নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইতিহাসের পাঠশালায়

আসিফ আযহার

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়।

আসিফ আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের পাঠশালায়: পর্ব-২৪ | ভিসিগথ জাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮


ভিসিগথ বা ওয়েস্টার্ন গথরা ছিল অস্ট্রোগথ বা ইস্টার্ন গথদের থেকে পৃথক গথ গোষ্ঠী। এরা গথিক জাতির পশ্চিমা শাখা ছিল। পূর্ব ইউরোপের কৃষ্ণসাগরের কাছে তারা বসবাস করত; তাদের পূর্বদিকে বাস করত অস্ট্রোগথ গোষ্ঠী। এরা শেষের দিকে রোমান সাম্রাজ্যে প্রবেশ করেছিল। রোমান সাম্রাজ্যের পতন হওয়ার পর পশ্চিম ইউরোপীয় অঞ্চলে ভিসিগথরা প্রায় ২৫০ বছর ধরে একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ভূমিকা পালন করেছিল।

ভিসিগথরা ২৬৮ সালে প্রথমবারের মতো একটি স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়। এবছর তারা রোমান সাম্রাজ্যের বলকান উপদ্বীপ অঞ্চলে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের পর রোমান প্রদেশ পান্নোনিয়া এবং ইলিরিকুম তাদের হাতে চলে যায়। এমনকি ইতালীয়কেও হুমকির মুখে পড়তে হয়। তবে পরবর্তী গ্রীষ্মকালে আধুনিক ইতালি-স্লোভেনিয়া সীমানার কাছাকাছি যুদ্ধে ভিসিগথরা পরাজিত হয় এবং তারপরের সেপ্টেম্বর মাসে নাইসাসের যুদ্ধেও তারা পরাজিত হয়।


চিত্র: চতুর্থ শতকের ভিসিগথ যোদ্ধা

পরবর্তী তিন বছর ধরে রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লদিয়াস গথিকাস এবং অরেলিয়ান দ্বারা পরিচালিত অভিযানের চাপে তারা দানিয়ুব নদীর ওপারে চলে যেতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তারা রোমান প্রদেশ ডেসিয়া ধরে রাখতে সমর্থ হয়। রোমান সম্রাট অরেলিয়ান বাধ্য হয়ে তাদের সাথে আপষ করেছিলেন। ভিসিগথরা সম্রাটের কাছ থেকে ডেসিয়া প্রদেশে বসবাসের অনুমতি লাভ করেছিল। ৩৭৬ সাল পর্যন্ত তারা ডেসিয়াতে অবস্থান করছিল।

ডেসিয়াতে স্থায়ী হওয়ার পর ভিসিগথরা আরিয়ান খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে যা রোমান সাম্রাজ্যের প্রধান খ্রিষ্টান গ্রুপের বিশ্বাসের বিরোধী ছিল। প্রধান গ্রুপটির মতবাদ পরবর্তীতে ক্যাথলিক মতবাদ ও ইস্টার্ন অর্থডক্সি নামে পরিচিত হয়েছিল। ভিসিগথরা ৫৮৮ সাল পর্যন্ত আরিয়ানিজমের প্রতি অনুরাগী ছিল। এবছর রাজা রেকারেড তাদেরকে ক্যাথলিক ধর্মে রূপান্তরিত করেন।

চতুর্থ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ভিসিগথরা তাদের চেয়েও দুধর্ষ এক বর্বর জাতির আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে। এরা হল মধ্য এশিয়া থেকে আগত হুন জাতি। হুনরা পূর্ব ইউরোপের রাশিয়া অঞ্চলে বসবাসরত অস্ট্রগথ ও ভিসিগথদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে। হুনরা ছিল মঙ্গোলীয় মহাজাতির অংশ। গথদের তুলনায় তারা ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী। অস্ট্রগথরা হুনদের সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে অচিরেই আত্মসমর্পণ করে এবং তাদেরকে হুনদের অনুগত ভ্যাসাল হতে হয়। ভ্যাসাল হিসেবে তাদেরকে হুনদের পক্ষে লড়তে হতো।


