নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাইবার অপরাধ কারিদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ

২২ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৪২


দিন দিন বেড়েই চলেছে সাইবার অপরাধ । প্রতিদিন নিত্যনতুন কৌশলে সাইবার রাজ্যে বিচরণ করছেন অপরাধীরা । পাল্টে যাচ্ছে অপরাধের চিত্রও । তাই তাদের রুখতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসনও । সব মিলিয়ে সাইবার অপরাধ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন হয়েছেন সরকার । তাই এই অপরাধ দমনে নতুন নতুন পদ্ধতি এবং পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে । এরই অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা গঠন করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি । সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশেই তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন । এর উদ্দেশ্য হলো সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ব্লগ সহ সাইবার অপরাধের ওপর নজরদারি জোরদার সহ অপরাধ তদন্ত এবং দোষীদের শনাক্ত করা । দেশের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা এবং দপ্তরকে এই উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে । এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সচিব এবং মুখপাত্র মোঃ সরওয়ার আলম বলেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা গঠনের একটি প্রস্তাব শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে ।

সাইবার অপরাধ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে বিটিআরসি আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড় যোগাযোগ ও সমন্বয় করে কাজ করার সার্বিক উদ্যোগ নিয়েছেন । এদিকে বিটিআরসির পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে শক্তিশালী ভূমিকা নিতে যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এনটিএমসি ।

এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো । এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তর ডিজিএফআই স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স এসএসএফ জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই স্পেশাল ব্রাঞ্চ এসবি এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব । তাদের উদ্যোগে মোবাইলে ভয়েস কলের পর এবার নজরদারিতে আনা হচ্ছে ইন্টারনেট গ্রাহকদের ওপরে । মেইল আদান প্রদান ও ফেসবুকের চ্যাট থেকে শুরু করে ফ্রি অ্যাপসের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে কথা বলার রেকর্ডও এর আওতায় থাকবে। এজন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জার্মানির প্রতিষ্ঠান ট্রভিকর কাছ থেকে কেনা হবে অত্যাধুনিক ডিভাইস । ওই ডিভাইসটি কেনার উদ্যোগও নেয়া হয়েছে । ২০০৬ সাল থেকে এনটিএমসি ভয়েস কল পর্যবেক্ষণ করে আসছে । তবে দেশের ১০ শ্রেণীর শীর্ষ কর্মকর্তা পদাধিকার বলে এনটিএমসির এ মনিটরিংয়ের আওতার বাইরে থাকবেন । এ তালিকায় আছেন প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী, মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা এবং পুলিশের আইজি। ভয়েস কলের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই সময়ে ৫ হাজার ফোন কল রেকর্ড করা সম্ভব হয় । তবে অত্যাধুনিক ডিভাইসে একই সঙ্গে ৫০ হাজার ফোন কল রেকর্ড ও অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হবে । সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৮৩ লাখ ৪৭ হাজার। সংশ্লিষ্টরা জানান, মোবাইল অপারেটররা কোন গ্রাহকের ফোন কল পর্যবেক্ষণ করতে পারেন না। তাদের সে ক্ষমতা দেয়নি বিটিআরসি । কেবল এনটিএমসি এসব পর্যবেক্ষণ করতে পারে । প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান এনটিএমসি ঢালাওভাবে ভয়েস কল পর্যবেক্ষণ করে না ।

এরা শুধু অপরাধী ধরতে এবং তাদের শনাক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের ভয়েস কল কেবল পর্যবেক্ষণ করে থাকেন । ইন্টারনেট মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রেও একই নীতি মেনে চলা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন । এদিকে বিটিআরসি জানিয়েছে সাইবার অপরাধীদের শনাক্তসহ পুলিশের তদন্তকাজে সহায়তার জন্য কারিগরি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে । বিটিআরসির পাশাপাশি সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সম্পর্কিত বিভিন্ন দপ্তর এবং নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিজস্ব অধিক্ষেত্র ও ক্ষমতা অনুসারে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করে থাকে । ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বিটিআরসি নিয়ন্ত্রণ করে না উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায় এ মাধ্যমগুলোর সঙ্গে বিটিআরসি বা অন্য কোন সংস্থার কোন ধরনের সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি না থাকলেও তাদের নিজম্ব নিয়মকানুন অনুসারে জনস্বার্থে প্রয়োজনমতো বিটিআরসি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে ।
সাইবার অপরাধে যা যা হচ্ছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান সাইবার অপরাধ পরিচিত সাইবার টেররিজম বা সাইবার সন্ত্রাস নামে । দুটি পর্যায়ে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে ভাগ করা সম্ভব । প্রথমত ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অবকাঠামোকে সরাসরি আক্রমণ । দ্বিতীয়ত ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যত্যয় ঘটানো । বাংলাদেশে প্রচলিত সাইবার অপরাধ প্রসঙ্গে বিটিআরসি জানিয়েছেন ই মেইলের মাধ্যমে হুমকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওয়েবসাইট হ্যাক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তির ওয়েবসাইট হ্যাক ও তথ্যচুরি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেয়া নাজেহাল করা এবং অপপ্রচার ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে । এর বাইরেও সাইবার অপরাধের মধ্যে আছে প্রতারণা ক্রেডিট কার্ডের নম্বর চুরি, ব্ল্যাকমেইল, পর্নোগ্রাফি, হয়রানি, অনলাইনের মাধ্যমে মাদক পাচার ও ব্যবসা । আবার জাল সার্টিফিকেট তৈরি, জাল টাকা বা জাল পাসপোর্ট, বিভিন্ন ধরনের দলিল দস্তাবেজ কম্পিউটারের মাধ্যমে তৈরির ঘটনা অহরহ উদ্ঘাটিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিটিআরসি ।

তথ্য সংগ্রহ এবং বিশেষ কৃতজ্ঞতাঃমানবজমিন সংবাদ পত্রকে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.