নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো...

গুলশান কিবরীয়া

ফেসবুকে চারুলতা আরজু নামে পরিচিত।

গুলশান কিবরীয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

অস্ট্রেলিয়ার আগুন ও আমার কিছু ভাবনা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০০




আমার বিড়ালটিকে প্রথম যখন ভেটের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম তখন ওরা বলছিলো বিড়ালটিকে নিউটার করিয়ে ফেলতে। কিন্তু আমি সেটা করতে চাইনি। কারণ আমি চেয়েছি আমার বিড়ালটি ন্যচারাল ভাবে বেড়ে উঠুক, প্রেগন্যান্ট হোক এবং অনেক গুলো বিড়ালের বাচ্চা আসুক। সেই সাথে আমার বাচ্চারা দেখুক এই ন্যচারাল প্রসেসটি। মা বিড়াল এবং বাচ্চাদের ভালোবাসাটি চোখের সামনে দেখুক। প্রথম বারের ভেট আমার ইচ্ছার প্রাধান্য দিয়েছে হয়তোবা, তাই আর তেমন কিছু বলেনি। কিন্তু বিড়ালটি যখন সাত কি আট মাস তখন আরেকজন ভেট বলল নিউটার করিয়ে নিতে এবং সে আমাকে জানালো যে, এখন আর ন্যাচারাল বলতে কিছুই নেই। কারন আমরা পৃথিবীকে এমন ভাবে আর্টিফিশিয়ালি প্রটেক্ট করে রেখেছি যে ন্যচারাল অপশন আমাদের জন্য খোলা নেই। ন্যচারাল পথে বিপদের সম্ভাবনা অনেক বেশী। তাই বিড়ালকে প্রেগন্যান্ট হতে দেয়া মানে বিপদ নিয়ে আসা।বেশ চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম, অনেক ভাবলাম বিষয়টি নিয়ে। আমার নিজস্ব কিছু থিওরি আছে সেগুলোই আজ একটু বলতে চাচ্ছি। জানি এ বিষয়ে মানুষের আগ্রহ কম। তারপরও বলছি.

ধরুন একটি প্রকাণ্ড উল্কা পৃথিবীর দিকে সর্বচ্চ গতি নিয়ে এগিয়ে আসছে এবং আমাদের পৃথিবীতে রয়েছে মহা শক্তিধর বিজ্ঞানী যার অসাধারণ আবিষ্কার উল্কার গতিপথ পরিবর্তন করে অন্য দিকে সরিয়ে দিয়েছে। আমারা ভীষণ খুশী, আমাদের পৃথিবী এবারের মত বেঁচে গেলো, অনেক গুলো প্রাণ বেঁচে গেলো। কিন্তু দেখা গেল বেশ কিছু কাল পরে আমাদের মানব জগত অর্থাৎ আমাদের পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। কারণ হিসেবে দেখা গেলো ঐ যে উল্কার পথ আমরা পরিবর্তন করে দিয়েছি সেটা সমগ্র ছায়াপথের নানান গ্রহ উপগ্রহের গতিপথ পরিবর্তন করে দিয়েছে যেটা প্রায় সব জায়গায় একটি লন্ঠভন্ঠ অবস্থা তৈরি করে শেষমেশ আমাদের পৃথিবী সহ অন্যান্য অনেক গ্রহ উপগ্রহ এমন কি নক্ষত্রকে দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে । আসলে আমি বলতে চাচ্ছি প্রকৃতির একটি নিজস্ব গতি রয়েছে এবং গতি পথ রয়েছে সেখান থেকে সেটাকে এক চুল এদিক সেদিক করলেই সমগ্র সাজানো গোছানো বিশ্বজগত চুরমার হয়ে যেতে পার। সমগ্র বিশ্বজগত এমন একটি ম্যাথম্যাটিকাল ইকুয়েশনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আপন মনে ঘুরছে যে সামান্য কসমিক ডেসট্রাকশন এনে দিতে পারে ভয়ংকর ধ্বংস। কেউ কেউ রেফারেন্স চাইতে পারেন। আবার বলতে পারেন, এসব ফালতু কথা কৈ পাও? আমার কাছে কোন রেফারেন্স নেই, আমার চিন্তাশীল মানব মস্তিষ্ক এমন করেই ভাবে। এক সময় এতো ডকিউমেন্টারি দেখেছি বিশ্বজগত নিয়ে যে, ছোট মস্তিষ্ক আর ধারণ করতে পারছিলো না বলে দেখা বন্ধ করে দিয়েছি। যখনই পৃথিবীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসে, আমার কাছে মনে হয় নিশ্চয়ই আমাদের কোন ভুলের কারনেই এই দুর্যোগ, দুর্ভোগ। জী, অস্ট্রেলিয়ার মহা প্রলয়ংকারি অগ্নিকাণ্ডের কথাই ভাবছিলাম। প্রাণী গুলোর জন্য খুব খারাপ লাগছে।


