নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয় ভাঙ্গার যত ঢেউ

আশিক রওশন

Writer,Poet,Literary,Music

আশিক রওশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার ঘোষক বনাম রাষ্ট্রপতি বাহাস-১

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭



এই লেখা যখন লিখছি তখন কিন্তু মনের গহ্বিন থেকেই একটি কখা ঘোরপাক খাচ্ছে,আমরা কি এতটাই অবিবেচক জাতি নিজেদের কি কখনো সন্মান দিতে শিখবো না নিজের মা কে যেমন অশ্বীকার করা যায় না,অস্বীকার করা হলে নিজের শিকরকেই অস্বীকার করা হয় আর বাঙ্গালী জাতির শিকর গর্বের চাদরে ঢাকা এ জাতির অহংকার মহান ৭১ এর শৌর্য-বীর্যের সোনায় মোরানো যার পরতে পরতে মমতা,যেখানে আমাদরে নয়ন জুড়িয়ে আসে প্রকৃতির সবুজ শ্যামলা অসীম রুপলীলায় আবার ঘুম ভাঙ্গেঁ কাঁক ডাকা ভোরে পাখির কলকাকলিতে ,হৃদয়ে হিল্লোল খেলে যায় সোদা মাটির গন্ধে সেই সোনার দেশে আমাদের-আমার জস্ম । যে জাতি বিশ্বের অন্যতম দুর্ধর্ষ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে । বাঙ্গালী জাতির প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠার শুরু সেই ঐতিহাসিক ৫২ সাল থেকেই যার ক্রমোদ্বীপ্ত উদ্দীপনা ছরিয়ে পরে ৬৬ এর ছয় দফা দাবি ,৬৯ এর গণঅভ্যুথ্থান ,৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যার দিকনির্দেশনায় মহানায়ক বাঙ্গালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ মানব বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যার সাহসী ,সময়োপযোগী দৃঢ় নেতৃত্বে বলিয়ান হয়ে বাঙ্গালী জাতি তাদের স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয় ।গত ২৬ শে মার্চ জিয়া পুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন " জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতার ঘোষক এবং এটি ইতিহাসের লাল অক্ষরে লেখা আছে " বিষয়টা শুনে প্রথমে আমলে নেইনি মনে করেছিলাম হয়তোবা তার নিজস্ব মতামত সাথে রাজনৈতিক অপরিপক্কতা থেকে তিনি হয়তোবা এমনটি বলেছেন,বিষয়টির ঘোর কাটতে না কাটতেই তার শ্রদ্ধেয়া মা জননী সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা,সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ মার্চে ঐ একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন " জিয়াউর রহমানই প্রথম রাষ্ট্রপতি ।" এবার তাদেরই ধারাবহিকতায় বিএনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া তাঁর দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও দলীয় নেত্রীর " রুলস অফ পাওয়ার এন্ড ডিকলারঅ্যাশন " এর উপর ভিত্তি করেই বললেন " জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের প্রধান রাষ্ট্রপতি "তিনারা যে নিজেদের স্বার্থের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাসকে এরকম বিকৃত করবেন তা বোধগম্য নয় অবশ্য স্বাধীনতার পর বিগত ৪৩ বছরে তাদের মুখ থেকে একটি বারের জন্যও এ ধরনের আকাশ কুসুম দাবি বা কখনও বলতেও শুনিনি তবে হঠাৎ কি কারনে এহেন ইতিহাস বিকৃতির অধঃপতনে নামা তা তারাই ভালো বলতে পারবেন ।একটু পেছনে ফিরে গেলে বিষয়টা অনুধাবন করা সহজ হবে ১৯৭০ সালের পূর্ব বাংলার জনগণ বিপুলভোটে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে যা আওয়ামী লীগের ৬ দফা দাবির প্রতি জনগণের পূর্ণ সমর্থন নির্বাচনে পরাজিত হয়েও পাকিস্তানি কুখ্যাত সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয় যা ইয়াহিয় সরকারের প্রতি দুর্বার জনরোষের আস্ফালন এহেন উত্তপ্তময় পরিস্তিতিতে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের দৃপ্ত কন্ঠে ঘোষণা করলেন " এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের স্বাধীনতার সংগ্রাম ।" ঐতিহাসিক ঐ ভাষনের মাধ্যমে জাতি দারুনভাবে উদ্বীপ্ত হলো ।বাঙ্গালীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের কাল রাতে ঢাকা শহরের নিরীহ ও ঘুমন্ত জনতার উপর দানব ইয়াহিয়ার নির্দেশে হিংস্র ও বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী নির্বিচারে হত্যাযঙ্গ চালায় । ১৯৭১ সালের ঐ কাল রাতেই মধ্যভাগেরে পর অর্থ্যাৎ প্রথম প্রহরে বাঙ্গালী জাতির মহানায়ক,মহাকালের মহাপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন ,ওয়্যারলেসে তাঁর বার্তা চট্রগ্রামে পৌছানোর পর আওয়ামীলীগ নেতা এম.এ.হান্নানর২৬শে মার্চ দুপুর বেলা চট্রগ্রাম বেতার থেকে তা স্বকন্ঠে প্রচার করেন ।২৭শে মার্চ চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর নামে ও তাঁর দলের অনুমতি স্বাপেক্ষে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেন । তাই বলে আমরা জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক বলতে পারি না সে একজন পাঠক মাত্র কিন্তু স্বাধীনতার প্রচার প্রসারে তাঁর যে ভূমিকা তা তাঁকে দিতেই হবে আর তা না দিলেই তা হবে কূপমন্ডুকতার সামিল ।----(চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.