![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বিশ্বাসি, তবে যে বিশ্বাস একটা জাতিকে ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে ভিবক্ত করে সে বিশ্বাস আমি করি না। ধর্ম প্রয়োজন তাদের জন্য যারা বিবেক কে স্বাধীন পথে পরিচালিত করতে পারেনি।
প্রতি দিন অফিসে যাওয়ার সময় কিছু না কিছু ফেলে রেখে যাই (মানিব্যাগ, মোবাইল, কলম ইত্যাদি), বাসা থেকে বের হবার পর মনে পড়লে আবার রুমে গিয়ে নিয়ে আসি। এটাই আমার নিয়মিত অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। কিন্তু আজকে বাসা থেকে বের হয়ে দেখি সব নিয়া আসছি, এমন কি আকাশে মেঘ দেখে ছাতাটা পর্যন্ত আনতে ভুলিনি, কি আজব ব্যাপার!! এটা তো হবার কথা নয়। এসব ভাবতে ভাবতে বাসে উঠলাম এবং ভাগ্য দেবতার সহায়তায় দাড়ানোর জন্য একটু স্থানও পেলাম। বাসে উঠে অতি সৌভাগ্যবান দের (যারা বসার জন্য আসন পেয়েছে) উপর কড়া নজর রাখতে লাগলাম কে উঠার জন্য উসখুশ করছে তার পাশে গিয়ে দাড়াব। যাই হোক একজনকে দেখলাম ব্যাগ হাতে নিয়ে সামনের সিট ধরে বসে আছে, তার পশে গিয়ে এমন ভাবে দাড়ালাম যাতে এই সিটের পাশে আর কেও দাড়াতে না পারে । কিছক্ষন পরে দেখি ঐ লোক আমার কোমরের চোখ বড় করে তাকিয়ে আছে, আমি তার দৃষ্টি অনুসরন করে কোমরে হাত দিয়ে দেখি ফরমাল শার্ট প্যন্ট পড়ে ইন করে আসছি কিন্তু বেল্ট পড়ি নাই। এটাই তো হবার কথা ছিল ১০০ % ঠিক হয়ে আমি বাসা থেকে বের হয়েছি এমন কখনো হয়নি। আর এমন ঘটনা এবারই যে প্রথম তাও নয়, তাই খুব একটা ঘাবড়ালাম না। এতক্ষন ব্যাপার টা কিছুই ছিল না কিন্তু এখন মনে হচ্ছে বাসের সবাই দেখতেছে আমি শার্ট প্যান্ট পলিশ করা জুতা পড়ে ইন করে বের হয়েছি বেল্ট ছারা। যাইহোক ভোগান্তির শেষ এখানেই নয়। মনে মনে ঠিক করে ফেললাম উত্তরা নেমে আগে একটা বেল্ট কিনব তারপর অফিসে ঢুকব। কিন্তু আমার কপাল আর সৃষ্টিকর্তার সদিচ্ছা কখনো এক সাথে চলেনাই, উত্তরার সব মার্কেট বুধবারে বন্ধথাকে। এমন ভোগান্তি কিন্তু আমার এবারই শেষ নয় ভবিষৎ আরো হবে কারন অতিতে অনেক বার হয়েছে।
২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২
অর্ক মুক্তমনা বলেছেন: আমার এই ভুলোমনা স্বভাবটি সবাই উপভোগ করলেও ব্যাপারটি ভয়ানক। মঝে মাঝে অনেক সিরিয়াস কিছুও করতে ভুলে যাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
লীলা চক্রব্ত্তী বলেছেন: এরকম ভুলোভালা মানুষও কিন্তু মন্দ নয়। সব কিছুই যদি একদম ঠিকঠাক চলে তাহলে যে বৈচিত্রর বড় অভাব হয়ে পড়ে।