নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I work in the dark to serve light

কোথাও কেউ নেই

কোথাও কেউ নেই › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে জ্ঞান চর্চার গুরুত্ব

০৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আল্লাহ ইসলাম ধর্মে, শিক্ষাদীক্ষা, এবং জ্ঞানের উন্নতিকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। রাসুল (সাঃ) উপর সর্বপ্রথম আল কুরআনের যে আয়াত সমুহ নাযিল হয়েছে তা হলঃ
১) তুমি পড়ো তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন, --
২) সৃষ্টি করেছেন মানুষকে এক জমাট রক্তপিন্ড থেকে
৩) পড়ো! আর তোমার প্রভু মহাসম্মানিত –
৪) যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে,
৫) শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতোই না।
যদিও ঐ সময় আরব উপদ্বীপে লেখার উপকরন এবং লেখার দক্ষতা উভয়ই বিরল ছিল তবুও আল্লাহ কুরআনের আয়াত সমুহে পড়া এবং লিখন পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছেন।
এই দক্ষতা এতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশজন মুসলমানকে পড়তে ও লিখতে শেখার পরিবর্তে বদর যুদ্ধের সময় কয়েকজন বন্দিকে তাদের স্বাধীনতা অর্জনের অনুমতি দিয়েছিলেন। কুরআনের আয়াত এবং হাদিসের বানি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে, ইসলাম ধর্মে শিক্ষা দীক্ষা ও জ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
কুরআনে জ্ঞান চর্চার গুরুত্বঃ
যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। [39:10]
তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। [58:12]
হাদীসে জ্ঞান চর্চার গুরুত্বঃ
ক্বায়স বিন হাযিম (রহ.) বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস‘ঊদ (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেবল দু’টি বিষয়ে ইর্ষা করা বৈধ; (১) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ সম্পদ দিয়েছেন, অতঃপর তাকে বৈধ পন্থায় অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতা দিয়েছেন; (২) সে ব্যক্তির উপর, যাকে আল্লাহ্ তা‘আলা প্রজ্ঞা দান করেছেন, অতঃপর সে তার মাধ্যমে বিচার ফায়সালা করে ও তা অন্যকে শিক্ষা দেয়।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
(বুখারী ১৪০৯,৭১৪১,৭৩১৬; মুসলিম ৬/৪৭ হাঃ ৮১৬, আহমাদ ৩৪৫১)
https://www.hadithbd.com/show.php?pageNum_RsHadith=1&BookID=12&SectionID=200

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ নবী(স: )'কে নবুয়ত দেয়ার পর, অক্ষর জ্ঞান কেন দেননি? উনকে যদি লিখা ও পড়ার জ্ঞান দেয়া হতো, কেমন হতো?

২| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৪৪

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: @চাঁদগাজী; হুদাইবিয়ার সন্ধির কথা শুনেছেন নিশ্চই। হুদাইবিয়ার সন্ধির বিষয়ে পড়ালেখা করুন। এক দুইটা জায়গায় এক দুইলাইন না, একটু ভালো করে পুরা ঘটনা জানুন, তাহলেই আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। :)

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ঋণাত্মক শূণ্য ,

হ্যাঁ, হুদাইবিয়ার সন্ধির কথা পড়লে আমি আইনস্টাইন হয়ে যাবো; তখন সব বুঝতে পারবো; আপনি কয়টা আইনষ্টাইনের সমান, মানে কতবার হুদাইবিয়ার সন্ধি পড়েছেন? এমন এমন কিছু বলেন, যেটা নিজেও বুঝেন না

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইকরা। মানে পড়ো।
জ্ঞান চর্চার পরিবেশ আমাদের দেশে নেই। তাই মানুষ গুলো দিন দিন দুষ্ট হচ্ছে।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:২১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: @চাঁদগাজী; আপনি আইনস্টাইন হয়ে যাবেন এমনটা বলি নাই। বলেছি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। ইসলাম সম্পর্কে না জেনে কথা বলা অনেক সহজ। অনেক প্রশ্ন করা যায়। কিন্তু জানলে তখন বোঝা যায় যে প্রশ্নটা অবান্তর।

৬| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কোরান হাদিসে যা আছে তা খুবই অষ্পষ্ট।
ইসলামের ইতিহাসে যুদ্ধশিক্ষা বাদে কোন বিজ্ঞানচর্চা বা শিক্ষাঅর্জনের নিদর্শন দেখা যায় না।
রসুল (স) আমলে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এমনকি এর পর খেলাফতের স্বর্নযুগেও কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি।
যে কারনে হেকিম কবিরাজও তৈরি হয়নি। রসুল (স) নিজেই সামান্য অসুখে বিনা চিকিৎসায় অকালে মারা যান।

সংগত কারনেই খাটি ইসলামপন্থি চরমপন্থিরা (সালাফিষ্ট-ওহাবিষ্টরা ও আলকায়দা বালকায়দা বোকো হারামজাদারা) যে কোন শিক্ষাগ্রহণ বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে হারাম মনে করে। এমনকি মাদ্রাসা শিক্ষাও।

৭| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০২

আলোর পথে বিডি বলেছেন:
‘‘ আমি আত্মসম্পর্ণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ পথ নির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করলাম। (সূরা আন-নাহল: ৮৯)

‘‘মানুষ তো অতিমাত্রায় অকৃতজ্ঞ।’’ [সূরা আল-হাজ্ব: ৬৬।]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.