![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
- মামা একটা লেবু চা !!
দোকানের ঝোলানো কলার সাথে মাথায় বাড়ি খেয়ে লোহার ব্রেঞ্চে গিয়ে বসলাম।
দোকানদার অন্যান্য কাস্টমারদের চা দিচ্ছে কিন্তু আমার টা দিচ্ছে না। তাই আবার সম্ভবত বলতে হবে
- মামা একটা লেবুচা চা দাও।
- ইনয় মামা তোমাকে চা দেয়া যাবে না। গত বাকি টাকা ক্লিয়ার করো । তারপর চা খাইতে আইবা।
না আজ দুপুরে আর আর চা পাওয়া হলেনা।
দোকান হতে বেরুতেই আবার মাথায় বাড়ি খেলো ঝুলিয়ে রাখা সাগর কলায়।
- মামা ২টা কলা নিছি বাকির খাতায় লিখে রেখো।
বিকালের রাস্তা হুট করে সুন্দরী প্রেমীকা হওয়া পরীরা প্রেমিক নিয়ে হাওয়া খেতে বের হয়।
আমি আজ কলা খাচ্ছি । সাগর কলা। রাস্তায় দাড়িয়ে রিক্সায় গুনতে ভালোই লাগে।
হাতে হাত রেখে প্রেমিক প্রেমিকা সাই করে ছুটে চলছে। রিক্সাওয়ালা শুধু ঘাম জড়ানো শার্টে ছুটে চলে। হয়তো সেও আজ বাড়িতে উপস্থিত হবে ফুটপাতের দুটো ফুল নিয়ে।
প্রথম কলটা খাওয়া শেষ। ছোকলা ঢাকা শহরে হাতে রাখার নিয়ম নেই। ডাস্টবিনে ফেলতে হয় না ঢাকায় । রাস্তার মাঝে ময়লা ফেলার অদ্ভুত নিয়ম আছে ঢাকায়।
কলার ছোকলা ফেলতে ফেলতে চোখে এলো এক ঘাম জড়ানো রিক্সাওয়ালা ছুটে আসছে ।
অনেক দূর হতে আসছে সম্ভবত। রিক্সাওয়ালা কে দেখতে দেখতে চোখ পড়লো যাত্রির দিকে।
কিছু সুন্দরীদের নাকি সৌন্দর্যরূপে আলো ঝড়ে তবে একে ভয়ংকরতম লাগছে। বেশি ভয়ংকর লাগছে, তার কানে লেপঠে থাকা, সাদা হেটফোনটা। কালো টিপে কপালে থাকলে সাদা হেটফোনে কেমন যেন বেমানান লাগে বড্ড বেমানান।
রিক্সাটা অবাক রে আমার কলার ছোকলা ফেলার স্থানে থেমে গেলো
- এক্সকিউজ মি ?
কলার মধ্যম খন্ডটা গিলতে গিলতে
আশে পাশে তাকিয়ে সোজা উত্তর দিলাম
- জী আমাকে ডাকছেন ?
- হুম আপনাকেই
- আপনি ইনয় না?
- না! আমি ইনয় না ।
- ফাজলামো করবেন না!
- না করছি না তো।
- আপনিই ইনয়, ক্যাম্পাসে আমাকে প্রপজ করছিলেন সেই ইনয় তাই না ?
- সে ইনয় আমি নই ?
- আপনিই সেই ইনয় ।
- হুম ছিলাম এক সময়। এখন ?
এখন তো আপনার ক্যাম্পাসে পড়ি না। এখন আপনার কুপরিচিত ইনয়ও না ।
- আবারো ফাজলামো করবেন না।
বলতে বলতেই বালিকার নোকিয়া ফোনে টুং টাং টুং করে রিংটোন বেজে উঠলো।
ফেনের এক প্রান্তে কথা গুলো শোনা গেলো ।
- হ্যালো ফারিহা বল। আমি তোদের ঐ রাস্তার মোড়ে। নাটক করবি না নিয়ে যা আমাকে। আচ্ছা জিগ্গে করছি। ৫১৬ নম্বর বাসাতো? ঠিক আছে খুজে বের করছি।
- বলতে পারেন এখানে ৫১৬ নং বাসাটা কোন দিকে?
- ৫১৬ নম্বর বাসা? সামনে গিয়ে লেফ্টে টার্ননিয়ে দু কদম হেটে দোকানটার সামনের গলি দিয়ে ডুকে বায়ে তাকালে দুই তলা বাড়ির পরবে তার সেই বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে ১০০ মিটার সামনের রাস্তার ২য় বাসাটাই ৫১৫ নম্বর বাসা।
তারপড়ে একটু এগুলেই চোখে পড়বে নীল রং করা ৫১৬ নং বাসাটা
- এতটা প্যাচানো? সহজ কোন যাওয়ার রাস্তা নাই?
- হুম আছে তো? ঐ যে নীল বাসাটা বাসাটা দেখা যাচ্ছে ঐটাই!!!
- আচ্ছা আপনি সহজ কথা সহজ করে বলতে পারেন না ?
- মাঝে মধ্য পারি। তবে আজ চায়ের বদলে কলা খাচ্ছি তো আজ পারছি না।
- হী হি হি...... আজ আসি ইনয়। কিছুদিন আছি ফারিহাদের বাসায় দেখা হয়ে যাবে খুব দ্রুতই। তখন একসাথে চা খাওয়া হবে।
রিক্সা চলে গোলো। আমি দ্বিতীয় কলার ছোকলটা হাতে নিয়ে ছুটে চললাম। সিটি কর্পোরেশনের কোন ডাস্টবিনের খেজে। জানি ফারিহা আসবে কাল বিকালে আবার কানে হেডফোন ছাড়া আসবে আমাকে খুজেবে। কিন্তু আমি এখন যাবো মতিন চাচার কাছে, তার কাছে থেকে কিছু টাকা নিতে হবে।
গন্তব্য সদর ঘাটের চাদপুর গামি লঞ্চ । চাদপুরে নাকি আজ নির্বাচনের হাওয়া বইছে........
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
শাবা বলেছেন: গল্পটা শেষ হলো না মনে হয়।