নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু লোক শহীদ মিনারে নামাজ পড়ছেন,
তারা কি কোন রাষ্ট্রবিরোধী, সমাজবিরোধী কিংবা অনৈতিক কাজ করছেন, যা কোন উপায়ে কোন মানুষের ন্যুনতম ক্ষতি করতে পারে?
বা তারা কি কোন রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করছে অথবা জংগী হামলার ছক কষছে?
উত্তরঃ অবশ্যাম্ভাবীভাবে "না"।
তাদের হঠাৎ করে শহীদ মিনারে নামাজ পড়তে দেখে আমার কৌতুহলী মনে কিছু প্রশ্ন আসেঃ
ঐ শহীদ মিনারের আশেপাশে কি কোন মসজিদ নেই (তারা বাধ্য হয়ে শহীদ মিনারে নামাজ পড়তে আসছে)?
বাংলাদেশে এমন কোন গ্রাম নেই, যেখানে একাধিক মসজিদ নেই, এমন কোন বন্দর নেই যার ন্যুনতম ১০ মিনিট হাটা দূরত্বে মসজিদ নেই। উক্ত শহীদ মিনারের নিকটবর্তী অবশ্যই মসজিদ আছে; তা হঠাৎ করে মসজিদ রেখে শহীদ মিনারে নামাজ পড়তে হল কেন?
এর উদ্দেশ্য কি নামাজ পড়া নাকি অন্য কিছু?
এই ধর্মীয় মৌলভী গোষ্ঠীই প্রথমে ফতোয়া দিল, শহীদ মিনারে ফুল দেয়া পূজার শামিল।
সুবিধা করতে পারল না, অর্থাৎ পাবলিক এই তত্ত্ব খেল না।
এর পরে ফতোয়া দিল, শহীদ মিনারে ফুল না দিয়ে শহীদদের জন্য দোয়া করলে তো হয়।
(যেমনটা, পহেলা বৈশাখ আসলেই শুরু হয়, “দিন শুরু হোক দুই রাকাত নফল নামাজ দিয়ে”। নামাজ পড়তে তো কোন বাধা নেই)।
না, এতেও কাজ হল না; তো চল শহীদ মিনারে গিয়ে নামাজ পড়ি।
তাদের যদি নামাজ পড়ারই ইচ্ছে থাকত, তবে তারা মসজিদেই নামাজ পড়তে যেত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল show off করা, তারা এতে ২০০% সফল।
আর তাদের যদি দোয়া করার ইচ্ছাই থাকত, তবে তারা মসজিদে গিয়েই করতে পারত, শহীদ মিনার প্রাংগনে বড়জোর দরূদ পাঠ ও মোনাজাত করতে পারত।
এতে তাদের দুটো লাভ হলঃ
প্রথমত, এতদিন ধরে তারা যে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে মূর্তি পূজার সাথে তুলনা করে ইমেজের ক্ষতিসাধন করেছিল, সাধারন মানুষের কাছে তা recover করা গেল।
দ্বিতীয়ত, তাদের এতদিনের উদ্দেশ্য, শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করাকে অপ্রয়োজনীয় বলে সাব্যস্ত করাঃ তারা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, “আমরাই সঠিক”।
আচ্ছা এই গোষ্ঠির প্রভাতফেরি, ১লা বৈশাখের মংগল শোভাযাত্রা নিয়ে এত আপত্তি কেন?
এই যে তারা শহীদ মিনারে নামাজ পড়ে তাদের নিজস্ব তরিকা অন্যদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এটাই কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা?
