নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ এস এম শিশির

স্বকৃত

এ এস এম শিশির › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন থাইল্যান্ড: সুদূর অতীতের স্বর্ণযুগ

২৭ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪১



সুখোথাই যুগ: স্বাধীনতার সূচনা

থাইল্যান্ডের প্রাচীন ইতিহাসের সূচনা হয় সুখোথাই যুগের সাথে। ১৩ শতকে সুখোথাই শহর কেন্দ্র করে একটি স্বাধীন রাজ্য গড়ে ওঠে। এই সময়কালে থাই জাতি গঠিত হয় এবং থাই ভাষা ও লিপির উন্নয়ন ঘটে। সুখোথাই যুগে থাই সাম্রাজ্য প্রসার লাভ করে এবং শক্তিশালী হয়। এই যুগে থাই সংস্কৃতি, স্থাপত্য, এবং শিল্পকলা সমৃদ্ধি লাভ করে।

অয়ুত্থায়া যুগ: স্বর্ণযুগের শিখর

সুখোথাই যুগের পর অয়ুত্থায়া যুগ আসে। ১৪ শতকে অয়ুত্থায়া শহর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ historical সাইটগুলোর একটি হয়ে ওঠে। এই যুগে থাই সাম্রাজ্য তার স্বর্ণযুগে পৌঁছে যায়। অয়ুত্থায়া রাজ্য বাণিজ্য, কৃষি, এবং সামরিক শক্তিতে উন্নতি লাভ করে। এই যুগে থাই সংস্কৃতি, স্থাপত্য, এবং শিল্পকলা আরও সমৃদ্ধ হয়। অয়ুত্থায়া যুগে থাইল্যান্ড দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি শক্তিশালী রাজ্য হিসেবে আবির্ভূত হয়।

অয়ুত্থায়া যুগের পতন

১৮ শতকে বার্মার আক্রমণে অয়ুত্থায়া রাজ্য ধ্বংস হয়। এই পতনের ফলে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে একটি অন্ধকার যুগের সূচনা হয়। তবে, থাই জাতি পরাজয় স্বীকার করে না এবং বার্মাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে।

থনবুরি যুগ: পুনর্জাগরণ

বার্মার আক্রমণের পর থাইল্যান্ডের নেতৃত্বে আসেন জেনেরাল থাকসিন। তিনি বার্মাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং থাই জাতিকে একত্রিত করেন। থাকসিন থনবুরি শহর প্রতিষ্ঠা করেন এবং থনবুরি যুগের সূচনা করেন। এই যুগ খুবই সংক্ষিপ্ত ছিল, কিন্তু থাকসিনের নেতৃত্বে থাই জাতি পুনর্জাগরণ লাভ করে।

রাত্তানাকোসিন যুগ: ব্যাংককের উত্থান

থনবুরি যুগের পর রাত্তানাকোসিন যুগ আসে। রামা প্রথম রাজা ব্যাংকক শহর প্রতিষ্ঠা করেন এবং এটিকে থাইল্যান্ডের রাজধানী ঘোষণা করেন। ব্যাংকক শহর দ্রুত বিকশিত হয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হয়ে ওঠে। রাত্তানাকোসিন যুগে থাইল্যান্ডের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে।

থাইল্যান্ডের প্রাচীন সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য

থাইল্যান্ডের প্রাচীন সাম্রাজ্যের ঐতিহ্য আজও থাই জাতির জীবনে প্রভাব বিস্তার করে। প্রাচীন স্থাপত্য, শিল্পকলা, এবং সংস্কৃতি থাইল্যান্ডের জাতীয় পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। থাইল্যান্ডের প্রাচীন ইতিহাসের গৌরবময় অতীত আজও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।

প্রাচীন থাইল্যান্ডের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান

অয়ুত্থায়া historical সাইট: এই সাইটটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট হিসেবে স্বীকৃত। এখানে প্রাচীন মন্দির, স্তূপ, এবং প্রাসাদ রয়েছে।
সুখোথাই historical সাইট: এই সাইটটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট হিসেবে স্বীকৃত। এখানে প্রাচীন মন্দির, স্তূপ, এবং শহরের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
ব্যাংককের প্রাসাদ এবং মন্দির: ব্যাংকক শহরে রয়েছে বহু প্রাচীন প্রাসাদ এবং মন্দির, যেমন গ্র্যান্ড প্যালেস এবং ওয়াট ফোহ কেয়াম।
থাইল্যান্ডের প্রাচীন ইতিহাস একটি সমৃদ্ধ এবং জটিল ইতিহাস। এই ইতিহাস থাই জাতির গৌরবময় অতীতের সাক্ষী এবং আজও থাই সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.