![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে মুসলিমরা নাস্তিকদের সাথে আলোচনা করতে এসে বিভিন্ন টেকনিকের আশ্রায় নেয়।তারা কুরআনের আয়াতের নতুন নতুন ব্যাখ্যা নাজিল করে ইসলামের ইজ্জত রক্ষায় ব্যস্ত আছে।এই কাজ নতুন না!মরিস বুকাইলি,হারুণ ইয়াহিয়া থেকে শুরু করে জাকির নায়েক সহ সকল শিক্ষিত মুসলিম উপলবদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে যে ইসলাম রক্ষা করতে হলে কুরআন,হাদিসের নতুন নতুন ব্যাখ্যা নাজিল করতেই হবে।তাদের এই চতুর টেকনিকের সাথে আর একটি নতুন চতুরতা যুক্ত হয়েছে।এখন নাস্তিক্যবাদীর সাথে আলোচনা করতে আসা মুসলিমরা নিজকে এক্স এথিস্ট বলে প্রচার করে যেন নবীন ধার্মিকরা যারা নাস্তিক্যবাদ সম্পর্কে আগ্রহী তারা নিজের ধর্ম ত্যাগ করতে না পারে।আসলে মিথ্যা ও প্রতারণা যাদের হাড়ের সাথে মিশে আছে তারা কি কখনো সত্য কথা বলতে পারবে?
আজ পর্যন্ত ফেইজবুক-ইন্টারনেটে যে কয়জন এক্স এথেইস্ট পাইছি তারা কেউ নাস্তিকতা সম্পর্কে কিছু জানে না।শুধু নিজের নাম কুড়ানোর হীনউদ্দেশ্য নিয়ে তারা নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করে।আপনি জানেন মুসলিমরা এমন অন্ধ জাতি যারা একজন ৮০ বছর বয়স্ক বৃদ্ধ ইসলাম গ্রহণ করলে তাকভীর দিতে দিতে নিজের কন্ঠস্বর নষ্ট করে দেয় আর সেই ইসলাম গ্রহণের পিকচার পৈতৃকসূত্রে ফেইসবুকের মাধ্যমে ছড়াতে থাকে।মুসলিমদের এই হুজুগে প্রবণতা আর দশজন মুসলিমের মত নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করা মুসলিমও জানে।সেই কারণে এসব মুসলিমরা নাস্তিকদের সাথে আলোচনার সময় নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করে আর আসা করে হাজার হাজার অন্ধ মুমিন তার লেখা পোস্ট সেয়ার করবে।সকল মুসলিম তাকে বাহবা দিবে।এই রকম সস্তা বাহবা অনেকে পেয়েছে যারা নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করে মুমিন সোসাইটিতে প্রবেশ করেছে।তারা অল্প বয়সী + অল্পশিক্ষিত হলেও হাজার হাজার মুসলিমরা তার(এক্স এথিস্ট দাবি করা মিথ্যাবাদীর) ইসলামিক লেকচার শুনে যায় কোন প্রশ্ন ও বিচার ছাড়াই।মুসলিমদের মধ্যে বিচার বুদ্ধির ক্ষমতা কম থাকার কারণ হলো তারা ছোট বেলা থেকে ইসলামিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছে যেখানে প্রশ্ন করে কোন কিছুর অস্তিত্ব থাকা বা না থাকার বিষয়ে সিধান্ত নেওয়া সম্ভব না।বুদ্ধির বিকাশ হওয়ার আগেই শিশুর মগজে প্রবেশ করানো হয় কুরআনে কোন ভুল নেই,মুহাম্মাদ সর্বশ্রেষ্ঠ মানব আর ইসলাম হলোর শান্তির ধর্ম।এমন অসামাজিক পরিবেশে বড় হওয়া মুসলিমরা বাছবিচার করতে পারে না কে মিথ্যাবাদী আর ধর্মের কোন বিষয়টা ভুল!
নিজকে এক্স এথিস্ট পরিচয় দেওয়া এমন এক মুমিনের সাথে আলাপ হচ্ছিল।তার সাথে আলোচনার মূল বিষয় ছিল নাস্তিকরা নিজের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ মরার পর দান করেগেল এবং তা যদি কোন মুমিন নিজের দেহে লাগিয়ে নামাজ-কালাম করে তাহলে তারা(নাস্তিক) এমন কাজ মেনে নিবে কি?
