![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরুষ কেন নারীর চেয়ে আরও বেশি নিঃসঙ্গ
জগতে পুরুষরা অনেক একা, অনেক পুরুষই একা । বাহিরে বেশিরভাগ পুরুষ সেটা বলে না । বেশিরভাগ পুরুষদের একাকীত্ব বোঝা যায় না । তাদের পরিবার থাকে, সঙ্গিনী থাকে, সন্তান থাকে, অর্থ-প্রতিপত্তি থাকলে চারপাশে বন্ধুরও অভাব থাকে না ।
পুরুষরা কাঁদে কম, কিন্তু কষ্ট পায় অনেক বেশি । গভীর কষ্টের কোন জল থাকে না ।
নারী কেঁদে তার কষ্টকে কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দিতে পারে, এবং সত্যি সত্যি নারীদের কষ্ট কমে যায় তাতে । মস্তিষ্ক এবং শরীরের হরমোন বায়োলজি তাতে হেল্প করে ।
বলছি না নারীদের কষ্ট কম । কিন্তু যাদের কষ্টের ভাগ এবং কষ্ট প্রকাশের জায়গা কম, সেখানে তার ভোগান্তিটাই অনেক বেশি । পুরুষকে সেখানে অনেক গভীর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয় । এক পুরুষকে তার কষ্টের বোঝা কাঁধে নিয়ে ঘরের অনেকগুলো মানুষের কষ্টগুলো দূর করতে হয়, অনেকের কষ্ট দূর করতে একা লড়তে হয় । বেশিরভাগ পুরুষের সে কষ্টগুলোর দিকে সমাজের নজর যেমন থাকে না, তার চেয়ে বড় সত্য বেশিরভাগ নারীদেরই সে দিকে নজর যায় না ।
অনেক নারীর ধারণা - পুরুষ যখন পুরুষ হয়ে জন্মেছেন, আমাদেরকে কাঁধে নিয়েই আপনাদের ঘুরতে হবে ।
বর্তমান নারীরা অনেক কিছুতেই পুরুষের সমকক্ষ দাবি করে, সেটা কোন অন্যায় নয়, সেটা তাদের জন্মগত ন্যায্য প্রাপ্য । কিন্তু বেশিরভাগ নারী পুরুষের এই দুঃখতে অংশিদার হতে চায় না । বেশিরভাগ নারী মনে করে তার দুঃখকে আরেকটি পুরুষ বুঝবে, কিন্তু বেশিরভাগ নারীরা পুরুষের দুঃখটা বুঝতে চায় না । যেখানে বোঝেই না, সেখানে আর অংশীদার কই থেকে হবে ।
অনেক পুরুষই আসলে খুব নিঃসঙ্গ । এই নিঃসঙ্গতা সঙ্গীর অভাব নয়, তাদের চারপাশে মানুষের অভাব নেই, তাদের উপর হাজার দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার লোকের অভাব নেই, পুরুষের এই নিঃসঙ্গতা তাকে বুঝতে পারা, তার কষ্টগুলোকে বুঝতে পারা মানুষের অভাব ।
অন্যদিকে বাস্তবিক বেশিরভাগ নারীরা নিঃসঙ্গ নয় । কারণটাও বলছি ।
অনেক নারীর নিঃসঙ্গতা তার কল্পনা বিলাসিতা । কিন্তু অনেক পুরুষের নিঃসঙ্গতা তার বাস্তবতা ।
পুরুষ তার কষ্টকে সহজে কারো সাথে শেয়ার করে না, এমনকি নারী-পুরুষ, কারও সাথেই শেয়ার করে না । নারী তার কষ্টকে একজন নারী এবং একজন পুরুষ, দু-এর কাছেই শেয়ার করে । নারী শেয়ার না করে থাকতে পারে না । যেহেতু নারী দুই এর কাছেই শেয়ার করার অবকাশ পায়, সেহেতু নারী আসলে নিঃসঙ্গ নয় ।
নারী নিঃসঙ্গ তার স্বভাবের কারণে । নারীর নিঃসঙ্গতা তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ।
একজন নারীকে ঘিরে অনেক পুরুষ থাকে, অনেক পুরুষ নাচে । কিন্তু একটি পুরুষকে ঘিরে অনেকগুলো নারীরা নাচে না, অনেক নারীও থাকেনা । কিন্তু নারী সহজে তাকে ঘিরে থাকা পুরুষগুলোতে সন্তুষ্ট থাকে না । তার চাই তার মতো করে একটি পুরুষ, পুরুষটির মত পুরুষ নয় । এইজন্য নারী সব সময় ভাবে সে নিঃসঙ্গ, একটু সামান্য নিঃসঙ্গতায় সে কাতর হয়ে পড়ে, অথচ একটি পুরুষ জন্মের পর থেকেই বুঝতে পারে সে কতটা একাকী, উল্টো তাকে ভান করে চলতে হয় সে দলবদ্ধ সাথী ।
অনেকের মাঝে থেকেও যে একা, সে অনেক বড় একা
বিঃদ্রঃ- লেখাটা আমার নয়,কোন এক অজ্ঞাত ডাক্তারের।কেউ নাম জানলে জানাবেন।
১৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৪
অভ্র নীল ১ বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
২| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০৬
মেহেদি_হাসান. বলেছেন: লেখাটা ফেইসবুকে ৪/৫ দিন ধরে ঘুরতেছে, লেখক অন্য আরেকজনের নাম দেখলাম
১৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫
অভ্র নীল ১ বলেছেন: জ্বী।তবে আমি নাম জানিনা। শুধু জানি একজন ডাক্তারের লেখা
৩| ১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি।
১৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫
অভ্র নীল ১ বলেছেন: জ্বী
৪| ১৯ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমিও ফেবুতে পড়েছি।
১৯ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৫
অভ্র নীল ১ বলেছেন: জ্বী পড়তেই পারেন।এই লেখাটা কোন এক ডাক্তারের
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর লেখা ।
শেষের দিকে একটু ভল আছে মনে হলো।
নারী হোক কিংবা পুরুষ সকলেই সুন্দরের পূজারী। সুন্দর হলেই তা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা থাকবে। হোক সে পুরুষ অথবা নারী। দেখুন সালমান খান কে পাওয়ার কি তীব্র প্রতিযোগীতা ভারতের নারীদের মধ্যে।