নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘স্বপ্ন আমার ছবি তোলা নিয়ে’

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

আমি ছবি তুলবো কিংবা আমার ছবি তোলা হবে, এ উভয় বিষয়ে ছেলেবেলা থেকেই আমার ভীষণ আগ্রহ ছিল। এ আগ্রহ পরে আরও তীব্রতর হয়। ১৯৯২ সালের একদিন ঢাকার মতিঝিলে-ভারতীয় দূতাবাস কেন্দ্র পাঠাগারে নীরোদ রায়ের ‘ফটো সাংবাদিকতা’ বইটি আমার হাতে পড়ে। সমস্ত বইটি পড়ে আমি নোট করি এবং তার কিছুদিন পর একটি ক্যামেরা সংগ্রহ করি। তারপর থেকে ঢাকা শহরে হেঁটে হেঁটে শুরু করি ছবি তোলা। বায়তুল মোকাররম মসজিদ-শহীদ মিনার-কবি নজরুলের মাজার-শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর-বাংলা একাডেমী থেকে শুরু করে... বিভিন্ন জায়গার নানা রকম ছবি।
১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এভাবেই চলে আমার বিচ্ছিন্নভাবে স্টিল ফটোগ্রাফি চর্চা। ১৯৯৬ সালের পূর্বে পর্যন্ত আমি কোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে ছবি তুলিনি। ১৯৯৬ সালে আমি বাংলাদেশের প্রাচীনতম সংবাদপত্র কুমিল্লার সাপ্তাহিক ‘আমোদ’-পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ শুরু করি। কিন্তু ‘আমোদ’ তখন লেটার প্রেসে ছাপা হতো বলে এ পত্রিকায় স্ব^াভাবিক কারণেই ছবি খুব কম ছাপা হতো। কারণ ঢাকা থেকে ব্লক করে এনে ছবি ছাপানো তখন ব্যয়ব‎‎হু‎ল ও সময়সাপেক্ষ ছিল। তাই তখন আমার প্রেস-ফটোগ্রাফি চর্চা তেমন বিস্তৃত ছিল না। ১৯৯৮ সালে কুমিল্লার লাকসামের একটি সাপ্তাহিক কাগজ ‘লাকসামবার্তা’র সম্পাদনা বিভাগে কাজ করার বিশেষ সুযোগ পাই। এ পত্রিকার স¤পাদক শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া ডিভি লটারির বদৌলতে যুক্তরাষ্ট্রে গমন করলে সেই সুযোগ মিলে। কিন্তু ‘লাকসামবার্তা’ স্ব^াভাবিকভাবেই লাকসামের ছবিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার নীতিমালা গ্রহণ করেছিল। আর আমারও তখন তেমন সুযোগ হতো না লাকসাম যাওয়া গিয়ে গিয়ে ছবি তোলার কাজ করার। কেননা তখনও আমি কুমিল্লার সাপ্তাহিক ‘আমোদ’-কে কেন্দ্র করেই সংবাদ-ছবি বেশি সংগ্রহ করেছি। ১৯৯৯ সালে আমি কুমিল্লার দৈনিক ‘রূপসী বাংলা’র বার্তা বিভাগে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ শুরু করি। তখন আমার অনেক ছবিই দৈনিক ‘রূপসী বাংলা’য় ছাপা হয়। বিশেষ করে ১৯৯৯ সালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার এতবারপুরে গোমতি নদীর বাঁধ ভেঙ্গে জেলার ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হলে আমি যেসব ছবি তুলি, তার অধিকাংশই তখন দৈনিক ‘রূপসী বাংলা’য় ছাপা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে ঢাকার পত্রিকা দৈনিক ‘আল আমীন’-পত্রিকায়ও আমি সংবাদ ও ছবি পাঠাতে শুরু করি। এ পর্যন্ত সে পত্রিকায় আমার অনেক ছবিই ছাপা হয়েছে।
২০০০ সালে কুমিল্লার ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ উল্লাহর স¤পাদিত কুমিল্লার সাপ্তাহিক ‘নিরীক্ষণ’ পত্রিকায় আমি সহকারী স¤পাদক হিসেবে কাজ শুরু করি। এ বছর (২০০১) পর্যন্ত আমি সেই পত্রিকার সঙ্গেই জড়িত ছিলাম। ২০০০ সালে কুমিল্লার কবি ও সাংবাদিক আমার বন্ধু দৈনিক শিরোনাম পত্রিকার চীফ রিপোর্টার সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ আমাকে দৈনিক শিরোনাম-এ রিপোর্টার কাম ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করার আন্তরিক প্রস্তাব দিলে আমি এ পত্রিকার স¤পাদক ও প্রকাশক নীতিশ দা’র [নীতিশ সাহা] সঙ্গে কথা বলে দৈনিক শিরোনামে যোগ দেই। শিরোনাম নিয়ে আমার এখন অনেক স্ব^প্ন। এসব স্ব^প্ন আমার ছবি তোলা নিয়েই, ঠিক যেন এ স্বপ্ন আমার ছবির মতোই স্ব^প্ন। বিগত সময়ে অনেক ঝুঁকি নিয়েও সংবাদপত্রের জন্য ছবি তুলেছি আমি। কিন্তু তার অধিকাংশই অনেক কারণে অনেক পত্রিকায় ছাপা হয়নি। গণমানুষের পক্ষে কথা বলে যেসব ছবি, তা ছাপা না হওয়া একজন ফটো সাংবাদিকের কাছে কতটা দুঃখজনক..., তা অবর্ণনীয়। আমি আশা করছি, এবার আমার সে রকম ছবিগুলো কুমিল্লার দৈনিক শিরোনাম পত্রিকায় ছাপা হবে। সেসব ছবি ছাপা হলেই আমার স্ব^প্ন বাস্তবে রূপ নেবে। তৃপ্তি পাবে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র আলোকচিত্রীর অতৃপ্ত আত্মা। আমার সেসব স্ব^প্নকে রূপ দিতে কেবল দৈনিক শিরোনাম স¤পাদকই নন, কুমিল্লার সর্বস্তরের মানুষেরও সার্বিক সহযোগিতা চাই।
জসীম অসীম।।
আলোকচিত্র প্রতিবেদক, দৈনিক শিরোনাম, কুমিল্লা।।
প্রথম প্রকাশ: দৈনিক শিরোনাম: ২৬ সেপ্টেম্বর: ২০০১: বুধবার: কুমিল্লা।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.