এর উত্তরে আমি বলি:- আমরা উদারনীতিবাদের অনুসরণ করি।মানুষকে সহযোগিতা করার সময় ধর্ম দিয়ে বিচার করি না।আপনারা ধর্মের গন্ডিতে অবদ্ধ।তাই কেউ নাস্তিকের অঙ্গ লাগিয়ে তাকভীরের সহিত সালাত আদায় করলে আমাদের বিন্দুমাত্র সমস্যা নেই।
আমার রিপ্লে দেওয় একজন মুমিন(Tanzim Hasan ) অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে বসে যে
“মোহাম্মাদ ফারহান খান আপনারা উদার হলে। ধর্ম নিয়ে এত টানাটানি করেন কেন সেটা তো আস্তিকের কাজ”
আমি উত্তরে বলি:আমরা মানুষকে ধর্ম ত্যাগ করে উদারনীতিবাদের অনুসারী ও যুক্তিবাদী করে তোলার জন্য ধর্মের সমালোচনা করি।একজন ধার্মিক কখনো উদারনীতিবাদের অনুসারী হতে পারে না।আস্তিকের কাজ হলো ধর্ম প্রচার করে মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরী করা কিন্তু আমাদের কাজ হলো ধর্মের মত লেভেল মুছে দিয়ে সকল মানুষকে এক বন্ধনে অবদ্ধ করা।
এরপর আসল কাহিনী শুরু আগমণ ঘটে ছোকরা বয়সী এক মুমিনের(Syed Mishkatul Haque Siam) যিনি নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি কর।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে যারা নিজকে নাস্তিক দাবি করবে তাদের সহজে ইসলামে ফেরত যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।এখন ইন্টারনেটের যুগে যে কেউ চাইলে সহজে ইসলামের ভুলগুলো ইন্টারনেটে তুলে ধরতে পারে।নিজের মনে জাগা প্রশ্নগুলো ইন্টারনেটে তুলে ধরতে গিয়ে যে জ্ঞান চর্চা হবে তার কারণে একজনের কাছে ইসলামের ভুলগুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে।এমন এথেইস্ট বীরের মত ব্লগ লেখাসহ ফেইজবুকে ইসলাম নিয়ে ও নাস্তিকতা নিয়ে বিতর্ক করবে।ইসলামের ভুল জানার পরে যদি কোন নাস্তিক ইসলামে ভুলবশত ফিরে আসে তাহলে তার নাস্তিকতার কিছু প্রমাণ অবশ্যই থাকবে।যেমন:তার লেখা ব্লগ,ফেইজবুক পোস্ট আর বিখ্যাত নাস্তিক হলে থাকবে স্বহস্তে লেখা বই।তাই নিজের পরিচয় যারা এক্স এথিস্ট দেয় তাদের কাছে কয়েকটি দাবি করা স্বাভাবিক:
১)নাস্তিক থাকার সময় সে যে ব্লগে লিখত তার লিংক।যদি কেউ ব্লগে থাকা লেখা ইমানের তাগিদে মুছে ফেলেন তাহলে তার প্রমাণ করা উচিত সে (এক্স এথিস্ট )যে নামে ব্লগ লিখত সেই নাম বলা এবং তাকে চেনে এমন পরিচিত সহকর্মী ব্লগার এনে প্রমাণ দেওয়া যে সে এক্স এথিস্ট ।
২)নাস্তিক থাকার কারণে একজন মানুষ ব্যক্তিগত ইচ্ছায় নাস্তিকতা নিয়ে অনেক পড়াশোনা করবে।আর এর ফলাফল দেখা যাবে বিতর্কের সময়।এক্স এথিস্ট স্বাভাবিক ভাবে নাস্তিকদের প্রশ্ন করার সময় কঠিন প্রশ্ন করবে।
৩)সে কেন নাস্তিকতা ত্যাগ করে আস্তিক হয়ে জান্নাত লাভ করতে চায় তা পরিষ্কার করে লিখিত বা ভিডিও করে মানুষের কাছে তুলে ধরে জনতাকে আসু নাস্তিকতা বিষয়ে সতর্ক করা।
উপরে সামান্য তিনটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যা আজ পর্যন্ত নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করা মুমিনরা পূর্ণ করতে পারে নি।তারা শুধু দাবি করেই ক্ষান্ত যে সে এক্স এথিস্ট ছিল।উপরের তিনটি পয়েন্ট ক্লিয়ার করার তো দূরের কথা তারা যখন আমার/আমাদের সাথে বিতর্ক করতে আসে তখন এমন সব প্রশ্ন করে যা প্রমাণ করে সে(এক্স এথিস্ট পরিচয় ধারী) সবে মাত্র আস্তিকতা ও নাস্তিকতা বিষয়ক বিতর্কের সাথে যুক্ত হয়েছে।আসলে নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করা নব্য মুমিন নাস্তিকতা ও ধর্ম সম্পর্কে তেমন জ্ঞান রাখে না।নাস্তিকদের যুক্তি তর্কের কাছে নিজকে আসহায় মনে করা নাব্য মুমিন ভাই অন্য অন্ধ মুমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই নিজকে এক্স এথিস্ট দাবি করে।
©somewhere in net ltd.