নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৩০ বছর চাকরি করেছি; অবসর নিয়েছি কর্নেল পদবীতে ২০০৬ সালে। এরপর এযাবৎ প্রিন্সিপাল হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে; এখন অর্কিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা-তে। ‘স্কুল সাইকোলোজি’ নিয়েও কাজ করছি।

আশরাফ আল দীন

কবি, শিক্ষাবিদ ও প্যারেন্টিং এক্সপার্ট

আশরাফ আল দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবাসার গল্প, বুড়োদের জন্য -২

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

ভালোবাসাহীন জীবন শুষ্ক ও প্রাণহীন। অথচ বৃদ্ধ বয়সে এসে আমরা অনেকেই জীবন যাপন করছি একধরনের ভালবাসাহীনতার মধ্যে। অন্যের কথা বাদ দিন! আমাদের আচরণ দেখলে মনে হয় আমরা নিজেরাই নিজেদের #ভালোবাসি না আর!
কেন বলছি এই কথাটা? শুনুন তাহলে!
আমরা জানি মানুষ সবচেয়ে বেশি #ভালোবাসে তার নিজের চেহারা এবং তার নিজের নামকে। প্রত্যেক মানুষ, তা তার চেহারা যেমন হোক না কেন, আয়নার সামনে গিয়ে নিজের চেহারাটাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে। মানুষ বরং চায় তার চেহারাকে আরও সুন্দর করতে, আরও আকর্ষণীয় করতে। যেমনই হোক না কেন এটা তার নিজেরই চেহারা! স্বাভাবিকভাবেই সে কখনো চায় না তার চেহারা বিকৃত হোক।

একইভাবে মানুষ তার নিজের নামটাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে এবং #ভালোবাসে তার নিজের #শরীরটাকে। মানুষ সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে কেউ তার নামকে বিকৃত করলে! এজন্যই ইসলাম ধর্মে নিষেধ করা হয়েছে অন্যকে বিকৃত নামে না ডাকতে। এখন, এই বুড়ো বয়সে এসে আমাদের অবস্থাটা কি? আমরা নিজের চেহারাকে বা নিজের শরীরকে যে ভালোবাসি একথার তো কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না! কারণ, যেভাবেই হোক না কেন, আমি আমার শরীরের প্রতি সবচেয়ে বেশি অবহেলা করি এবং আমার চেহারাটাকে সবচেয়ে বেশি অগোছালো করে রাখি। অন্যদিকে, এটা স্পষ্টতঃই রাসূলের (দঃ) সুন্নতের বিরোধী।

আমাদের অনেকেই নিজের চুল-দাড়ি-গোঁফকে গুছিয়ে রাখি না। বরং বলি, সৌখিনতা করে কী হবে? এটা যে সৌখিনতা নয় বরং নিজের প্রতি #ভালোবাসা, সেটাই আমরা বুঝি না। নিজের পোশাক আশাকের ব্যাপারে আমরা অনেকেই একদম বেখেয়াল! সুন্দর জামা পরা বা ভালো কাপড় পরা আমরা অনেকদিন হয় ছেড়ে দিয়েছি। কেউ ভালো জামা উপহার দিলে সেটা আমরা কিসের আশায় যেন তুলে রাখি। বারবার বলিঃ পরে পড়বো, এখন নয়। সে সময়টা যে কবে সেটা আমরা নিজেরাও বুঝি না! কারণ, আমরা তো প্রত্যেকেই অপেক্ষা করছি মৃত্যুর জন্য! তাহলে, এই কাপড়টা ফেলে রেখে লাভ কি? আপনি তাহলে কাউকে দান করে দিন, আপনারই সওয়াব হবে অথবা নিজেই ব্যবহার করুন! আপনাকে দেখতে ভালো লাগবে। দেখে মনে হবে আপনি এখনো নিজেকে ভালোবাসেন। অথচ এখন আপনি যে পোষাক পরে মসজিদে যান তা দেখে কেউ কল্পনা করতে পারবে না আপনি এক সময় অত্যন্ত রুচিসম্মত পোষাক পরতেন। নিজেকে #ভালবাসুন, ঘুরে দাঁড়ান!

