নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে শব্দ,বাক্য তথা চিন্তা একদল মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি , চিন্তা চেতনায় বিপুল পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম সেটাই সাহিত্য । অল্প কিছু কথার মাধ্যমে কবিতা অনেক কথা বলে যায় , সাধারণ ভাবনাকে অসাধারণ করে তোলে , মানুষের ভাবনার গতিপথ পাল্টে দেয় । গল্পও তাই করে , অনেক কথা বলে অনেক কিছু ভাবায় , চিন্তার জগতকে প্রসারিত করে এবং সামাজিক পরিবর্তন নিয়ে আসে । সাহিত্য শুধুই শব্দ শিল্প নয় , অনুভূতি জাগরণের ম্যাকানিজমকেও সাহিত্য বলে । এখন কথা হলো কাসেম বিন আবুবাকার এই কাজে সফল হয়েছেন কিনা , যদি তিনি সফল হন তবে তিনি সাহিত্যিক , না হলে নন ।
আমি তাকে চিনি না , তার লেখা সম্পর্কে কোনই ধারনা নেই। তাই বলতে পারছি না । তবে পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছে তিনি কিছুটা হলেও পরিবর্তন সাধন করেছেন , কারন তিনি এক শ্রেণীর মানুষের কাছে তার বার্তা পৌঁছতে পেরেছেন । হতে পারে সেটায় রুচিসম্মত ভাষার ব্যবহার নেই , নেই উচ্চ শিক্ষিত মানুষের তৃপ্ত হবার মত উচ্চমানের অনুঘটন । কিন্তু একটা বড় অংশের পাঠককে তিনি তৃপ্ত করতে পেরেছেন । এটাই তার সাফল্য , আর এভাবেই তিনি সাহিত্যের অংশ হয়ে থাকবেন , কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক ।
তিনি বাংলা সাহিত্যে অন্যরকম একটি ধারা নিয়ে এসেছেন আরও একটা ক্লাসিফিকেশিন তৈরি করেছেন , যেমন করেছেন লালন ফকির , হাসন রাজা , রবীন্দ্রনাথ , নজরুল , জসিমুদ্দিন , হুমায়ূন আহমেদ , যারা নতুন কিছু করেছেন । এরা একেকজন নিজস্ব ইন্সটিটিউশন তৈরিতে সক্ষম । তাই , আমার মনে হয় কাসেম বিন আবুবাকারও আলাদা একটি ইন্সটিটিউশন , যার লেখা হয়তো আমাকে বা আপনাকে তৃপ্ত করতে পারবে না , তবে একটা বড় অংশকে ইমোশনাল শান্তি দিয়েছে এবং এখনো দেয় ।
কাসেম বিন আবুবাকার বাংলা ট্রিবিউনকে এই কথাটি বলেছেন , "... না না, ইসলাম এটা অ্যালাউ করে না। তবে প্রেম ভালবাসা তো আটকে রাখার বিষয় না। কিন্তু এটাকেও সীমাবদ্ধ রাখা যায়। প্রেম-ভালোবাসা বন্ধ করতে পারবেন না। তাই আমি চাই, তারা এটা করুক। তবে তার মধ্যেও যেন শালীনতা থাকে। ছেলে-মেয়ে মিশবেই, কিন্তু কোন পর্যায়ের মেলামেশা ব্যাভিচারে পরিণত হয়, সেটা জানতে হবে..." । লেখকের এই কথাটি বেশ ভালো লেগেছে আমার । কারন তিনি তার বিশ্বাসের মধ্যে থেকে প্রেম ব্যপারটি যে একটি পবিত্র বিষয় সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন । মানুষের মাঝে প্রেম থাকাটা যে কত জরুরী কিন্তু কিছু দায়িত্ব রয়েছে প্রেমিক প্রেমিকার , সেটাই তিনি তার পাঠকে বোঝাতে চেয়েছেন । অনেকটা হালাল প্রেম বলা যেতে পারে ।
আমরা দেশের বাইরে থাকি বলে সবসময় হালাল খাবার খুঁজি । হালাল প্রেমও যে আছে , এ জানা ছিল না । তার বই পড়বার অপেক্ষায় রইলাম ।
ছবিঃ ইন্টারনেট ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , ধন্যবাদ প্রিয় কবিকে ।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২০
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ভালো পোষ্ট। পোষ্টটির জন্য প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ তবে, হালাল প্রেমের কোন সংজ্ঞা কী ইসলামে আছে? নাকি ওনার ব্যাক্তিগত বানোয়াট। আমি মনে করি লিখালিখি করার অধিকার যে কারও আছে, তবে সেটাকে ইসলামের সাথে মনগড়াভাবে মিক্স করে ইসলামের বদনামি করা কখনোই ঠিক নয়। যা ইসলাম সমর্থন করেনা তার সাথে ইসলামকে ব্যবহার করার কোন যুক্তি আছে কি?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২৭
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য । আমার আসলে ধর্ম সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান নেই , তাই বলতে পারবো না । আর তাছাড়া তার লেখাও যেহেতু পড়িনি তাই জানিনা সে আসলে কি লিখেছেন ।
ভালো থাকবেন সবসময় ।
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৮
মানবী বলেছেন: এই ভদ্রলোকের নাম ও ছবি গত কয়েকদিনে ব্লগে দেখেছি মনে হয়, কি ব্যাপার বুঝতে পারছিনা!
