায় মুরগির স্বাধীনতা।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সিদ্ধার্থ আপনার নাম কিন্তু উল্লেখ করেনি । আপনি শুধু শুধু নিজের গায়ে নিচ্ছেন কেন ?
আর একটা কথা নারী-পুরুষকে শিয়াল মুরগির সাথে তুলনা করবেন না । আমরা মানুষ , আমাদের সাথে পশুর তুলনা হয় না । আমাদের অনেক ক্ষমতা দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা । আমাদের রিপু দমন করার ক্ষমতা রয়েছে যেটা শেয়ালের নেই । কাজেই পুরুষ কখনোই শেয়াল হতে পারে না ।
১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:১২
কলাবাগান১ বলেছেন: সবচেয়ে ভালো লেগেছে গতকালের চ্যানেল আইয়ের খবরে যে দাপট দিয়ে নারী সার্জেন্ট রা রাস্তার ট্রাফিক কে নিয়ন্ত্রন করছিলেন আর তার অধিনস্তরা কিভাবে সন্মান দেখাচ্ছিল তাদের 'বস' দের কে।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আসলেই এটা খুবই আনন্দের কথা । নারীরা সব ধরনের কাজে রয়েছে এখন , যেটা আগে কল্পনাও করা যেত না ।
এটাই নারী দিবস পালনের একধরনের সফলতা ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
কামালপা বলেছেন: কিছু মেয়ে উত্তেজক পোশাক পরে রাস্তা দিয়ে হাঁটে। যেমন টাইট পাজামা, টাইট কামিজ, বিদেশে আরও খারাপ অবস্থা। এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
নারী দিবস নিয়ে যখন পোস্ট করেছেন তখন নারী অধিকার সংক্রান্ত অনেক কথাই আসবে। শুধু হ্যাঁ না জানতে চাইলে আলোচনা জমবে কি করে?
তাই আবারও প্রশ্নটি করছি, কিছু মেয়ে উত্তেজক পোশাক পরে রাস্তা দিয়ে হাঁটে। এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
১০ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হাই কামালপা , আপনার মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ।
নারীর পোশাক পরিচ্ছদ তার নিজস্ব সমাজব্যবস্থাকে সম্মান দেখিয়েই পরা উচিৎ । কারণ একেক সমাজ একেক ভাবে রিএক্ট করে ।
যেমন সৌদির পুরুষের কাছে মেয়েদের হাতের আঙ্গুলই উত্তেজগপূর্ণ হতে পারে । ইউরোপের মানুষের সব খোলা থাকলেও তেমন কিছু মনে করে না মানুষ । আর আপনি বললেন টাইট জামা কাপড়ই নাকি উত্তেজনাপূর্ণ আপনার কাছে । কাজেই আমি বলবো মেয়েদের নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের জামাকাপড় না পড়াই ভালো ।
আসলে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার বেশীভাগ পুরুষেরা নারীকে খাদ্য অর্থাৎ ভোগ্য পণ্য মনে করে থাকে । নারীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক যে হতে পারে কোন প্রকার খারাপ ইন্টেনশন ছাড়া সেটা তাদের মাথায়ই নেই । যার ফলে নারী জাতি দেখলেই তাদেরকে মুরগি মনে করে খেতে চায় । নারীও যে তাদেরই মত রক্ত মাংসের মানুষ সেটা তারা মনে করে না । তাই তারা মুরগিকে দেখলে যাতে তাদের অসুবিধা না হয় তাই নারী তথা মুরগিকে খাঁচায় আটকে রাখতে চায় । নারীদের এই বলে সান্ত্বনা দেয় যে খোলা চকলেট কেউ খেতে চায় না , তাই একে কাগজে মুরিয়ে রাখতে হয় । মানে নারী হচ্ছে চকলেট পুরুষের কাছে । কতটা নিম্ন মানের মনুষ্য জ্ঞান থাকলে মানুষ এরকম ভাবে -- এটা মাঝে মাঝে ভেবে কূল পাই না !!