হয়তো সেই ভেট ঠিকি বলেছে, আমাদের হাতে ন্যচারাল অপশন খোলা নেই। আগে ছিল natural selection অথবা survival of fittest. আরেকটু খোলা করে বললে বলা যায়, you have to be naturally fit to live in a particular environment. কিন্তু বিজ্ঞান এতো এগিয়ে গিয়েছে যে আপনাকে আর্টিফিশিয়ালি ফিট বানাতে পারবে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নানান রকম ভ্যাক্সসিনের কারনে শিশু মৃত্যুর হাড় কমে গিয়েছে, কিন্তু অটিজমের সংখ্যা বেড়েছে। যদিও অনেক বিজ্ঞানীরাই এ বিষয়ে একমত নয়। কেউ বলে GMF( Genetically Modified Food) এর জন্য দায়ী। কিন্তু আমি বলি, যেটাই হোক অপ্রাকৃতিক উপায়ে কোন কিছুই ভালো হবার কথা নয়। মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে জগতে, প্রকৃতিকে চেপেচুপে খাদ্যের পরিমাণও তো বাড়াতে হবে, তাই না। যে কোন সমস্যাই এভাবে চক্রবৃদ্ধি হারেই বাড়ে। তবে হ্যাঁ, ভ্যাক্সিন কখনোই বন্ধ করা উচিৎ নয়, কারন আমাদের কাছে আর ন্যচারাল আপশন খোলা নেই। বন্ধ করলে ইনস্ট্যান্ট বিপদ ডেকে আনবেন। যদিও এক বিপদ উতরে গেলেও অন্য আরেকটি অজানা বিপদ এসে হাজির হয় । আবার ভাববেন না যে আমি অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার মানুষ। আমি মোটেও তা নই। বিজ্ঞানীদের নব নব উদ্ভাবনে মাঝে মাঝে অতি খুশীতে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই, আহা কি দারুন সব উদ্ভাবন! কিন্তু অসাধু বিজ্ঞানীদের ব্লাইন্ড ফোল্ডেট অসাধু বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে আমি সাপোর্ট করি না।

এতো কথা লেখার কারণ হচ্ছে এই আধুনিক জীবন যাপন আমাদের ইকোসিস্টেম নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আমাদের এই সুন্দর প্রকৃতির সাথে আমাদের আর সখ্যতা নেই। এজন্যই সে বৈরী রূপ ধারণ করে আমাদের ভয় দেখায়। খুব তারাতারি হয়তো আমাদের মানব সভ্যতা ধুয়ে মুছে নিঃশেষ করে দেবে।সবই বুঝি কিন্তু সেই ছোট মেয়ে Greta Thunberg এর মত low emission নৌকায় করে দেশ বিদেশ যাত্রা করা আর পৃথিবীর জন্য তার মত করে চিন্তা করার সাহস কি আমাদের আছে!

ছবি সূত্রঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

ঘুটুরি বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে লেখায় বানানের দিকে আরেকটু সতর্কতা দিলে আরো ভালো লাগত

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। খুব তারাতারি লিখেছি তো । আমার চোখে শুধু একটি বানান ভুল ধরা পড়লো , সেটা ঠিক করে ফেলেছি
" প্রাকৃতিক" । আপনার যদি সময় থাকে , তাহলে একটু বলবেন আর কি ভুল আছে?

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমরা প্রকৃতির সন্তান।
আমাদের স্বার্থেই প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে।

ভালো লাগলো। লাইক।।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: প্রকৃতি অন্ধ, দেখতে পাচ্ছে না মানুষ হইতে তারা উত্তম এবং তাদের ভালোবাসাও। আর কত এইবার থামো, নয়তো ভিসা লাগায় দাও, আমি বাঁচাই।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার ভাবনা তো খারাপ না। মূল কথা প্রাকৃতিক সব কিছুই ভালো। মন্দ হইলেও এর ভালো অনেক দিকই আছে। তারপরও নতুন কিছু আসে আমরা অভ্যস্ত হই। কিন্তু টান থাকে প্রকৃতির দিকেই। এসির শীতল হাওয়া আর গাছের ছায়ায় প্রাকৃতিক হাওয়ার পরশ পার্থক্য বিশাল।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে প্রকৃতি আমরা নষ্ট করে ফেলেছি। এখন এসির বাতাস ছাড়া উপায় নেই।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১১