তাঁকে নিয়ে পড়া এটাই প্রথম পোস্ট!
"প্রেম-ভালোবাসা বন্ধ করতে পারবেন না। তাই আমি চাই, তারা এটা করুক। তবে তার মধ্যেও যেন শালীনতা থাকে। ছেলে-মেয়ে মিশবেই, কিন্তু কোন পর্যায়ের মেলামেশা ব্যাভিচারে পরিণত হয়, সেটা জানতে হবে..."
- এর মাধ্যমে তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ বুঝিয়েছেন কিনা জানা নেই, তবে আত্মনিয়ন্ত্রণ বুঝিয়ে থাকলে নিঃসন্দেহে যৌক্তিক! পৃথিবীর সকল কালচার, সকল কর্ম, সকল সম্পর্কের মাঝেই আত্মনিয়ন্ত্রণ জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ!
কাসেম বিন আবুবাকার কে এবং তাঁকে নিয়ে কেনো এতো হৈচৈ তা বুঝতে হলে হয়তো আমাকে আরো কিছু পড়তে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ গুলশান কিবরীয়া।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৫৮
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মানবী । আপনি ঠিকি বলেছেন আত্মনিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ । তিনি হয়তো আত্মনিয়ন্ত্রণের কথাই বলেছেন ।
আসলে ব্যপার হয়েছে , তিনি যেহেতু ইসলামি লেখক হিসেবে পরিচিত , তাই জঙ্গি তৈরির কারখানা কিনা সেটাই খুঁজে দেখা হয়েছে সম্ভবত , যেহেতু জঙ্গি এখন বিশ্ব আতংক । কিন্তু , বিশ্লেষণ করে সেসব কিছু পায়নি বরং প্রেমকাহিনী অথবা অতি সাধারণ মানুষের সাধারণ কিছু গল্প পেয়েছে । তারপরই তিনি আন্তর্জাতিক লাইম লাইটে চলে এসেছেন । কিন্তু কেউ তাকে সাহিত্যিক হিসেবে গ্রহন করছেন আবার কেউ তাকে একেবারেই অজাত কুজাত লেখক হিসেবে দেখছেন।
আমার কথা হলো , একজন সম্পর্কে খারাপ কিছু বলতে হলে অবশ্যই তার সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জানা দরকার । দেখি সময় পেলে তার বই পড়বো ভাবছি ।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৩
মহেড়া বলেছেন: হালাল প্রেম মানুষ ৫ বছর থেকে কেন করে না?" কাম বিনে প্রেম যথা তথা , কাম হলো প্রেমের লতা। " তাইলে এখানে হালাল কাম খোঁজতে হবে। তবে হালাল কাম তো বিয়ে ছাড়া নাই। তাইলে কেমনে কি ?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:০৩
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কেন করে না তা তো জানি না । ৫ বছরের কথা কেন বলছেন?
