![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিখ্যাত এই দোকান সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে “ যাহা নাই এই জগতে তাহা মিলিবে পীতাম্বর শাহর দোকানে ”
আপনি হয়তো এখন বলতে পারেন একটা দোকান কিভাবে ট্যুরিষ্ট স্পট হয়,আমি বলি হয় । একটা দোকান যখন ইতিহাসের অংশ এবং ইতিহাসের ধারক হয় তখন সেটা ট্যুরিষ্ট স্পটই হয় ।
একজন মানুষের এতগুলো নাম মনে রাখা সম্ভব নয় যত গুলো পন্য এই দোকানে পাওয়া যায়। পীতাম্বর শাহ’র দোকান মূলতঃ ভেষজ ওষুধের দোকান। যেখানে নাই বলতে কিছু নেই। এমনকি সামান্য সুঁই-সুতা থেকে অর্জুনের ছাল, অশোক, ত্রিফলা (আমলকি-হরিতকী-বহেরা), তিতকুটে চিরতা, সুন্দরবনের মিষ্টি মধু , শতমূল, বাঘের তেল, বাঘের চামড়া, বাঘের হাড়, বাঘের দুধ, জিনসেং, ওলট কম্বল, উস্তে, একাঙ্গি, লতাকুস্তুরি, সমুদ্র ফেনা, হরিণের পিত্ত, লোহজারণ, স্বর্ণমাক্ষী, তামাজারণ, অভ্রুজারণ, মুক্তা, দস্তা, নিমতৈল, পদ্মমধু, বিষমধু, ষষ্ঠীমধু, পুষ্টিগোটা, বকুলগোটা, বিজবন্দ, বিজকারক, বনজৈন, বহেড়া, মারজান, হযরত পাথর, মুক্তাদানা, মুক্তাজারণ, তুলসী, বিভিন্ন ধরনের সিন্দুর, চন্দনবীজ, কোরাসিয়া, মুরা মাংসি, অশোক ছাল, অর্জুন, অশ্বগন্ধ, দেশি-বিদেশি অজৈইন, আফিম, ইত্যাদি।মিলবে দূর্লভ ঔষধি গাছের ছাল বাকল। রয়েছে বিয়ে,পূজা,পার্বণ, ঈদ-কোরবানির সরঞ্জামও।
বলা হয়, গুরুজির নির্দেশে ১৮০ বছর আগে পীতাম্বর শাহ ঢাকা থেকে পায়ে হেঁটে ১৫-২০ দিন পর চট্টগ্রামে পৌঁছেন। চট্টগ্রামে এসে দোকানটি কিনে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। পরে তাদের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হলো ১৮০ বছর ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তারা একই পদ্ধতিতে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। বর্তমানে দোকানটি পরিচালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির গোড়া পত্তনকারী পীতাম্বর শাহ’র চতুর্থ প্রজন্ম।
লোকে বলে সময় পাল্টেছে , পাল্টেছে সবকিছু। কিন্তু পীতাম্বর শাহ’র দোকানের কোনো কিছুই পাল্টেনি। গুরু পীতাম্বর শাহ যেভাবে ব্যবসা শিখিয়ে গেছেন তাদের বংশধররাও এখনো সেভাবেই ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
দিন বদলের ভীড়ে ব্যতিক্রম নগরীর ১৮০ বছর পুরানো পীতাম্বর শাহ’র দোকান। যেখানে এখনো টিকে আছে হালখাতার ঐতিহ্য। নববর্ষে এখনো এই দোকানে পালন করা হয় হালখাতা উৎসব। বলা যায় বাঙালী ঐতিহ্যের বিলুপ্ত প্রায় অনুষঙ্গ এই হালখাতার শেষ আশ্রয় বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অবস্থিত এই পীতাম্বর শাহ’র দোকান।
এ কথা সত্য, হালখাতা হার মেনেছে আধুনিক সফটওয়্যারের কাছে। কিন্তু যে খাতার সাথে বাঙালী ব্যবসায়ীদের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক, যে খাতা পরিণত হয়েছিলে বাংলা নববর্ষের অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতিতে সেই হালখাতার আবেদন কি ভোলা যায়! আর তাইতো পীতাম্বর শাহ’র দোকান এখনও নিভৃতে লালন করে চলেছে হালখাতার ঐতিহ্য।
তথ্যসূত্র- অপু নজরুল ভাই
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে ।
২| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে
৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট ।সেই ছোটকাল হতেই পিতাম্বরশাহ দোকানের নাম শুনেছি।
আমাদের এলাকায় একজন ভেষজ চিকিৎসক ছিলেন । তাকে হেকিম বলা হতো।আমার
দাদা দাদি ছিলেন তাঁর ভক্ত ।কত পদের ঔষধ যে তিনি দাদা দাদীকে দিতেন তা দেখে
আমরা অবাক হয়ে যেতাম । আপনি পোষ্টে যে সমস্ত ভেষজপণ্যের নাম উল্লেখ করেছেন
তার অনেক গুলিই নাকি তিনি দাদা দাদীর ঔষুধে মিশাতেন বলে হেকিমের কাছে শুনেছি ।
তাঁর কাছে জানতে চা্তইম তিনি এতসব দুষ্প্রাপ্য বস্তু কোথায় পান । তিনি বলতেন পিতাম্বর
শাহ দোকনে । মনে হয় ঢাকায় পিতাম্বরশা'র দোকানের কোন একটি শাখা থাকতে পারে ।
অজানা অনেক তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: অনেক কিছুই জানলাম আপনার থেকে । প্রিয়তে রাখাআর জন্য ধন্যবাদ ।
৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ১৮০ বছর!!!!