কই, কেউ তো এদেশে কোন ধর্মীয় আচরণ কিংবা উৎসবের বিরোধীতা করছে না, সকলেই ঐ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহন করছে।
অনুরুপভাবে, বইমেলা প্রাঙ্গন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের দূরত্ব খুব বেশী না। পায়ে হাটা পথ। ইচ্ছে থাকলেই বইমেলা থেকে পায়ে হেটে গিয়ে মসজিদে নামাজ পড়া যেত। এমনকি বুক স্টলের কোন কর্মচারি যদি নামাযের জন্য বাইরে যেতে চাইত, তাতেও কোন বাধা আসত না। ওতে তো আর show off হবে না।
আমি জানি, এইবার আপনি আমার বক্তব্যের বিরোধীতা করবেন, ইসলাম বিদ্বেষী বলতে পারেন, নাস্তিক ট্যাগও দিতে পারেন, তবে আপনি নিশ্চয়ই একটি বিষয়ে একমত হবেন, যারা বইমেলা প্রাংগনে নামাজ পড়েন, তারা কুরান সম্বন্ধে জানেন।
Surah Al-Araf, Verse 55:
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি কর সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদেরকে পছন্দ করেন না।
যেখানে পবিত্র কোরানে নির্জনে, সংগোপনে প্রার্থনা করার কথা বলা আছে, এবং প্রার্থনা করার মত উপযোগী স্থান আছে, সেখানে বই মেলার মত কোলাহলপূর্ণ স্থানে নামাজ পড়াকে যদি কেউ সন্দেহের চোখে দেখে…
অনেকটা শিবির যেমন বিজয় দিবসে ব্যনার করেছিল, “স্বাধীনতা অর্জন করেছি, স্বাধীনতা রক্ষা করব।“
অনুরুপভাবে, ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ইসলামিকরণের প্রচেষ্টা চলছে, থাক না এটা বাংগালী স্টাইলে, ২১ শে ফেব্রুয়ারি তো ইসলামের কোন ক্ষতি করছে না, শুধু শুধু এটাকে নিয়ে টানাটানি কেন?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩
মৌন পাঠক বলেছেন: "ব্যক্তিগতভাবে বছরে একদিন যেমন আমি শহীদ মিনার বা স্মৃতি সৌধে গিয়ে ফুল দেয়ার রাীতিনীতিতে বিশ্বাসী নই"।
আপনার এই ব্যক্তিগত মত অনুসারে এখন যে কেউ যদি চায়, তবে বলতেই পারঃ
ব্যক্তিগতভাবে বছরে একদিন ঈদ এ মিলাদুন্নবী পালনের রাীতিনীতিতে বিশ্বাসী নই,
ব্যক্তিগতভাবে বছরে একদিন জন্মাষ্টমী পালনের রাীতিনীতিতে বিশ্বাসী নই,
ব্যক্তিগতভাবে বছরে একদিন বড়দিন পালনের রাীতিনীতিতে বিশ্বাসী নই।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শহীদ মিনার ও বইমেলা নামাজের স্থান নয়।
ঢাকা শহরে নামাজের স্থানের কোন অভাব নেই। ২ মিনিট হাটা দিলেই মসজিদ।
দল বেধে ২১শে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ও বইমেলাতে নামাজ পড়া উদ্দেস্যপ্রনদিত শোঅফ। শয়তানির নামান্তর।
ইসলামে লোকদেখানো এবাদত, ধানখয়রাত ইত্যাদি শোঅফ কঠিনভাবে নিষেধ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: নামাজ পড়েছে ভালো কথা।
এটা কোনো সমস্যা না। এটা হাউকাউ করার কিচ্ছু নেই।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৪
কাওছার আজাদ বলেছেন: যে নামাজী সে যেখানে ইচ্ছে নামাজ পড়বে, এখানে শহীদ মিনার আর বইমেলাকে টেনে এনে কোনো ফায়দা নাই।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৩
মৌন পাঠক বলেছেন: নামাজ পড়ার বিরোধীতা কেউই করছে না, কিংবা নামাজ নিয়ে টানাটানি হচ্ছে না,
যা করা হচ্ছে সেটা শো অফের বিরোধীতা।
বিরোধীতা নামাজের না, বিরোধীতা নামাজকে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার।
আমরা নামাজ পড়ি একমাত্র মহান আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে।
এখানে নামাজ কি আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পড়া হয়েছে?