এই লেখক কাম বিনা প্রেমের কথাই হয়তো বলেছেন , সঠিক জানি না । আসলে ধর্ম বিষয়টা আমি বুঝি কম তাই , এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারবো না । কাম বিহীন প্রেম বড় কঠিন আজকালকার যুগে । তাই আমি বলবো কাসেম বিন আবুবাকার এর বই পড়ুন । তাহলে হয়তো কিছু টেকনিক শিখতেও পারেন ।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩
তার ছিড়া আমি বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, আপনার পোস্টটি নিয়ন্ত্রণরেখা থেকেই লেখা হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
.... তবে আন্তর্জাতিক মিডিয়া তাকে যেভাবে ইসলামিক রাইটার বলে চালাতে চাচ্ছে, ব্যাপারটা আসলে তা না। যেমন তিনি নিজেই বলেছেন= "... না না, ইসলাম এটা অ্যালাউ করে না। তবে প্রেম ভালবাসা তো আটকে রাখার বিষয় না। কিন্তু এটাকেও সীমাবদ্ধ রাখা যায়। প্রেম-ভালোবাসা বন্ধ করতে পারবেন না। তাই আমি চাই, তারা এটা করুক। তবে তার মধ্যেও যেন শালীনতা থাকে। ছেলে-মেয়ে মিশবেই, কিন্তু কোন পর্যায়ের মেলামেশা ব্যাভিচারে পরিণত হয়, সেটা জানতে হবে..." ।
তিনি নিজেকে ইসলামিক রাইটার হিসাবে দাবি করছেন না। মিডিয়া তাকে জোর করে ইসলামিক বানাচ্ছে।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০২
বিলুনী বলেছেন: আমি তাকে চিনি না , তার লেখা সম্পর্কে কোনই ধারনা নেই। তাই বলতে পারছি না । তবে পত্র-পত্রিকা এবং বিভিন্ন জনের স্ট্যাটাস দেখে মনে হচ্ছে তিনি কিছুটা হলেও পরিবর্তন সাধন করেছেন
যাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়া হল, করা হল তার সৃষ্টির পর্যালোচনা, একটু কষ্ট করে দিন দুই তার লেখার উপরে পড়াশুনা করে লিখলে তা গ্রহন যোগ্যতা পেত অনেকটা বেশী করেই । তাই পোষ্টের মুল্যায়নটা করা হলো পোষ্ট লিখকের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিকে আমলে নিয়েই ।
গত কয়েকদিন যাবত দেখছি এই সামুর পাতায় তাকে নিয়ে বেশ লিখালিখি । মন্তব্যের ঘরে অনেক নামী ব্লগারের সকলেরই একই কথা তাকে চিনি না , তার লেখা সম্পর্কে কোনই ধারনা নেই । তাকে নিয়ে আমিও দেখেছি বিভিন্ন জনের পোষ্টে কিছু উধৃতি , তবে লিখাগুলি কোন কচি হাতের লিখা বলে মনে হয়নি , কেন জানি মনে হয়েছে লিখাগুলি চেইন সাপ্লাই ম্যানেজমেন্টের আদলে পরিবেশিত । তার নামে চালানো কবিতা ও লিখাগুলি খুবই উচ্চমানের যে কটা দেখা গেল বিভিন্ন জনের পোষ্টের কোটিং এ । এ সকল মানের লিখা লিখতে যথেষ্ট পান্ডিত্য ও পড়াশুনার প্রয়োজন পড়ে , কবির এত পরিচিতি ও গুনগান পাওয়ার জন্য দেশের মেইন স্ট্রীম প্রকাশনা, সংবাদ মাধ্যম ও সাংস্কৃকিক অঙ্গনেও ব্যাপক পরিচিতি সাথে বিভিন্ন প্রকারের ও শ্রেনী পেশার মানুষের নিকট তার লিখার পরিচিতির প্রয়োজনটাও পরে । এ বিষয়টিতে দারুন অভাব থাকার পরেও এবং দেশের মানুষ তাকে ব্যপকভাবে না চিনলেও বিদেশের অনেক মিডিয়ায় তাকে নিয়ে কথামালা বেশ হয়েছে বলে বিভিন্ন পোষ্টের লেখকগন উল্লেখ করেছেন দেখা যায় , বিশ্বজনিন তার এরকম পরিচিতি কিভাবে হল তা ভাবতেও কিছুটা অবাক লাগে । তবে প্রাথমিক কর্মটা মনে হয় সমপন্ন হয়েছে এবার মনে হয় তাকে নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অায়োজনটা চলছে জোড়ে শোরে ।
