![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন মুসলমান। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার ধর্ম ও আমার দেশকে ভালবাসি। ভালবাসি ধর্মমত নির্বিশেষে আমার দেশের সকল মানুষকে।আমি সৎ মানুষ ভালবাসি। নিজে সৎ হতে চাই।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন
আবুল চাচা ১৯৬৫ সালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে চট্টগ্রামে সিপাহী হিসেব কর্মরত ছিলেন। তার র্যাংক নম্বর: ৩৯৩৫৫৩৫।
তিনি ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি ৯ জুলাই ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং চাকুরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি মেজর জলিল এর অধীনে ৯ নম্বর সেক্টরে ঝালকাঠি ও কাউখালির মাঝখানে কুতুবপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, সরূপকাঠি, আরতার পাড়া ভুইয়া বাগন, মোড়েলগঞ্জ, সুন্দরবন এ যুদ্ধ করেছেন।
আবুল হোসেন চাচা যুদ্ধ শেষে ১৯৭২ সালের ২রা জানুয়ারি অস্ত্র সমর্পন করেন। ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২, তাকেে বরিশাল, প্রতাবপুর থেকে রিলিজ দেয়া হয়। যুদ্ধ শেষে রেডিওর ঘোষণা শুনে তিনি পূর্বের কর্মস্থল সরূপকাঠিতে যোগদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধ কালীন তার কমান্ডার ছিলেন সুবেদার আব্দুল হামিদ। তার কাছ থেকে তিনি কমান্ডার সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানির কোন প্রত্যয়ন পাননি। তাই ৩০ মার্চ, ১৯৮৫ সালে এর জন্য বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলে আবেদন করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকির খান চৌধুরীর কাছ থেকে এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রত্যয়পত্র প্রাপ্ত হন। যার সূত্র নং- মুুক্তি/সুপাঃ/ ঝালকাঠি/৫৪২০/৮৫। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঝালকাঠির থানা কমান্ডের প্রত্যয়ন প্রাপ্ত হন।
২০০৫ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে থানা ও জেলা পর্যায়ে তার নাম তালিকাভুক্ত ছিল। যার ক্রমিক নং- ৪৯। যা বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা)- তে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সামরিক সনদের জন্যও আবদেন করেন, যার নং- ১৪০৫। এই মুক্তিযোদ্ধা ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গেজেট তালিকায় নাম অর্ন্তভূক্তিকরণের জন্য আবেদন করেন। এসময় বাবার হয়ে তার সন্তানরা মন্ত্রণালয়ে প্রচুর যোগাযোগ করে। এখন পর্যন্ত তাকে কোন স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। অথচ তার সহ মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেয়ে ভাতা পাচ্ছেন। ভাতা পাচ্ছেন তার এমন তিনজন সহমুক্তিযোদ্ধা তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়ন করেছেন।
তিনি যে দেশ মাতৃকার ডাকে সারা দিয়ে চাকুরী ফেলে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন, এটা তার এলাকা পিরোজপুরের প্রতিটি নাগরিক জানে। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। অথচ তার সহ যোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধার সরকারী স্বিকৃতি পেলেও তিনি পাননি। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল থেকে শুরু করে সরকারী সচিবালয় আর মন্ত্রনালয়ে ধরণা দিচ্ছেন এখনো।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের আকুল আবেদন
বর্তমানে তিনি অসুস্থ। হাঁটতে পারেনা না ঠিক করে, নানা রোগে আক্রান্ত। তার সুচিকিৎসা দরকার। আজ যদি তার স্বীকৃতিটুকু থাকতো তিনি সরকারী ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার সুযোগ পেতেন। সন্তানদের উপর নির্ভর করতে হতো না। যদিও সন্তানরা তার বাবার দেখাশুনা করে, তথাপি তার ব্যয়ভার কিছুটা যদি তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে পেতেন সন্তানদের উপর চাপ কিছুটা লাঘব হত।
তার একটাই আফসোস, দেশ রক্ষার্থে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি যেভাব মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, দেশকে মুক্ত করার জন্য বুক পেতে দিয়েছিলেন বুলেটের সামনে। আজ সরকার তাকে মূল্যায়ন করলো না, তাকে উপেক্ষা করলো। কেন? যেখানে তার সহযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করা হলো তাকে কেন করলো না? কি তার অপরাধ? এসব এখন ভাবেন একাত্তরের অকুতোভয় মুক্তিযো্দ্ধা আবুল হোসেন।
তিনি বর্তমানে আমাদের সাতাইশ ঈদগাহ রোড টংগী- গাজীপুর এ নিজ সন্তানদের সাথে বসবাস করেন। আমার সাথে তার সম্পর্ক খুব নিবির। আমাকে তিনি স্নেহ করেন তাই তার সুখ-দুঃখ আমার সাথে শেয়ার করেন। তার এই আফসোস আমাকে ভীষণভাবে ব্যথিত করেছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, তাকে আজ স্বাধীনতার এত বছর পরও দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে স্বীকৃতির জন্য! আর যুদ্ধাপরাধীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লালিত হচ্ছে! এই লজ্জা রাখি কোথায়?
আমি গণরাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দৃষ্টি আকর্ষণ করছি গণপ্রাজতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। এই মানুষটিকে তার যোগ্য সম্মানটুকু দিয়ে তার শেষ জীবনটাকে আনন্দ ও প্রশান্তিময় করে তুলুন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৬
আতা স্বপন বলেছেন: আপনারাও আওয়াজ তুলুন। ক্রাইড ফর ট্রুথ এন্ড জাস্টিজ।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৪৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এরকম মুক্তিযোদ্ধো হাজার হাজার। একটা নিরপেক্ষভাবে তালিকা করে এসব ব্যপার মীমাংসা করা যায়। আমাদের দেশে এক এক সরকারের সময় এক এক লিস্ট বের হয়। এই লিস্ট নিয়েও ব্যবসা হয়। কী লজ্জা!...
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭
আতা স্বপন বলেছেন: লজ্জা শুধু আমরাই পাচ্ছি। যারা পাবার তারা যে কেন পাচ্ছে না?
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনার কাছে যদি ওসমানীর সার্টিফিকেট ছিলো, আর কিসের দরকার? উনার নাম তো মুক্তিযোদ্ধাদের লিষ্টে থাকার কথা; যদি ভুলে বাদ পড়ে সেটা কেন যোগ করছে না মন্ত্রনালয়? মন্ত্রনালয়ের ইডিয়টরা বেতন পাচ্ছে এসব মানুষের কাজ করার জন্য; মন্ত্রনালয়ে একবার আমি গিয়েছিলাম; কথার সুরে, মনে হয়েছিল, সেখানে জামাতের কিছু লোক কাজ করছে, এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশলে হেনস্তা করছে; আর যারা সেক্রেটারী মেক্রেটারী হয়েছে, তাদের বেশীর ভাগই এমন সব পরিবার থেকে এসেছে, যারা পাকিস্তান ভেংগে যাক চাহেনি।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১২
আতা স্বপন বলেছেন: একজন রিয়েল মুক্তিযোদ্ধা আজ অসহায়। তার শেষ জীবনটা একটু যদি ভাবনা হিন করা যেত কত ভাল হত। আজ চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন তিনি। এই লজ্জা রাখি কোথায়?
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৩
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আজকের দিনটিতে একজন মুক্তিযোদ্ধার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আপনিও শরিক।।