![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।
আলোকচিত্র: জসীম অসীম: ১৯৯৮
সাধারণ মানুষের প্রতিবাদহীনতাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুবিধা ভোগ, উদাসীনতা অথবা নিরবতার কারণে কুমিল্লার লালমাই-ময়নামতি অঞ্চলের কত পাহাড় যে এই পর্যন্ত বিনাশ হয়ে গেছে। আমার শৈশব থেকেই আমি ময়নামতি পাহাড় কাটা অব্যাহতভাবে দেখে এসেছি। তখনও ওইসব পাহাড়ে অনেক মহাছায়াদার প্রাণবন্ত বটবৃক্ষের পোক্ত অবস্থান ছিল। তারপর রাক্ষুসে মানুষ ক্রমাগত গিলে খেয়েছে এসব পাহাড় ও বৃক্ষ। সে কথা আজ মনে হলেই হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বাড়ে।
1998 সালে একদিন গোমতি নদীর পার ধরে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে উপস্থিত হলাম ময়নামতি পাহাড়ের রানীর বাংলোর সামনে। গিয়ে দেখলাম তখনও চলছিল অবাধে পাহাড় কাটা। কয়েকটি ট্রাক্টর তখনও পাহাড়ের কাটা মাটি নিয়ে যাচ্ছিল কোথাও পুকুর ভরাট করতে। একদিকে কাটা হচ্ছিল পাহাড়, অন্যদিকে ভরাট হচ্ছিল পুকুরসহ বিভিন্ন জলাধার। দুটি কর্মকান্ডই পরিবেশবিনাশী। কিন্তু আমি তখনও এই দেশের এক অখ্যাত সংবাদকর্মীই। হাতে পত্রিকা অফিসের একটি এস. এল. আর ক্যামেরা। কী-ই-বা করতে পারি আমি! অামার ক্ষমতা আর কতটুকু!
পরিবেশ অধিদপ্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে এসব অপকর্ম মোটেও অজানা ছিল না। কিন্তু এদেশের প্রভাবশালী দুর্বত্তদের সঙ্গে সহজে কেউই লড়তে চায় না। অথবা কোনো জায়গাই আর দুর্বৃত্তায়নমুক্ত নেই। শুধুমাত্র গণমাধ্যমে কখনো কখনো সংবাদ প্রকাশ পেলেই সামান্য সময়ের জন্য কর্তৃপক্ষের একটু টনক নড়ে। প্রশাসনের এমন নিষ্ক্রিয়তায় আর পাহাড়খেকোদের এমন রাক্ষুসে থাবায় ময়নামতি পাহাড়ের রানীর বাংলো এলাকার অনেক টিলা-ই আজ নির্বিচারে নিঃশেষ হয়ে গেছে। আজকাল রানীর বাংলোর পাশ দিয়ে কখনো যাওয়ার সময় এই বিষয়টি মর্মান্তিকভাবেই চোখে পড়ে আমার। 1998 সালে আমার তোলা অনেক ছবির মধ্যে এই ছবিটি এখনও সেই ঘটনারই সাক্ষ্য দিয়ে যাচ্ছে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১০
জসীম অসীম বলেছেন: রাজীব ভাই, অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য। ছবি কেন যে লেখার আগে পোস্ট করতে পারছি না। কোথাও সমস্যা হচ্ছে। আমার তোলা অনেক ছবি নানাভাবে নষ্ট হয়েছে। এই ছবিটি নষ্ট হয়েও কোনোভাবে টিকে রয়েছে। আপনার বক্তব্য যথার্থ। মানুষের অস্তিত্বে অবশ্য এখনই বড় ধরনের ধাক্কার ছোঁয়া লেগেছে। তবু মানুষকে এই ধ্বংসযজ্ঞ থেকে ফেরানো যাবে না। তাঁর পরিণতি বড়ই ভয়াবহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আগামী শতাব্দীর মাঝামাঝি মানুষের অস্তিত্বে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে। মানুষের হাতে খুব বেশি সময় নেই।