লালন ফকির , হাসন রাজা , রবীন্দ্রনাথ , নজরুল , জসিমুদ্দিন , হুমায়ূন আহমেদ এদের সাথে তুলনা করাটা আরো কয়েক শত বছর লেগে যেতে পারে যে কোন লেখকের তরে , আর এতো প্রায় সকলের কাছে অজানা বিদখুটে সাহিত্য সম্ভারের এক লেখক বটে !!! খুব একটা জোড় দিয়ে বলা না হলেও তুলনার শুরুটাতো করা হয়েছে । এটাকে বিজ্ঞ জনেরা কিভাবে নিবেন ও কোন দৃষ্টিকোন হতে দেখবেন সেটাই এখন ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে । তবে কথা হলো ঐ লিখকের লিখা কোন বই পাঠ না করেই শুধু তার সমর্থক কিছু লোকের কপি পেষ্ট করা কিছু লিখা হতে কয়েক ছত্র পাঠ করে তাকে লালন ফকির , হাসন রাজা , রবীন্দ্রনাথ , নজরুল , জসিমুদ্দিন , হুমায়ূন আহমেদ এদের সাথে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন প্রয়াস দেখে একটু বিস্ময় জাগে !!!! এ লেখকের দু এক ছত্র লিখা পাঠেই তাকে ইনসটিটিউশন করে ফেলা হয়েছে !!!! জানিনা পুরাটা পড়লে তাকে কোন উচ্চ মার্গে তোলা হত !!!!!
যাহোক, জয় হোক তার নামে কবিতা ও উপন্যাস লিখালিখির সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট উদ্দোক্তাদের । শুনেছি তসলিমা নাসরিনকেও নাকি তৈরী করা হয়েছিল এরকমই কোন একটি দৃষ্টিকোন হতে , তার কাজকর্মে ভাটা পরায় নব উদ্দমে কাজ শুরু হয়েছে ভিন্ন কোন রূপ ধরে । তসলিমা নাসরিনের নামে আমাদের সাহিত্য জগতকে সমালোচিত করার চেষ্টা হয়েছে অতীতে , তাই ভয় হয় এবারেও ধর্মীয় ও অধর্মীয় জগাখিচুরী মিশ্রনে বাংলা সাহিত্যটাকেই কলুষিত করার কোন প্রয়াস কিনা তা কে জানে , ভবিতব্যই শুধু উত্তর দিবে । আমাদের ধারনা ভুল হলেই ভাল , সত্যি হলে ক্ষতির যা হবার তা হয়েই যাবে ।
দেখা যাক এবার দেশের প্রতিথযশা সাহিতইকেরা তাকে নিয়ে কি কথা বলে ।
আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি মন্তব্যের কথাগুলিকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিবেন না , এটা গত কয়েকদিন ধরে তার বিষয়ে লিখার গতি প্রকৃতি দেখেই বলছি কথাগুলি ।
ধন্যবাদ বিষয়টাকে আলোচনার প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য , এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৫
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: "যাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়া হল, করা হল তার সৃষ্টির পর্যালোচনা, একটু কষ্ট করে দিন দুই তার লেখার উপরে পড়াশুনা করে লিখলে তা গ্রহন যোগ্যতা পেত অনেকটা বেশী করেই । তাই পোষ্টের মুল্যায়নটা করা হলো পোষ্ট লিখকের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিকে আমলে নিয়েই ।" -- বিলুনী , মন্তব্য নাম্বর ৬ ( ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০২)
আমি গ্রহন যোগ্যতা পাওয়ার জন্য লেখিনি । আমার লেখাটি ছিল একটি লিফ্লেক্টিভ লেখা । অনেকটা ইম্প্রেসশনিশটিক (impressionistic) মতবাদ এর মত। কাসেমকে নিয়ে দুনিয়াময় হৈ চৈ আমাকে কি ভাবাচ্ছে সেটাই আমি আমার একটি ছোট্ট আকৃতির লেখায় তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি মাত্র , এটা সম্পূর্ণই আমার নিজস্ব অভিমত । এটা আমার লেখার ধরন দেখেই আপনার বোঝা উচিৎ ছিল। কাজেই গ্রহন যোগ্যতা পেল কি না পেল তাতে আমার কোনই মাথা ব্যথা নেই ।
" ঐ লিখকের লিখা কোন বই পাঠ না করেই শুধু তার সমর্থক কিছু লোকের কপি পেষ্ট করা কিছু লিখা হতে কয়েক ছত্র পাঠ করে তাকে লালন ফকির , হাসন রাজা , রবীন্দ্রনাথ , নজরুল , জসিমুদ্দিন , হুমায়ূন আহমেদ এদের সাথে তুলনা করার একটি প্রচ্ছন্ন প্রয়াস দেখে একটু বিস্ময় জাগে !!!! " ---বিলুনী , মন্তব্য নাম্বর ৬ ( ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:০২)
