![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারন মানুষ এবং আমি এটা পছন্দ করি, আমার রাগ বেশি,আমি বোকা টাইপের(এটা আমার আম্মা বলে)।সত্যি বলতে আমি আমার রাগ কমানোর চেষ্টা করছি,সাথে চালাক হবার চেষ্টা করছি,কতটুকু পারছি আল্লাহ ভালো জানে,তবে অন্যের রাগ দেখলে আমার খুব রাগ হয়।সব কিছু বুঝি কিন্তু একটু দেরিতে(এতা একদম খারাপ)।অন্যের কষ্ট দেখলে আমার খুব কষ্ট হয়,অন্যায় অবিচার একদম সহ্য করতে পারি না,যতটুকু পারি আমি আমার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি।দুঃখী মানুষের দুঃখ দেখলে আমার খুব কষ্ট হয়,সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করার চেষ্টা করি।সব সময় ভাবি অনেক কিছু করব কিন্তু কিছুই করতে পারি না,মনে হয় ego একটু বেশী।কথা কম বলার চেষ্টা করি,গান শুনতে পছন্দ করি,টুকটাক বই পরি(যে কোন বই)।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি (উদ্দেশ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন),যতটুকু সম্ভব শালীনতা বজায় রেখে চলার চেষ্টা করি।মেয়েলি বিষয় নিয়ে কথা বলা একদম পছন্দ করি না।স্বপ্ন দেখি একদিন অনেক বড় চাকরির মালিক হব(সেটা দেশে হোক আর বিদেশ হোক)।
টিভিতে এড দেখলাম জন্ম বিরতীকরণ টেবলেটেরঃ
“এখন আর ভয় নাই 5 দিনের মথ্যে একটা টেবলেট খেলেই পেগনেন্ট হবার কোন সম্ভাবনা নাই।
বাহ! বাহ! বাহ! ভালো তো, ভালো না?
20-30 বছর আগে ফিরে যেতে চাই,
আমাদের দাদা, দাদির আমলের কথা বাদই দিলাম, আমাদের আগের প্রজন্ম যখন যুবক বয়সের ছিল তখন কিন্তু জন্মবিরতীকরণ টেবলেট এতটা সহজলাভ্য ছিল না।
তাই আগে ভালোবাসা মানেই দেহ দেহ খেলা তা ছিল না। কারণ তারা জানতো যদি কিছু ঘটে যায় তাহলেই মান সন্মান সব যাবে।
কিন্তু এখন? দেহ দেহ খেলা ডাল ভাতের মত !! কারণ এখন কিছু হলে ভয় নাই। ঐ যে টিভিতে বিজ্ঞাপণঃ “এখন আর ভয় নাই 5 দিনের মথ্যে একটা টেবলেট খেলেই পেগনেন্ট হবার সম্ভাবনা নাই”
বিজ্ঞানের সকল কিছুই আমাদের আশীবাদের জন্য, কিন্তু আমরা ব্যবহার করছি তা......
আমরাদের ছোট বেলায় যখন 5-6-7 এ পড়তাম পেগনেন্ট কি তা জানতামই না। কিন্তু এখন ক্লাস 3-4 এর বাচ্ছারা ও জানে।
তাইতো class 5 এর বাচ্চা দের এখন আবার বয় ফেন্ড গাল ফেন্ড থাকে।
আমাদের প্রচার ব্যবস্থায় এই সকল বিজ্ঞাপণ দিয়ে আমাদের যতটুকু উপকার করছ তার ছেয়ে বেশি ক্ষতি করছে। জয় হোক তাদের ব্যবসায়ের, ধ্বংশ হোক আমাদের সমাজ।
সংগৃহিত............।।
©somewhere in net ltd.