![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নাস্তিকতা আর ধর্মের প্রতি বিদ্বেষী মনোভাব দু'টো এক না।
ধর্মের প্রতি অবিশ্বাসী মানুষ ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিকতা ধারণ করে। তারা যুক্তি দিয়ে, নিজের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে স্রষ্টা বলতে কিছু নেই। কিন্তু তারা এমন কিছু বলেনা বা করেনা যা দ্বারা কারো মনে আঘাত আসে বা সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
স্টিফেন হকিংস বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী হিসেবে তাকে অবহিত করা হয়। তিনি একজন নাস্তিক। কিন্তু তার এই নাস্তিকতা সমাজের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেনা।
ধর্ম বিদ্বেষীরাও নাস্তিক। এরা স্রষ্টার প্রতি অবিশ্বাসের সাথে সাথে ধর্মের বিরোদ্ধেও কথা বলে। বিরোধিতা থাকা ভাল। কারণ বিরোধিতা থাকলেই সত্য মিথ্যার যাচাই হয়। কিন্তু এই বিরোধিতা যদি হয় অযৌক্তিক, অপ্রাসঙ্গিক? সেটা অবশ্যই বর্জনীয়। বর্তমান সময়ে যত ধর্ম বিদ্বেষী আছে তাদের প্রায় সবাই ইসলামের উপর কটাক্ষ করে কথা বলে। নবী মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কটাক্ষ করে কথা বলে।
ধর্ম আপনার ভাল না লাগতেই পারে।। আপনি ধর্মহীন হয়ে থাকেন, কারো কোন সমস্যা নেই। এটা আপনার স্বাধীনতা, আপনার অধিকার। অন্যদিকে যারা ধর্মকে মানে, ধর্মের প্রতি যাদের বিশ্বাস আছে তাদেরও অধিকার আছে ধর্মকে স্বাধীনভাবে পালন করার। আপনি কেন তাদের স্বাধীনতা, তাদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করবেন। এটা কি উচিত?
আপনি বাকস্বাধীনতার কথা বলেন। এটাই কি আপনার বাকস্বাধীনতা। এমন বাকস্বাধীনতার কি আদৌ দরকার আছে যে বাকস্বাধীনতা মানুষের মনে আঘাত করে, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
সারাবিশ্ব যেখানে জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে যাচ্ছে আমরা সেখানে পরে আছি ধর্ম নিয়ে। যে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় সেই বাংলাদেশে সমস্যার কি শেষ আছে? আসুন না আমরা জাতিতে জাতিতে বিভক্তি সৃষ্টি না করে একতার বন্ধন তৈরি করি। আজকে যদি সারাবিশ্বের মানুষ ধর্মহীন হয়ে যায় অথবা একই ধর্মের অন্তর্ভুক্ত হয়েও যায় তারপরও মানুষে মানুষে মতপার্থক্য থাকবে। তাই এই মতপার্থক্যের কথা ভুলে গিয়ে সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ করুন। ধর্মের বিরোদ্ধে লেখার সময়টা দেশের সমস্যা চিহ্নিত করার এবং সেই সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করুন।
©somewhere in net ltd.