নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের কান্না শোনার মত কেউ নেই তেমন কিছু মানুষের কথা

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৯


নবজাত শিশুকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়া এবং বাসায় ঢুকে বাবাকে খুন তার পর মা এবং তার তিন মেয়েকে একসঙ্গে ধর্ষণ করা । এছাড়াও ৬ ও ৯ বছরের বয়সী দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে বর্বর মিয়ানমার জাতি। এই জগন্য হত্যাকাণ্ড থেকে যখন বাঁচার তাগিতে পালিয়ে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বেচে নেয় বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশে ঢোকার জন্য যখন বর্ডার ক্রোস করছে তখনও পেছন থেকে গুলি করে তাদের হত্যা করছে বর্বর মিয়ান মারের সেনাবাহিনীরা। মুক্তির কাছাকাছি এসেও মুক্তির স্বাদ পাওয়া হলোনা ।


বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত নির্যাতিত নিপিড়ন জাতিগোষ্ঠী হলেন রোহিঙ্গা। শত শত বছর ধরেও যারা নিজ দেশে পাননি নাগরিত্ব পাননি স্বাধীনতা,বরং নির্যাতিত হয়ে আসছেন এবং সময়ের পাল্লা বেয়ে বেড়েই চলছে তাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা। খুন হচ্ছে, ধর্ষিত হচ্ছে, লুণ্ঠিত হচ্ছে, লাঞ্ছিত হচ্ছে। কয়েক পুরুষ ধরেই যুগের পর যুগ শতশত বছর ধরে ওই সকল ভিটায় থাকার পরও যাদের মেনে নেয়াহয়নি এবং দেয়া হয়নি দেশের সাধারন নাগরিকত্ব তুকো । বাপ দাদার শত বছরের ভিটা পুড়িয়ে দিয়ে যাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বহু সংগ্রাম করে প্রতিবেশী দেশে যাদের জীবন নিয়ে ছুটতে হচ্ছে একটু মাথা গোজার জায়গার জন্য



উপরের ছবিগুলো বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গা যারা বেঁচে থাকার এবং একটু আশ্রয়ের সন্ধানে রোহিঙ্গা আমাদের বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছন।
আরো তথ্যসূত্র বিবিসি ওয়ার্ল্ড
মধ্যযুগের একটি সময় রাজ্যটি ব্যবসা,বাণিজ্য ও জ্ঞান এবং সংস্কৃতি চর্চার এক প্রসিদ্ধ স্থান ছিল আরাকান রাজ্য। এক সময় আরাকানের রাজধানীকে দ্বিতীয় ভেনিস হিসেবেও অভিহিত করেছে অনেকে,আর তখন স্থানীয় রাজারাই আরাকান রাজ্যের শাসন কাজ পরিচালনা করতেন।১৭৮৪ সালে বার্মার রাজা যখন থেকে আরাকান রাজ্য দখল করে নেয় ঠিক তখন থেকেই আরাকানদের দুর্ভোগ শুরু হয়। ১৮২৪ সালে বার্মা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্রিটিশদের গোলামির পরে ১৯৪৮ সালে বার্মা পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা লাভ করে। সেই সময় মুসলিম অধ্যুষিত আরাকানের অনেক রোহিঙ্গাই চেয়েছিল আরাকান নবজাত মুসলিম রাষ্ট্র পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) অংশ হোক। কিন্তু আরাকানকে বার্মার অংশ হিসেবেই রাখা হয় এবং স্বাধীন বার্মার জন্মলগ্ন থেকেই তাদের উপর চলতে থাকে দমন নিপীড়ন। বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৫০ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রথম সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হয়।তার ঠিক দুইবছর পর অপারেশন মায়ু নামে আরেকটি সামরিক অভিযান চালানো হয়। সরকারের সেই নিপীড়নের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের ক্ষোভও ধীরে ধীরে দানা বাধতে থাকে। আর সেজন্যই অনেক রোহিঙ্গাজনগোস্থী বিদ্রোহীর খাতায়ও নাম লেখায় । ১৯৫৪ সালে অপারেশন মুনসুন নামে আরেকটি জোরালো অভিযান চালু করে বার্মা সেনাবাহিনীরা। চাপের মুখে পরে তখন ১৯৬১ সালে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন বিদ্রোহীরা।১৯৬২ সালে সামরিক শাসকের বুটের নিচে চলে যায় বার্মার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা। রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়নও আরও বেড়ে যায়। শুরু হয় রোহিঙ্গা নিধনের বা ধংশ করে দেয়ার কাজ। ১৯৭৪ সালে আরাকান রাজ্যের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় রাখাইন। বহিরাগত তাড়ানোর নামে ১৯৭৮ সালে সেনাবাহিনী অপারেশন কিং ড্রাগন নামে আরেকটি নতুন অভিযান চালায়।আর তখন নির্বিচারে গ্রেফতার, খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ চলতে থাকে। কয়েক লাখ রোহিঙ্গা তখন প্রাণের ভয়ে পাড়ি জমায় প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমাদের বাংলাদেশে।১৯৯১ সালে অপারেশন ক্লিন এন্ড বিউটিফুল নামে আরেক দফা রোহিঙ্গা ছাটাই অভিযান চালায় জান্তা সরকার। এই নিপীড়নের মুখেও প্রায় দুই লক্ষ রোহিঙ্গা পাড়ি জমান আমাদের বাংলাদেশে।

