নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প শুনতে ও বলতে ভালবাসি ।
আবিরের বন্ধু বলতে বস্তির কুকুর গুলো আর খাল পাড়ের মশাগুলোই ছিল।
রামপুরা খাল আর আবিরের সম্পর্ক খুব বেশি পুরোনো নয়।
কিন্তু খালের পাশের মশা আর বস্তির কুকুর গুলোর সাথে তার বন্ধুত্ব দেখলে সেটা মোটেও বোঝার সুযোগ নেই ।
অন্ধকার, ধুম্রো সোলাকা, খালের পঁচা গন্ধ আর আবির, দৃশ্যটা খুব পুরোনো খালের পাশের গলিতে থাকা কুকুর গুলোর ।
তারা বেশ বিরক্ত হয় আবিরের প্রতি।
হয়তো কমদামী সিগারেটের গন্ধ বিরক্ত করে তাদের ।
না না তারা আবার কিভাবে বুঝবে এটা বেনসন নাকি হলিউড। আর প্রতিদিন তো আর ডার্বি খাইও না এমন সব উদ্ভট চিন্তা করতে করতে
হঠাৎ চমকে উঠে আবির সিগারেটের আগুনের ছেকায়।
ছেকা থেকে মনেপরে তার আজ তো টিউসনের টাকা পাওয়ার কথা, টিউসনের ছাত্রটা ব্যাপক বেয়াদব ।
খোঁচা খোঁচা দাড়ি দেখে প্রায়সই প্রশ্ন করে স্যার ছেকা খাইছেন তাই না !
অনেক সময় মনে হয় ঠাডায় থাপ্পড় বসায় দেই, কিন্তু তখনি তার মা চলে আসে । বিরক্তিকর কথা শুরু করে।
বিরক্ত থেকে মনে পরলো কেন যেন ছাত্রের মায়ের উপরেও চরম বিরক্ত আবির । কিন্ত কেন সেটা মনে পড়ছে না ।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে আবারও পদযাত্রা শুরু করে আবির ছাত্রের বাসার দিকে ।
বেশ আনমনা অবস্থা হঠাৎ গাড়ির হর্ণ শুনে মনে পরলো গতদুই মাসের বেতন দেয় নি ছাত্রের মা এখনো । এটাই হয়তো কারণ বিরক্ত হওয়ার !
তাতে কি আজ যদি দেয় পড়ায় আসি । ভাবতে ভাবতে ছাত্রের বাসার গলির কুকুরটা ভু ভূ করে উঠলো ।
দ্বিতীয়বার ভ্রূ কুচকে ভু করেছিল।
এখন তো ডার্বি খাচ্ছি না তাহলে কেন চিল্লাই ?
কিরে সমস্যা কি, বলতে গিয়ে কুকুরের গলার বেল্টটা চোখে পরলো তার । তাই লাইন বদলে নতুন করে বললো কিরে তোরও প্রমোশন হইলো, পার্মানেন্ট জব গ্রেট কনগ্রেচুলেশন ব্রো।
সালার পাবলিকের বস্তির কুকুরকে সিলভারের বেল্ট পরানোর টাকা থাকে কিন্তু টিউসনির বেতন দিতে টাকা থাকে না।
ভাবতে ভাবতেই মনে পরে তার গত সপ্তাহে তো টিউসনটাই ছেড়ে দিয়ে ছিল সে ।
যাক পকেট হাতড়ে ১০ টা টাকা পায় সে । এটা যেন কে দিয়েছিল আর কেন ঠিক মনেও পড়ছে না একদম।
আরও একটা ডার্বি খাবে বলে মনস্থির করলো আবির, মনস্থির করতেই গলির কুকুরগুলোর কথা মনে পড়লো তার। তারাও তো নাস্তা করে নি সন্ধ্যায়।
একটা ডার্বি আর ৬ টাকা দামের একটা রুটি হাতে নিয়ে আবারো হাঁটা শুরু করলো খালপাড়ের দিকে ৷
এমন ভাবেই আবিরের গল্পটা শুরু করে প্রলয় দ্যা, শুনে বেশ আগ্রহ জাগে শিশির ও মুবিদের মনে,- যে কে এই আবির ? কি হয়ে ছিল তার? আর যখন প্রলয় দ্যা’র সাবজেক্ট তখন নিঃসন্দেহে মজার কিছু হবে ।
এমন কয়েকশো সাবজেক্ট আছে প্রলয় দ্যা’র কিন্তু কখনও শুনে বিরক্ত হয় না কেউ, উল্টো ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাকি অংশ শুনতে ।
কিন্তু আজ আর সম্ভব না হয়তো কেন না গাঁজার ওভারডোজ আজ দৃশ্যমান । নিরাস হয়েই রুমে ফেরত গেলো শিশির ও মুবিদ সকালের অপেক্ষায়।
অন্যান্য পর্ব সমূহ
২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: মুলভাব টা চমৎকার।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৮
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার বাংলা বানানের অবস্থা ভয়ংকর। দ্রুত প্রমিত বাংলা বানান শিখুন।