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমারও একটা ভাবনা মনে এলো । দাঁতের ডাক্তারদের মতে, বিশেষত পশ্চিমা বিশ্বে, আমাদের আক্কেল দাঁতের কোনো উপকারিতা নেই, বরং এগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে, তাই তারা প্রায়ই রোগীকে এগুলো তুলে ফেলতে উপদেশ দেন । এবং এ প্রসেসটা খুব একটা আরামদায়ক তো নয়ই সেই সাথে বায়সাধ্যও বটে । আমার এক বন্ধু বলেছিলেন, আল্লাহ যখন এ দাঁতগুলো দিয়েছেন এগুলোর নিশ্চয়ই কোনো দরকার আছে , (যদিও কারো আক্কেল থাকা না থাকার বিষয়ে এর অবদান কতটা সে সম্বন্ধে তিনি কোনো ধারণা দিতে পারেননি !) ভাবছি কে ঠিক ? ডেন্টিস্টরা না আমার বন্ধু ?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৩

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বেশ মজার তো! আসলে মাড়িতে অনেকের জায়গা থাকে না তখন সেটা স্বাভাবিক জীবন যাপনে ভিগ্ন ঘটায়, ব্যথা হয় তখন ওটা ফেলে দেয়াটাই ভালো মনে করে বলেই হয়তো ফেলে দিতে বলে। সবার ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৫

একাল-সেকাল বলেছেন: প্রকৃতি যেন আসিদের পিছু ছাড়ছেনা


অস্ট্রেলিয়ায় চলা ভয়াবহ দাবানলের মধ্যেই এবার দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ব্লেক। ঘন্টায় ৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ক্যাটাগরি এক মাত্রার ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। তবে এটি আরো শক্তি সঞ্চয় করে ক্যাটাগরি দুই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

খুবই ভয়াবহ অবস্থা।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার ভাবনার
সুন্দর প্রকাশ।
ধন্যবাদ আপনাকে
শুভেচ্ছা জানবেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৭

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভ কামনা।

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:১৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সব ঠিক আছে।
মানব শৃষ্ট কারনে প্রকৃতির অনেক ক্ষতি হলেও
কিন্তু আলোচিত বনের আগুন মানব শৃষ্ট কারনে লাগে না।
গরমের সিজনে বনের নিচে সুখনো পাতা জমে, দমকা বাতাসে ডাল পালার ঘর্ষনে স্পার্কিং, বজ্রপাতে ইত্যাদি নানাবিধ কারনে আগুন লেগে যায়। প্রাকৃতিক ভাবেই লাগে। প্রতি বছরই আগুন লাগছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: এটা গ্রিনহাউজ এফেক্টের জন্য হতে পারে।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২২

আরইউ বলেছেন: আপনি প্রথম যে বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন সেটাকে অনেকে "বাটারফ্লাই ইফেক্ট" বলেঃ কাওস থিওরি-এর কলোকুয়াল ইন্টারপ্রিটেশন সম্ভবত। যেমন অনেকে বলে "এ" প্লেসে একটা প্রজাপতির ডানা ঝাপটানো, প্লেস "বি" তে ঘুর্নিঝরের সৃষ্টি করতে পারে। কোন সিস্টেমের কোথাও "আজকের" ছোট একটা পরিবর্তন, "আগামীতে" কোথাও সিগনিফেন্ট প্রভাব ফেলতে পারে আরকি। আমি অবশ্য এ বিষয়ে কোন এক্সপার্ট নই।

ভ্যাক্সিনেশান এবং অটিজম নিয়ে যা লিখেছেন- দেয়ার ইজ নো সায়েন্টিফিক এভিডেন্স! সাম্প্রতিক এই গবেষণা প্রবন্ধটি পড়ে দেখুন -- চমৎকার স্টাডি, খুবই ওয়েল রিটেন এন্ড হাই কোয়ালিটি। এরকম অনেক স্টাডি পাবেন। এই মেটা-এনালাইসিসটা পড়ুন -- এটা খুবই হাই লেভেল এভিডেন্স যে ভাক্সিনেশান এর সাথে অটিজম লিংকড না।

জিএমএফ/জিএমও নিয়ে অনেক কথা বলা যায়, বাট, ইউ নো হোয়াট, মানুষ অতীত থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে। এটাকে যে ধরণের ভিলেনিক অবয়ব দেয়া আছে আসলে তা কতটা সত্য উই ডোন্ট নো। এই ভিডিওটা আপনার ভালো লাগতে পারে।