লেখক কাসেমকে আমি উল্লেখিত কোন লেখক-কবির সাথে তুলনা করিনি । বরং বলেছি তিনি আরও একটি ধারার সূচনা করেছেন , বাংলা সাহিত্যে আরও একটি ক্লাসিফিকেশন তৈরি করেছেন । প্রকৃতপক্ষে, উপড়ে উল্লেখিত লেখক-কবিগন কেউই কারোর সাথে তুলনা করার যোগ্য নন । তারা সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন থেকে আরেকজন । শুনেছি লেখক কাসেমের শতাধিক বই রয়েছে এবং তার লেখার ধরনটা সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার , কিছুটা ইসলামি বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা , যেটা সম্পূর্ণ নতুন কৌশল , অন্ততপক্ষে , আমি তাই মনে করি । তাই , তাকে ইন্সটিটিউশন বলাই যেতে পারে । তার ধরন , কৌশল , অভিপ্রায় নিয়ে ভবিষ্যতে গবেষণাও হয়তো হবে , এতে অবাক হবার তো কিছুই দেখি না আমি ।
আপনার কি মনে হয় , গবেষণা কি কেবল শ্রেষ্ঠ জিনিস নিয়েই হয়? তা কিন্তু নয় , মহাশয় । গবেষণা কিন্তু অনেক নিকৃষ্ট জিনিস নিয়েও হতে পারে । আমি ধরেই নিলাম লেখক কাসেমের লেখা জঘন্য , কিন্তু তারপরও তার লেখা নিয়ে গবেষণা করবে উন্নত চিন্তার একটি দেশ এবং উন্নত চিন্তার একটি গোষ্ঠী । গবেষণা করবে তার বিপুল জনপ্রিয়তার কারন জানতে , তার কৌশল , চিন্তা এবং সর্বোপরি অন্তরনিহত মর্ম বোঝার জন্য , তাকে অনুসরণ করার জন্য নয় , অথবা সে খুব আদর্শ একজন ব্যক্তি সেই হিসেবেও নয় । তাহলে আপনিই বলুন তাকে কেন ইন্সটিটুশন বলবো না ।
জানি , বাঙ্গালী এসব করবে না , কারন বাঙ্গালীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে জঘন্য বুরক্রেসি আর নোংরা পলিটিক্স ঘুরে বেড়ায় । যার জন্য এ জাতি কোথাও মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না । আর এটা হওয়াটাও স্বাভাবিক , ছোট একটি দেশ , নোংরা পলিটিক্স-এর ভাইরাস খুব দ্রুত সব খানে ছড়িয়ে পড়ে । আর সাধারণ মানুষ তো উপায়হীন , তারা কোনমতে যে কোন একটি ডাল ( গাছের ডাল ) ধরে ভয়াবহ স্রোতের কবল থেকে বাঁচার চেষ্টা করে । এভাবেই গাছের ডালে ডালে ভিন্ন গোষ্ঠী আর দল এবং মতের জন্ম হয় । এ ওকে ঘায়েল , ডুবিয়ে দিয়ে নিজে বাচার চেষ্টা করে । এই হলো বাংলার দৃশ্য পট আমার দৃষ্টিতে ।
যাক , বাংলার এসব ফালতু বুরক্রেসি আর সর্বগ্রাসি পলিটিক্সে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই , ওসব চুলোয় যাক । আমি যেহেতু সামান্য লেখালেকি করি , তাই একজন লেখককে সম্মান দেখিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করেছি , এই তো , আর কিছুই না ।
আপনিও কিন্তু পার্সোনালি নেবেন না একটি কোথাও । শুধু মাত্র কথার পৃষ্টে কয়েকটা কথা বললাম আরকি । ভালো থাকুন , সুন্দর থাকুন ।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০০
