![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
আমরা যে সম্রাট শাহজাহানকে প্রেমের দেবতা মনে করি , তার স্ত্রী মমতাজের কবরের অবস্থান তার কবরের চেয়ে একটু নিচে। স্ত্রীর নামে যে তাজমহল তিনি গড়েছেন , তার অর্থ সংগ্রহ করতে যখন তিনি খুব ব্যস্ত , তখন ভারতের দাক্ষিণাত্যে চরম দুর্ভিক্ষ চলছিল। কিন্তু সম্রাট শাহজাহানের চোখ সেদিকে নিবদ্ধ হয়নি। এমনকি ভালোবাসার সম্রাট বলে যাকে সারা পৃথিবী চিনে , তিনি নিজের বোনের প্রেমিককে যমুনা নদীতে ডুবিয়ে মেরেছিলেন , আর নিজের প্রেমকে অমর করতে গড়েছেন তাজমহল। তাজমহল শ্রমজীবি মানুষের শ্রম শোষণের অর্থে নির্মিত হয়েছে বলেও অনেকে অনেক বিতর্ক করেন। এই শ্রম শোষণ অথবা নির্যাতন , এর প্রতিকার কী? কেন হচ্ছে এসব ? নির্যাতনকারীর কী পরিণতি হবে ? যারা শ্রমিকের পক্ষের লোক , তাদের অনেকেই আজও তাজমহলকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। সে রকমই শ্রমিকের পক্ষের এক লেখক ছিলেন আমাদের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত লেখক সোমেন চন্দ [১৯২০-১৯৪২]। জন্ম তার নরসিংদী জেলায়। সোমেন একসময় আমাকে অনেক ভাবিয়েছেন। আজও ভাবান। ধরুন , তাজমহলের বিষয়টিই। ২২ বছরে ২০ হাজার শ্রমিকের পরিশ্রমে যে তাজমহল তৈরি হয়েছে , সেই তাজমহলের কারিগরদের বধ করা হয়েছে বলে এখনও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। যদি তা সত্য হয় , তাহলে ভাবা যায় সম্রাট শাহজাহান কত নিষ্ঠুর ছিলেন ! অথচ তাকে আমরা প্রেমের দেবতা বলি। কেন ? কেন তাজমহলের শ্রমিকদের বধ করা হলো ? ১৯৯২ সালে এ তথ্য প্রথম যেদিন জেনেছিলাম , কষ্টে ঘুমোতে পারিনি সারারাত। এত শ্রমিকের রক্ত কি কখনোই বিদ্রোহ করে জ্বালাবে না শাহজাহানের পক্ষের ইতিহাসকে ? এমনই মনে হয়েছিল। তখন থেকেই সম্রাট শাহজাহানের বিষয়ে বিভিন্ন আড্ডায় যতবার প্রশংসার কথা এসেছে , ততবারই রাগ ধরে গেছে মনে। এমনকি রবীন্দ্রনাথের ‘তাজমহল’ কবিতা পড়ার পরও। কবির কবিতা অসাধারণ। কিন্তু ক্রোধ ছিলো আমার সম্রাট শাহজাহানের প্রতি। এই মুঘল সম্রাট যখন তার অমর স্থাপত্যকীর্তি তাজমহল গড়েন , তখন ভারতের দাক্ষিণাত্যে চলে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ । পথে পথে মানুষের লাশ , খাদ্যের জন্য হাহাকার। অথচ তিনি তখন গড়ছেন প্রেমের নিদর্শন তাজমহল । সেই ইতিহাস আজ নেপথ্যেই রয়ে গেছে। শাহজাহানকে তাই তখন থেকেই আমার অনেক কারণেই ভন্ড মনে হয়েছে। শাহজাহান তার বোনের প্রেমিককে বারবার তার বোনের সঙ্গে প্রেম করতে নিষেধ করেছেন। যখন বোনের প্রেমিক নিষেধ উপেক্ষা করেছেন , তখন তিনি সেই প্রেমিককে যমুনা নদীতে ডুবিয়ে ডুবিয়ে মেরেছেন। আর নিজের প্রেমকে অমর করতে গড়েছেন তাজমহল। সেই শাহজাহানকে কেমন করে প্রেমের দেবতা বলে বরণ করব আমরা?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০২
জসীম অসীম বলেছেন: ভাই লেখোয়াড় , আপনার স্পষ্ট মতামতের জন্য ধন্য ধন্য আমি ধন্য , ধন্যবাদ তাই আপনাকে। আপনার কাছ থেকে আরও বেশি জানলাম। আর যে ছবিটি দিয়েছি , সেটি শাহজাহানের নিন্দুক সম্রাট ‘জসীম অসীম’ এর। আসল কথা আমি এখনো ব্লগের এডিটিংটা শিখতে পারিনি। তাছাড়া নিজের ছবি প্রচারের ক্ষেত্রে আমি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রেজেন্টারদের মতো সম্ভবত খুবই চেহারা প্রচারক। বরং এক্ষেত্রে আমি নাদানের সমতুল্য কাজ করেছি। এ জন্য দু:খিত। মতামত প্রদানের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক প্রাচীন কথা! আর নিজের ছবি দিয়ে হালকা করে দিলেন পুরো লেখাটিকেই!
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জসীম অসীম বলেছেন: ভাই , আমি মনে করেছিলাম আমার ছবিটা খুব ছোট হবে। এটা হয়ে গেছে বড়। এডিট করতে পারছি না। লজ্জিত তাই। আর পারি পোস্টটিকে ডিলেট করে দিতে। ব্লগিংটা ভাই আমার শিখতে হবে। এখনো এ বিষয়ে অজ্ঞ আমি । দু:খিত। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
লেখোয়াড় বলেছেন:
শাহজাহান তো আরেক কেষ্ট ঠাকুর!!
তার কোন দোষ থাকতে পারেনা!!
আহা! কত আদিখ্যেতা।
আপনি অনেক ভিতরের কথা বলে দিয়েছেন, প্রত্যেক মুঘোল সম্রাট ছিলেন সুবিধাবাদী। নিজের যা ইচ্ছা হয়েছে তাই করেছেন।
তবে সবার মধ্যে সম্রাট আকবরের অবদান আছে বেশি ভারতবর্ষের উন্নতির জন্য।
আর ছবিটি দিয়েছেন সেটি কোন সম্রাটের??