নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোহিঙ্গা ও আরকান রাজ্যের না জানা কিছু ইতিহাস

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯


ইয়াঙ্গুন এবং মান্দালয়ের বাইরে মায়ানমারে শিক্ষাসুবিধা অতি মাত্রায় অপ্রতুল। রাখাইন রাজ্যের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে সরকারী বিদ্যালয়ের সারাংশ তুলে ধরা হলোঃ

১। প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ২,৫১৫ টি আর শিক্ষক ১১,০৪৫জন ছাত্রছাত্রী ৩,৭০,৪৩১ জন।
২।মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ১৩৭টি আর শিক্ষক ২,৯০৯ জন ছাত্রছাত্রী ১,০০,৫৬৬ জন।
৩।উঁচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ ৬৯টি আর শিক্ষক ১,৩৩৭ জন ছাত্রছাত্রী ২৬,৬৭১ জন।

মায়ানমারের স্বাস্থ্যসেবার মান খুবই করুণ। সামরিক জান্তা সরকার তাদের জিডিপির শতকরা ০.৫%-৩% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করতেন যা পৃথিবী দেশসমূহের মধ্যে তুলনামূলক সব থেকে কমছিল।স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্য হলেও সরকারী ক্লিনিক এবং হাসপাতালসমূহে রোগীকে ওষুধ এবং চিকিৎসার খরচ বহন করতে হয়। ইয়াঙ্গুন এবং মান্ডালায় এর বাইরে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের দৈন্য দশা, রাখাইন রাজ্যের মত দূর্গম স্থানে নেই বললেই চলে। রাখাইন রাজ্যের হাসপাতালে অল্প কিছু বিছানা আছে। নিচে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ২০০২ ও ২০০৩ সালের তথ্য তুলে ধরা হলোঃ
বিশেষায়িত হাসপাতাল ০ ০
বিশেষজ্ঞ সেবা সহ জেনারেল হাসপাতাল ১টি আর ব্রেড ২০০টি
জেনারেল হাসপাতাল ১৬টি আর ব্রেড ৫৫৩টি
স্বাস্থ্য ক্লিনিক ২৪টি আর ব্রেড ৩৮৪টি
সর্বমোট ৪১টি আর ব্রেড ১,১৩৭টি ।

রাখাইন শব্দটির উৎস পলি ভাষা। প্রথমে একে বলা হত রক্ষাইন যার অর্থ রক্ষণশীল জাতি। রাখাইন জাতির আবির্ভাব হয় খৃষ্টপূর্ব ৩৩১৫ বছর আগে। ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে। মূলত সেসময় বার্মিজ রাজা 'বোদোপ্রা' আরাকান রাজ্য জয় করে। তার জয়লাভে ভয় পেয়ে বিপুল সংখ্যক রাখাইন সমপ্রদায়ের লোক পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আরাকানের মেঘবতির সান্ধ্যে জেলা থেকে দেড়শ রাখাইন পরিবার বাঁচার আশায় পঞ্চাশটি নৌকাযোগে অজানার উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেয়। কয়েকদিন পর তারা কূলের সন্ধান পায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী দ্বীপে। এই দ্বীপে তারা বসতি স্থাপন করে এবং তাদের সঙ্গে করে আনা ধান ও ফল-মূলের বীজ বপন করে সেখানে জমি আবাদ শুরু করে। রাখাইনদের বিভিন্ন দলের নেতৃত্বদানকারী প্রধানগণ ছিলেন ক্যাপ্টেন প্যোঅং, উঃগোম্বাগ্রী ও অক্যো চৌধুরী। কয়েকবছর পর বেশি ফসলের আশায় তারা রাঙ্গাবালী ছেড়ে চলে যান মৌডুবিতে। লোকসংখ্যা বাড়লে তারা ছড়িয়ে পড়ে বড়বাইশদিয়া, ছোটবাইশদিয়া, কুয়াকাটা, টিয়াখালী, বালিয়াতলী, বগীসহ বিভিন্ন দ্বীপ এলাকায়।ক্রমাগত তারা বিলুপ্ত হচ্ছে। বলা যায় বাংলাদেশের উপড়ে বর্নিত এলাকা থেকে তার বিলুপ্ত জাতি। গুটি কয়েকটি পরিবার আছে। অন্যরা বর্তমান মায়ানমার দেশে চলে যাচ্ছে বা গেছে।