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: সাধারণত ফেব্রুয়ারি বাদে সারাটা বছর শহীদমিনার এলাকা দখল করে থাকে অসামাজিক নেশাখোর লোকজন। প্রেমপিরিতির নামে আপত্তিকর অবস্থায় থাকে তথাকথিত প্রেমিক প্রেমিকারা। শহীদমিনারের ঠিক পেছনেই মাজারের নামে একদল ভণ্ডের ভণ্ডামী চলে। সেগুলো নিয়ে কোথাও কোনো কথা দেখলাম না। কিন্তু কিছু লোক শহীদমিনারে নামাজ পড়েছে, ইনিয়েবিনিয়ে সেটার বিরোধিতা শুরু করলেন। ধরেই নিলাম তারা শোঅফ করেছে, অন্যায়তো কিছু নয়। কারোর কোনো ক্ষতিও করেনি।
সর্বপ্রবীণ ব্লগার ইফতেখার ভূইয়ার সাথে একমত।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৬
মৌন পাঠক বলেছেন: আপনি যে অনাচারের কথা বলেছেন, সেগুলোর নিয়ে কেউ লিখছে না, আপনি লিখুন।
আর শো অফ ইসলামে নিষিদ্ধ।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৮
রাশিয়া বলেছেন: পাবলিকে না খেলেই ধর্মীয় বিধিবিধান মিথ্যা হয়ে যায়না। শহীদ মিনার একটা পূজার বেদী।এখানে ভক্তি ভরে নত মস্তকে পুষ্পার্ঘ প্রদান করলে তা পূজাই হবে - যা ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করার জন্য প্রভাত ফেরি বা ফুল দেবার কোন প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন সভা সেমিনারে তাদের অবদান আলোচনা করা, মসজিদে তাদের জন্য দোয়া করা এবং ভাষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাই যথেষ্ট।
শহীদ মিনারে যারা নামাজ পড়েছেন, তারা অন্যায় কিছু করেছেন বলবোনা, তবে উদ্দেশ্যমূলক কাজ অবশ্যই করেছেন। পূজার জায়গায় পূজা আর নামাজের জায়গায় নামাজ পড়াটাই মানবতার সৌন্দর্য। হযরত ঊমর (রা) কে এক গির্জার পাদ্রী অনুরোধ করেছিলেন গির্জার ভেতরে গিয়ে নামাজ পড়তে। তিনি ভদ্রভাবে সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে সাথীদের নিয়ে গির্জার সিঁড়িতে নামাজ আদায় করেছিলেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৬
মৌন পাঠক বলেছেন: "শহীদ মিনার পূজার বেদী" এরুপ কথা শুধুমাত্র আপনাদের নিকটই শুনি, যারা এর বিরোধীতা করেন, এবং এইটাই একমাত্র অজুহাত।
আচ্ছা, মানুষ পূজা কাকে করে ও কেন করে?
রোগ- শোক, জরা থেকে মুক্তি, বিপদ থেকে উদ্ধার, কোন স্বপ্ন পূরণ, কিংবা দেবতার ক্রোধ হতে বাচতে ইত্যাদি...
শহীদ মিনারে শহীদদের উদেশ্যে ফুল অর্পন করে এরুপ কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়, কিংবা কবে, কে, কোথায় এরুপ কিংবা অন্য কোনরুপ উদ্দেশ্য সাধন হবে এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল?
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৯
পদ্মপুকুর বলেছেন: রাশিয়া বলেছেন: পূজার জায়গায় পূজা আর নামাজের জায়গায় নামাজ পড়াটাই মানবতার সৌন্দর্য। হযরত ঊমর (রা) কে এক গির্জার পাদ্রী অনুরোধ করেছিলেন গির্জার ভেতরে গিয়ে নামাজ পড়তে। তিনি ভদ্রভাবে সে অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে সাথীদের নিয়ে গির্জার সিঁড়িতে নামাজ আদায় করেছিলেন।
হাদীসে এসেছে- একবার নাজরানের খ্রীষ্টান পাদ্রীদের একটা প্রতিনিধিদল রাসুল স. এর কাছে এসেছিলেন, তাঁদের প্রার্থনার সময় হয়ে গেলে তাঁরা প্রার্থনার যায়গা চাইলে রাসুল সা. মসজীদে নববীতেই তাঁদেরকে প্রার্থনার অনুমতি দেন।
আমি নিজে জগন্নাথ হলে আমার বন্ধুর রুমে তাঁর বিছানার উপরে তোয়ালে বিছিয়ে নামাজ পড়েছি অনেকবার!!!
