![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালীর খাবারের শেষ পাতে মিষ্টি থাকবে এটাই সত্য , তা সে যে কোন রকমেরই হোক । আমি নিজে মিষ্টি পছন্দ করি , তবে খেয়ে থাকি খুব কম ।
আর যেহেতু খাবার নিয়ে কাজ করি তাই বিভিন্ন উৎসব-আয়োজনে পুরনো মিষ্টিগুলোর পাশাপাশি নিজস্ব চিন্তাভাবনা দিয়ে নতুন কিছু বানাতে হয় । ব্লগবাসীদের জন্য আজ শেয়ার করলাম নতুন ও পুরনো ছয়টি মিষ্টির রেসিপি ।
ছানার সন্দেশ
উপকরণ :
ছানা ১ কাপ, ঘি ১ টেবিল চামচ ,চিনি ১/২ কাপ , নারকেল কোরা ১/২ কাপ , এলাচগুড়ো ১ /৪ চা চামচ , পানি ১/২ কাপ , পেস্তা ও কিসমিস কুচি সাজানোর জন্য।
প্রণালী : প্যানে পানি ও চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দিন । সিরা কিছুটা ঘন হয়ে এলে তাতে ছানা , নারকেল কোড়া ও এলাচগুড়ো দিয়ে ভালোভাবে মেশাতে থাকুন । প্যান থেকে উঠে আসলে একটি ছড়ানো থালায় ঘি মেখে তাতে মিশ্রণটি ঢেলে ঠান্ডা করুন । এবার পছন্দমতো কেটে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
গাবের পায়েস
উপকরণ:
গাব কুঁচি ২ কাপ , আতপ চাল ৫০ গ্রাম, দুধ ১ লিটার , পেস্তা ও কাজু বাদাম পেস্ট ১/২ কাপ , চিনি ১/২ কাপ , মাওয়া ১/২ কাপ , দারুচিনি ও এলাচ ২ টি করে , বাদাম কুঁচি সামান্য সাজানোর জন্যে ।
প্রণালী:
চাল ১০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রেখে ভালোকরে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন । এবার একটি পাত্রে তরল দুধ দিন । দুধ ফুটে উঠলে চিনি ও চাল দিয়ে ভালো করে নাড়ুন । ১০/১৫ মিনিট সময় পর কিশমিশ ও চেরি বাদে বাকী সব উপকরণ আস্তে আস্তে মেশাতে ও নাড়তে হবে । ভালো ভাবে স্বেদ্ধ হয়ে এলে গাবের কুঁচি দিয়ে নেড়ে কিছুক্ষণ রেখে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে পছন্দমতো পাত্রে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
ব্রকোলি হালুয়া
উপকরণ:
ব্রকোলি ২৫০ গ্রাম , মাখন ৩ টেবিল চামচ , চিনি ১/২ কাপ , গুড়ো দুধ ১/২ কাপ , কনডেন্সড মিল্ক ১/২ কাপ , পেস্তাবাদাম গুড়ো ১ টেবিল চামচ , কাজুবাদাম গুড়ো ১ টেবিল চামচ , খাবার রঙ ( সবুজ ) ১/২ চা চামচ , ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা চামচ ।
প্রণালী:
ব্রকোলি পানিতে ভাপিয়ে পানি ছেঁকে নিন । এবার ব্লেন্ডারে ঘি দিয়ে ব্লেন্ড করুন । প্যানে মাখন দিয়ে ছানা ও কনডেন্সড মিল্ক এক সাথে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। এবার ব্রকোলি পেস্ট ও বাকী সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন । মিশ্রণ প্যান থেকে ছেড়ে এলে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করে পছন্দমতো আকারে গড়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
আমের পেরা
উপকরণ:
পাকা আমের পাল্প ১০০গ্রাম , ঘি ১/২ কাপ , তরল দুধ ১ কাপ , গুড়োদুধ ৩কাপ , কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ , চিনি ২ টেবিল চামচ , এলাচগুড়ো ১ চা চামচ ।
প্রণালী:
একটা প্যানে ঘি গরম করে তরল দুধ ও গুঁড়াদুধ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। এবার একে একে বাকী সব উপকরণ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। নাড়তে নাড়তে যখন প্যানের গা ছেড়ে দেবে মিশ্রণটি তখন বুঝতে পারবেন সন্দেশ হয়ে গেছে। এবার প্যান থেকে নামিয়ে পেরার আকারে গড়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
গাজরের লাড্ডু
উপকরণ :
গাজর ৫০০ গ্রাম , ঘি ১/২ কাপ , চিনি ১ কাপ , কনডেন্সড মিল্ক ১ কাপ , গুঁড়া দুধ ১ কাপ , এলাচগুঁড়া আধা চা-চামচ , পেস্তাকুচি ১ টেবিল-চামচ , ভাজা লাচ্ছা সেমাই ১ কাপ ( কোটিং এর জন্য )।
প্রণালী:
গাজর ধুয়ে ছিলে গ্রেটার দিয়ে মিহি ঝুড়ি করুন। প্যানে ঘি গরম করে ঝুড়ি করা গাজর পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ভাজুন। এবার চুলার আঁচ কমিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কিছুক্ষণ নেড়ে আবার ঢেকে রাখুন।ভাপে গাজর সিদ্ধ হয়ে এলে বাকী সব উপকরণ মিশিয়ে নিন । প্যান থেকে উঠে এলে নামিয়ে কিছুটা ঠাণ্ডা করুন । হাতের তালুতে ঘি মেখে কিছুটা মিশ্রণ নিয়ে লাড্ডুর আকারে তৈরি করে ভাজা লাচ্ছা সেমাইতে গড়িয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
পকেট সন্দেশ
উপকরণ :
ক্রেপ এর জন্য : পালং শাকের রস ১/২ কাপ , বীটের রস ১/২ কাপ ,ডিমের সাদা অংশ এক কাপ , গুড়ো দুধ ৪ টেবিল চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য, মাখন আধা কাপ, সাজানোর জন্য বাদাম ও চেরি কুচি সামান্য।
পুর এর জন্য :
ছানা ১/২ কাপ, আধা ভাঙা বাদাম ২ টেবিল চামচ (কাজু +পেস্তা+কাঠবাদাম), কিসমিস কুচি ১ চা চামচ, কন্ডেন্স মিল্ক ২ টেবিল , চেরি কুচি এক চা চামচ, গুড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ।
প্রণালী:
প্রথমে পুরের সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন। এবার পালং শাক ও বীটের রসের মধ্যে আলাদা ভাবে সমপরিমাণে সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন৷ প্যানে মাখন ব্রাশ করে ১/২ কাপ পরিমাণে পালং শাকের মিশ্রণ দিয়ে ঢেকে নিন। ক্রেপ তৈরি হয়ে এলে মাঝখানে পুর দিয়ে পকেট এর মতো ভাজ করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করুন ৷ একইভাবে বীটের রসের মিশ্রণ দিয়েও তৈরি করুন৷ ঠান্ডা হয়ে এলে সাজিয়ে পরিবেশন করুন ।
২০১৭ সালে ঢাকার রাওুয়া ক্লাবে মিষ্টি প্রতিযোগিতায় "পকেট সন্দেশ" উপস্থাপন করেছিলাম আর সেখানে তৃতীয় স্থান অধিকার করি । পুরস্কার প্রদান করেন পশ্চিমবঙ্গের রন্ধন-বিশেষজ্ঞ শুক্লা মুখার্জী । এটি আমার রান্নাশিল্প জীবনের অন্যতম এক সেরা মুহূর্ত ।
রেসিপি গুলো ২০১৯ সালে ঈদে আমাদের সময় প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো ।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: হুম , খেয়েছি ওটাকে ইলিশ পেটি বলে । বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি মিষ্টি । ইলিশ ও মিষ্টি বাঙালীর ভালোবাসা আর এই দুই মিলে এক হলে সেটা আবেগের পর্যায়ে চলে যায় । আপনাকে ধন্যবাদ ।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার বিদ্যার সাগরে কি জোয়ার এসেছে, ব্লগের ১ম পাতায় আপনার আরেকটি পোষ্ট আছে; ব্রেক করেন।
২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫১
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ সাজেশনের জন্য অনেক ধন্যবাদ । শুভ কামনা ভাইয়া ।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৭
মা.হাসান বলেছেন: ভালো রেসিপি। কয়েকটা ট্রাই করে দেখবো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো । রেসিপি বানিয়ে জানাবেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মিষ্টি খাওয়া হয়না গত২০/২৫ বছর।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: আজকাল স্বাস্থ্যসচেতনতা ও রোগ ব্যাধির জন্য মিষ্টি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো ।
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মিষ্টি ডায়াবেটিস এর জন্য ক্ষতি
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: একদম ঠিক , তবে সামান্য পরিমাণ মিষ্টি খাওয়া আমাদের জন্য দরকারী । ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: নাটোরের ইলিশ মিষ্টি টা খেয়েছেন? একদম ইলিশ মাছের মতো দেখতে।