এবার আসুন নিজের #শরীরের ব্যাপারে কথা বলি। বুড়ো মানুষদের অনেকেই দেখে মনে হয় না তিনি নিজের শরীরটাকে ভালোবাসেন। কারণ, দিনরাত জুড়ে পুরোটা সময় নিজেই যেসব পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন বা যেভাবে চলেন, তাতে শরীরের যত্ন তো নয়ই বরং নিজের শরীরটাকে অথর্ব করে ফেলার জন্য নিজেই এগিয়ে দেন যেন! আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে নিজের শরীরকে চাঙ্গা রাখার জন্য এবং নিজের মগজকে (ব্রেন) চাঙ্গা রাখার জন্য। মগজসহ আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ সঠিক ও কর্মক্ষম রাখার জন্য এদের সুনির্দিষ্ট যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আল্লাহর দেয়া এসব আমানতের যদি যত্ন না নেয়া হয় তাহলে সে ধীরে ধীরে, অব্যবহার বা অপব্যবহারের কারণে, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। এমনকি, শেষে অচল হয়ে যায়। (অপব্যবহার বলছি যাঁরা এখনো সিগারেট, পান-সুপারী-জর্দাসহ নানা বদ-নেশা থেকে এখনো মূক্ত হতে পারেন নি, তাদের জন্য। এছাড়াও, তৈলযুক্ত খাবার যেমনঃ কাচ্চি-বিরিয়ানি ইত্যাদি বা মদ তো আছেই কারো কারো ক্ষেত্রে!)

এদের সচল রাখার জন্য তিনটি বিষয়ে যত্নবান হতে হবেঃ খাবার, বিশ্রাম এবং শরীর-চর্চা। #Brain বা #মগজ এর ব্যাপারে পরে বলছি, প্রথমে শরীরের ব্যাপারে বলি। এই বয়সে আমরা যদি অসময়ে ঘুমাই অথবা অবেলায় খাই অথবা খাওয়ার ব্যাপারে অনিয়ম করি, তাহলে কেউ কিছু বলবে না। অন্যরা বরং চাইবে আমরা ঘুমিয়ে থাকি বা আরাম করি। কিন্তু তাতে আমাদের শরীরেরই যে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে! দিন রাত্রির ২৪ ঘন্টার ভেতর হিসেব করে মোট আট থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমাতে হবে, এর বেশিও নয় কমও নয়। সর্বোত্তম হলো রাত সাড়ে আটটা থেকে ন'টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া এবং ৮ ঘণ্টা ঘুম পুরো করে জেগে ওঠা। তারপর, ফজরের নামাজ এবং অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা। যদি শেষ রাতে তাহাজ্জুদের জন্য কিছু সময় ব্যয় করা যায়, তাহলে সেটাকে দুপুর বেলা খাবারের পর কাইলুলা করে পূরণ করে নেয়া। সকালবেলা ঘুমানো অথবা বিকেল বেলা শুয়ে থাকা শরীরের জন্য ভালো নয়।

সারাদিনে যদি এক বা আধা ঘন্টা হাঁটাহাঁটি করা হয় তাতে শরীরের প্রয়োজন মেটে না। প্রয়োজন হলো সারাদিন চেয়ারে বসে না থেকে অথবা বিছানায় শুয়ে না থেকে, হেঁটে হেঁটে বা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করার অভ্যাস করা। যদি কম্পিউটারে বা ল্যাপটপে কাজ করেন তাহলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাজ করার অভ্যাস করুন। যখন বই পড়বেন তখন হেঁটে হেঁটে বই পড়ার অভ্যাস করুন। ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে গিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় অথবা মোবাইলে কথা বলার সময় হেঁটে হেঁটে কাজগুলো করার অভ্যাস করুন। ঘরে যদি নাতি-নাতনিরা থাকে তাদের সাথে মেঝেতে বসে নানা রকম খেলাধুলা অথবা গল্প কাহিনী বলার অভ্যাস করুন। মেঝেতে বসে কাজ করলে আমাদের #শরীরের হাতের পায়ের মাংসপেশীগুলো অনেক বেশি ব্যবহৃত হয় এবং সচল থাকে। এদেরকে বিশ্রাম দিয়ে চেয়ারে বসে বা বিছানায় শুয়ে থাকলে এরা অব্যবহৃত থাকে এবং ধীরে ধীরে অচল হয়ে যায়। যার ফলে পরে আমাদের চেয়ারে বসে নামাজ পড়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না! এই অভ্যাস করতে গেলে প্রথমদিকে অত্যন্ত কষ্টকর মনে হবে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা আত্মস্থ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে মেঝেতে ফ্লোরের উপর বালিশ ব্যবহার করুন কিন্তু চেয়ার-টেবিল নয়।