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২
একাল-সেকাল বলেছেন:
গণতন্ত্র – মাকসুদ ও ঢাকা
গণতন্ত্র মানে কিছু বোকাদের মিছে শহীদ হওয়া
আজ কাকের হাগায় তাদের স্মৃতিসৌধ ছাও.।।
চুরি করা ফুল নিয়ে যাই সেখানে আমরা বছরে একদিন
আর বাজিয়ে বগল বলি দেখ শালা মোরা সব হয়েছি স্বাধীন।।
*** পুরানো হলেও আবেদন ফুরায়নি ।
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২
মানবিক_মানব বলেছেন: বাংলাদেশে ৬মাস শরীয়া আইন চালু থাকলে ৩কোটি ধার্মিক কতল হবে, তারপর বাঙালি ধর্মকর্ম ছেড়ে শুধুই মানুষ হবে।
একটা প্রশ্ন রেখে গেলাম,,,
ভাষা আন্দোলন হতে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠায় ধার্মিকগোষ্ঠীর অবদানগুলো কি কি???
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৯
মৌন পাঠক বলেছেন:
৪৭ সালে মওদুদি ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনিতার বিরোধীতা করছিল।
আর ৭১ এ মওদুদির রাজনৈতিক দল জামাত ইসলাম, ইসলাম রক্ষার নামে নিজ দেশের লোককেই হত্যা করছিল।
"দেশপ্রেম ঈমানের অংগ", তাই বলে আপনি আবার ভুলেও ভাববেন না, এদের দেশ প্রেমে ঘাটতি আছে।
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: যারা নামজের পাগল তারা সব জাগায় নামাজ পড়ে। লঞ্চে, চলন্ত বাসে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯
মৌন পাঠক বলেছেন: নামাজ পড়ার বিরোধীতা কেউই করছে না, যা করা হচ্ছে সেটা শো অফের বিরোধীতা।
বিরোধীতা নামাজের না, বিরোধীতা নামাজকে অন্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার।
আমরা নামাজ পড়ি একমাত্র মহান আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে।
এখানে নামাজ পড়া হয়েছে আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে কি?
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: ১. আপনি যেই আয়াত দিয়েছেন সেটা ভালো করে দেখতে হবে। কারণ সহী হাদিসে আছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাহিস সালাম মৃত ব্যক্তিদের জন্য কবরস্থান আর আরেকটি জায়গা ছাড়া সারা পৃথিবী উনার এবং উনার অনুসারীদের জন্য সিজদা দেবার জায়গা বলেছেন। আপ্নি চাইলে আমি এটার সহী সনদ দেখাতে পারবো। আপনি যেটা লিখেছেন সেটাও আমি চেক করে দেখাতে পারবো।
২. আপনি যে সেখানে আজকে নামাজ পড়ার জন্য পোস্ট দিলেন, তো সারা বছর ওখানে পতিতা ভাড়া থেকে নেশা জাতীয় জিনিস বিক্রি করা, ডেটিং এর নামে নোংরামী করা ইত্যাদি নিয়ে কখনও লিখেছেন? এইসব অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেছেন ব্লগে? কোন আগে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়েছেন?
যদি না দিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে আমার কী বলা উচিৎ?
সমবেত ভাবে ফুল এইভাবে দেয়া অন্যধর্মের অনুকরণ যেটা ইসলামে নিষিদ্ধ। ঠিক তেমনি যেই র্যালির কথা বলেছেন সেটাও। মুর্তি বা মুখোস পড়া নিষিদ্ধ। যদি আপনি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে কেন এইগুলি ইসলাম সমর্থন করে না সেটা জানা আপনার নিজের ধর্মীয় দায়িত্ব। আর যদি মুসলিম না হোন, তাহলে না জেনে আন্দাজে ইসলাম নিয়ে কথা বলতে আসবেন না। এটা আপনার বিষয় নয়।
ধন্যবাদ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৭
মৌন পাঠক বলেছেন: আপনি যে অনাচারের কথা বলেছেন, সেগুলোর নিয়ে আমি লিখি না, সে বিষয়ে "আমার না লেখা" কি আমার এই লেখা লেখার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে?
