![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মামুন একটা সুন্দর পরিপাটি রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। রাস্তার দুপাশে মনোমুগ্ধকর গাছের সারি। পার্থিব সংগীতের মতো কানে বাজছে "বাদলও দিনের ও প্রথমও কদমও ফুল"। সাথে সাথে মামুন তাকালো গাছের দিকে, বাহ্ কি সুন্দর কদম ফুল। কিন্তু কদম ফুল কিভাবে যেন হাসছে, আস্তে আস্তে কদম ফুল গুলোর দাঁত বের হয়ে যাচ্ছে। হাসির দমকে দমকে সমস্ত গাছ কেঁপে কেঁপে উঠছে, হাসি তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে, বুক ধড়াস করতে করতে ঘুম ভাঙে মামুনের। ঘেমে ভিজে জবজবে। পানি খেয়ে শান্ত হয় শরীর। বুকের কাঁপুনি কিন্তু ঠিকই থাকে। মোবাইলের ডাটা অন করেই দেখে আজকের ডেথ কাউন্ট। ৮৯ হাজার। রাত ২:০৫ বাজেও চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না। হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে "আল্লাহ জানি না কার পাপের শাস্তি, আপনার প্রিয় নবীর উম্মতকে দিচ্ছেন। করোনার কারণে আর কত মৃত্যু দেখতে হবে।" আমাদেরকে ক্ষমা করেন।
ফজরের পরে দ্বিতীয় দফায় ঘুম ভাঙলো। আরব নিউজের প্রথম সংবাদ "১৫ ঘন্টার কারফিউ বাড়িয়ে ২৪ ঘন্টা করা হলো। পুরো রিয়াদ লকডাউন। মামুনের এক সহকর্মী রিটায়ার্ড করেছেন। পাকাপাকি দেশে চলে যাবেন। যাওয়ার আগে মামুনকে তার ফ্রিজটা ভদ্র দামে দিয়ে যাবেন। সেই বেচারিও আটকে গেলেন। মামুনও কিছু বলতে পারেনি। মামুন তার খাদ্যের তালিকা করতে বসে।
বড় টেবিলের পর তিনটে ডিম্ আর তিন প্যাকেট মামা নুডলস। তিনটে কাঁচা মরিচ ছিল তাও শুকিয়ে আমশি মেরে গেছে। মেজাজটা পুরোই খিঁচড়ে গেলো। আর একবার চক্কর মেরে পাওয়া গেলো নূর সুইট থেকে আনা শুকনো চিড়ে ভাজা। যাক চিড়ে ভাজা খেয়েই নাস্তা করে নিতে হলো। এরপর অফিস-অফিস, হুমঃ বাসায় বসেই । মাঝে মাঝে ঝিমুনির মতো আসে। ফোন পেয়ে আবার সজাগ, ইমেইল আর ফোনে ফোনেই কাজ চলে। এমন সময়ই মেইল আসে সামনের মাসে বেতন অর্ধেক। মামুন ভাবে আর ভাবে রোজার মাসে নিজে খাবে না দেশে সবাইকে খাওয়াবে, নিজের না খাওয়া মলিন মুখটা কল্পনায় তেমন কষ্ট না দিলেও দুই ছেলের পরিতৃপ্ত মুখগুলো বিশাল এক প্রশান্তি এনে দেয়।
চলবে...
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম! শুভ হোক আপনার ব্লগযাত্রা, আনন্দময় হোক! আরও বেশি করে লিখুন, লিখতে থাকুন।
গল্পটি অতি সংক্ষিপ্ত, তবে প্রবাসীদের মনোকষ্টের কথা বুঝা গেছে, তদুপরি মারণ ব্যাধি করোনার ছোবলের ভয়ে ত্রাসিত মানুষের উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার কথাও এতে ব্যক্ত হয়েছে ভালভাবেই।