নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Helpful

Good Minded

আমি ভালোমানুষ

Helpful

আমি ভালোমানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিম্বাবুয়ে দলের সাথে খেললেন দুই আম্পায়ারও

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫৬

হলুদ আর লাল কার্ড থাকায় ফুটবল মাঠে মাঝেমধ্যে লড়াইটা অসম হয়ে যায়। কিন্তু ক্রিকেট খেলতে এসেও যদি ১১ জন মিলে ১৩ জনের বিপক্ষে খেলতে হয়, তাহলে?

তাহলে যে কী হয়, টেলিভিশনের কল্যাণে সেটা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় টেস্টের সব দর্শকেরই জানা। ১১ খেলোয়াড়ের সঙ্গে জিম্বাবুয়ের হয়ে ‘খেললেন’ নিউজিল্যান্ডের আম্পায়ার টনি হিল আর ইংল্যান্ডের ইয়ান গোল্ডও। রবিউল ইসলামের পর পর দ্বিতীয় টেস্টে ৫ উইকেট এবং প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানের লিড নিয়েও তাই দ্বিতীয় ইনিংসে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান। তামিম-আশরাফুলকে ও রকম বাজে আউট না দিলে স্কোরবোর্ডের এই চেহারা অন্য রকম হতেই পারত।

টনি হিল ও বিলি বাউডেনের মতো অভিজ্ঞ আম্পায়ার থাকার পরও ভুল-ভাল সিদ্ধান্ত প্রথম টেস্টেও অনেক হয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে জহুরুলের আউট এবং দুই ইনিংসেই মুশফিকের আউট ছিল বিতর্কিত। কোচ শেন জার্গেনসেন তো এটা নিয়ে অভিযোগও করেছেন ম্যাচ রেফারির কাছে। তাতে কোনো কাজ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। দ্বিতীয় টেস্টে আরও বাজে সব সিদ্ধান্ত দিয়ে আম্পায়াররাই যেন চাপে ফেলে দিলেন বাংলাদেশকে! এবার উইকেটের দুই প্রান্তের বিচারকদের অভিজ্ঞতাও আগের ম্যাচের তুলনায় কম। আম্পায়ার হিসেবে নিউজিল্যান্ডের হিল ৩৮তম টেস্টটি পরিচালনা করছেন, কিন্তু বাউডেনের জায়গায় আসা ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গোল্ডের এটা ৩৪তম টেস্ট।

আম্পায়াররা শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষেই বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা নয়। রবিউল ইসলামের বলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান শিঙ্গি মাসাকাদজার কট বিহাইন্ড নিয়েও সন্দেহ আছে। কিন্তু সমস্যা হলো, ভুল সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাবটা বেশি বইতে হচ্ছে বাংলাদেশকেই। মাসাকাদজা লেজের দিকের ব্যাটসম্যান। তিনি উইকেটে আসার আগেই ৮ উইকেট পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের। তাঁর সঙ্গে নিশ্চয়ই তামিম ইকবাল-মোহাম্মদ আশরাফুলের তুলনা চলে না।

বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মাসাকাদজার একটা বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠে জমা পড়ে উইকেটকিপারের গ্লাভসে। বোলার-ফিল্ডারদের জোরালো আপিলে আঙুল তুলে দিলেন হিল। অথচ টেলিভিশন রিপ্লে পরিষ্কার দেখিয়েছে বল তামিমের ব্যাট বা হাতের এমন কোনো জায়গায় ছুঁয়ে যায়নি, যেখানে লাগলে আউট দেওয়া যেতে পারে। তামিম অসন্তোষ প্রকাশ করলেন, মাঠ ছাড়লেন মাথা নাড়তে নাড়তে। এ জন্য তাঁকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানাও গুনতে হচ্ছে। কিন্তু তাতে স্কোরবোর্ডের কী আসে-যায়! মাত্র ৭ রানে পড়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম উইকেট। মাঝে জহুরুলের আউট নিয়ে সন্দেহ না থাকলেও দলের ১৮ রানের সময় বাংলাদেশের ইনিংসে আবার ‘আঘাত’ আনেন আরেক আম্পায়ার গোল্ড। বোলার জার্ভিসের এলবিডব্লুর আবেদন অতটা জোরালো না হলেও আঙুল তুলে দিলেন। হতভম্ব আশরাফুলও মাঠ ছাড়লেন বারবার পেছন ফিরে। টিভি রিপ্লে এবারও জানাল, জার্ভিসের ইনসুইঙ্গার চলে যাচ্ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে।

