নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মৌন পাঠক

মৌন পাঠক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কয়, "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কৈ?"

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

ব্লগে আমি সাধারনত দু চার লাইন লিখি, কিছু বল্গার পাঠ করে তাকে কবিতা বলে (আমি প্রীত হই, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ রই, তয় শইল্যে একটা ভাব আসে! হাহা)
এর বাইরে তেমন কিছুই লেখি না।

আজ অফিসে ছোট্ট ১ টা ঘটনা ঘটল, এমন আহামরি কিছুই না।

এক ভদ্রলোক আসছিল তার গৃহীত ঋণ পরিশোধের জন্য, কথায় কথায় জানালো, সে একজন মুক্তিযোদ্ধা।
মুক্তিযোদ্ধাদের আমি খুব সম্মান ও শ্রদ্ধা করি, যেটা একেবারেই লোক দেখানো না, বা অফিসিয়াল ডেকোরাম হিসেবে না।

কথায় কথায় সে জানাল, তার মুক্তিযুদ্ধ ভাতা নিয়ে খানিক সমস্যা হচ্ছিল, রিসেন্ট গেজেট হয়েছে, নইলে তার ঋণ সে আগেই পরিশোধ করে দিত।

আর সে বাম রাজনীতি করত বিধায় স্থানীয় এমপির নিকট থেকে কোনওরুপ সাহায্য সহযোগিতা নেয় না, তার নীতি নৈতিকতার সাথে যায় না বলে।

ঐ সময় রুমে অন্য একজন গ্রাহক ও ছিল, তারা পরস্পর পরিচিত।

সুযোগ পেলেই সিনিয়র সিটিজেনদের সাথে কথা বলি।

স্থানীয় থানায় আমার জানামতে বেশ কজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে, দুই একজনকে আমি চিনি ও বটে।

প্রসংগটা তোলায় সে জবাব দিল, "কোথায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা?

তার এই কথাটা শুনে আমার বছর দুই আগের একটা ঘটনা মনে পরে গেল।

তখন, আমি সদ্য এই শাখার দায়িত্ব নিয়েছি, পুরোদস্তুর শাখা "ঘুষ, দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত" করার মিশনে নেমেছি।
ঐ সময় এক ইউ পি মেম্বার এর সাথে কথা হচ্ছিল, যে নিজেই ব্যাংকে দালালি করত, যা তখন অব্দি আমার জানা ছিল না।
মূলত, সে আসছিল নতুন ব্যবস্থাপকের সাথে পরিচিত হতে ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে।

তাকে বলেছিলাম, "শাখায় নাকি দালাল আছে?"
সে জবাব দিছিল, "কৈ, দালাল কৈ?"

সে রাতে ফেসবুকে পোস্ট করলামঃ
দালালে কয়, "দালাল কৈ?"

আজ এই মুক্তিযোদ্ধার মন্তব্য শুনে মনে পড়ল, এই অমোঘ বানীখানা।

মনেতে কু দিল, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কয়, "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কৈ?"

তাকে পালটা জবাব দিয়েছিলাম, আপনি পাচ্ছেন না, আমি চিনি, দেখাতে পারলে আমাকে কি খাওয়াবেন।

ভদ্রলোক আর কথা বাড়াননি, তার কাজ শেষ হয়ে গেলে সে বিদায় নিল।

বসে থাকা অপর গ্রাহককে জিজ্ঞেস করলাম, "এই লোক কি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা?"
উত্তর ছিল ইতিবাচক।

আমার প্রদর্শিত শ্রদ্ধা ও সম্মান অপাত্রে গেল!

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধারা আমার মনে একটা বিশেষ যায়গা জুড়ে আছে,
জাতি হিসেবে এই স্বাধীনতা যুদ্ধ আমাদের সবথেকে বড় অর্জন।

যখন কেউ একে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বা এর অপব্যবহার করে, সেটা মানতে পারি না।
(লাইফ থ্রেট ও বিভিন্ন বাজে সিচুয়েশন ঠান্ডা মাথায় ডিল করলেও, মাস খানেক আগে স্বাধীনতা বিরোধী কথা বলায় একজনরে মারতে উঠছি)।

আমার ও আমাদের এই গর্বের স্থান, সর্বোচ্চ স্থান নিয়ে যারা এভাবে খেলা করে, খেলো করে, এদের প্রতি তীব্র ঘৃনা পোশন করি।

এই যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আসল, গেজেট ও পাশ হলো, এর দায় কি মুক্তিযোদ্ধাদের নাই, একদমই নাই,
এর দায়ভার কি বংগবন্ধু কন্যা এড়াতে পারেন!

ও হ্যা আমার সেই "ঘুষ, দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত" করার মিশনে আমি শতভাগ সফল (বুকে হাত রেখে বলছি)।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পুরাটাই পড়লাম। ভালো লিখেছেন।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩২

দারাশিকো বলেছেন: ভালো লাগলো। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কম নাকি? আমার দেখা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা কথায় কথায় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দেয়, আসল মুক্তিযোদ্ধা যে কজনকে চিনি তাদের কাউকে দেখি নাই।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

বিষাদ সময় বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকার কোন তালিকাই মনে হয় ১০০% সঠিক করা সম্ভব না। এ দায় কম বেশী সবার। যদি গ্রহনযোগ্য মাত্রার ভুল হয় তবে তা গ্রহন করার মতো মানসিকতাও আমাদের থাকতে হবে। এমনকি ১০০% সঠিক তালিকা হলেও তাকে বিতর্কিত করার জন্য এ দেশে মানুষের অভাব হতো না। ধন্যবাদ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২০

মৌন পাঠক বলেছেন: শতভাগ সঠিক হলে আমরা জোর গলায় বলতে পারতাম, ওদের থোতা মুখ ভোতা করে দিতাম।

আমাদের বীরদের নিয়া আমরা গর্ব করতাম সদর্পে, সগৌরবে।
যেটায় এখন খাদ আছে।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:০০

কামাল১৮ বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধের সময় দুই ধরনের লোক ছিলো।এক দল মুক্তি যুদ্ধের পক্ষে অন্য দল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী।

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা দেখেছি।
উনি গত বছর মারা গেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উনি তেল ডল চাল সব রকম সুবিধা নিয়েছেন। অথচ উনি মুক্তিযোদ্ধা নন।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২১

মৌন পাঠক বলেছেন: আমি একাধিক ব্যক্তিকে জানি, এইটা খুব পেইনফুল একটা বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.