চিত্র: আদ্রিয়ানোপলের যুদ্ধ

অন্যদিকে, ভিসিগথরা হুনদের আক্রমণে পিছু হটতে থাকে। অবশেষে তারা রোমান সম্রাটের আনুকূল্য লাভ করে। ৩৭৬ সালে ভিসিগথদের দুই নেতার একজন ফ্রিটিগার্ন রোমান সম্রাট ভ্যালেন্স এর কাছে গিয়ে আবদন করেন যে তিনি দানিয়ুব নদীর দক্ষিণে তাঁর লোকদের নিয়ে বসবাস করতে চান। সেখানে তারা হুনদের আক্রমণ থেকে নিরাপদ আশ্রয় পাওয়ার আশা করেছিল। হুনরা প্রশস্থ নদী পার হয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম ছিল না। ভ্যালেন্স অনুমতি প্রদান করেন এবং এমনকি তাদেরকে নদী পার করে নিয়ে আসতেও সাহায্য করেন। এর প্রতিদানে ফ্রিটিগার্ন রোমান সেনাবাহিনীতে তার সৈন্যদের পাঠান।

যাই হোক, এক বছর পর ভিসিগথদের অঞ্চলে একটি দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ে এবং সে সময়য় তারা রোমান কর্তৃপক্ষের নিষ্ঠুর আচরণের শিকার হয়। রোমান সেনা অফিসাররা ভিসিগথদের ওপর অত্যাচার শুরু করে। তারা ভিসিগথদের স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাদেরকে ধরে ধরে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দিতে শুরু করে। ফ্রিটিগার্ন সম্রাট ভ্যালেন্স এর কাছে এসব অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে করুণ আবেদন জানান।

সম্রাট ভ্যালেন্স ফ্রিটিগার্নের সাহায্যের আবেদনে সাঁড়া না দিলে ফ্রিটিগার্ন তাঁর মানুষদের নিয়ে রোমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধ একটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন যা শেষ হয় ৩৭৮ সালের ৯ আগস্ট সংঘঠিত আদ্রিয়ানোপলের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। যুদ্ধে সম্রাট ভ্যালেন্স নিহত হন এবং ফ্রিটিগার্ন বিজয় লাভ করেন। ফ্রিটিগার্ন তার মানুষদের দ্বারা রাজা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এভাবে বলকান অঞ্চলে ভিসিগথদের স্বাধীন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।


চিত্র: আদ্রিয়ানোপলের যুদ্ধে সম্রাট ভ্যালেন্স

সম্রাট ভ্যালেন্স নিহত হলে নতুন সম্রাট হন প্রথম থিওডোসিয়াস। তাঁর সময়ে রোমান সাম্রজ্যের রাজধানী ছিলো বাইজান্টিয়াম। সম্রাট প্রথম থিওডোসিয়াস ৩৭৯ সালে ফ্রিটিগার্নের সাথে সন্ধি করে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেন এবং এই শান্তি ৩৯৫ সালে থিওডোসিয়াসের মৃত্যু অবধি টিকেছিল। সে বছর ভিসিগথদের রাজা হন বিখ্যাত নেতা এলারিক। অন্যদিকে থিওডোসিয়াসের উত্তরাধিকারী হন তাঁর দুই অযোগ্য পুত্র। থিওডোসিয়াসের দুই পুত্রের মধ্যে রোমান সাম্রাজ্য ভাগাভাগি হয়ে যায়। সাম্রাজ্যের পূর্বাংশ অর্থাৎ বাইজেন্টাইন অংশ পান আর্কাডিয়াস আর রোম নগরীকেন্দ্রিক পশ্চিমাংশ পান ফ্লভিয়াস অগাস্টাস হনোরিয়াস।

পরবর্তী ১৫ বছর ধরে মাঝে মাঝে এলারিকের সাথে রোমান সৈন্যবাহিনীর শক্তিশালী জার্মান সেনাপতিদের সংঘর্ষ হতো। এসব জার্মান সেনাপতিরা পূর্ব ও পশ্চিমে রোমান সৈন্যবাহিনী পরিচালনা করতেন। এদের হাতেই ছিল সাম্রাজ্যের প্রকৃত নিরাপত্তা। কিন্তু ৪০৮ সালে পশ্চিম রোমান সম্রাট হনোরিয়াস হঠাৎ তাঁর সেনাবাহিনী থেকে জার্মানদের নিশ্চিন্ন করার হঠকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।


চিত্র: ভিসিগথ নেতা এলারিকের রোম বিজয়

সম্রাটের আদেশে স্টিলিচো হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এবং তাঁর সেনাবাহিনী পশ্চিম রোমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ৩০,০০০ বর্বর সৈন্যকে তাদের পরিবারসহ হত্যা করে। এ সময় এলারিক সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এলারিকের নেতৃত্বে ভিসিগথরা পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরো গ্রিস তছনছ করে দেয় এবং রোমের দিকে অগ্রসর হয়। এলারিক রোমের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার পরও হনোরিয়াস সমঝোতার জন্য কাউকে পাঠাননি। তাই এলারিক ৪১০ সালের ২৪ আগস্ট তারিখে শহরটি দখল করে নেন। এলারিকের বাহিনী রোম নগরী লুন্ঠন করে। পুরো ছয় দিন ধরে লুন্ঠন করে তারা শহরটিকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে।

