নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেই তো ন্যচারাল সিলেকশনের জন্যই আমারা অপেক্ষা করছি। এতো এতো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, উন্নত চিকিৎসা, আর্টিফিশিয়াল ইমিউনাইজেশন কোন কিছুই তো কাজে আসছে না। কিছু দিন যাবত শুনছি , এন্টিবায়োটিক ফুরিয়ে যাচ্ছে, এবং মানুষ এক অনিশ্চিত ভয়ংকর অবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরকম মাহামারি গুলো হয়তো আসে সমগ্র মানব জাতির মাঝে ন্যচারাল ইমিউনিটি তৈরি করতেই। এই সময়গুলতে প্রকৃতি দুর্বলদের প্রতিহত করে মানুষের মাঝে ন্যচারাল ইমিউনিটি তৈরি করে দিয়ে যায়। এজন্যই কি একটি ভাইরাস প্রতিটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করে পরখ করে নেয় কে কতোটা শক্তিশালী! শক্তিহীন হলেই তাকে আনফিট উপাধি দিয়ে বিদায় নিতে বলে এই উন্মত্ত হিংস্র পৃথিবী থেকে ! এভাবেই কি প্রকৃতি নির্বাচন করবে কার টিকিট আগে আর কার পরে! তবে সময় যার যখনি হোক , ভয় পেয়ে তেমন কোন লাভ নেই অথবা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ড্যাম কেয়ার এটিচিউট নিয়ে থাকলে তার জন্যও বিপদ অপেক্ষা করতে পারে।
ভয়, বিশ্বাস এবং করোনা ভাইরাস এই তিনটিই ভীষণ ভীষণ ভাবে সংক্রামক । আপনি যার কাছা কাছি বেশী থাকবেন সেটি দ্বারাই বেশী সংক্রামিত হবার সম্ভাবনা থাকবে। করোনা ভাইরাসকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্যান্ডেমিক অর্থাৎ বিশ্বব্যপি এক সংক্রমিত রোগ হিসেবে চিহ্নত করেছে। কাজেই এই তিনটি সংক্রামক ভাইরাস থেকেই দূরে থাকতে হবে। তিনটি ভাইরাসের নাম আবারও বলছি ভয়, বিশ্বাস এবং করোনা ভাইরাস।
অতি মাত্রায় করোনা ভাইরাসকে ভয় পেয়ে যেমন নিজেকে রোগী বানানো উচিৎ নয়, আবার অতিরিক্ত অন্ধবিশ্বাসী অর্থাৎ করোনা ভাইরাস কিছু করতে পারবে না এমন ভাব নিয়েও অসতর্ক হয়ে থাকার আর কোন সুযোগ নেই। সেটা হয়তো ইতিমধ্যেই টের পাওয়া যাচ্ছে। ভয় যেমন আপনাকে পাথর বানিয়ে আপনাকে সতর্ক হতে বাঁধা দেবে, তেমনি অয়েতুক নির্ভীকতাও আপনাকে সতর্ক হতে বাঁধা দেবে। কাজেই যুদ্ধক্ষেত্রে যেহেতু অযাচিত প্রবেশ ঘটেই গেছে তাকে সঠিক পন্থায় প্রতিহত করাটাই উত্তম।
ভাগ্য যেদিকেই যাক চেষ্টা তো করতেই হবে । পরিনতি কোথায় কার কি হবে তা তো কেউই জানে না। জীবনের দৈর্ঘ্য প্রস্থের হিসাব তো সৃষ্টিকর্তা আমাদের হাতে দেয়নি। সেটা যেহেতু অনিশ্চিত। তাই ঐ অনিশ্চয়তা নিয়ে চিন্তা না করে যতটুকু ডিফেন্স যুদ্ধক্ষেত্রে নেয়া যায় সেদিকে খেয়াল দেয়া উচিৎ।
শুধু বলতে চাই ভোগান্তির অবসান ঘটুক, সবাই সুস্থ থাকুক এবং ভালো থাকুক।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সব সময়।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
শের শায়রী বলেছেন: স্বাভাবিক জীবন যাপনের পাশে ভীড় বাট্টা এড়িয়ে গেলেই অনেকাংশে নিরাপদ আমার ধারনা, তারপরো কপালে থাকলে আর কি! প্যানিক হবার কিছু নেই।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সেটাই পেনিক করে কোন ভালো ফল হবে না।
ধন্যবাদ আপানকে।
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: জাতি হিসেবে চীনারা অসৎ।
ওরা সমস্ত বিশ্বের জন্য বিপদজনক। চীনের লোকেরা কোনো ধর্মই বিশ্বাস করে না। ওরা বিশ্বাস করে আধুনিক বিজ্ঞান। যে যাই বলুক, চীনদের জন্যই একটা রিকশাওয়ালা পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যহার করতে পারছে।
সিঙ্গাপুরে সব চার্চ, মসজিদ সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা সারা বিশ্বকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। ভাবতাম মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এখন দেখা যাচ্ছে দুনিয়াতে মানুষ কত অসহায়!