হারারের উইকেটে ব্যাটিং করা যখন অনেকটাই সহজ হয়ে উঠেছে, তখনই এ রকম একটার পর একটা দুর্ভাগ্য কাঁপিয়ে দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সেই কাঁপাকাঁপি যখন প্রায় থামিয়েই ফেলেছেন, তখনই আবার আঘাত। না, এবার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে অসংযমী এক ড্রাইভ করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড সাকিব। দিনের খেলা শেষ হওয়ার তখন মাত্র ৪ ওভার বাকি। সাকিবের ওই আউটটার কারণেই শুরুর বিপর্যয় সামলে ওঠার তৃপ্তি পুরোপুরি মিলল না দিন শেষে।

অথচ প্রথম ইনিংসের মারমুখী ব্যাটিংটাকে খোলসবন্দী করে টেস্টের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার বেশ সংযত ব্যাটিংই করছিলেন এই ইনিংসে। হঠাৎ অধৈর্য হয়ে স্লিপে ক্যাচ দেওয়ার আগে উইকেটে পড়ে থাকার ইচ্ছাটা বোঝা যাচ্ছিল মমিনুলের ব্যাটিংয়েও। তবে সাকিব ধৈর্যের পরীক্ষায় পাস করে গেলেন অনেকটা সময়। মমিনুলের সঙ্গে ৪৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি, এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৮৪ রানের জুটিতেও অন্য সাকিবকেই দেখল সবাই। টেস্টে নিজের ১৩তম ফিফটিটি করেছেন ৯৫ বলে, বাউন্ডারি মাত্র তিনটি। এর মধ্যে অবশ্য ব্যক্তিগত ৪৫ ও ৪৮ রানের সময় জার্ভিস আর হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে পয়েন্টে দুবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন সিবান্দা-টেলরের সৌজন্যে। পর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি হয়ে গেছে মুশফিকেরও। টেস্টে নিজের ১১তম হাফ সেঞ্চুরি করে দিন শেষে ৫০ রানেই অপরাজিত তিনি নাসিরের সঙ্গে।

এর আগে হারারের সকালের সব আলো টেনে নিয়েছিলেন রবিউল ইসলাম। আগের দিনের ২ উইকেটের সঙ্গে আরও ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম কোনো পেসার হিসেবে নিলেন পর পর দুই টেস্টে ৫ উইকেট। তবে দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান ওয়ালার-চিগুম্বুরা এবং পরে মুতুম্বামি ভালোই ভুগিয়েছের বোলারদের। বিশেষ করে চিগুম্বুরার ৮৬ রানই লাঞ্চের পর আরও ৪০ মিনিট টিকিয়ে রেখেছে জিম্বাবুয়ের ইনিংস। তাঁর স্টাম্প উপড়ে ফেলার পর রবিউলের উদ্যাপনটাও হলো তাই দেখার মতো। উইকেটের মাঝখানে গিয়ে তীব্র দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলেন চিগুম্বুরা না সরা পর্যন্ত।

টেস্ট সিরিজটা বাংলাদেশ ড্র-ই করুক বা হারুক, জিম্বাবুয়েতে এখন পর্যন্ত সেরা প্রাপ্তি বোধ হয় রবিউলই।



সুত্রঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: বাংলাদেশের উচিত রিভিউ সিস্টেম ছাড়া ক্রিকেট না খেলা। ইন্ডিয়া সাউথ আফ্রিকা আগে মাঝে মাঝে অন্যায়ের শিকার হত। এখন তারা রিভিউ সিস্টেম ছাড়া ক্রিকেট খেলে না বললেই চলে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

আমি ভালোমানুষ বলেছেন: ১০০% খাঁটি কথা, সব জায়গাতেই আমরা ভুল ডিসিশনের শিকার হই X((

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:১০

পাখা বলেছেন: বাংলাদেশের কাবাডি খেলার রেফারীর মত আম্পায়ার গুলারে পিটানো দরকার।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

আমি ভালোমানুষ বলেছেন: খুব খুশি হইতাম তামিম যাওয়ার সময় আম্পিয়ারের পাছায় ব্যাড দিয়ে যদি একটা বাড়ি মারতো। X(

৩| ১৩ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

টি এম মাজাহর বলেছেন: ইয়ান গোল্ড আবারও পারফরম্যান্স দেখাইলেন বিশ্বকাপে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.