নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গৃহত্যাগী

গৃহে থেকেও আমি যেন গৃহত্যাগী

গৃহত্যাগী

আমি আমার মত,আমি আমার মত চলতে ও বলতে পছন্দ করি, আমি আমার তত্ত্বে বিশ্বাসী, আমি আমার উপর বিশ্বাসী। সমাজের অব্যবস্থা আমাকে প্রতিনিয়ত পিড়া দেয়। পরিবর্তন দেখতে চাই এই পচে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থার। তাই পরিবর্তনের বাঁশি ওয়ালা চে,কাস্ত্রো,মাওসেতুং,চারু মজুমদার ও সিরাজ শিকদার থেকে শুরু করে আজকের শেভেজ, সবাই কে শ্রদ্ধা করি। আমি তাদের তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং সেই সাথে এও জানি যে ধনতন্ত্রের এই যুগে অর্থ লোভী শেয়াল গুলো সমাজতন্ত্রকে কখনো প্রতিষ্ঠিত হতে দিবে না। তার পরও একটি আশা, আবার হয়ত কোন চে আসবে। বিপ্লবের বাঁশি বাজাবে। আমরা চে’র সৈনিকেরা প্রস্তুত আছি সেই বাঁশি শোনার জন্য। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ বিভাগ আমাকে পোড়ায়। এই সিদ্ধান্তের কারণেই আমাদের সোনার বাংলা আজও খাঁটি সোনা হয়ে উঠতে পারে নি। আজও আমি অবিভক্ত বাংলার স্বপ্ন দেখি।, পূর্ব আর পশ্চিম জার্মানির মত পূর্ব বঙ্গ আর পশ্চিম বঙ্গ আবার একদিন সংযুক্ত বাংলা গঠন করবে। বাংলা আবার সবুজে সবুজময় হয়ে উঠবে। নবান্নে, বৈশাখে, হেমন্তের আগমনে অথবা চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসবে মেতে উঠবে অবিভক্ত বাংলার অসাম্প্রদায়িক মানুষেরা। সেদিন আমাদের দেশ হবে সত্যিকারের সোনার বাংলা......... এবার নিজের কথা বলি- আমি পড়াশোনা করি আর এর ফাঁকে মাঝে মাঝে লেখালেখি। বেশির ভাগ লেখাই মূলত সমাজ, দেশ, রাজনীতি ও অর্থনৈনিতি নিয়ে। মাঝে মাঝে অবশ্য গল্প কবিতা লিখতেও চেষ্টা করি। বই পড়তে আর কবিতা শুনতে খুব পছন্দ করি। মাঝে মাঝে হিমু হয়ে শত মানুষের মাঝে থেকেও একা হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, কখনো কষ্টে দেবদাস। কখনো আবার সেই আমিই সুদীপ্ত, কল্যাণ দের মত সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তনের যুদ্ধে নামতে চাই। এই সব নিয়েই আমার জীবন।

গৃহত্যাগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফ্রিকার প্রেমের কবিতা

৩১ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:৪১

আফ্রিকার প্রেমের কবিতা

নির্মলেন্দু গুণ



যে বয়সে পুরুষ ভালোবাসে নারীকে, সে বয়সে তুমি

ভালোবেসেছিলে তোমার মাতৃভূমি, দক্ষিন আফ্রিকাকে।

যে বয়সে পুরুষ প্রার্থনা করে প্রেয়সীর বরমাল্য,

সে বয়সে তোমার কন্ঠ রুদ্ধ হয়েছে ফাঁসির রজ্জুতে

যে বয়সে পুরুষের গ্রীবা আকাঙ্খা করে

রমনীয় কোমাল বাহুর ব্যগ্র-মুগ্ধ আলিঙ্গন;

সে বয়সে তোমাকে আলিঙ্গন করেছে

মৃত্যুর হিমশীতল বাহু।



তোমার কলমনিঃসৃত প্রতিটি পঙ্ক্তির জন্য

যখন তোমার প্রাপ্য ছিল প্রশংসার হীরকচুম্বন,

তখন তোমার প্রাপ্য হয়েছে মৃত্যুহীরক বিষ।



তোমার কবিতা আমরা একটিও পড়িনি আগে,

কিন্তু যেদিন ওরা তোমাকে রাতের অন্ধকারে

ফাঁসিতে ঝোলালো-

তার পরদিন সারা পৃথিবীর ভোরের কাগজে

ছাপা হলো তোমার জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতা।

আমরা জানলাম, কী গভীরভাবেই না তুমি

ভালোবেসেছিলে তোমার প্রিয়তম মাতৃভূমিকে।

আমরা জানলাম,কালো আফ্রিকার

শ্বেত-শত্রুদের বিরুদ্ধে কী ঘৃণাই না ছিল

তোমার বুক জুড়ে, শোণিতে, হৃদয়ে।



তুমি কবি, বেঞ্জামিন মোলয়েস,তুমি মৃত্যু দিয়ে

কবিতাকে বাঁচিয়ে দিয়েছো তার মৃত্যুদশা থেকে।

বেঞ্জামিন মোলয়েস, তুমি এখন সারা-বিশ্বের কবি,

তোমার মা এখন পৃথিবীর তাবৎ কবিদের জননী।

তোমার জন্মভূমি,দক্ষিন আফ্রিকা এখন পৃথিবীর

তাবৎ কবিদের শৃংখলিত মাতৃভূমি।



কারাগারের ফটকে নেলসন ম্যান্ডেলার পত্নী যখন

তোমার শোকাতুরা মাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন,

তখন,মোলয়েস,তখন তোমার মায়ের পুত্রশোকদগ্ধ

বুকের উদ্দেশে পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ট কবিতাগুলি

ছুটে গিয়েছিল; এবং মাথা নত করে ফিরে এসেছিল

লজ্জায়, তোমার সাহসের যোগ্য হয়ে উঠবে বলে।



আমার কবিতাগুলি তোমার উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে

আজ সারাদিন মাথা নত করে নীরবতা পালন করছে।

মধ্যরাতেও আমাকে কলম হাতে জাগিয়ে রেখেছো তুমি।

বেঞ্জামিন মোলয়েস,তুমি একটুও ভেবো না,তোমার অপূর্ণ

স্বপ্নসমূহ বুকে নিয়ে আমরা জেগে আছি এশিয়ায়-;

তুমি আফ্রিকার মাটিতে ঘুমাও।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.