নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অদ্ভুত আঁধারের অন্তরালে

আসিফ করিম শিমুল

কিছু সময়, কিছু অনুভূতিইচ্ছা হলেও স্মৃতির পাতা থেকেমুছে ফেলা যায় না।

আসিফ করিম শিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

•••চোর আপনাকে হতেই হবে•••

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৫





ছবি দুটি দেখে হয়ত আমির খানের ভক্তদের গায়ে লাগতে পারে। তবে বিশ্বাস করুন আপনাদের প্রিয় তারকাকে হেয় প্রতিপন্ন করা কিংবা আপনাদের মনে আঘাত দেয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। এই ছবি দুটিকে আইকন ধরে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু কথা বলতে চাই।

২০০৯ সালে আমির খান তার 3 idiots ছিনেমায় ইঞ্জিনিয়ারিং এ গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করে দেখালেন নিজের ইচ্ছা, কাজের প্রতি ভালবাসা আর মেধা দিয়ে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব। কথা খুব সত্য। বাংলাদেশেও প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী (কেউ কেউ আমির খানের মত মেধা দিয়ে না পারলেও অন্তত স্যারের পায়ে তেল মাখিয়ে) গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছেন। অথচ এইসব শিক্ষার্থী জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কি। তাদের কর্ম জীবন কীভাবে শুরু হবে (আমিও জানি না)।

এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে। আমির খান ৪ বছর বিরতি নিয়ে করেছেন Dhoom:3 । এই চার বছর বিরতি নেয়ার কারন টা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাখ্যা করছি। বাংলাদেশের একজন শিক্ষার্থী কখনই নিশ্চয়তা দিতে পারে না যে গ্রাজুয়েশন শেষ করার সাথে সাথেই সে চাকরি পাবে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে সে বগলে সার্টিফিকেট আর বায়োডাটা নিয়ে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি অফিসে ঘোরে, পরীক্ষা দেয়, ফেল করে, পরীক্ষা দেয়, পাশ করে, ভাইভাতে গিয়ে মামা খালুর অভাবে চাকরিটা পায় না। এই চার বছর ধরে যারা চাকরি পায়না, এরা একদিকে লজ্জাই বাড়িতে মুখ দেখাতে পারে না, সার্টিফিকেটধারি বলে কাদায় নেমে লাঙ্গল ও চালাতে পারে না, আবার নিজের ব্যার্থতা ও হতাশাকেও মেনে নিতে পারেনা। বাধ্য হয়ে প্রথমে বন্ধুর কাছে টাকা ধার নেয়, শোধ দিতে না পেরে পকেট মারে। বোনের ভ্যানিটি ব্যাগে কিছু থাকলে রেহাই যায় না, মায়ের আঁচল, বাবার পকেট আলমারি সাবধান করা দায় হয়ে পড়ে। সবশেষে হয় নেশাগ্রস্ত, অস্ত্রধারি আর সন্ত্রাসি।

একটু উপরে মামা খালুর কাছে ফিরে যাচ্ছি। ৪ বছর ধরে যারা মেধা দিয়ে চাকরি পাবে এই স্বপ্ন দেখে ব্যার্থ হল, শেষ পর্যন্ত তারাই নিজের বিবেক বিসর্জন দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরিটা পেয়ে গেল। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে চোর প্রমান করা। এখন দেখুন একটা ছেলে সরকারি চাকরিতে মাত্র ১২০০০ টাকা স্যলারির জন্য ৬ লক্ষ টাকা ঘুষ দিল। এখন সরকার বা ঐ সরকারি প্রতিষ্ঠান কীভাবে ঐ ছেলেটির কাছ থেকে উন্নতি আশা করবে? কেননা যে ছেলে তার বাবার ৩ বিঘা জমি বিক্রি করে ঘুষের টাকা জোগাড় করল তার প্রথম লক্ষ্য থাকবে ঐ জমি আবার ফেরত নেয়া। স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডের সোনার নেখলেস বিক্রি করে যে ঘুষ দিল সে চাইবে আগে সেইসব ফেরত পেতে, তাতে প্রতিষ্ঠানের লস হোক বা লাভ হোক সেটা তারা দেখবে না। অর্থাৎ গ্রাজুয়েশন শেষ করে আপনাকে চোর হতেই হবে তা আপনি চান বা না চান। আর এই প্রক্রিয়া যতদিন চলবে হাজারটা দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন করলেও তাতে কোন লাভ হবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

শরীফ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেছেন: সত্য কথা। Link 1 Link2

২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১

আসিফ করিম শিমুল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২

আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: সত্য কথা। এখন সবাই জানে পুলিশে,শিক্ষক, আরও অনেক সরকারি চাকরিতে কত টাকা লাগে?????????????????????কিন্তু সবাই চুপ। কারণ সুযোগ পেলে আমারাই সেটা গ্রহণ করি।।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

আসিফ করিম শিমুল বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

নাহিদ মাহমুদ বলেছেন: রাইট। অতি সত্য বচন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

আসিফ করিম শিমুল বলেছেন: মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.