যোগ ব্যায়ামের কয়েকটি আইটেম প্র্যাকটিস করা যায়। নিজের পছন্দমত আপনি বের করে নিন কোনটা আপনার জন্য সুবিধা হবে এবং কোনটা প্রয়োজনীয়। আজকাল ইউটিউবে সবই পাওয়া যায়। ধীরে-সুস্থে দীর্ঘ রুকু ও দীর্ঘ সিজদা দিয়ে নামাজ পড়ার অভ্যাস করলে তা যোগ ব্যায়ামের চেয়ে উপকারী প্রমাণিত হবে। আল্লাহর রাসূল (দঃ) যেভাবে পিঠকে সমতল এবং টানটান রেখে রুকু করেছেন এবং যেভাবে পিঠটান করে দীর্ঘ জায়গাজুড়ে সেজদা করেছেন তা প্র্যাকটিস করা আসলেই কষ্টকর। কিন্তু যদি আমরা সেই সুন্নাতে অভ্যস্থ হতে পারি তাহলে আমাদের নামাজের গুণগতমান বৃদ্ধি পাবে এবং তা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী প্রমাণিত হবে। আল্লাহর রসুল (দঃ) কিন্তু বৃদ্ধ বয়সেই এভাবে নামাজ পড়েছেন! যেহেতু বলা হয়েছে, পৃথিবীটা হলো মুমিনের জন্য কারাগার স্বরূপ, আমরা আমাদের এই সময়টাকে কারাগারের জীবনের মতো করে কাটাতে পারি। পছন্দ হোক বা না হোক কয়েদিকে কারাগারের জীবনে রুটিন মেনে ঘুমাতে হয়, খেতে হয় এবং #শরীরচর্চা করতে হয়। কয়েদিরা ইচ্ছামত ঘুমানোর বা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায় না বলেই শুনেছি। আমরা তাহলে সুযোগ নিচ্ছি কেন? এই অধিকার কি সত্যিই আমার আছে?

খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। বেশি বেশি নফল রোজা রাখার চেষ্টা করা এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত না খাওয়াটাই #শরীরের জন্য ভালো। কারণ, যা'কিছু অতিরিক্ত খাওয়া হবে তা এই বয়সে বিষের মত কাজ করবে এবং এতে কোন উপকার হবে না। বিশেষতঃ যেসব জিনিস খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারি নিষেধাজ্ঞা আছে তা স্পর্শ করা যাবে না। এই বয়সে "পছন্দ" বা "অপছন্দ" শব্দের মত আহ্লাদী কথাবার্তা বলা যাবে না। এখন খেতে হবে শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য, সুস্থ রাখার জন্য, যাতে যে ক'দিন বেঁচে থাকি আল্লাহর এবাদতটুকু যেন সুন্দর ভাবে করতে পারি, সেই কথাকে খেয়াল রেখে। ধীরে ধীরে মাছ মাংস ইত্যাদি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে, একসময় একদম ছেড়ে দিতে হবে এবং পুরোপুরিভাবে নির্ভরশীল হতে হবে সবজি জাতীয় খাদ্যের উপর। এতেই শরীর ভালো থাকবে, স্বচ্ছন্দ থাকবে। ভাত খাওয়ার পরিমাণ এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ একদম কমিয়ে ফেলতে হবে। অনেককে দেখি ভাত কমানোর কথা বললে অথবা মিষ্টি বা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিতে বললে খুব আফসোস করেন! অথচ, বিগত জীবনে এইসব জিনিস আমরা প্রচুর পরিমাণ খেয়েছি, আলহাদুলিল্লাহ! এখন না খেলেও তো হয়, নিজের উপকারের জন্য এবং নিজের ভালোর জন্য! মনে রাখতে হবে, এই শরীরটা যেমন আমার তেমনি এই জিহ্বাটিও আমার। আসলে পুরো ব্যাপারটার কর্তৃত্ব আমার-আপনার উপরেই! আমি যে ভাবে চলবো তার ফলাফল সেভাবে পাবো। নিজেই খাওয়ার নিয়ম ভঙ্গ করলাম আর দোষ চাপালাম স্ত্রীর অনুরোধ অথবা সন্তানদের উপরোধের উপর, তা হবে না।
এবার মগজ সম্পর্কে বলি।

লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে ২০০৩ সালে আমি প্রথম মানুষের মগজ বা ব্রেইন সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছিলাম। সেখানে দেখেছিলাম মানুষের মগজকে খুলে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। দেখতে একখানা টাওয়েলের মতো, সম্ভবত ১২" X ১০" সাইজের আয়তাকারের। এটাই ভাঁজ হয়ে কুঁচকে মানুষের মাথার খুলির মধ্যে থাকে। এর বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন কাজ। একজন মানুষের মগজের কর্মক্ষমতা এত বেশি যে একজন মানুষ সারা জীবনে তার সকল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করে দীর্ঘ জীবনকাল কাটিয়ে দেয়ার পরেও তার #মগজের অত্যন্ত সামান্য অংশই মাত্র ব্যবহার করতে পারে! বাকি পুরোটাই অব্যবহৃত থেকে যায়। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত কথা আছেঃ "মাথা খরচ করা!" এটা একদম ভুল কথা! মাথায় আসলে খরচ করার মতো কিছু নেই, মাথাকে ব্যবহার করা হয় মাত্র। মাথা যত বেশি ব্যবহার করবে তত বেশি সক্রিয় থাকবে, এটাই হলো নিয়ম। আমরা বুড়োদের অনেকেই তাদের মাথাকে সাধারণভাবে ব্যবহার করাও ছেড়ে দিয়েছি বলা যায়। আমরা এখন আর দেনন্দিন খবরটা ভালো করে শুনি না, দেশীয় বা আন্তর্জাতিক কোন বিষয়ের ব্যাপারে মাথা ঘামাই না, মানুষের দুঃখ-কষ্ট নিয়ে ভাবি না, প্রতিবেশীদের নিয়ে চিন্তা করি না, পরিবেশ নিয়ে চিন্তা করি না, প্রাণীকুল নিয়ে বা জলবায়ুর পরিবর্তন নিয়ে কোনো রকম চিন্তাভাবনা আমাদের নেই, পৃথিবীর নানা সমস্যার একটাও আমাকে প্রভাবিত করে না! কারণ, এসব ব্যাপারে আমাদের কোন আগ্রহ নেই! মোটকথা এই বয়সে এসে প্রাত্যহিক জীবনে মগজের কোনো ব্যবহারই আমাদের নেই।

কোন প্রকার চিন্তা আমরা করিনা, দুশ্চিন্তা ছাড়া! দুশ্চিন্তায় মগজের ব্যবহার হয় না, বরং মগজের উপর চাপ (স্ট্রেস)বৃদ্ধি করা হয় মাত্র। ড. মাহাথির মোহাম্মদ ৯৩ বছর বয়সে পূণরায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর একবার বলেছিলেন, "মানুষের মাংস-পেশী যেমন ব্যবহার করলে সক্ষম থাকে আর ব্যবহার না করলে তা অকেজো ও নষ্ট হয়ে যায়, মানুষের মগজটাও সেরকম। চিন্তা মগজের খোরাক, তাই চিন্তা করলেই মগজের চর্চা হয় এবং সে সক্রিয় থাকে।" আমাদের মগজের মধ্যে আমরা লক্ষ লক্ষ নয়, কোটি কোটি তথ্যকে ধারণ করে থাকি। সারা জীবনে যত কিছু আমাদের আয়ত্তের মধ্যে আসে, আমরা শিখি জানি ও বুঝি তার সবকিছুই মগজের মধ্যে আমরা ধারণ করে রাখি। তারপরও #মগজের বিশাল অংশের কার্য-ক্ষমতা বাকি থেকে যায়। তাই আমাদের মগজকে বেকার বসিয়ে না রেখে আমাদের জন্য প্রয়োজন হলো মগজটাকে সচল রাখা, চিন্তাভাবনা করা, অন্যদের সাথে #চিন্তা শেয়ার করা, নিজেদের স্বপ্ন গুলো নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া এবং নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কল্যাণমুখী #চিন্তাকে প্রসারিত করা। তাহলে নিজেও সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারব, সমাজ ও মানুষও উপকৃত হবে। তা না হলে, ব্যবহার না করতে করতে একটা সময় দেখা যাবে চিন্তার ক্ষমতা হারিয়ে হাবাগোবা ধরনের ব্যবহার করছি! কারণ, মাথা আর কাজ করছে না! আল্লাহ আমাদেরকে এই ধরনের অসহায় অবস্থা থেকে হেফাজত করুন।

