নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরমালিন এখন মাছের বরফেই!

০২ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৩৭

প্রশাসনিক নজরদারির ভয়ে মাছের ব্যবসায়ীরা এখন আর মাছে সরাসরি ফরমালিন প্রয়োগ করে না। বরফ তৈরির কারখানাগুলোতে পানিতে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। আর ফরমালিন মেশানো পানি দিয়ে বানানো হচ্ছে বরফের পাটা। ওই বরফ প্রয়োগ করা হচ্ছে মাছে। এভাবেই অভিনব স্টাইলে মাছে দেওয়া হচ্ছে কেমিক্যাল। ফরমালিন মিশিয়ে তৈরি বরফের মাধ্যমেও মাছের গায়ে ফরমালিন প্রয়োগের নমুনা অতীতে অনেকবার পাওয়া গেছে। ফরমালিনযুক্ত মাছ চেনার উপায় সম্পর্কে কয়েকটি নমুনা ল্য করতে ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। তারা বলেন, ফরমালিন মেশানো মাছ শক্ত বা অনমনীয় হবে। মাংসপেশি মনে হবে রাবারের মতো আঁশ হবে শুষ্ক, ফুলকা কালচে এবং চোখের গোলক ভেতরের দিকে ঢোকানো থাকবে। মাছের স্বাভাবিক গন্ধ পাওয়া যাবে না। মাছের গায়ে বা পাশে মাছি বসবে না। ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার বিশেষজ্ঞরা বলেন, দেহে দিনের পর দিন ফরমালিন প্রবেশ করলে ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণ বেড়ে যায়। শিশুদের ক্যান্সারের পাশাপাশি অন্যান্য জটিলতাও দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া ফরমালিনের কারণে কিডনি ও লিভার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থাকে অনেক বেশি।
আড়ত মালিকরা জানান, সাধারণ পানি দিয়ে তৈরি বরফের পাটাগুলো ধবধবে সাদা থাকে। আর ফরমালিনে তৈরিগুলো থাকে হালকা বাদামি। সাদা বরফপাটা প্রতিটি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও ফরমালিন-মিশ্রিত পাটার দাম পড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। বাজারে বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতেই অভিনব এ কৌশল নেওয়া হয়েছে ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছকে বিপজ্জনক বিষে পরিণত করতে। বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযানে ফরমালিনযুক্ত মাছ জব্দ ও বিনষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু মাছে তিকর কেমিক্যাল প্রয়োগ বন্ধ করা যাচ্ছে না মোটেও।
প্রাণীর মরদেহ সংরণের বিশেষ প্রয়োজনে পচনরোধে ব্যবহার করা উপাদানের নাম ফরমালিন।
বিষাক্ত এই ফরমালিন প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এ দেশের আম-জাম-লিচু থেকে শুরু করে
বিভিন্ন ফলে ও ছোট-বড় মাছে ব্যবহার করে আসছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। আর ওই
ফরমালিন মেশানো ফল, সবজি ও মাছের বিষক্রিয়া মানবদেহে মরণব্যাধি ক্যানসারসহ কিডনি
সমস্যা সৃষ্টি করছে। প্রায়ই কুমিল্লা নগরীতে ফরমালিনবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও
জেলার বাকি ১৬টি উপজেলার বেশিরভাগেই এ অভিযান পরিচালনা করা হয়না। সরকারি তৎপরতার অংশ হিসেবে জেলার দাউদকান্দি, চান্দিনা, দেবীদ্বার, হোমনা, তিতাস, বুড়িচং, বরুড়া, নাঙ্গলকোটসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ অভিযান তুলনামূলক অজ্ঞাত কারণে কম বলে অনেকেই মনে করছেন। ফল ও মাছে ফরমালিন ব্যবহারের দীর্ঘ প্রায় এক যুগের বেশি
সময় পার হলেও বর্তমান সরকার গতবছর মধুমাসে বিষাক্ত ফরমালিনের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ফরমালিনযুক্ত ফল সারাদেশে যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য তখন রাজধানী ঢাকার পাঁচটি
পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছিল। তখন সারা দেশে একযোগে চলে ফরমালিনবিরোধী ভ্রাম্যমাণ
আদালতের অভিযান। কিন্তু ফলের বিষয়ে এমন অভিযান চললেও মাছের বিষয়ে তুলনামূলক নিরব যেন প্রশাসন। প্রশাসনের অভিযানকে ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লায় দেদার প্রবেশ
করছে ফরমালিন মেশানো ভারতীয়, বার্মিজ ও
সাতীরার মাছ। কুমিল্লা নগরীতে কখনো কখনো ফরমালিনবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালেও
জেলার বাকি ১৬টি উপজেলার বেশিরভাগেই এখন পর্যন্ত এ অভিযান তেমন পরিচালনা করেনি উপজেলা
প্রশাসন, এমন অভিযোগ অনেকদিনের। ফরমালিনযুক্ত ফলের পাশাপাশি মাছ ও সবজিতে ব্যবহার করা ফরমালিনবিরোধী অভিযান
পরিচালনা না করায় তীব্র ােভ প্রকাশ করেন অনেক সচেতন মানুষ।
জেলার চান্দিনা বাজারের এক ফল ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, শুধু ফল কিনতে এলেই
ফরমালিনের কথা জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু বার্মিজ, ইন্ডিয়ান বা সাতীরার নামে যে মাছ বাজারে বিক্রি
হচ্ছে, সেগুলোতে যে কী পরিমাণ ফরমালিন আছে, তা কেউ জিজ্ঞাসা করে না।
