![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার অন্তিম পরিণতি আপনার কাজ দ্বারাই নির্ধারিত হয়, তাই এমন কিছু করবেন না যার জন্য ভবিষ্যতে পস্তাতে হয়।আত্মঅনুশোচনা একজনকে ভেতর থেকে শেষ করে দেয়। আর দিনশেষে লোকের কাছে নয় নিজের কাছে ভাল থাকাটাই ফ্যাক্ট।
এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা মানুষই জন্মগতভাবে সঙ্গী খোজে ।
কিন্তু সঙ্গী সবাই খোজে পায় না আর পেলেও ধরে রাখতে পারে না ।।
একাকিত্বই তাদের ভাগ্য হয়ে যায় । একাকিত্ব কেউ চায় না , যারা একাকিত্বে ভোগে তারাই জানে একাকিত্বের কি যন্ত্রনা , অথচ যারা সবসময় একা থাকে তারা যে নিজের ইচ্ছাতেই থাকে তা নয় ,পরিস্থিতিটাই এমন যে তারা বাধ্য হয়েই একাকিত্বের মধ্যে এমন কিছু খুজে নেয় যা তাদের মনোকষ্ট নিবারণ করে । এই পদ্ধতি সবসময় সবার কাছে ভাল হয় না , একটি মানুষ একা একা থেকে যেমন মহাপুরুষ হয়ে যেতে পারে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু সমান ই ।।
আর মানুষ জন্মগত ভাবেই আবেগপ্রবন হয়ে থাকে । প্রত্যেকটি মানুষ , তবে সবার আবেগের ধরন প্রাকাশের পদ্ধতি একরকম হয় না । কেউ কেউ আছে যারা খুবই আবেগি , তাই নিজের আবেগকে কন্ট্রোল করার এমন একটি পদ্ধতি বের করে যাতে আবেগ নিয়ন্ত্রনের বদলে আবেগকে নিজের রুক্ষ আচরনের ভেতর লুকিয়ে ফেলে । আবার কেউ কেউ আছে যারা আবেগ কন্ট্রোল করতে পারে না আবার তাই নিজের ভেতরে কোন লুকোছাপা না রেখে সবই প্রকাশ করে ।
সবাই নিজের স্বার্থকে প্রাধান্য দেয় , কিন্তু তার নিজের স্বার্থ অন্য কাউকে আঘাত করছে কি না তা মোটে ও দেখে না , আবার কেউ কেউ দেখেও না দেখার ভান করে ।
নিজের আচরণকে বিচার সবাই করতে পারে না , যেদিন আপনি আপনার আচরণের বিচার করতে শিখবেন সেদিন আপনিই বুঝবেন সমগ্র মানবজাতির প্রতি আপনার আচরণের কতটুকু সত্য আর কতটুকু মিথ্যা ।।
তাই আমি মনে করি সবারই সঠিক আচরণ বিদ্যা শেখা উচিত । সেক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা প্রধান । দুর্ভাগ্য আমাদের আমাদের বেশির ভাগ মা-বাবাই তাদের সন্তানকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ আচরণ শেখাতে ব্যার্থ আর যতটুকু নৈতিক আচরণ শেখানো হয় তার সুস্থ চর্চা হয় না , আস্তে আস্তে স্বার্থের আঘাতে বিলীন হয়ে সবকিছু ।
©somewhere in net ltd.