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: কাশেম বিন আবুবকরের মেবি দুইটা বই পড়া হয়েছিলো যা আমার কাছে নিতান্তই গার্বেজ মনে হয়েছিলো এবং আমাদের অনেকের কাছে তা মনে হবে কিন্তু কথা হল আমাদের মত পাঠকদের জন্য কি কাশেম বিন আবুবকর কি ঠেকে আছে? সাহিত্যে কোয়ালিটি ব্যাপারটা আপেক্ষিক কিন্তু বিজনেস ব্যাপারটা ফিক্সড আর এই বিজনেস এ কাশেম বিন আবুবকর এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে তার সাহিত্যের এক বিশাল বাজার তার এই বাজারের কাস্টমাররা ঠিক যে জিনিসটা চায় অর্থাৎ রক্ষনশীলতা নৈতিকতা ও রোমান্স সংমিশ্রনে এক হচপচ ফ্যান্টাসি সেই ব্যাপারটা কাশেম বিন আবুবকর সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের বই পড়ুয়াদের চিন্তা ভাবনা যেই যায়গায় কাশেম বিন আবুবকর ঠিক সেই যায়গায় স্ট্রোক দিচ্ছে, তার বাজার তৈরির জন্য তাকে প্রথম আলুতে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ব্যানারে কলাম লিখা লাগে নাই স্টেডিয়ামে গিয়ে মাশরাফিদের সাথে সেলফি তোলারও প্রয়োজন হয় নাই।
দিন শেষে কথা হল যে কাশেম বিন আবুবকর তো তার গেঁয়ো পাঠকদের কে তার বই গিলিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করে নিজের ভাত কাপড়ের ব্যাবস্থা করেছে কিন্তু যেই সব শহুরে বটলার সাহিত্যিকরা আজ কাশেম বিন আবুবকরের সমালোচনা করতেসে তারা নিজেদের লেখা গুলো তাদের শহুরে প্রগতিশীল পাঠকদের কতটুকু গেলাতে পারছে, তাদের বই গুলো যতটুকু বিজনেস করছে তাতে এটলিস্ট চারুকলা বা আজিজ মার্কেটের চিপায় দাড়িয়ে গাঁজা টানার পয়সা আসছে তো?
এরা কাশেম বিন আবুবকর কে তাচ্ছিল্য করে আবার নিজেদের আলোচনায় আনার জন্য এই কাশেম বিন আবুবকর টপিকটাই বেছে নেয়
শেইম_অন
৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: তার সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না । তাই মন্তব্য করছি না ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৯
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: হা হা হা , মন্তব্য তো করেই ফেলেছেন ।
৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অশেষ ধন্যবাদ, গুলশান কিবরীয়া। আপনি অল্প কথায় দারুনভাবে কাশেম বিন আবু বাকারকে যথার্থভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন। তার লেখা আমি পড়েছি। যদিও সেগুলোর সাহিত্যিক মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়, তবু বাংলা ভাষার পাঠকদের একটি শ্রেনিকে তিনি পরিতৃপ্তি দিতে পেরেছেন। এখানটাতেই তার স্বার্থকতা।
আসলে, দু:খের সাথে বলছি, আমার দেখা মতে, মুসলমানদের মধ্যে নামধারী এক শ্রেনির লোক আমাদের ভেতরে রয়েছেন, তাদের অন্য কোন কিছুতেই কোন আপত্তি থাকে না; কেবলমাত্র কোন বিষয়ে ধর্মীয় নিয়ম নীতি কিংবা ধর্মীয় বিধান অথবা ধর্মের অনুসঙ্গ এসে গেলেই তাদের গাত্রদাহ। অবলীলায়, তারা এগুলো করেন। এই ব্লগে এক ভদ্রলোককে দেখেছি, অন্য একজনকে লিখছেন, 'আপনাদের এই এক সমস্যা, সব কিছুতেই কেবল ইসলামকে টেনে আনেন।'
ভদ্রলোক যেহেতু ইসলামিক কিছু বিষয়াদিকে তার লেখার আদর্শ-উপজীব্য-অনুসঙ্গ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। সুতরাং ধরে নেয়া যায়, কাশেম বিন আবু বাকারকে নিয়েও এই সমস্যাটি ঐ শ্রেনির ভেতরে কাজ করে যাচ্ছে। আর এটা ঐ শ্রেনিটা হয়তো অবলীলায় করেও যাবেন। সত্যকে আড়াল করতে এই ভদ্রলোককে জামাতি কিংবা ভিন গ্রহের অন্য কোন প্রানী প্রমান করতেও হয়তো তারা পিছপা হবেন না।
ভাল থাকবেন।
১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: তার বই পড়তে হবে তাহলে বুঝতে পারব। নাম শুনিনি এর আগে কদিন আগে শুনলাম।
১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এ ভদ্রলোকে নতুন দেখছি ...... এমনি ওনার নাম দিয়ে খোলা ফেসবুক আইডির রিকুঃ পেয়েছিলাম। বিস্তারিত দেখার যাক হয়.......
