![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডিপ্রেশন!
খুব কমন একটা শব্দ। বর্তমানে এটা নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। সবাই বলে ডিপ্রেশনে থাকলে কথা বলো, শেয়ার করো বা তোমার কান্না আসলে কাঁদো। প্রয়োজন হলে হেল্প সিক করো। বা ওষুধ খাও।
কিন্তু একটু থামি।
যে মানুষটা আসলেই ডিপ্রেশনে আছে ওনার কেমন লাগছে।
আমরা হয়তো বলছি প্রথমেই, হ্যা তুমি ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছো বা তুমি তো অনেক ডিপ্রেসড!
মানুষটার মনে হচ্ছে এতদিন ডিপ্রেশন শব্দটা শুধু শুনেছি ডিপ্রেশনের ফিলিংসটা এরকম??
কন্টিনিউসলি তার মাইন্ড তাকে বলতে থাকে কেন আমাকে এটা করতে হবে?
কি দরকার? সকালবেলা ঘুম থেকে উঠার পরে বা দিনের যে কোন সময় কন্টিনিউসলি এটা মনে হতে থাকে দিনটা কিভাবে যাবে? আমি একটু বিছানাতেই শুয়ে থাকি? কেন আমাকে কাজগুলো করতে হবে? আমি কিচ্ছু করবো না, আমি চুপচাপ বসে থাকবো। আমার কিচ্ছু ভালো লাগছে না।
দিনের পর দিন তার প্রিয় কাজগুলো তার আর পছন্দ হচ্ছে না। অদ্ভুত রকমের দম বন্ধ চেপে রাখা একটা অবস্থা।
কান্না! এ কান্নার জায়গাটা যে সে ঢেকে যাবে বা লুকিয়ে রাখবে ওই জিনিসটাও সে আর পারছে না।
এবং পরবর্তীতে তার বারবার নিজের কাছে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে যে, ""সবাই মনে করছে আমি দুর্বল। আমি নিজের ইমোশনও লুকিয়ে রাখতে পারছিনা । কেন কাঁদলাম ? ""
একেতো তার মন খারাপ , তার প্রিয় কাজগুলোও আর ভালো লাগছে না। ওই জায়গাটা থেকে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মনে হচ্ছে জীবনটাই অর্থহীন।
পাশাপাশি যখন এ কাজগুলো , কান্না তাকে কন্টিনিউসলি কষ্ট দিচ্ছে, বিভিন্ন কাজ সে করে ফেলছে, চুপ করে থাকছে। তার পারফর্মেন্স লেভেল ড্রপ করে যাচ্ছে। সে হটাত হটাত আউটবারস্ট হয়ে যাচ্ছে, হুট করে রেগে যাচ্ছে, হুট করে কিছু বলে ফেলছে। তার কাছে বার বার মনে হচ্ছে, বেচে থাকবোনা, মরে যাবো।এবং পরবর্তীতে তার আবার নিজের কাছে মনে হচ্ছে ইস কেন এমন করলাম? মানুষ জন আমাকে নিয়ে কি ভাবছে?
এরপর যখন আমরা বলি কথা বলো, তখন আবার সে ভাবে কথা বলবো? কার সাথে?? মানুষ কি আসলেই তার কথা শুনবে? তার তো কষ্ট লাগে, লজ্জা লাগে। মানুষ যদি তাকে ভুল বোঝে? মানুষ যদি ধরে ফেলে সে দুর্বল? সে তো একসময় খুব হাসি খুশি থাকা মানুষ ছিলো, আড্ডা দিতেন, হাসিখুশি থাকতেন। তাকে কেন এখন অন্যের কাছে তার ডিপ্রেশনের কথা বলতে হবে? একসময় সে মানুষকে মোটিভেট করতো এখন কেন অন্যের মোটিভেশন নিবে?
এখন তাকে যদি ওষুধ খেতে বলা হয় সে তখন আশ্চর্য হয় কারন আমরা অনেকেই শারীরিক অসুস্থতার জন্যও ওষুধ খাই না আর মনের অসুখের জন্য!!!!
তখন তিনি ভাবেন এখন আমার মনের অসুখের জন্য ওষুধ খেতে হবে??তার মানে সে এতোই দুর্বল?
তখন সে মনে করে যে সে মানসিকভাবে অসুস্থ। এবং একের পর এক ধাক্কায় সে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে একসময়।
এবং একটা সময় ফিল করে যে সে সবার কাছে বোঝা হয়ে যাচ্ছে।
এবং এই সময় যখন সে একজন প্রফেশনাল কাউন্সিলরের সাথে কথা বলবেন, তার ফলোয়াপের মধ্যে থাকবে তখন সে তার মনের কথা গুলো প্রকাশ করতে পারবেন। এবং তখন তার ডিরেকশনে সে বুঝতে পারবে তার কি করা উচিত। সেশনগুলো নিয়মিত ফলো করলে মনের কথা গুলো নিয়ে সে আর তামাশা করার ভয় পাবে না। তাই আর দেরি না করে হাত বাড়িয়ে দিন।
বেড়িয়ে পড়ুন এসব থেকে । তাছাড়া দূরে কোথাও থেকে ঘুরে আসুন,নিজেকে সময় দিন,সবার সাথে কানেক্টে করুন নিজেকে, দেখবেন মনটা অনেক হালকা হবে।
তাছাড়া এমন কিছু নিয়ে কাজ করুন যা আপনার মনের শান্তি দেয়।খারাপ কাজ গুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন,নিজ ধর্ম এর নিয়ম গুলো যথাযথ ভাবে পালন করুন।দেখবেন মনে এক প্রকার শান্তির বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
আর এভাবেই ধীরে ধীরে বেড়িয়ে আসুন ডিপ্রেশন থেকে চিরতরে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২
অভ্র নীল ১ বলেছেন: এ কারণেই এমন কাওকে বলা উচিৎ যে বিষয়গুল বুঝে সঠিক পথ দেখাবে.।.।.।.।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: গরীবের ডিপ্রেশন হয় না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
অভ্র নীল ১ বলেছেন: এটা মানতে পারলাম না ভাইয়া... ডিপ্রেশন ধনী,গরীব বুঝেনা.. যখন আসে তখন সবার একই ফিলিংস হয়...
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩০
মেহরাব হাসান খান বলেছেন: কাকে বলবে? যাকে বলবে সে-ই পরে এটা নিয়ে মজা করবে!
তবে বই পড়া, এখানে সেখানে ঘুরতে যাওয়া, অবসাদ কমায়। এক কথায় যা ইচ্ছে হয় তা করলেই অবসাদ কমে।