নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চলো আমরা পাখিদের কাছ থেকে ইউক্লিডের নতুন পাঠ নেই জীবনানন্দের পাঠ নেই নিউটনের আপেল গাছটি থেকে।

জসীম অসীম

লেখা হলো কেতকীফুল। ভালোবাসি তাই।

জসীম অসীম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি: এ কি বাস্তব কোনো নারী? নাকি সত্যি সত্যিই দেবী?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৭:০৪



অলংকরণ: জসীম অসীম।

৩১ ভাদ্র ১৪০৩ বঙ্গাব্দ,
পশ্চিমচান্দপুর, কুমিল্লা।
==============
আমাদের শিক্ষক আবদুল মান্নান সৈয়দের কবিতা, গল্প, গবেষণা প্রবন্ধ পড়ে এটা বুঝেছি যে আমি তার একজন ব্যর্থ ছাত্র। কবি জীবনানন্দ দাশ বিষয়ে তাঁর কতো লেখা যে আমি লাইব্রেরীতে পড়েছি। যতোই পড়েছি, ততোই মুগ্ধ হয়েছি। অন্যদিকে অর্থাভাবে আমি আবার একই সঙ্গে ধ্বংসও হয়েছি। কারণ সিরিয়াসলি পড়তে গেলেই অর্থ উপার্জনের জন্য আর তেমন সময় থাকে না।
তাঁর নাম ছিলো সৈয়দ আবদুল মান্নান। কিন্তু তিনি লিখতে শুরু করেন আবদুল মান্নান সৈয়দ নামে। সৈয়দ পদবী পেছনে নিয়ে বসালেন। 1993 সালের দিকে যখন তার 50তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়, আমি সেই অনুষ্ঠানে থাকতে পারিনি। তার প্রকাশিত সিরিয়াস গ্রন্থ সংখ্যা শতাধিক। এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্ম নেওয়া এই শিক্ষকের যে কয়েকটি ক্লাস আমি করেছি, তা আমার জীবনের সাহিত্য সাধনায় অসামান্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
আজকাল আমি প্রায়ই লিখি প্রেমের কবিতা। সেদিন একটি কবিতায় লিখেছি ‘তুমি যখন হাঁচি দাও, আমি তখন হাই তুলে যাই। তুমি যখন আমার কাছ থেকে টেনে টেনে আমার প্রশ্নের উত্তর বের করে নাও, আমি তখন স্বরভঙ্গ রোগ নিয়েও কথা বলে যাই। তুমি যখন গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে আকাশ দেখে যাও, আমি তখন শুধুই তোমাকে দেখে আমার জীবনের সমস্ত বিষকে মধুতে রূপান্তরিত করি’। আমার খুবই ইচ্ছে, আমার বাছাই করা কবিতাগুলো দিয়ে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করি। কিন্তু না হয় আমার স্বরচিত কবিতা নির্বাচন, না আর তা প্রকাশ। লেখাগুলো খুবই এলোমেলো পড়ে থাকে আমার। যতো পড়ি, যতো লিখি, ততো গুছিয়ে রাখা হয় না আমার কোনোভাবেই। কেন? এর ব্যাখ্যা অবশ্যই জানা নেই।
আমার বুকের ভিতরে শুধুই প্রেম। নারীর প্রতি প্রেম এবং দেশের প্রতিও। এ নিয়ে আমার ঢাকার বন্ধু আবিদ হোসেনের সঙ্গেও অনেক কথা হয়। আবিদ তখন বলেছিলো, তুমি কি রাশিয়ান কবি ও উপন্যাসিক আলেক্সান্দর পুশকিন পড়েছো? আমি বললাম, না। আবিদ বললো, পড়ে নিয়ো। পড়ার দরকার আছে। আমার বিশ্বাস: আবিদ একদিন বাংলা সাহিত্যে পি এইচ ডি করবে, কাজে লাগবে, অধ্যাপক হবে। আর আমি শুধু কবিতাই লিখে যাবো অথচ কবি হতে পারবো না কক্ষনোই। আমি জানি না আমার সঙ্গে কোনো নারীর পাকাপোক্ত প্রেমও হবে কী না।
আমি আমার শৈশব-কৈশোরের বিভিন্ন স্মৃতি বা অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখি। কিন্তু এগুলো এক অর্থে অকাজই। অথচ আমি এসব না লিখে শান্তিতে ঘুমোতেও পারি না। তবে সাহিত্য চর্চার বিষয়ে আমার একটি মতবাদ মাথায় কাজ করে। মার্কসবাদকে আমি আমার লেখার মতাদর্শ হিসেবে মেনে নিয়েছি। কিন্তু সেই হিসেবে আমি চাই আমার চারপাশের সকল লেখক এই মতাদর্শের অনুসারী হোক। কিন্তু লোকে মার্কসবাদী তেমন একটা হয়ই না। যারা হয় না, তাদেরকে আমার দালাল লেখক মনে হয়। পুঁজিবাদের দালাল। অথচ আবার কখনো কখনো মনে হয়, আমি নিজেও যেন মার্কসবাদের একটা দালালই। আর তারপরও আবারও আমার মনে হয় মার্কসবাদ এই পৃথিবী সম্পর্কে মানুষকে একটা বিজ্ঞানসম্মত ধারণা দেয়। কেন কোনো কোনো লেখক গণমানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মার্কসবাদকে বর্জন করে তাঁদের লেখালেখি করে, আমি ঠিক বুঝি না। এমন সাহিত্যকে আমি নিশ্চিতভাবেই শত্রু মনে করি।
এদিকে আমাদের ঘরের অবস্থাও ভালো নয়। সকালে বড় ভাই আলী আশ্রাফ অসুস্থ অবস্থা নিয়েই ভাবীকেসহ তার শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করেই তার এই চলে যাওয়া। যতোক্ষণ মার্কসবাদ পড়ি, ঠিক ততোক্ষণই আমি আশাবাদী থাকি। কিন্তু তার পরেই ঘরে-বাইরে এত অশান্তি দেখলেই আবার হতাশ হয়ে যাই। বিকেলে আমি ভীষণ জ্বর নিয়েই গোমতি নদীর পাড়ে চলে যাই ছবি তোলার নেশায়। সঙ্গে ছিলো বড় আপার বড় ছেলে প্রিয় ভাগিনা হানিফ। সন্ধ্যায় আমাদের সংসারের কিছু সমস্যা নিয়ে কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জে সাহাপাড়ার অজিত দাদার সঙ্গে আলাপ করি। তখন আমার মন ছিলো খুবই খারাপ। তারপরও আবার কুমিল্লা ছাত্র ইউনিয়ন অফিসে গিয়েছিলাম। প্রহলাদ দাদা, সুমন ও বিপ্লব মজুমদারের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলাপ করি।
গোমতি নদীর পাড়ে 10/12 জন এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আলাপ হয় আমার। নানা বিষয়ে। রাতের বেলা কুমিল্লার সাহিত্যিক মোতাহার হোসেন মাহাবুব ভাইয়ের খোঁজ করি কান্দিরপাড় সুফিয়া ম্যানশন এর নীচতলার কসমেটিক এর দোকান ‘সাত রং’-এ। কিন্তু তাঁর দেখা তখন পাইনি। পরে মোফাজ্জল হায়দার মজুমদার মামার সঙ্গেও দেখা ও আলাপ হয়।
রাতে কুমিল্লার রাজেশ্বরী কালীমন্দিরে যাই কীর্তন শুনতে। কিন্তু ওখানে একজন সুন্দরী মেয়েকে দেখে অবাক হয়ে ভাবি, কোনো নারী কিভাবে ঠিক এতোটাই সুন্দরী হয়! ঠিক দুর্গা প্রতিমার মতোই? এ কি বাস্তব কোনো নারী? মানবী? নাকি সত্যি সত্যিই মৃত্তিকায় দেবী নেমে এসেছিলেন? এই মেয়ে যদি আমাকে এসে বলতো তার সঙ্গে চিরকালের জন্য ভারতের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় চলে যেতে, আমি নিশ্চিতই যেতে পারতাম। তবে আবার এটাও ঠিক যে, ওখানে গেলে একবার আমার মায়ের জন্য খুবই খারাপ লাগতো। অথবা মায়ের জন্য এদেশে আবার ফিরেও আসতে হতো।
===========
কম্পোজ: সাদিয়া অসীম পলি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আব্দুল মান্নান সৈয়দ স্যারের লেখা আমার ভালো লাগে। তিনি রবীন্দ্রনাথকে লিখেছেন। আমি মুগ্ধ হয়ে পড়েছি।
কীর্তন আমি শুনি কিন্তু কিছুই বুঝি না। লম্বা সুর টেনে কি যেন গায়। অনেকে আবার এই সময় নাচে। ঢোল বাজায়।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০০

