নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন বাঙালি মহিয়সী এবং সংগ্রামী নারী ইলা মিত্র,র আজ শুভ জন্মদিন

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩


ইলা মিত্র একজন বাঙালি মহিয়সী নারী এবং সংগ্রামী কৃষক নেত্রীও ছিলেন। বাংলার শোষিত এবং বঞ্চিত কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সংগ্রাম করেছেন। আর সহ করেছেন অমানুষিক নির্যাতন।ইলা মিত্র ১৯২৫ সালের ১৮ই অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ইলার বাবা নগেন্দ্রনাথ সেন ছিলেন বৃটিশ সরকারের অধীন বাংলার একাউন্টেন্ট জেনারেল। তাদের আদি নিবাস ছিল তৎকালীন যশোরের ঝিনাইদহের বাগুটিয়া গ্রামে। বাবার চাকুরির সুবাদে তারা সবাই কলকাতাই থাকতেন। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন ।তিনি লেখাপড়া করেন কলকাতার বেথুন স্কুল এবং বেথুন কলেজে। সেই কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৪সালে তিনি স্নাতক শ্রেণীতে বি.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৫৮ সালে ইলা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন।

কৈশোরে তিনি খেলাধুলায় তুখোড় ছিলেন। ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজ্য জুনিয়র এ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়ন। সাতার, বাস্কেটবল এবং ব্যাডমিন্টন খেলায়ও ছিলেন পারদর্শী। ইলা মিত্র প্রথম বাঙালি মেয়ে যিনি ১৯৪০ সালে জাপানে অণুষ্ঠিত অলিম্পিকেরজন্য নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে অলিম্পিক বাতিল হয়ে যাওয়ায় তার অংশগ্রহণ করা হয়নি। খেলাধুলা ছাড়াও গান, অভিনয়সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী ছিলেন ইলা মিত্র।

ইলা যখন বেথুন কলেজে বাংলা সাহিত্যে বি.এ সম্মানের ছাত্রী তখন থেকেই রাজনীতির সাথে তার পরিচয় হয়। নারী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার রাজনীতিতে প্রবেশের সূত্র ঘটে। ১৯৪৩সাল ইলা যখন কলকাতা মহিলা সমিতির সদস্য হলেন। হিন্দু কোড বিলের বিরুদ্ধে সে বছরই মহিলা সমিতি আন্দোলন শুরু করে। সমিতির একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনিই সেই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। সে সময় তিনি সনাতনপন্থীদের যুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অনেক প্রচার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি নামক সংগঠনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের এই কাজ করতে করতে তিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন । তেভাগা আন্দোলন থেকে শুরু করে সবগুলো আন্দোলনের সাথেই ইলা মিত্র ছিলেন।

ইলা মিত্র বেশ কয়েকটি রুশ গ্রন্থও অণুবাদ করেছেন সেগুলো হলঃ
জেলখানার চিঠি
হিরোশিমার মেয়ে
মনে প্রাণে-২ খণ্ড
লেনিনের জীবনী
রাশিয়ার ছোট গল্প।

নারী আন্দোলনের বীরগাঁথা এই নারীনেত্রী ২০০২ সালের ১৩ই অক্টোবর ৭৬ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তবে তিনি অবিরত বিরাজ করছেন কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। ইলা মিত্র যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন
আপনার জন্য শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা থাকল।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

wskurunysalman বলেছেন: i am wskuruny new user

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


তিনি নিজের সময়ে মানুষের জন্য চেস্টা করে গেছেন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: জী ঠিক ধরেছেন।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

প্রামানিক বলেছেন: ইলামিত্রকে পাকিস্থান পুলিশ তেভাগা আন্দোলনের জন্য ১৯৫০ সালের ৭ই জানুয়ারী নবাবগঞ্জের রহন পুর রেল স্টেশন থেকে আটক করে অমানুষিক নির্যাতন করে। বস্ত্রহীন অবস্থায় নির্যাতন করতে করতে তাকে অজ্ঞান করে ফেলে। ১৯৫০ সালের ১০ই জানুয়ারী জ্ঞান ফেরে। জ্ঞান ফেরার পর তাকে প্রথমে পুলিশ হেফাজতে নবাব গঞ্জের সরকারী ডাক্তার খানায় চিকিৎসা দেয়া হয় এর পর ২১শে জানুয়ারী নবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী জেলখানায় নেয়া হয় এবং জেলখানার হাসপাতালে ভর্তি করার হয়। এর পর ঢাকা জেল খানায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নির্দেশে ইলা মিত্রকে ঢাকা জেলখানা থেকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পেয়ে তিনি কলকাতায় চলে যান। এক ছেলে সন্তানের জননী ইলা মিত্র মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কোলকাতায়ই ছিলেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ইলা মিত্রকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

পার্থ তালুকদার বলেছেন: বিনম্র শ্রদ্ধা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.