১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬
সিনবাদ জাহাজি বলেছেন: দ্রলোকের লিখার সাথে আমার তেমন পরিচয় নেই।
.
আমি শরৎ,হুমায়ুন বেশি পড়ি।
.
জহির রায়হান, সমরেশ , সুনীল , শংকর, বঙ্কিম , ফাল্গুনী , সত্যজিত রায় , বিমল মিত্র , বনফুলসহ আরো অনেক লেখকের লিখা কমবেশি পড়েছি।
.
বেশ কিছুদিন আগে এক ছোটভাই বলল ভাইয়া আপনি তো অনেক বই টই পড়েছেন। তো বিলম্বিত বাসর বইটা পড়ছেন কি?
বললাম ভাইয়া আমি লাইফ এর ফার্স্ট এই নাম শুনলাম।
তারপর বলল বোরকা পড়া মেয়ে বইটা পড়ছেন?
বললাম না।
.
সে বলল তো ভাইয়া কি পড়ছেন আপনি?
এত ভাল ভাল বই পড়েন নি????
.
আমি বললাম তা ভাইয়া এই বইগুলোর লেখক কে?
.
সে বলল কাশেম বীন আবু বকর।
.
আমি বললাম এই লেখকের নাম আমি ফার্স্ট শুনলাম।
.
তো ছোটভাই সেদিন নিজ দায়িত্বে ভদ্রলোকের লিখা ফুটন্ত গোলাপ নামক একটা বই আমাকে সরবারাহ করল।
বলল ভাইয়া এটা পড়ে যদি আপনি কাশেম বীন আবু বকরের ফ্যান না হন তাহলে আমার নাম পাল্টিয়ে রাইখেন।
.
তো পড়া শুরু করলাম বোধয় ১০ কি ১৫ পৃষ্ঠা পড়ছিলাম এরপর আর নিতে পারি নাই।
.
ছোটভাই এর নামটাউ অবশ্য পাল্টে রাখা হয়নি ভাবলাম পড়ি নাই বললে মন খারাপ করবে ছোটমানুষ। মুখে বললাম ভালই লাগছে।
.
এরপর ছোটভাই আরো অনেকবার ভদ্রলোকের বই দিতে চাইছে। নানা ভাবে এড়ায়া গেছি।
.
যদিও উনার লিখা আমার ভাল লাগেনি, লিখার ধারাটা পছন্দ না আমার তবু এটা অস্বীকার করবার জো নেই দেশের গ্রাম এবং মফস্বলের লাইব্রেরীগুলোতে উনার বই এর ই বেস্ট সেল হয়।
.
উনি দেশের প্রান্তিক পাঠকদের মনে আলাদা একটা জায়গা করে নিয়েছেন আলাদা একটা জগৎ তৈরী করেছেন। যা অনেক বড় বড় লেখক পারেন নি।
এ জন্য ভদ্রলোককে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
১৩| ০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সব্বাইকে । সময় করে উত্তর দেব । ভালো থাকবেন সব্বাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: আমরা দেশের বাইরে থাকি বলে সবসময় হালাল খাবার খুঁজি । হালাল প্রেমও যে আছে , এ জানা ছিল না ।
বেশ বলেছ বন্ধু