জসীম অসীম বলেছেন: অাবদুল মান্নান সৈয়দ স্যারের কথা বলার স্টাইলটি আমার দারণ ভালো লাগতো। আহা স্মৃতি। আর আমি বাস্তবে এই গ্রহে কোনোদিনও শুনবো না তাঁর অমৃতসম শব্দাবলী, সুরেলা বাক্যের সমাহার। তাঁর জীবনানন্দ দাশ গবেষণাই আমার কাছে এক অমৃতকর্ম। ভালো থাকুন।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

বিজন রয় বলেছেন: যে কবিতার লাইনগুলো এই লেখার মধ্যে উল্লেখ করেছেন ওরকম কবিতা নিয়ে বই বের না করাই ভাল হবে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৪

জসীম অসীম বলেছেন: ও রকম লেখা আসলে লেখাই নয়। সময়বাহী এক ধরনের অনুভূতিই মাত্র। কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের বিষয়ে আমি এখন তখনকার মতো অসংযত নই। মতামত ভালো লাগলো। ভালো থাকুন।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নারীকে দেখে একেবারে দেবীই ভেবে বসলেন! নিশ্চয়ই সাংঘাতিক সুন্দরী ছিল?

১০ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০৮

জসীম অসীম বলেছেন: দেবী ভাবার তো কারণ ছিলই ভাই। তাঁর দুর্ধর্ষ সুন্দরী মুখাবয়ব এখনো মনে হলে মগজে ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.