![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
আমার জীবন বৃথাই একটি জীবন। কারণ সুকান্ত ভট্টাচার্য কিংবা সোমেন চন্দের চেয়ে বেশি আয়ু পেয়েও আমার জীবন কোন কাজে লাগেনি। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম হয়েছিল ১৯২৬ সালে। তিনি মারা যান ১৯৪৭ সালে , মাত্র ২১ বছর বয়সে। করতেন লেখালেখি আর কমিউনিস্ট পার্টি। প্রথম যখন তার কাব্যগ্রন্থ ‘ছাড়পত্র' পড়ি-১৯৮৯ সালের দিকে , তখন খুবই উজ্জীবিত হয়েছিলাম। সুকান্ত ভট্টাচার্য যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর টি.বি হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। চরমতম ফ্যাসিবাদবিরোধী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। অল্পবয়সে মারা গেলেও জীবনকে বৃথা যেতে দেননি। আরেকজন ফ্যাসিবাদ বিরোধী লেখকতো ফ্যাসিস্টদের হাতে মারাই গেলেন। আমি লেখক ও কমিউনিস্ট সোমেন চন্দের কথা বলছি। তিনিও বয়স পেয়েছিলেন খুবই অল্প। মাত্র ২২ বছর। জন্ম হয়েছিল ১৯২০ এ , মৃত্যু-১৯৪২ সালে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়াকালে তিনি ফ্যাসিবাদীদের হাতে যেভাবে নিহত হয়েছিলেন , তা মনে হলে আমি কান্না ধরে রাখতে পারি না।
১৯১৯ সালে বেনিটো মুসোলিনি কর্তৃক প্রবর্তিত ইতালীর উগ্র জাতীয়তাবাদী এক আন্দোলনের নামই এই ফ্যাসিজম। ১৯২১ সালে এক বিশাল শ্রমিক অভ্যুত্থান দমন করে মুসোলিনীর নেতৃত্বে এই ফ্যাসিস্ট দল ইতালীর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। তারপর দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই মতবাদ। এই মতবাদ প্রচন্ড কমিউনিজম বিরোধী। তাই দেশে দেশে ওদের দালালদের হাতে কমিউনিস্ট পার্টির লোক কিংবা কমিউনিস্ট রাইটারদের সোমেন চন্দের মতো খুন কিংবা নির্যাতিত হতে হয়েছে। জার্মানীতে যে আমরা হিটলারের নাৎসিবাদের কথা শুনি , তাও মূলত ফ্যাসিজম। কারণ নাৎসিরাও কমিউনিস্টদের চরমতম বিরোধীতায় লিপ্ত ছিল।
©somewhere in net ltd.