তবে বিভিন্ন মাছবাজার ঘুরে জানা গেছে, বড় মাছের পাশাপাশি টেংরা, কাঁচকিসহ বিভিন্ন ছোট মাছেও
ফরমালিন দেয়া হয়। সব মাছ ব্যবসায়ীর হাতের কাছে একটি পানির ড্রাম বা বালতি থাকে। সে
পানিতেও ফরমালিন মেশানো হয়। ফরমালিনযুক্ত মাছে মাছি বসে না, এমন কথাটির গুঞ্জন থাকায়
ব্যবসায়ীরা ওই ফরমালিনযুক্ত পানিতে গুড়ের পানি মিশিয়ে মাছের ওপর দেন, যাতে ওই গুড়ের গন্ধে
মাছের ওপর মাছি বসে। আর ক্রেতাদের সন্দেহও অনেকটা দূর হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, আমরা ঢাকার যাত্রাবাড়ীর আড়ত
থেকে মাছ কিনে আনি। সেখানে যদি ফরমালিন দেয়, তাহলে আমাদের কী করার আছে? যেখানে শত
শত ট্রাক থেকে মাছ ওঠানো-নামানো হচ্ছে, প্রশাসন সেখানে বন্ধ করলেই ভালো হয়। তবে অনেকেই বলেছেন,
মাছের বদলে এবার বরফে ফরমালিন দেয়া হচ্ছে।
প্রশাসনিক নজরদারির ভয়ে আড়তগুলোতে এখন আর মাছে সরাসরি ফরমালিন প্রয়োগ করা হয় না। বরফ তৈরির কারখানাগুলোতে পানিতে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। আর ফরমালিন মেশানো পানি দিয়ে বানানো হচ্ছে বরফের পাটা। ওই বরফ প্রয়োগ করা হচ্ছে মাছে। এভাবেই অভিনব স্টাইলে মাছে দেওয়া হচ্ছে কেমিক্যাল। আর বিষাক্ত কেমিক্যাল ফরমালিনে তৈরি বরফেই দিনভর চাপা দিয়ে রাখা হচ্ছে মাছ। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাছের দেহাভ্যন্তরে ঢোকানো হচ্ছে ফরমালিন। এসব মাছ খেয়ে মানুষজন নানা ধরনের পীড়ায় ভুগে থাকে, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞগণও।
আড়ত মালিকরা জানান, সাধারণ পানি দিয়ে তৈরি বরফের পাটাগুলো ধবধবে সাদা থাকে। আর ফরমালিনে তৈরিগুলো থাকে হালকা বাদামি। সাদা বরফপাটা প্রতিটি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হলেও ফরমালিন-মিশ্রিত পাটার দাম পড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
বাজারে বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধু ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতেই অভিনব এ কৌশল নেওয়া হয়েছে ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল মিশিয়ে মাছকে বিপজ্জনক বিষে পরিণত করতে। বাধা দেওয়ার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযানে ফরমালিনযুক্ত মাছ জব্দ ও বিনষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু মাছে তিকর কেমিক্যাল প্রয়োগ বন্ধ করা যাচ্ছে না মোটেও। প্রশাসনের নজরদারির ভয়ে এখন কেমিক্যাল মেশানোর ঝুঁকি নেয় না কেউ। মাছ আহরণস্থল থেকেই প্রয়োগ করা হয় ফরমালিন। সেখান থেকে ফরমালিনযুক্ত বরফজাত করে পাঠানো হয় বিভিন্ন আড়তে। পানি থেকে মাছ তোলার পরপরই প্রয়োগ করা হয় ফরমালিন। একবার ফরমালিন ব্যবহার করলে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা মাছ সতেজ থাকে। তবে ওই নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়েও আর মাছ রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বাজারে ফরমালিন মেশানো ও নিষিদ্ধ মাছ বেচাকেনা বন্ধে বিভিন্ন গোয়েন্দা ইউনিট টিমের তৎপরতা তেমন সক্রিয় নয় দাবি করেন অনেকে। তবে প্রশাসনের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও একশ্রেণীর অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী মাছে ফরমালিনসহ নানা কেমিক্যাল প্রয়োগ করেই চলছেই। গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে তারা কেমিক্যাল প্রয়োগের পদ্ধতিও বদলে দিয়েছে। অন্যদিকে ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত কখনো বাজারে গিয়ে পরীা করে মাছে ফরমালিনও পাচ্ছে না। অথচ মাছে ঠিকই ফরমালিন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত এ রহস্য উদ্ধারে ব্যর্থ হচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা কৌশল পরিবর্তন করে কর্তৃপরে চোখে ধুলা দিয়ে ফরমালিন দেওয়া মাছ বিক্রি করে চলেছে। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাছের দেহের ভেতরে ফরমালিন ঢুকিয়ে দেওয়ায় শরীরের উপরিভাগে পরীা করেও ফরমালিন পাওয়া যাচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে ব্যবসায়ীরা মাছে ফরমালিন মেশানোর টেকনিক পরিবর্তন করেছে। আগে ফরমালিন মেশানো পানিতে মাছ চুবিয়ে বাজারজাত করা হতো। এখন ইনজেকশনের মাধ্যমে ফরমালিন মাছের দেহের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২৫

নতুন বলেছেন: আমাদের জনগনের মেধা সবটুকুই কি আকামে লাগায়?

সবাই ভ্যাজাল দিতে এতো উতসাহি যে নতুন নতুন পন্হা বের হচ্ছে প্রতি দিন।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮

জসীম অসীম বলেছেন: ভাই ঠিক বলেছেন। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.