বংশ পরম্পরায় ঐতিহ্র ধরে রাখার কঠিন কাজটি করতে পেরেছে!
সত্যি অতুলনীয়।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০০
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন ।আপনাকে ধন্যবাদ ।
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই আপনাকে ।
৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
শহরের কোন এলাকা এটি?
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: পোস্টে উল্লেখ করা আছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তার মানে দোকানটি ১৮৪০ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত। ভাবাই যায় না। এত প্রাচীনকালের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অন্য কোথাও আছে বলে আমার মনে হয় না। কী বলেন?
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৪
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: আমিও শুনিনি আসলে। আপনাকে ধন্যবাদ ।
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৯
জোবাইর বলেছেন: পিতাম্বরশাহ দোকান সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা নেটে অনেক জায়গায় দেখলাম, হুবুহু একরকম! কপি-পেস্ট করে পোস্ট দিলে রেফারেন্স উল্লেখ করা ভালো। পিতাম্বরশাহ পরিবার পরে আরো অনেক ধরনের ব্যবসা করেছিলেন। তবে তাদের মূল উত্থান যে দোকান দিয়ে সেটি এখনো প্রায় আগর মতোই ধরে রেখেছেন।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: পিতাম্বরশাহ দোকান সম্পর্কের থেকে বেশী জানা যায়নি তাই সব জায়গায় একই লেখা পাবেন। আমি আমার পোস্ট প্রকাশ করার সময়ই পোস্টের নিচে রেফারেন্স নাম উল্লেখ করে দিয়েছি । তারা তাদের অতীত ভুলে যাননি তাই মূল উত্থান যে দোকান দিয়ে সেটি এখনো প্রায় আগর মতোই ধরে রেখেছেন এটা সত্য। আপনাকে ধন্যবাদ ।
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বাংলাদেশের বড় বড় নৌবন্দরে মাড়োয়ারীদের এমন কিছু দোকান ছিল।তাদের দোকান ছিল বিরাট বড়।ঠাকুর গাঁও থেকে এক মাড়োয়ারী ঢাকায় আসত তার দোকানের মাল কিনতে।আমার সাথে তার বেশ জানাশুনা ছিল। যখনই আসত ৫০/৬০ লাখ টাকার মাল কিনতো,থাকতো নবাব পুরের ১০০/১৫০ টাকার হোটেল।চাল চলনে মনে হত ফকিরের কাছাাকাচি,কিন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ।
এই ঘটনা২০/২৫ বছরের আগের।আমি ব্যবসা ছেড়েছি ২০ বছর আগে,তার পর আর খবর রাখি নাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: বাহ আপনার তো তাহলে অনেক অভিজ্ঞতা । একদিন সেই গল্প শোনাবেন আমাদের সেই আশায় রইলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
১০| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর।
ধন্যবাদ বিষয়টি জানানোর জন্য।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
১১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
১২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নতুন তথ্য জানলান ধন্যবাদ
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে ।
১৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।
এরকম অজানা বিষয় নিয়ে বেশি বেশি পোস্ট দিবেন। ভালো লাগে।
২৭ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২১
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: আমি চেষ্টা করবো ভাইয়া । আমারো ভালোলাগে এরকমের অজানা বিষয় গুলোকে তুলে ধরতে । আপনার মন্তব্য আমাকে উৎসাহ দিলো । আপনাকে স্বাগতম ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে