নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এটাই আমি,এখানেই আমি। যে ছেলেটা নির্লিপ্ত হাসি দিয়ে জীবন দেখে। শুকনো খড়ের মাঝে জীবন না খুজে,দ্বীধাহীন,স্বপ্নহীন,রাস্তায় হাঁটে ধুলো উড়িয়ে। সেটাই আমি,আমার মধ্যে আমি স্বতন্ত্র জীবন যাপন করে থাকি -অভ্র নীল

অভ্র নীল ১

প্রতিবাদ অবিরাম

অভ্র নীল ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রক্তাক্ত সিদ্দিক ও ৮ম শ্রেনী পাস ঘাতকের গল্প

২১ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

কি?? শিরোনাম দেখে বুঝতে পারছেন না তাইতো??
কিভাবেই বুঝবেন বলেন???
আমাদের দেশি মিডিয়া তো অতটা ফলাও করে প্রচার করেনি যে নামটা বলার সাথে সাথেই চিনে ফেলবেন!!
বাস্তব গল্পটা আমিই বলছি.....

সিদ্দিক..... পুরো নাম জানা নেই.. বাবা নেই ছেলেটার।বাড়িতে বৃদ্ধা মা। ঢাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিতুমীর কলেজে অনার্স এ ভর্তি হয়েছিলো হাজারো স্বপ্ন নিয়ে।চলতে থাকে এভাবেই ২টি বছর।আর সিদ্দিকও ভাবতে থাকে কখন সে পড়াশুনা শেষ করে ভালো একটা চাকুরী নিয়ে মায়ের কাছে গিয়ে বলবে - মাগো তোমার আজ থেকে আর কোন কষ্ট থাকবেনা মা।তোমার ছেলে ভালো চাকুরী পেয়েছে।
মা ও খুশি হয়ে বেহেশতি হাসি দিয়ে ছেলেকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিবে।

কিন্তু না!!!!!! হলোনা!!!! কিচ্ছু হলোনা!!!
তার স্বপ্নের মাঝে বাধা হয়ে দাড়ালো অনেক বড় দেয়াল.

জাতীয় বিশ্বিদ্যালয় যখন সেশনজট নিরসনে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ঠিক সেই মুহুর্তে ঢাবি গড়পরতা ভাবে কোন কারিকুলাম না বানিয়ে তিতুমির সহ ঢাকার বড় বড় ৬টি কলেজ তাদের অধিনে নিয়ে নেয়।যা এখন বাঘের গলায় হাড় আটকে যাবার মত।
এখানে উল্লেখ্য যে,১৯৯১ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো ঢাবি সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট কমানোর উদ্দেশ্যে।সেই ঢাবিই নাকি আবার ঢাকার কলেজগুলো তাদের অধিনে নিচ্ছে সেই সেশনজট কমাতে!!!! যদিও হাস্যকর ব্যাপার!!!তবুও কিছু বলার নেই।যাই হোক,
সাত কলেজ নেয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা ও তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।সেশনজট নিরসনের কথা বলে সেশনজটে আটকে ফেলছে সবার জীবন!!

এরই পরিপেক্ষিতে,গতকাল বৃহষ্পতিবার সাত কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা শাহাবাগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে, না কোন গাড়ি ভাংচুর না কোন উশৃংখলতা,,,তবুও তাদের উপর পুলিশ নজিরবিহীন হামলা চালায় যার ফলে সিদ্দিক নামের তিতুমির কলেজের ৩য় বর্ষের এক ছাত্রের দু চোখ ফেটে যায় এবং সে এখন অন্ধ!!!!!!!!!!!!!

আচ্ছা কেউ কি বলতে পারেন এটা কেমন দেশ??? যে দেশে শিক্ষার অধিকারের আন্দোলন করলে অন্ধ হতে হয়!!!!! ছিঃ ছিঃ ঘৃণা হয় আপনাদের প্রতি।ধিক্কার জানাই।থু থু দেই।

যে হাত দিয়ে অন্যের সন্তানের দুচোখ নষ্ট করে দিয়েছেন সে হাত দিয়ে নিজের সন্তানকে কোন মুখে স্পর্শ করবেন???
হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিবেন কারণ ওই হাতেই লেগে আছে একজন দেশ গড়ার কারিগরের তাজা রক্ত!!! ওই হাত দিয়ে খুন করেছেন ভবিষ্যৎ এর স্বপ্ন দেখা দুটি নিরপরাধ চোখ কে।।
আরে আপনারা কিভাবে বুঝবেন সিদ্দিকের পড়াশুনা করে এতদুর আসতে কতটা কষ্ট করতে হয়েছে??? আপনারা তো ৮ম শ্রেনী পাস।আপনারা বুঝবেননা অনার্স এর মূল্য কি!!!!

জানিনা সিদ্দিক তার ওই চোখ দিয়ে এ দুনিয়ার আলো দেখতে পাবে কিনা,দেখতে পাবে কিনা তার বৃদ্ধা মায়ের নিশ্পাপ মুখ খানি যা দেখে তার প্রাণ জুড়াতো!!!!

তবে স্রষ্টার কাছে একটাই আকুতি, যে যে সিদ্দিকের চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে তুমি তাকে হেদায়েত দান করো আর যদি সে হেদায়েত না হয় তবে তাকে এমন শাস্তি দাও যেন তাকে দেখে আর কখনো এমন করার কেউ সাহস না পায়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: চার বছর বয়সে পিতা হারান সিদ্দিকুর। পরিবারের অসচ্ছলতার সত্তেও নিজ পরিশ্রমে অর্নাস পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। টিউশনি করেই চলে তার শিক্ষা জীবন। পিতার দুই সংসারের ৯ সন্তানের মধ্যে সিদ্দিক সবার ছোট।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

অভ্র নীল ১ বলেছেন: আহারে!!!! :( আল্লাহ সিদ্দিক কে সুস্থ করে দিন। আমীন

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এমন কষ্ট সংবাদগুলো বুকে শেলের মতো বিধে, এমনটা আমরা আর কখনো চাই না। সিদ্দিকুরের দায়িত্ব অবশ্যই এখন রাষ্ট্রের নেওয়া উচিৎ।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১২

অভ্র নীল ১ বলেছেন: রাষ্ট্র!!!! কাজ আর নেই!! যে রাষ্ট্রের পুলিশ নামক সন্ত্রাসীরা একজন নিরাপরাধ ছাত্রকে তার শিক্ষার অধিকার চাওয়ার অপরাধে অন্ধ করে দিতে পারে সেই খানে কোন রাষ্ট্র ব্যাবস্থা থাকতে পারেনা।।এখানে আছে অন্ধ রাষ্ট্র ব্যাবস্থা।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৫

কানিজ রিনা বলেছেন: মায়ের বুকফাটা আর্তচিৎকার রাস্ট্র কি শুনতে
পাবে? হে আল্লাহ্ আপনি সহায় হোন।

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৫

অভ্র নীল ১ বলেছেন: রাষ্ট্র কখনোই কোন মায়ের বুক ফাটা আর্তনাদ শুনতে পায়না।কারণ রাষ্ট্র পপরিচালনাকারীরা সবাই বধির.।

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪১

পবন সরকার বলেছেন: এখন সিদ্দিকের দায়িত্ব কে নেবে?

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

অভ্র নীল ১ বলেছেন: ঢাবির ভিসির নেয়া উচিৎ। কারণ পুলিশ তো সেই নিয়ে আসছে।।। আর দায়িত্ব নিতে না চাইলে গলায় পারা দিয়ে কিভাবে দায়িত্ব চাপাতে হয় ছাত্ররা তা ভালো করে জানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.