মনে হয় কিয়ামত শুরু হয়ে গেছে।
জানি, প্রতিষেধক আবিষ্কারও হবে, তা সবার হাতেও পৌঁছবে | কিন্তু এর মধ্যে প্রাণ যাবে হাজার হাজার মানুষের। করোনা থেকে তো এইডস ভালো। অন্তত দীর্ঘদিন বেঁচে তো থাকা যায়।
নির্বোধ লোকেরা করোনাকে সৃষ্টিকর্তার শান্তি হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। প্রচন্ড হাস্যকর একটা ব্যাপার। বকধার্মিকেরা চীনে করোনার আঘাতে মৃত মানুষের সংখ্যা জেনে রীতিমতো আনন্দ উল্লাস করছে।
যারা করোনাকে অজুহাত হিসেবে পন্যের দাম বাড়াবে, সরকার তাদের পাছার ছাল তুলে নিক। পৃথিবীর সকল মানুষসহ সকল প্রাণী ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবাই ভালো থাকুক।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩০
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তবে র জন্য।
সবাই ভালো থাকুক।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
আমি সাজিদ বলেছেন: সুন্দর লেখা। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে বেশী ভুগাবে। কারন উন্নত বা উন্নয়নশীল দেশে ওভার দ্যা কাউন্টার এন্টিবায়োটিক কেনা ও বিক্রয় করা অপরাধ। আমাদের দেশের কথা চিন্তা করেন এবার। ইচ্ছা মতো এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার, এবং ঠিক মতো ডোজেড মেইনটেইন না করা এইসব সমস্যা চিরায়ত। আমাদের মতো দেশগুলোই সাফারার হবে বেশী। সে যাই হোক, আমার মনে হয় আগামী বিশ বছরে স্বাস্থ্য ও এ আই খাতে গোটা দুনিয়ায় অকল্পনীয় পরিবর্তন হবে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: সঠিক বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপানকে চমৎকার মন্তবের জন্য।
ভালো থাকবেন।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: করুণাময় সকলকে ভালো রাখুন।
৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২০
নীল আকাশ বলেছেন: সারা বিশ্বের মানুষ কিভাবে এটা থেকে বাঁচা যায় সেতা নিয়ে পাগল হয়ে আছে আর তখন আমাদের বানরের নবরত্ন সভার লোকেরা নতুন ওহীর জন্য অপেক্ষা করছে। এইসব বানরের নবরত্ন সভার কারও মাথায় কোনকালেই কিছু ছিল না। এরা রাত ১১টা সময় রমজানের চাঁদ খুজে বের করে। সংক্রামক হবার আগেই দেশে সমস্ত স্কুল কলেজ ভার্সিটি অন্ততঃ একমাসের জন্য বন্ধ করে দেয়া উচিৎ। সরকারের এই ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেই। মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরলে এই দেশে যে কী হবে সেটা একমাত্র আল্লাহই জানেন!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পরম করুণাময় পৃথিবীর সকলকে ভালো রাখুন। আর বাংলাদেশের আদিম বন মানুষদের সুস্থ জ্ঞান দান করুন।