অজি বুশফায়ার নিয়ে বলার কিছু নেই -- এটা নিয়মিত ঘটনা। ১০-১৫ বছর আগ থেকে অস্ট্রেলিয়ান সরকার এই বিষয়ে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারতো, সায়েন্টিস্টরা বিভিন্ন সময়ে এসব নিয়ে সরাকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেন দরবার করেছে বলেও শুনেছি। কোন কাজ হয়নি; কে শোনে সায়েন্টিস্টদের কথা! ওখানকার এবরজিনাল এবং টরেস স্ট্রেইট আইল্যান্ডাররা অতীতে নিজেরাই কিছু বুশল্যান্ড পুড়িয়ে ফেলতো -- তাদের কমিউনিটি লিডাররা অস্ট্রেলিয়ান ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছে, বাট তাদের কথা কেউ শোনেনি।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণ হবার পরেও অনেক কিছুই অপ্রমাণিত হবার সম্ভাবনাও থেকে যায় । আমিও জানি যে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে ভ্যাক্সিন অটিজমের জন্য দায়ী নয়।অনেকেই ধারনা করে যে BCG ভ্যাক্সিন অটিজমের জন্য দায়ী। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে এটি দায়ী নয়। আমি আমার নিজস্ব ধারনার কথা বলেছি, এটার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অবশ্যই নেই। বিজ্ঞান সেটাই যেটা প্রমাণ এবং অপ্রমাণ করার ক্ষমতা রাখে। এ জগতে এখনও অনেক কিছু রয়েছে সেখানে বিজ্ঞান সত্যিই অসহায়। আমি যাই বলেছি সেটা আমি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব ধারনা।

আর একটি ব্যাপার বলেছেন যে, অস্ট্রেলিয়ার এই যে ভয়াবহ আগুন সেটা স্বাভাবিক ঘটনা। আমি জানতাম প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য আমাদের এই আধুনিক জীবন যাপন দায়ী। অধিক পরিমানে কার্বন এমিশনের জন্যই গ্রিনহাউজ এফেক্টের ফলই হচ্ছে এই ভয়াল দুর্যোগ গুলো। এটাও বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমানিত।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

ঘুটুরি বলেছেন: ১. কখনো ন্যচারাল, কখনো ন্যাচারাল হয়েছে
২। লন্ঠভন্ঠ না লন্ডভন্ড?
৩. মৃত্যুর হাড় না হার?
৪. তাড়াতাড়ি না তারাতারি?
বেয়াদবি নেবেন না, আমার ও ভুল থাকতে পারে, আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই তো মানুষ শেখে। ভুল ধরাটা আমার উদ্দেশ্য নয়,বরং শেখাটাই আমার উদ্দেশ্য। ধন্যবাদ

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৯

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১। ন্যচারাল টাইপো ছিলো। ওটা ন্যাচারাল হবে আমার জানা আছে।
২ আমি মৃত্যুর হাড় লিখেছি, সেটাও টাইপো। আরেক জায়গায় চক্রবৃদ্ধি হার লিখেছি।
৩। আমার ধারনা লন্ঠভন্ঠ ই হবে। পুরোপুরি নিশ্চিত নই। আরও একটু দেখতে হবে।
৪। তাড়াতাড়ি লিখেছি এমন কোন শব্দ খুঁজে পেলাম না। আমার এ বানানটি জানা আছে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে আবার মন্তব্য করার জন্য। ভুল পেলে অবশ্যই বলবেন। কোন সমস্যা নেই। ভালো থাকবেন।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষের স্বার্থের কারণে প্রকৃতি তার রূপ হারাচ্ছে :( এবং ভয়ানক বিপদের সম্মুখিন হচ্ছি আমরা

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৩

আরইউ বলেছেন:

আপনার ধারণাতো আর আমি পরিবর্তন করতে পারবো না! দেন লিভ ইট - অল গুড।

আমি বলনি "সাধারণ ঘটনা", আমি বলেছি "নিয়মিত ঘটনা"। প্রতিবছর অস্ট্রেলিয়ায় বুশফায়ার ঘটে; যেমন ২০১৮/১৯ এ সম্ভবত তাসমানিয়া আর ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বেশি ভুগেছে। এই ভিডিওটা দেখুনঃ "ফায়ার সিজন ইজ এক্সপেকটেড এন্ড নরমাল ইন অস্ট্রেলিয়া"। সমস্যা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বুশফায়ার এর সংখ্যা, এর মাত্রা, ও ভয়াবহতা বাড়ছে, বুশফায়ার কনটেইন করা যাচ্ছেনা।

ভালো থাকুন!

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১০

নীল আকাশ বলেছেন: লেখার থীমের সাথে আমি একমত।
সবকিছুরই একটা সীমা রেখা থাকে।
প্রকৃতি জনসংখ্যা ন্যাচারাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ নেয়া চেষ্টা করে।
কিন্তু সেটাতে কৃত্রিম ইন্টারফেয়ার হলেই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুরু হয়ে যায়।
প্রচুর বানান ভুল দেখতে পাচ্ছি, বেশ তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন বুঝি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.