![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাবছেন চিরকুটের যাদুরশহর গানটা শুনে inspired হয়ে লিখছি কি না । হ্যাঁ গানটা রিলিজ হওইয়ার পর অনেক বারশুনছি । রুম লাগায়ে ভলিয়ম বাড়ায়ে শুনছি, চিল্লাইছি । কিন্তু নুরুল আলম আতিকের ‘যাদুরশহর’ সিরিয়ালের টাইটেল সং টা কী ‘ আমার শহর এবং আমার জীবন, ইমোশন ’ কে তুলে আনতেপারে ? লেখাটার শেষেই হয়ত এটা বুঝে যাবেন
সেই কলেজ থেকেই রাত যতই হোকনা কেন যখনই ইচ্ছা করত তখনই বের হয়ে যাইতাম ... একটা বয়সের পর থেকে আম্মাও কিছুবলত না...( তার ছেলের উপর তার ব্যাপক আস্থা জন্মায়ে গেছিল...) যেখানে ইচ্ছাসেখানে চলে যাইতাম... এই নিয়ন আলোর ঢাকা আমার কাছে নেশা নেশা লাগত... ক্যামন যেভাল লাগত বুঝাইতে পারব না... কখনও একা কখনও বা বন্ধুদের সাথে... যদি বন্ধুদের সাথেবের হইতাম তাহলে আবুজরের এর বাসায় বলত সে আমাদের বাসায়... আমি বলতাম আমি আবুজর এর বাসায়... শোভন বলত কোন না কোন বাসায়... কিংবা কখনও কিছুই বলতাম না... সকাল হইত কখনও ফুলার রোড একিংবা ধানমন্ডী লেক এ কিংবা চিলেকোঠায় ( Officer’s ক্লাব এর সামনে ) ... পরীবাগের ওভারব্রিজের উঠেগান বানানো ... গান গান গাওয়া... হাটতে হাটতে কোথায় যেন হারিয়ে যাওয়া ... রাত ৩টার ফার্মগেট (কিচ্ছু নাই) পিনিক ভায়া পুরাই পিনিক... তখন আমাদের কারো কাছে একটা 2.0 mp এরও কোন ক্যামেরাছিল না... শেষের দিকে যদিও একটা ২ মেগা পিকজেল এর ক্যামেরা পাওয়া গেছিল... সেটাদিয়ে অল্প কিছু ছবি তোলা আছে ...
আর যদি একা বের হইতাম । সাথে থাকত হয়ত ২০-৩০ টাকা আর অর্ণবের গান সহ আমার ফোন । বেশিরভাগ সময় হাটতাম পরীবাগের রাস্তাটায় । বৃহস্পতিবার কলেজের দিনে আমি পাঞ্জাবী পড়েযাইতাম । না না ডেটিং করার জন্য না । ঐদিন আমি আয়োজন করে হাটতে বের হইতাম । প্রশ্নহচ্ছে কেন ? উত্তর হচ্ছে গান গাওয়ার জন্য,গান শোনার জন্য, ‘আমার আমি’র মাঝে হারায়েযাওয়ার জন্য । পড়ীবাগের রাস্তায় হাটতে হাটতে কতবার এমন হইছে যে ‘ হারিয়ে গিয়েছিএইত জরুরি খবর... ’ গান গাইতে থাকতাম আর চোখের কোণায় এক ফোটা পানি এসে জড় হইছে ।আর সাথে সাথেই গানটা চেঞ্জ করে গাইতাম ‘রাস্তায় ঘুরি ফিরি সস্তায়, এক কাপ চা ...’এবং নিয়ে নিতাম এক কাপ চা ।
হাটতে হাটতে কখনো চলেযাইতাম মিরপুর , কখনো বা শুধু পান্থপথ মোড় পর্যন্ত , কখনো বা মোহাম্মাদপুর । কিংবাআট নম্বর ব্রীজ , ঢাকা Art Center , দ্রীক চিনতাম না তখনো । শিল্পকলাকে মনে হইত ‘ঐটার মধ্যে ভুতথাকে’। আর যাত্রা শুরু হইত সেই শাহজাহানপুর থেকে
বিকেলের দিকে চলে যাইতাম আগারগাঁও এর বাণিজ্য মেলার মাঠটাতে । সারা বছর খালি থাকেমাঠটা । বিকেলে ঐ জায়গার বিশাল আকাশটার সাথে ঐখানে বসে এক কাপ চা খাইলে মনটা ভরেযাইত আর স্বপ্ন দেখাইত ।
KUET আসার আগে মানেরশেষের দিকের সময়টায় সবচেয়ে পেইন দিছি সাকিবকে আসলে আন্টীকে । রাত একটা নাই দুইটানাই তার বাসায় যায়া আমি হাজির । তারপর মামুনের বিরানি খাইতে চাংখারপুল ছুট । আরমোহাম্মাদপুরের মুস্তাকিমের চাপ খাইতে যাইয়া কয়বার যে ফেরত আসছি। (খাইছিও অবশ্যঅনেক বার)
আমার এই Buddy টার সাথে যে কত্তজায়গায় কত্ত বার ছুট দিছি । । তোর এই Birthdayটা আমার মনে ছিল । Surprise দেয়ার plan ছিল । কিন্তু কিআর করা । এটা তো আমি ! আর হল না J
শোভনের আম্মা তো ভাবতই যেআমি মনে হয় হিরোইন খাওয়া টাওয়া ধরছি । না
সিগারেট খাওয়ার অভিষেকই ই সেদিন হইল আর হিরোইন গাজা ফেন্সি টা তো অনেক দুরের পথ ।আমার নেশা একটাই ছিল । রাতের ঢাকা । রাতের ঢাকা । রাতের ঢাকা ।আহ........................
ভোরের রমনা, সকালের ধানমন্ডী লেক , দুপুরের T.S.C., বিকালের আগারগাও, খিলগাঁও বিশ্বরোডের রাস্তা , সন্ধ্যার বেইলী রোড , চিলেকোঠা , রাত তিনটারফার্মগেট । আহ ...............
হ্যাঁ জানি কালো ধোঁয়ার শহর , ঘামের শহর , ছলনার শহর , ধোঁকার শহর , Time Waste এর শহর , বাক্সের শহর , স্বার্থপরের শহর , ‘যেযারে যখন পারে বাশ দেয়ার’ শহর , অভাবের শহর , কষ্টের শহর , নষ্টের শহর কিন্তু............................................................
...... এ আমার প্রাণের শহর । কালো ধোঁয়ার শহর এ ঢাকাটাকেই আমি অনেক ভালবাসি । কারণ‘ বন্ধন , হে বন্ধন ... বন্ধন , হে বন্ধন ’
“ ব্যস্ত শহরে ঠাস বুনোটের ভিড়ে আজও কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে ” ।
নাহ ‘যাদুর শহর’ শহর গান টার মধ্যে কী যেন নাই । আসলে অনেক কিছুই নাই । অনেকেরজন্য হয়ত অনেক কিছু কিন্তু এই গান আমার ‘ আমার শহর এবং আমার ইমোশন ’ কে তুলে আনতেপারে নাই , এই একটা গান পারে না । এইটা আতিক ভাইয়ের ‘যাদুর শহর’ সিরিয়ালের টাইটেল সং হিসেবেই ভাল।
©somewhere in net ltd.