একটি নদী যেমন, যতক্ষণ প্রবাহিত থাকে ততক্ষণ তাকে বলা হয় "নদী", আর যখন নদীর প্রবাহ থেমে যায় তাকে আর কেউ নদী বলে না, বলে "মরা নদী!" আমাদের জীবনও তেমনি প্রবাহমান একটি ব্যবস্থা। এটাকে সক্রিয় থাকতে হবে, প্রবাহিত হতে হবে! আমরা বেঁচে থাকতেও মরে যাওয়ায় অভিনয় করার মধ্যে কোন কল্যাণ নেই।

কারো যদি #শরীরে বিশেষ কোনো অসুবিধা থেকে থাকে সেটার জন্য সচেতনভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, যত্ন নিতে হবে। এটাকে বাস্তবতা হিসেবে মেনে নিতে হবে। এখানে আফসোস করার কিছু নেই। মনোবল শক্ত রাখতে হবে। #শরীরের একটি অঙ্গ যদি অচল হয়ে যায় বাকি অঙ্গগুলো দিয়ে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকটি অঙ্গই আল্লাহর অমূল্য নেয়ামত। মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যে, একদিন সবগুলো অঙ্গ অচল অবস্থায় (অর্থাৎ মৃত অবস্থায়) আমরা আল্লাহর কাছে পৌঁছে যাবো। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়ার ভান করা কি সঠিক? তাই, ছেড়ে দেবেন না! যতক্ষণ জীবন আছে এটাকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করতে হবে।।
আসুন! আমরা উঠে দাঁড়াই, এগিয়ে যাই।

মিরপুর ঢাকা ১৮.০৪.২০২০
আশরাফ আল দীন।। শিক্ষাবিদ, গবেষক, কবি ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কত বছর বয়স থেকে শুরু করতে হবে?

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

আশরাফ আল দীন বলেছেন: যখোন থেকে আপনি নিজেকে বুড়ো ভাবতে শুরু করবেন!
নিজেও বুড়ো হয়ে গেছি। ডানে-বাঁয়ে বুড়োদের হালত দেখে, লিখে ফেল্লাম!
আমি জানি, সবার জন্যে এ লেখা প্রযোজ্য নয়।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: তরুন তরুনীর থেকে বুড়ো মানুষদের ভালোবাসার দরকার বেশি।
তাই ছেলে মেয়ের উচিত্ বাবা মায়ের দিকে লক্ষ্য রাখা। নিজেরা যখন বাইরে খেতে যান মনে করে বাবা মাকেও সাথে কর এনিয়ে যাবেন। জোর করে নিয়ে যাবেন। তাদেরকে সময় দিতে হবে। তাদের সাথে গল্প করতে হবে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

আশরাফ আল দীন বলেছেন: সুন্দর ও গঠনমুলক মন্তব্য।
আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একটা প্রবাদ আছে মানুষ বুড়া হলে বাচ্চা হয়ে যায়। তাই বেশী ভালোবাসা তাদের দরকার ।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

আশরাফ আল দীন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: দেখি এখন থেকেই শুরু করা যায় কিনা!! আপনার পোস্টটা ভালো লেগেছে :D

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:১৫

আশরাফ আল দীন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.