এর কয়েক বছর পর সম্রাট হনোরিয়াস আধুনিক ফ্রান্সের আকিতাইন এলাকায় ভিসিগথদের জন্য ভূখণ্ড মঞ্জুর করেন এবং এর পরবর্তীতে ভিসিগথরা স্পেনেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে তারা ভ্যান্ডাল এবং অ্যালানদের সাথে স্পেন ভাগ করে নেয় কিন্তু শীঘ্রই তারা তীব্র আক্রমণ শুরু করে এবং ভ্যান্ডালদের জীবন এত কঠিন করে তোলে যে ভ্যান্ডালরা সহজে জয় লাভের উপযোগী অঞ্চল খুঁজে পেতে উত্তর আফ্রিকায় চলে যায়।


চিত্র: এলারিকের নেতৃত্বে ভিসিগথ যোদ্ধারা

জার্মানদের মধ্যে ভিসিগথরাই সর্বপ্রথম রোমান সাম্রাজ্যের বুকে স্বধীন রাজ্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। ভিসিগথ রাজা প্রথম থিওডোরিক ৪৩৬ সালে রোমানদের কাছ থেকে দক্ষিণ গলের কয়েকটি শহর দখল করেন। ৪৩৯ সালে রোমান সেনানায়ক এটিয়াসকে পরাজিত করে তিনি তাঁর সাথে সন্ধি স্থাপন করেন। পরবর্তী রাজা দ্বিতীয় থিওডোরিক লয়ের নদীর তীর পর্যন্ত ভিসিগথ রাজ্যের সীমানা প্রসারিত করেন।

ভিসিগথরা রোমানদের হাত থেকে নিরাপদ হতে পারলেও হুন আক্রমণের বিপদ তাদের পিছু ছাড়েনি। হুনরা তাদের বিখ্যাত নেতা আত্তিলার নেতৃত্বে অগ্রসর হয়ে পূর্ব ইউরোপের দুর্বল বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ থেকে গ্রিসসহ সমগ্র বলকান উপদ্বীপ দখল করে। তারা বাইজেন্টাইন সম্রাটকে নতি স্বীকারে বাধ্য করে। বাইজেন্টাইন সম্রাটের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ আদায় করার পর তাঁরা পশ্চিম রোমান সাম্রাজ্যে ঢুকে পড়ে এবং ধ্বংস ও মৃত্যুর বিভীষিকা নিয়ে তারা ক্রমশ পশ্চিম ইউরোপের ভিসিগথ রাজ্যের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

আত্তিলা বলতেন তাঁর ঘোড়া যেখান দিয়ে যায় সেখানে কিছু জন্মায় না। তাঁর সেনাদল যাত্রাপথের সকল দেশ ধ্বংস করতে করতে পশ্চিম ইউরোপের প্যারিস অঞ্চল পর্যন্ত পৌঁছায়। প্যারিসের কাছাকাছি কেলনসের কাছে পৌঁছালে তাঁর বাহিনী সম্মিলিত রোমান ও ভিসিগথ বাহিনীর কাছে বাধা প্রাপ্ত হয়। ভিসিগথরা তাদের অস্তিত্বের জন্য মরণপণ লড়াইয়ে নামে এবং বিস্ময়করভাবে এ যুদ্ধে হুনরা হেরে যায়।


চিত্র: হুন নেতা আত্তিলা

কেলনসের যুদ্ধ সংঘঠিত হয় ৪৫১ সালে। যদি এ যুদ্ধে হুনরা না হেরে যেতো তাহলে মধ্যযুগের ইউরোপ তাদের হাতেই গড়ে উঠত এবং আজকের ইউরপীয় জাতিগুলো হতো তাদেরই বংশধর। যাই হোক, পরাজিত হুনদের নিয়ে আত্তিলা এবার অগ্রসর হলেন রোমের দিকে। অচিরেই তাঁর বাহিনী অরক্ষিত রোম নগরীর উপকন্ঠে পৌঁছে যায়। আত্তিলাকে প্রতিরোধ করার কোন সামর্থ্য এ নগরীর ছিল না।
এ সময় পোপ প্রথম লিও এক অসমসাহসী কাণ্ড করে রোম নগরীকে বাঁচিয়ে দেন! পোপ এবং তাঁর সঙ্গীরা আত্তিলার তরবারির নিচে জীবন দেওয়ার জন্য নগরীর বাইরে বেরিয়ে আসেন। আত্তিলা এসব সাদা পোশাকধারি নিরীহ ধর্মযাজকদের হত্যা করায় কোন উৎসাহ পেলেন না। তিনি রোম নগরীতেও আর ঢুকলেন না। রোমে প্রবেশ না করেই তিনি ফিরে চলে যান অজানা দেশের পানে। সেই সাথে এ দুধর্ষ জাতিটি ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে হারিয়ে যায়।