অষ্টম শতাব্দীতে আরবদের আগমনের মধ্য দিয়ে আরাকানে মুসলমানদের বসবাস শুরু হয়। আরব বংশোদ্ভূত এই জনগোষ্ঠী মায়্যু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের চেয়ে অর্থাৎ “বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের কাছে” মধ্য আরাকানের নিকটবর্তী ম্রক-ইউ এবং কাইয়্যুকতাও শহরতলীতেই বসবাস করতে পছন্দ করতেন। এই অঞ্চলের বসবাসরত মুসলিম জনপদই পরবর্তীকালে রোহিঙ্গা নামে পরিচিতি লাভ করে।

ম্রক-ইউ রাজ্য
ম্রক-ইউ রাজ্যের সম্রাট নারামেখলার শাসনকালে বাঙ্গালীদের আরাকানের বসবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। ২৪ বছর বাংলায় নির্বাসিত থাকার পরে সম্রাট বাংলার সুলতানের সামরিক সহায়তায় পুনরায় আরাকানের সিংহাসনে আরোহন করতে সক্ষম হন। যে সব বাঙ্গালী সম্রাটের সাথে এসেছিল তারা আরাকানে বসবাস করতে শুরু করেন। সম্রাট নারামেখলা বাংলার সুলতানের দেয়া কিছু অঞ্চল এবং আরাকানের ওপর সার্বভৌমত্ব অর্জন করেন।
১৫৫৪ সালের আরাকানের মুদ্রা যা বৃহত্তর বাংলায় ব্যবহৃত হত
সম্রাট নারামেখলা পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং বাংলার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আরাকানে বাংলার ইসলামী স্বর্ণমূদ্রা চালু করেন। পরবর্তীতে নারামেখলা নতুন মূদ্রা চালু করেন যার একপাশে ছিল বার্মিজ বর্ণ এবং অপরপাশে ছিল ফার্সী বর্ণ। বাংলার প্রতি আরাকানের কৃ্তজ্ঞতা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। ১৪৩৩ সালে সুলতান জালালুদ্দিন মুহাম্মদ শাহের মৃত্যু হলে সম্রাট নারামেখলার উত্তরাধিকারীরা ১৪৩৭ সালে রামু এবং ১৪৫৯ সালে চট্টগ্রাম দখল করে নেন। ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম আরাকানের দখলে ছিল।বাংলার সুলতানদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পরেও আরাকানের রাজাগণ মুসলিম রীতিনীতি বজায় রেখে চলে। বৌদ্ধ রাজাগণ নিজেদেরকে বাংলার সুলতানদের সাথে তুলনা করতো এবং মুঘলদের মতোই জীবন যাপন করতো। তারা মুসলিমদেরকেও রাজদরবারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিত।১৭ শতকের দিকে আরাকানে বাঙ্গালী মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তারা আরাকানের বিভিন্ন কর্ম ক্ষেত্রে কাজ করতো। যেহেতু রাজাগণ বৌদ্ধ হওয়ার পরেও বাংলার সুলতানদের রীতিনীতি অনুযায়ীই রাজ্য পরিচালনা করতো, তাই আরাকানের রাজদরবারে বাংলা, ফার্সী এবং আরবি ভাষার হস্তলিপিকরদের মধ্যে অনেকেই ছিল বাঙ্গালী। কামেইন বা কামান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী যারা মায়ানমার সরকারের নৃতাত্ত্বিক জাতিসত্ত্বার মর্যাদা পেয়েছে তারা আরাকানের মুসলিম জনগোষ্ঠীরই একটা অংশ ছিল।

বার্মিজদের দখল
১৭৮৫ সালে বার্মিজরা আরাকান দখল করে। এর পরে ১৭৯৯ সালে পঁয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষ বার্মিজদের গ্রেফতার এড়াতে এবং আশ্রয়ের নিমিত্তে আরাকান থেকে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলে আসে। বার্মার শোসকেরা আরাকানের হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে এবং একটা বড় অংশকে আরাকান থেকে বিতাড়িত করে মধ্য বার্মায় পাঠায়। যখন ব্রিটিশরা আরাকান দখল করে তখন যেন এটি ছিল একটি মৃত্যুপূরী।১৭৯৯ সালে প্রকাশিত বার্মা সাম্রাজ্যতে ব্রিটিশ ফ্রাঞ্চিজ বুচানন হ্যামিল্টন উল্লেখ করেন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর অনুসারী যারা অনেকদিন ধরে আরাকানে বাস করছে, তাদেরকে রুইঙ্গা (Rooinga) জাতি কখনই নিজেদেরকে "আরাকানের স্থানীয় বাসিন্দা" বা "আরাকানের মুলনিবাসী" (Native of Arakan) উল্লেখ করে নাই ।

ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন
কৃষিকাজের জন্য আরাকানের কম জন অধ্যুষিত এবং উর্বর উপত্যকায় আশপাশের এলাকা থেকে বাঙ্গালী অধিবাসীদের অভিবাসন করার নীতি গ্রহণ করেছিল ব্রিটিশরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাকে আরাকান পর্যন্ত বিস্তৃত করেছিল। আরাকান ও বাংলার মাঝে কোন আন্তর্জাতিক সীমারেখা ছিল না এবং এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে যাওয়ার ব্যাপারে কোন বিধি-নিষেধও ছিল না। তাছাড়া ব্রিটিশ্রা আরাকান দখলের পূর্বকার সময় কালাদান নদী উত্তর তীর পরযন্ত চট্টগ্রামের দক্ষিণ সীমানা ছিল, যা বারমার সাথে যুক্ত ছিল বলে কোন ঐতিহাসিক দলিলের অস্তিত্ব এখন পরযন্ত পরিলক্ষিত হয় নি। ১৯ শতকে, হাজার হাজার বাঙ্গালী কাজের সন্ধানে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আরাকানে গিয়ে বসতি গড়েছিল। এছাড়াও, হাজার হাজার রাখাইন আরাকান থেকে বাংলায় চলে এসেছিল।
১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের করা এক আদমশুমারীতে দেখা যায়, আরাকানে তখন ৫৮,২৫৫ জন মুসলমান ছিল। ১৯১১ সালে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৮,৬৪৭ জন হয়।অভিবাসনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ বাংলার সস্তা শ্রম যা আরাকানের ধান ক্ষেতের কাজে লাগত। বাংলার এই অধিবাসীরা মূলত আরাকানের দক্ষিণেই অভিবাসিত হয়েছিল(বেশিরভাগই ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের) । এটা নিশ্চিত যে ভারতের এই অভিবাসন প্রক্রিয়া ছিল পুরো অঞ্চল জুড়ে শুধু আরাকানেই নয়। ঐতিহাসিক থান্ট মিন্টইউ লিখেছেন: বিংশ শতাব্দীর শুরুতে বার্মায় আসা ভারতীয়দের সংখ্যা কোনভাবেই আড়াই লক্ষের কম নয়। এই সংখ্যা ১৯২৭ সাল পর্যন্ত বাড়তেই থাকে এবং অভিবাসীদের সংখ্যা হয় ৪৮০,০০০ জন, রেঙ্গুন নিউ ইয়র্ককেও অতিক্রম করে বিশ্বের বড় অভিবাসন বন্দর হিসেবে। মোট অভিবাসীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১.৩ কোটি (১৩ মিলিয়ন)। তখন বার্মার রেঙ্গুন, আকিয়াব, বেসিন, প্যাথিন এবং মৌমেইনের মত অধিকাংশ বড় শহরগুলোতে ভারতীয় অভিবাসীরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। ব্রিটিশ শাসনে বার্মিজরা অসহায়ত্ব বোধ করত এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার মাধ্যমে তারা অভিবাসীদের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করত।অভিবাসনের ফলে সংঘাত মূলত আরাকানেই ছিল সবচেয়ে প্রকট। ১৯৩৯ সালে, রোহিঙ্গা মুসলিম ও রাখাইন বৌদ্ধদের মধ্যকার দীর্ঘ শত্রুতার অবসানের জন্য ব্রিটিশ প্রশাসন জেমস ইস্টার এবং তিন তুতের দ্বারা একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিশন গঠন করে। কমিশন অনুসন্ধান শেষে সীমান্ত বন্ধ করার সুপারিশ করে, এর মধ্যে শুরু হয় ২য় বিশ্ব যুদ্ধ এবং এর পরে ব্রিটিশরা আরাকান ছেড়ে চলে যায়।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন জাপানীদের দখল
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপানীরা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনস্হ বার্মায় আক্রমণ করে। ব্রিটিশ শক্তি পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে চলে যায়। এর ফলে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। তার মধ্যে বৌদ্ধ রাখাইন এবং মুসলিম রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল উল্লেখযোগ্য। সেই সময় ব্রিটিশপন্হীদের সাথে বার্মার জাতীয়তাবাদীদেরও সংঘর্ষ হয়। জাপানীদের আক্রমণের সময় উত্তর আরাকানের ব্রিটিশপন্হী অস্ত্রধারী মুসলমানদের দল বাফার জোন সৃষ্টি করেন।[ রোহিঙ্গারা যুদ্ধের সময় মিত্রপক্ষকে সমর্থন করেছিল এবং জাপানী শক্তির বিরোধিতা করেছিল, পর্যবেক্ষণে সাহায্য করেছিল মিত্রশক্তিকে।জাপানীরা হাজার হাজার রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, ধর্ষণ এবং হত্যা করেছিল। সেই সময় প্রায় ২২,০০০ রোহিঙ্গা সংঘর্ষ এড়াতে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলায় চলে আসে।জাপানী এবং বার্মাদের দ্বারা বারংবার গণহত্যার শিকার হয়ে তখন প্রায় ৪০,০০০ রোহিঙ্গা স্হায়ীভাবে চট্টগ্রামে চলে আসে ।

যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থা
১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় তারা বিরাট এক ভুল করে বসে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জিন্নাহের সাথে একাধিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সাথে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করে। আর শুরু হয় রোহিংগাদের কপাল পোড়া। তাদের এই কাজটা আরাকানের অন্য জাতিগোষ্ঠিরা মেনে নিতে পারেননি। তাদের কপালে বেঈমান তকমা লেগে যায়। অন্যদিকে জিন্নাহ শেষমেশ অস্বীকৃতি জানায়। তখন তারা নিজেরাই রোহিঙ্গা মুসলিম পার্টি গঠন করে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। আর তারা একদম ব্ল্যাকলিস্টেড হয়ে যায় বার্মার সরকারের কাছে। ১৯৬২ সালে সামরিক সরকার বার্মায় ক্ষমতা পেলে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার বেড়ে যায়। ১৯৭৮সালে আর ১৯৯২ সালে দুইবার তাদের উপর সামরিক অভিযান চালানো হলে কম পক্ষে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

বার্মিজ জান্তার সময়
প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে বার্মা শাসন করছে মায়ানমারের সামরিক জান্তা। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য এরা বার্মিজ জাতীয়তাবাদ এবং থেরাভেদা বৌদ্ধ ধর্মীয় মতবাদ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে থাকে। আর তার ফলেই তারা রোহিঙ্গা চীনা জনগোষ্ঠী যেমনঃ কোকাং, পানথাইদের,চীনা হুই মুসলিম, মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাকে ব্যপকভাবে নির্যাতন করে থাকে। কিছু নব্য গণতন্ত্রপন্থী নেতা যারা বার্মার প্রধান জনগোষ্ঠী থেকে এসেছেন তারাও রোহিঙ্গাদের বার্মার জনগণ হিসেবে স্বীকার করেন না।বার্মার সরকার রোহিঙ্গা এবং চীনা জনগোষ্ঠীর মত ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গার উসকানি দিয়ে থাকেন এবং এই কাজ তারা অতি সফলতার সাথেই করে যাচ্ছেন।



Ethnic Cleansing of Muslim Minority in Myanmar?
scor
storoতথ্য

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা জানবেন ভাই ।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

জিয়াউদ্দীন বলেছেন: এই লেখা শুধু সেই সব ভাগ্যবানদের জন্য, যারা কিনা freelancing করে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন, এখন শুধু পকেটে আনার অপেক্ষা।
বাংলাদেশে Freelancer দের টাকা আনার সব থেকে ভালো এবং গ্রহণযোগ্য উপায় হচ্ছে Payoneer।
কিন্তু এখন Payoneer এ account খুলে বাংলাদেশে MasterCard পাওয়া আর সহজ না, কিন্তু উপায় আছে।
আগে Payoneer MasterCard পাওয়ার পর active করে টাকা ঢুকানো হতো। এখন MasterCard পেতে হলে আপনার account এ সর্বনিন্ম 30$ থাকতে হবে,কেবল মাত্র account active হওয়ার পর 30$ account এ থাকলে MasterCard order করার সুযোগ পাবেন। আর এই নিয়ম বাংলাদেশীদের জন্য।

আর আপনার জানা জরুরী যে, Payoneer মোটেও ফ্রী না। এর সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার বাৎসরিক 30$ গুনতে হবে।

সুখের খবর এতটুকুই যে,Payoneer MasterCard account খোলার পর আপনি 25$ বোনাস পাবেন, তার জন্য আপনাকে আপনার বন্ধু কারো থেকে referral link নিতে হবে যার কিনা Payoneer এ account আছে, আপনি account খুলে 100$ load করলে আপনার বন্ধু পাবে 25$ বোনাস আপনি ও পাবেন 25$ বোনাস, আর আপনার বাৎসরিক ফি হিসাবে কেটে নিবে 30$
Get payoneer link https://goo.gl/kSRdVh

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১২

নতুন বিচারক বলেছেন: না জানা ইতিহাস জেনে ভালো লাগছে ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন বিচারক ভাই। তা আপনার খবর কি ?
অনেকদিন হলো কোন লেখা দেখছি না আপনার ।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রিয়তে

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ বাবু ভাই।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: লেখা প্রিয়তে ।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: প্রিয়তে

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মফিজ ভাই।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.