নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ ফেইসবুকের যুগে তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের মতো লেখক আর জন্মাবেন কি ?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০

বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কথাসাহিত্যক তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় ১৯৭১ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। তার অমর সাহিত্য বাংলা সাহিত্যের পরম সম্পদ।

জীবনকে কাজে লাগানো খুব সহজ কাজ নয়। আমিও তাই পারছি না জীবনকে কাজে লাগাতে । এ জগতের কোটি কোটি মানুষই জীবনের প্রকৃত অর্থ আবিষ্কার করতে পারে না। আমিও এই ‘পারে না’দের দলেরই একজন মানুষ। কারণ আমার ছিদ্দিকুর রহমান মামা আমাকে বারবারই বলতেন, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের একজন অমর কথাসাহিত্যিক। তার উপন্যাস ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ পড়েছি আমি, চমৎকার। তুইও পড়িস। কিন্তু আজও আমার সময়ই হলো না সেই উপন্যাস পড়ার। ছিদ্দিকুর রহমান মামা এখন আর বেঁচে নেই। তারাশঙ্করের গল্প ‘জলসাঘর’ অবলম্বনে বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় ‘জলসাঘর’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন। সেটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি। কী গল্প, কী চলচ্চিত্র নির্মাণ কৌশল। এক কথায় অপূর্ব।

বাংলা ভাষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের কথা সম্ভবত আমি প্রথম শুনেছিলাম আমার সেই বড় মামার কাছেই। তাঁর লেখায় বীরভূম-বর্ধমান অঞ্চলের সাঁওতাল, বোষ্টম, ডোম, গ্রাম্য কবিয়াল স¤প্রদায়ের কথা পাওয়া যায়। সেখানে আরও আছে গ্রাম জীবনের ভাঙনের কথা এবং নগর জীবনের বিকাশের কথা। ১৯৭১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর তারাশংকর বন্দোপাধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৮৯৮ সালের ২৪ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুর গ্রামে জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়। তাঁর পিতা হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাতা প্রভাবতী দেবী। লাভপুরের যাদবলাল হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে লেখাপড়া করেন তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়। তারাশঙ্কর কংগ্রেসের কর্মী হয়ে সমাজসেবামূলক কাজ করেন এবং এর জন্য তিনি কিছুদিন জেল খাটেন। তার ‘গণদেবতা’ পড়ে আমার বাবা এত মুগ্ধ হয়েছিলেন, বলে শেষ করা যাবে না। বড় মামার সবচেয়ে প্রিয় ছিল ওই ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’ই এবং আমার প্রিয় ‘কবি’। তার কাহিনী অবলম্বনে তৈরি চলচ্চিত্র ‘চাঁপাডাঙার বৌ’ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন আমার মা। আর তার ‘রাইকমল’ ও ‘জলসাঘর’ অবলম্বনে তৈরি চলচ্চিত্র দেখে আমি ও আমার স্ত্রী সাদিয়া পলি এত মুগ্ধ হয়েছি, বলার নয়। তবে ‘জলসাঘর’ নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের ছবির নির্মাণকৌশল নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবে না। তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের ‘অভিযান’ নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের তৈরি ছবিটি আজও আমাদের দেখা হয়নি । এই ফেইসবুক বা ইর্ন্টানেটের যুগে তারাশংকর বন্দোপাধ্যায়ের মতো কথাসাহিত্যিক আর জন্মাবে কি ?



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.