আর আমি লিখিনি বলে আপনার লিখতে মানা নেই, আপনিও লিখুন, আমি আপনাকে সমর্থন করব।
আপনি আমাকে selective বলতে পারেন, যেমনি আপনি বা আপনারা।
ইসলামে অনেক কিছুই নিষিদ্ধ, শহীদ মিনারে ফুল অর্পন করা পাপ কি পাপ নয়, এর থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, কিন্তু, সেগুলো নিয়ে আপনার কিংবা আপনাদের কোন রা নেই; বিষয়টা এমন মনে হচ্ছে, শহীদ মিনারে ফুল অর্পন করলে ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
ধর্মের অনুকরন বলছেন?
আব্রাহামিক ধর্মসমূহে অনেক রীতিনীতি মিল আছে, আপনি অনুকরণের দায়ে খ্রিস্ট ধর্ম ও ইহুদিদের সাথে ইসলামের সাদৃশ্য বিষয়গুলো বাদ দিবেন?
"শহীদ মিনার পূজার বেদী" এরুপ কথা শুধুমাত্র আপনাদের নিকটই শুনি, যারা এর বিরোধীতা করেন, এবং এইটাই একমাত্র অজুহাত।
আচ্ছা, মানুষ পূজা কাকে করে ও কেন করে?
রোগ- শোক, জরা থেকে মুক্তি, বিপদ থেকে উদ্ধার, কোন স্বপ্ন পূরণ, কিংবা দেবতার ক্রোধ হতে বাচতে ইত্যাদি...
শহীদ মিনারে শহীদদের উদেশ্যে ফুল অর্পন করে এরুপ কোন উদ্দেশ্য সাধিত হয়, কিংবা কবে, কে, কোথায় এরুপ কিংবা অন্য কোনরুপ উদ্দেশ্য সাধন হবে এরকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল?
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বলার অধিকার প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার, এটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই।
ইসলামে ঈদ দু'টো। ঈদ-উল ফিতর আর ঈদ-উল আদহা, এছাড়া আর কোন ঈদ নেই। কারো জন্মদিন ঈদ হওয়ার মতো অতটা ধর্মীয় গার্ম্ভীযতা ধারন করে না। মহানবী (সাঃ) এর জন্মদিন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটা তার আত্মার মাগফেরাত এবং শান্তি কামনা করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করা যেতেই পারে, রোজা রাখা যেতে পারে এখানে দোষের কিছু নেই তবে সেটা ঈদের মতো গুরুত্ব বহন করে না। মহানবী (সাঃ) এর জীবদ্দশাতেই ইসলামের পূর্ণতা নিশ্চিত হয়ে গেছে, তার প্রয়াণের পর ইসালামে আর কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করার নিয়ম নেই।
কেউ ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিশ্বাস করলে, সেটা নিতান্তই "ব্যক্তিগত"।
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৫৭
মানবিক_মানব বলেছেন: আপনি সুকৌশলে আমার ৯ নং মন্তব্য এড়িয়ে গেলেন!!!
১৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
রাশিয়া বলেছেন: মানুষ পূজা কেবল মনোষ্কামনা পূর্ণ করা বা বিপদ থেকে রক্ষা পেতেই করেনা। ভক্তি থেকেই পূজা করে। বিশ্বের সব জায়গাতেই পূজার ধরণ একই রকম। একটা মূর্তি/ভাস্কর্য বা স্থাপনা থাকে, একটা পূজার বেদী থাকে, অর্ঘ থাকে আর ভক্ত থাকে - এর সবকিছুই শহীদ মিনারে ফুলে দেবার ঘটনায় আছে। তাই এটি বিশুদ্ধ পূজা - এই নিয়ে তর্ক করার কিছু নেই। কেউ যদি এটাকে পূজা মনে না করে - তার সঙ্গে তর্কে যাবার কোন যুক্তি নেই।
জগন্নাথ হলে আমিও নামাজ পড়েছি। পরীক্ষার আগের রাতে হলে থাকতে হত। আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের বেশির ভাগই ছিল হিন্দু। আমি ঐ হলের টিভি রুমেও নামাজ পড়েছি। কোন গির্জায় নামাজ পড়তে আমারো কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু কোন মন্দিরে, যেখানে পূজা হয় - এরকম কোন জায়গায় কেউ নামাজ পড়লে আমার আপত্তি আছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৬
মৌন পাঠক বলেছেন: "ভক্তি থেকে পূজা!"
