নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়তে, জানতে ও লিখতে ভালবাসি । বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে জানতে ও জানাতে খুব বেশি ভাল লাগে ।

মোঃ আসিফ ইকবাল রুমি

গল্প শুনতে ও বলতে ভালবাসি ।

মোঃ আসিফ ইকবাল রুমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাশা-৪ ( কে এই প্রলয় দ্যা )

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

প্রলয় দা’র মৃত্যুর কারণ এখন অজানা
প্রলয় দ্যা ‘ র মৃত্যুর রহস্যটা বের করতে হলে তার অতীতটা জানা উচিৎ।
দেখতে দেখতে একটা মাস কেটেঁ গেলো।
ফ্ল্যাটে ফিরতে কোন ভাবেই নিজেকে রাজি করাতে পারছে না মুবিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পাঁচ বছর পরও ব্যাচলর ফ্ল্যাটে থাকা মানুষটা খুব কাছের হলেও, তার সম্পর্কে কেউই খুব একটা জানতো না কেউ।
দু- একটা টিউসন করাতো ।
সপ্তাহে সাত দিন গাঁজা খেত রুটিন করে ।
আর দিনের বেশির ভাগ সময় রুমে একা মাছ, পাখি আর গাছগুলোর সাথে গল্প করতো তিনি।

এতটুকু তথ্য যে কেউ দিতে পারতো দাদা সম্পর্কে, কিন্তু তার পরিবার-আত্নীয়-স্বজন সম্পর্কে কেউই জানতো না।


পাঁচ বছর পুরোনো ছাত্রের খবর তো ভার্সিটির কারও কাছেও পাওয়াও সম্ভব না হয়তো-
কিন্তু ক্যাম্পাস ছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায়ও ছিল না।

নতুন সেমিস্টার শুরু সবেমাত্র। প্রলয় দ্যা’ র একটা ছবি নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দিলাম-
আর নিচে লিখে দিলাম দাদা অনেক অসুস্থ পরিচিত কেউ থাকলে যেন জলদি যোগাযোগ করে।
নিচে দুটো নাম্বার দিয়ে দিলাম।

বিপাকটা ঘটলো তখন, যখন প্রথম ফোনটা পেলাম। ফোনকারী ভার্সিটির একজন পিয়ন।
চরম মাত্রার রাগ নিয়ে বলা শুরু করলো,” আপনেরা কি মানুষ?
একটা মরা মানুষ নিয়া মস্কোরা করেন।

আমাগো প্রলয় দ্যা অনেকে ভালা মানুষ আছিলো।
দুই বছর আগে মইরা গেছে এমন একটা মানুষরে লইয়া মসকারী করেন, আপনারা কি মানুষ! “
কথাগুলো শোনার পর একদম স্থির হয়ে গেলাম, কি হচ্ছে আমাদের সাথে?

কে এই প্রলয় দ্যা ? কে মারলো তাকে? আর কে এই ভদ্রলোক যে দাবী করছেন যে, মারা গেছেন প্রলয় দ্যা তাও আরও দুই বছর আগে?

ব্যাপারটা খুব গভীর থেকে গভীর হচ্ছিলো।
দেরি না করে সেই সেই পিয়নের বাসায় আমরা, সফিক ভাই নামে চিনে সবাই তাঁকে।

প্রলয় দ্যা’ র সম্পর্কে কিছুই বলতে নারাজ ছিল শুরুতে সফিক, যদিও কিছুক্ষণ কথা চলার পর বলা শুরু করে।


প্রলয় ভাই আমগো নাট্টোকলার সভাপতি ছিল। বাই অনেক বালা মানুষ আছিলো।
যহনি কোন অনুষ্ঠান ওইতো আমগো লাইগা আগে খানা আর কাপড় আলাদা কইরা রাখতো।
সারাদিন অনুষ্ঠান নিয়া দৌড়া দৌড়ির উপর থাকলেও দিন শেষে আমগো নিয়া একলগে রাইতের খানা খাইতো।
সবারে অনেক সম্মান করতো।

বাকিগুলা তো বিয়াদব ছিল, বাপের বয়সী আমগো নাম ধইরা ডাকতো।

কিন্তু সফিক ভাই প্রলয় দ্যা মারা গেলো কিভাবে?
মরে নাই, মরে নাই, মাইরা ফেলছে ভাইরে!
আহেন আমার লোগে, ঐ যে বড় বাড়িটা দেহেন ঐ বাড়ির বড় মাইয়া।
পত্থমে তো পেমের নাটক করে, তারপর ঐ মাইয়া আর মাইয়ার মা মিল্লা বাই রে মাইরা ফালায়।
কি হয়ে ছিল একটু খুলে বলবেন প্লিজ, সফিক ভাই।

ওহন আমি ভিসি স্যারের বাড়ি যামু আন্নেরা আবির ভাইয়ের লগে কতা কইয়া দেখতে পারেন।
আবির ভাই আর প্রলয় ভাই সারাদিন একলগে ঘুরতো, খুব ভালা বন্ধু আছিলো।
এবার আবিরের সন্ধানে আমরা, কে এই আবির!

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার থেকে তার গ্রামের বাসার একটা ঠিকানা পেয়ে আমরা রওনা দিলাম শ্রীমঙ্গল, সিলেটের উদ্দেশ্য।
পাহাড়ি অপরূপ সুন্দর গ্রামের শুরুতেই আবিরের বাসা।
প্রায় ৭ ঘন্টার যাত্রাপথ অতিক্রম করে আবিরের বাসায় পৌঁছেও যেন প্রাপ্তির সুখটা অধরাই থেকে গেল আমাদের।

আবির গত দুই বছর আগে একটা দূর্ঘটনায় এতটাই বিষাদ গ্রস্ত হয় যে, তাকে কাছের একটা রিহেবিলিটেশন সেন্টারে ভর্তি করাতে হয়।
অনেক চেষ্টার পরও আমরা আবিরের সাথে দেখা করার অনুমতি পেলাম না।
নিরাস হয়ে আবারও ফিরে আসা ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে।

গাড়ির মধ্যেই মুবিদ হুট করে বলে উঠলো আচ্ছা চল কাল ঐ মেয়ের বাসায় যাই।
কোন মেয়ে?

আরে সফিক ভাই যার বাসাটা দেখিয়ে ছিলেন।
কিন্তু কে এই মেয়ে ? নাম কি তার ?
কিছুই জানা ছিল না আমাদের কারও । শুধু ছিলো একটা বাড়ির ঠিকানা ।

অন্যান্য পর্ব সমূহ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.