উত্তেজনা কিন্তু সবার ওঠে না , কিছু কিছু অসুস্থ , ডিস-ফাংশন হওয়া ব্রেইনে হয় । এটার জন্যও অনেকাংশে সমাজ দায়ী । কারণ সমাজ শিখিয়েছে নারীকে মুরগি , চকলেট , কলা ইত্যাদি খাদ্য ভাবতে । সমাজ নারীকে বন্ধু ভাবতে শেখায়নি ।
যাক অনেক কিছু বললাম । আর কিছু বলার থাকলে জানাবেন । অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ।
১৯| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০
কামালপা বলেছেন: সুন্দর উত্তরের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে আপনি যে কথা বললেন যে "দক্ষিণ এশিয়ার বেশীভাগ পুরুষেরা নারীকে খাদ্য অর্থাৎ ভোগ্য পণ্য মনে করে থাকে" - একথার সাথে আমি একমত নই। আমি নিজে বা আমার সার্কেলের কাউকে এমন মনোভাব পোষণ করতে দেখিনি। আমাদের মূল্যবোধে নারী পুরুষের মধ্যে খানিকটা দূরত্ব রাখতে চাওয়া হয়, এর নানান কারণ আছে।
পশ্চিমের অবস্থাটা কি? তাদের ওখানেও নির্যাতন আছে। আমি প্রায়ই বিদেশী পত্রিকা ঘাঁটি। আমার কাছে এখন রেফারেন্স নেই কিন্তু আমি জানি যে সেখানে ধর্ষণের হার অনেক। স্কুলের বাচ্চা মেয়েরা প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ছে, তাদের পড়াশুনা নষ্ট হচ্ছে। ডিভোর্সের হার অনেক বেশী। এসবের জন্য তাদের সমাজ দায়ী নয়? আর খোলামেলা পোষাক তাদের কালচারের অংশ।
আমি মেয়েদেরকে "মুরগি , চকলেট , কলা ইত্যাদি খাদ্য" ভাবি না। তবে কোনো মেয়ে স্যান্ডো গেন্জী হাফ প্যান্ট পড়ে আমার সামনে দিয়ে হেঁটে গেলে তাকে তাই ভাবব। মেয়েটাই আমাকে ভাবতে বাধ্য করবে। এটা পুরুষের স্বাভাবিক ইন্স্টিংক্ট। আমার মনে হয় মহান পাশ্চাত্য পুরুষরাও তাই ভাববে। মুখে হয়ত স্বীকার করবে না। অবশ্য প্রতিদিন একই দৃশ্য দেখতে দেখতে তাদের অনুভূতি কিছুটা ভোঁতা হয়ে গিয়ে থাকতে পারে।
১২ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।
আপনি নারীকে খাদ্য ভাবেন না এটা খুবই ভালো কথা , কিন্তু আপনার মত তো আর সবাই না । এখানেই একজন নারীকে মুরগির সাথে তুলনা করেছে । এজন্য এই প্রসঙ্গ তুলে এনেছি ।
উন্নত দেশ গুলো যে সব দিক থেকে উন্নত হবে তা কিন্তু নয় , আর আমি এই দাবিও করিনি কোথাও । সব সমাজেই কিছু না কিছু ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে । আসলে এই পৃথিবীর জীবন এবং সমজ কখনোই পরিশুদ্ধ হয় না , এখানে সব সময়ই দুর্ভগ এবং দুর্যোগ থাকবেই । আর মানুষের কাজ হলো যতটুকু পারা যায় এর মোকাবিলা করে ভালো থাকার চেষ্টা করা ।
এই নারী দিবসটাও এরকম নারীদের ভাগ্যের উন্নতির কথা চিন্তা করেই হয়েছে । কিন্তু অনেকেই এই ভালো চেষ্টাকে ভুল খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে থাকে ।
আর আপনি বলেছেন যে আপনি আপনার সামনে দিয়ে যদি কেউ অশালীন পোশাক পরে যায় তবে আপনি তাকে খাদ্য ভাববেন । আপনাকে ধন্যবাদ অকপটে নিজের দুর্বলতা স্বীকার করার জন্য । আমি জানি , সবার সেলফ কন্ট্রোল এক ধরনের হয় না । তবে আমরা মানুষরা চাইলে অনেক কিছুই কন্ট্রোল করতে পারি । এখানেই মানুষ এবং পশুর পার্থক্য ।
অশালীন পোশাক অবশ্যই পরা উচিৎ নয় । নারী অধিকার বলতে এটা বোঝায় না যে অশালীন পোশাক পরার অধিকার দিতে হবে । পোশাক পরিচ্ছদ অবশ্যই সমাজ যতটুকু নিতে পারবে তার ভিত্তিতেই পরা উচিৎ । প্রতিটি নারীরই সমাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি ।
আবারো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে , ভালো থাকবেন ।
২০| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারী দিবস পালন খুবই দরকারী, এটা সিম্বোলিক; নারীকে বুঝার জন্য মানুষকে কিছুটা সময় নিয়ে ভাবতে হবে।
১৫ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । অবশ্যই দরকার আছে । কিন্তু সবাই কি সেটা বোঝে!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর।
ভালো লাগলো।