মংগলকাব্যের ভূমিকায় পূজার প্রচলনের ইতিহাস পাওয়া যায়। আর ধর্ম থেকে স্বর্গ ও দেবতার ক্রোধ বাদ দিয়ে ভেবে দেখুন।
আর আপনি ঠিকই বলেছেন,
শহীদ মিনার পূজার মূর্তি,
অর্ঘ্য, ফুল,
ব্রাহ্মন, ভাষাসৈনিকেরা,
ভক্ত, আমাদের মত লোকেরা...
১৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
রাশিয়া বলেছেন: উপমহাদেশের রাজনীতি নিয়ে আমার কিছুটা পড়াশোনা আছে। আমি যতদূর জানি, মাওলানা মওদূদী পাকিস্তানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল - ভারতের নয়। তার নিজের দেশ যেহেতু ভারত, তাই সে চেয়েছিল পুরো ভারত জুড়ে একটাই দেশ হবে - অন্তত ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে আলাদা কোন দেশ হবেনা। কিন্তু সেই চাওয়া বোধ হয় সঠিক ছিলনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৯
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাঙালী সংস্কৃতির অনেক কিছুই সনাতন ধর্মের বিভিন্ন রীতিনীতি দ্বারা প্রভাবিত, এটা নিয়ে দ্বিমত থাকার কোন অবকাশ নেই। হাজার হাজার বছর ধরে বাঙালী লোকজনের বেশীরভাগ অংশই মূলত সনাতন ধর্ম পালন করেছে। বিভিন্ন কারনে ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি বা বৌদ্ধ ধর্মের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরবর্তীতে বাঙালী লোকজনের একটা বিশাল অংশে অন্য ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে অনেক পরে, তাই বাঙালী সংস্কৃতিতে এখনো সনাতন ধর্মের অনেক আচার-আচরণ এখনো রয়ে গেছে। বেদীতে ফুল দেয়া, পা ছুঁয়ে সালাম করা বা মাথা নিচু করে কুর্নিশ করা এগুলো ইসলাম ধর্মের আচরণে নেই।
কে কি করছে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। তবে ব্যক্তিগতভাবে বছরে একদিন যেমন আমি শহীদ মিনার বা স্মৃতি সৌধে গিয়ে ফুল দেয়ার রাীতিনীতিতে বিশ্বাসী নই, তেমনি ঐসব স্থানে গিয়ে নামাজ পড়ারও পক্ষপাতি নই, যদিও যে কোন পবিত্র স্থানেই নামাজ পড়া জায়েজ আছে। আশেপাশে নামাজ পরার স্থান থাকলে এটা নিতন্তাই লোক দেখানো সেটাও অনুধাবন করি। এইসব আচরণের ধর্মীয় কোন ভিত্তি নেই বরং তা ইসলামবিরোধী হওয়ার ঝুঁকিই বেশী। শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং তাদের পরকালীন শান্তির জন্য অবশ্যই দোয়া করা যেতে পারে সে জন্য ঐ স্থানেই নামাজ পড়া জরুরী নয়।
একটা ব্যপার আমাদের বোঝার চেষ্টা করতে হবে, বেশীরভাগ দেশেই ধর্মান্ধ লোকের সংখ্যা প্রকৃত ধর্মানুরাগীর তুলনায় অনেক বেশী। বেশীরভাগ মানুষই বংশ পরম্পরায় ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসরণ করেন, জেনে-বুঝে বা জ্ঞান অর্জন করে নয়। ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার পাশপাশি ধর্মীয় সহিষ্ঞুতারও প্রয়োজন অনেক, যেটা শুধুমাত্র প্রকৃত ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করার মাধ্যমেই আসতে পারে। ধন্যাবদ।