নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকালকার অনেক বাচ্চারা ই সামান্যতেই হতাশ হয়ে পরে, এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই তারা আত্মহননের মত পথ ও বেচে নেয়।
আমাদের জেনারেশন বা তার পূর্বের জেনারেশনের অধিকাংশ মানুষ এই সমস্ত ঘটনায় অবাক হয়, অনেক ক্ষেত্রেই এইটারে তারা নেতিবাচক চোখেই দেখে।
তারা এটা বোঝার চেষ্টা করে না, অন্যের কষ্ট আপনি আদৌ বুঝতে পারবেন না, যতই কথার তুবড়ি ফোটান, ওতে তার জুতা যেমন আপনার পায়ে ফিট হবে না, তেমনি আপনারটা ও ওর পায়ে, আপনি বড়জোড় সমব্যথি হইতে পারেন।
মূল আলোচ্য বিষয় আসলে এটা না, বিষয় হচ্ছে, এই বাচ্চারা আমাদের দৃষ্টিতে এত সামান্য চাপ কেন নিতে পারছে না?
যারা খানিক সিনিয়র জেনারেশন আছেন, তাদের অধিকাংশের মূল স্ট্রাগল টা ছিল সার্ভাইভা করা, আই মিন দুটো ডালা ভাত খেয়ে পরে টিকে থাকা; আর এই টিকে থাকতে গিয়ে তারা মোটামুটি খুব রকম স্ট্রাগল করছে, আর এই স্ট্রাগলড লাইফে এমন সব বাজে পরিস্থিতি, অসম্মান ও অপমান এর মুখোমুখি হয়েছে, এত এত বাজে পরিস্থিতি ডিল করেছে, ফলে এই লো লাইফের বাজে অভিজ্ঞতার সামনে এইসব মনঃব্যধি খুব একটা ফ্লোর পায় নাই।
আর ও ক্লিয়ার কইরা কইলে, সে ত ভাত পানি যোগাইতে ব্যস্ত, মনের ভেতরে কি চলে, সে খবর নেয়ার সময় কই, আর কে ই বা কি কইল, ওর থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাইচা থাকা।
এবং, এই স্ট্রাগল করা বাপ-মায়েরা যখন একটু স্বচ্ছলতা অর্জন করল, তখন তারা একটা চরম ভুল করল, তাদের সন্তানদের সাথে; এই পিতামাতারা তাদের জীবনে যেসকল স্ট্রাগল করছে, যে কষ্ট পাইছে, তাদের বাচ্চারে সেই সমস্ত সকল কষ্ট থেকে যে কোনো কিছুর মূল্যে দূরে রাখতে চাইল, এবং দূরে রাখল।
তারা তাদের সীমার ভেতরে একটা কন্ট্রোলড সিমুলেশন লাইক পার্ফেক্ট লাইফ এনসিওর করার চেষ্টা করল, বাট তাদের সীমার বাইরে যে জীবনটা, সেখানটা ত এভাবে কাজ করে না, সেটা বরং পূর্বের থেকে ও জটিলতর হলো।
যে বাচ্চাটারে জীবনের একটা পর্যায় পর্যন্ত কিছুই করতে হয় নাই, সব রেডিমেড ছিল, যার গায়ে বাপ মায় আক্ষরিক অর্থে একটা ফুলের টোকা ও দেয় নাই, খুব একটা বকা ঝকা বা শাসন ও করে নাই, সে আচমকা খুব রকম বাজে সিচুয়েশনে নিজেরে ই হ্যান্ডেল করতে পারছে না, কেননা তার ঐ অভিজ্ঞতাটা ই নাই।
আরেকটা বিষয়, বাচ্চাদেরকে বাইরে ছেলে মেয়েদের সাথে মিশতে না দেয়া, নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে!
এবং এই প্রক্রিয়ায় ওর শৈশবের খেলাধুলা, হৈ হুল্লো, লকফঝম্ফ সব, পুরো কৈশোর টারে ই হাপিস কইরা দিল।
সাথে আরেকটা দুর্দান্ত বিষয় আছে, এ সমাজ বাচ্চা কাচ্চাদের সামনে প্রেম বিয়ারে জীবনের একমাত্র গোল হিসাবে দাড় করাইতে কার্পন্য করে নাই।
যে সব বাচ্চারা এসব থেকে বের হয়ে আসতে পারছে, ওরা টিকে থাকছে, শিখে, আর এই শিখতে গিয়া ওদের কি মূল্য পরিশোধ করতে হইছে, সে একমাত্র ওরা ই জানে।
আর যারা পারে নাই, তারা আজ ও সাফার করছে, বাকী জীবন ও করবে, আমিন।
নোটঃ যেখানে জীবনের টিকে থাকার প্রশ্ন,
সেখানে, মনের বিষয় বস্তু গৌন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫২
নতুন বলেছেন: মূল আলোচ্য বিষয় আসলে এটা না, বিষয় হচ্ছে, এই বাচ্চারা আমাদের দৃষ্টিতে এত সামান্য চাপ কেন নিতে পারছে না?
আমরা বাচ্চাদের ভালো মার্কসের জন্য তৌরি করছি।
কিন্তু আমরা বাচ্চাদের আত্নবিশ্বাসী হিসেবে বড় হওয়ার জন্য কি কি সেখাচ্ছি?
যখন আত্নবিশ্বাসী হবে তখন নিজে থেকেই দুনিয়ার বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলায় তৌরি হবে...
এই সমস্যায় আমি নিজেও পরেছিলাম।
ক্লাস ৯ পযন্ত ঘরে পালা মুরগীর মতন ছিলাম। বাইরের দুনিয়ার ঝামেলায় কখনো যেতে হয় নাই। সব কিছুই বাবা করে দিতেন, বাইরে যেতে দিতেন না, বাইরের বেশি বন্ধু ছিলো না। পরিচিত অল্প পরিবারের মানুষের মাঝেই নিজের দুনিয়া ছিলো।
বাবা মনে করতেন ছেলে নস্ট হয়ে যাবে, দূঘটনা ঘটবে, ছেলে মারা যাবে...
যখন বুঝতে পেরেছি যে নিজেকে পাল্টানো দরকার। নতুবা পিছিয়ে পড়বো... তখন নিজেকে পাল্টানো শুরু করেছি।
ব্যক্তিত্ব আর আত্নবিশ্বের দিক থেকে এখনকার আমি আর ক্লাস ৯ এর আমি রাত আর দিন পার্থক্য।