জান্তা সরকার রোহিঙ্গা মায়েদের জন্য এক অভিনব উপায় বাতলে দিয়েছে। সরকারের হুকুম হল কোনো রোহিঙ্গা দুইটির বেশি সন্তান নিতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ১০ বছর পর্যন্ত জেল ও আর্থিক জরিমানা হতে পারে। বাড়ি বাড়ি তল্লাশির সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের যদি সন্দেহ হয় তাদের ফাঁকি দেয়ার জন্য কোনো রোহিঙ্গা মহিলা অন্য জনের শিশুকে নিজের কাছে রেখেছে, ওই শিশুর আসল মাকে রক্ষা করতে, তাহলে বাহিনীর সদস্যরা ওই মহিলাকে তাদের সামনেই শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে বাধ্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে ওই সন্তান তারই। আর সন্তানটি যদি দুগ্ধ পোষ্য না হয় তাহলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তার আসল পরিচয় জানতে। ২০০৫ সালে এক ফরমান জারি করে জান্তা সরকার দুই সন্তান সংক্রান্ত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে এমন কুৎসিত এবং নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা দেয়। ব্যাংকক ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন, ফরটিফাই রাইটস, ২০১৪ সালে এক প্রতিবেদনে জান্তা সরকারের এ সংক্রান্ত আদেশর দলিল প্রকাশ করে।
তথ্যসূত্র্র ও বিশেষ কৃতজ্ঞতা দ্য ডেইলী স্টার
২০১২ সাল থেকে শুরু হওয়া বর্বরতা পূর্বের সব হিসাবনিকাশ ছাড়িয়ে যায়। এক বৌদ্ধ তরুণীর ধর্ষণের জের ধরে রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা শুরু হয়। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়, শত শত তরুণকে একসাথে গণ-গ্রেফতার করা হয়। মসজিদের পর মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। খুন, ধর্ষণ এবং গুমের সংখ্যা পূর্বের সব রেকর্ড ছাপিয়ে যায়। ২০১৩ সালে হিউম্যান রাইট ওয়াচের রিপোর্টে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূল অভিযান চালানোর অভিযোগ আনা হয়। ১৯৭০ সাল থেকে শুরু করে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা রাখাইন ত্যাগ করে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়।
এমন সুচির চুপ মেরে থাকা
এই নির্যাতিত নারীটিগণমাধ্যমের সামনে সাহসীভাবে বর্ণনা করেন কীভাবে সামরিক বাহিনী তার স্বামীকে হত্যা করেছে এবং তার তিন মেয়ের সাথে তাকে একসাথে গণধর্ষণ করার করুন ঘটনা।

রাখাইন রাজ্যে পরিচালিত জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌক্তিক ব্যবস্থা হিসাবে যাদব যে ভাবে উপস্থাপন করেছেন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য কি কি ব্লুগ্রিন তৈরি করেছে?What created the blueprint for Rohingya genocide in Myanmar? Western colonialism

পুরো বিশ্বের জন্য এটা একটা লজ্জাজনক যে একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যেভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে আসছে মানবাধিকার আন্দোলনের এক চ্যাম্পিয়নের চোখের সামনে তারই দেশে অথচ তার কোন পদক্ষেপ নাই। শান্তিতে নোবেলজয়ী একজন মানবাধিকারকর্মীর সামনেই তার নিজ দেশের একটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে চিরতরে বিনাশ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটে সুচির নীরবতা এবং তার রাষ্ট্রক্ষমতায় অবস্থানকালে চলমান এই সহিংসতায় সুচির নীরব সমর্থনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানো সারা আর কোন ভাষা আমার জানা নেই। সুচির এমন নীরব ভূমিকার জন্য তার নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ারও আহবান জানিয়েছেন নোবেল কমিটির কাছে। তার চোখের সামনে এই গণহত্যা চললেও বিশ্ব গণমাধ্যমের কাছে সুচি বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আঁধার রাত সবসময় থাকে না |একটু দীর্ঘ হতেই পারে | কিন্তু শেষ হয় নিশ্চিত | আল্লাহ সবই শুনছেন |আমি আশাবাদী | আপনিও হোন |অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য |

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আমি আশাবাদী আল্লাহু নিশ্চয় সঠিক বিচার করবেন ।

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

নতুন বিচারক বলেছেন: তাদের ভালো হোক ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আল্লাহু নিশ্চয় সকলের মঙ্গল করবেন ।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রোহিঙ্গারা মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার পাক- এই প্রার্থণা থাকল।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ শাহাদাৎ ভাই।

৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




বার্মা স্বাধীন হওয়ার পর, রোহিংগাদের মাঝে যেকয়জন শিক্ষিত ছিলো, তাদের উচিত ছিলো, সরকারের সাথে সমঝোতায় আসা; তারা সেটি পারেনি; ১৯৭৮ সালে, আবারো সরকারের অবস্হান বুঝে পদক্ষেপ নেয়ার দরকার ছিলো, রোহিংগারা পরিস্হিতি বুঝেনি

৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: রোহিঙ্গারা শিক্ষিত হয়নি নাকি বিভিন্নভাবে শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে?

নাকি চাকুরীতে আবেদন করলে পুরো গোষ্টীর বায়োডাটা দেখা হযযে, তাদের মধ্যে কেউ বিরোধী দলের আছে কিনা?

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: আল্লাহু সর্ব শক্তিমান।

৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: লাঞ্চিত রোহিঙ্গাদের জন্য সমবেদনা থাকল। পোস্ট প্রিয়তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.