হুনরা চলে যাওয়ার পর ভিসিগথ রাজ্য আরও শক্তিশালী ভিত্তি অর্জন করে। ভিসিগথ রাজা দ্বিতীয় থিওডোরিককে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছিলেন তাঁর ভাই ইউরিক। ইউরিক ভিসিগথদের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন। তিনি ভিসিগথদের বিভিন্ন বিবাদমান অংশকে ঐক্যবদ্ধ করেন এবং ৪৭৫ সালে রোমান সরকারের কাছ থেকে তাদের পূর্ণ স্বাধীনতা আদায় করেন। তাঁর সময়ে ভিসিগথরা খুবই শক্তিশালী ভিত্তি অর্জন করে। তিনি স্পেন থেকে রোমান শাসনের সকল চিহ্ন বিলুপ্ত করেন। তিনি এন্টিকা নামক একটি আইনসংহিতা প্রণয়ন করেছিলেন। এটি ছিল সর্বপ্রথম জার্মান আইনের সংকলন।


চিত্র: ভিসিগথ যোদ্ধাদের রোম লুণ্ঠনের দৃশ্য

৫০৭ সালে সংঘটিত ভৌলির যুদ্ধের আগে আইবেরিয়ান উপদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলই ভিসিগথ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। আইবেরিয়ান উপদ্বীপের উত্তরের কিছু অংশ (বাস্কুয়েসের অন্তর্গত), উত্তরপশ্চিমের স্যুয়েভি রাজ্য এবং আকিতাইন ছাড়া আইবেরিয়ান উপদ্বীপের অধিকাংশ অঞ্চলই ভিসিগথদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ৫০৭ সালে ফ্রাংকরা ভিসিগথদের কাছ থেকে আকিতাইন ভূখন্ডের নিয়ন্ত্রণ জিতে নেয় এবং ৫৫৪ সালে বাইজেন্টাইন (পূর্ব রোমান) সম্রাট জাস্টিনিয়ান গ্রানাডা ও আন্দালুসিয়া দখল করেন।

ভিসিগথরা ৫৮৪ সালে স্যুয়েভি রাজ্য জয় করে এবং ৬২৪ সালে বাইজান্টাইনদের কাছে হারানো দক্ষিণাঞ্চল পুনরুদ্ধার করে। তাদের রাজ্য ৭১১ সাল পর্যন্ত টিকেছিল। এবছর দক্ষিণ দিক থেকে আসা উমাইয়া মুসলিমদের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে তাদের রাজা রডেরিক নিহত হন। জেরেজ এর যুদ্ধে ভিসিগথরা সম্পূর্ণ পরাজিত হয়েছিল। এরপর স্পেনের অধিকাংশ অঞ্চলই উমাইয়াদের অধীনে চলে যায়। শুধুমাত্র পিরেনিজ পর্বতের কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া সমগ্র স্পেনে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। উমাইয়ারা ৭১৫ সালে কর্ডোবায় তাদের রাজধানী স্থাপন করে।


চিত্র: স্পেনের ভিসিগথ রাজ্য

পেলাইও নামে একজন ভিসিগথ বীর স্পেনের খ্রিষ্টান অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই শুরু করেন। ৭১৮ সালে তিনি একটি যুদ্ধে উমাইয়াদের পরাজিত করেন এবং উপদ্বীপের উত্তর অংশে অস্টুরিয়াস রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। অন্যান্য ভিসিগথরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কিংবা মুসলিমদের শাসনাধীন থাকতে অনিচ্ছুক থাকায় উত্তরের ফ্রাংক রাজ্যে পালিয়ে যায়। এদের কয়েক প্রজন্ম পরের ভিসিগথরা শার্লামেনের সাম্রাজ্যে বেশ প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল।

লেখক: আসিফ আযহার
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, শাবিপ্রবি
ই-মেইল: [email protected]
ওয়েবসাইট: http://www.asifajhar.wordpress.com
ফেসবুক: Asif Ajhar, যোগাযোগ: 01785 066 880

বি.দ্র: রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটে লেখকের সবগুলো বই পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে লেখকের নামে সার্চ দিলেই যথেষ্ট।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আর কেউ পড়ুক বা না পড়ুক। আমি কিন্তু নিয়মিত পড়ে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.