নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান

ব্লগ সার্চম্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫


আজকের এই দিনটা জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতি দিবস হিসাবে পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সংঘটিত সিপাহী ও জনতার বিপ্লব এর স্মরণে এই দিবসটি পালন করা হয়। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের এর নেতৃত্বে সংঘটিত এই বিপ্লব জেনারেল খালেদ মোশাররফ এর ৩ দিনের সরকারের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলস্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দীশালা থেকে মুক্তি পান এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন। কিছু সেনা কর্মকর্তাদের দ্বারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত হবার পর খন্দকার মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু খন্দকার মোশতাকের ক্ষমতার নেপথ্যে ছিলেন ১৫ই অগাষ্টের ঘটনার মুল নায়কেরা। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) এই ব্যাপারটি মেনে নিতে পারেননি। তিনি তার অনুগত সৈন্য বাহিনী নিয়ে ৩রা নভেম্বর মোশতাক সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান ঘটান। অভ্যুত্থানটি প্রাথমিক ভাবে সফলও হয়। কিন্তু তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ দিন।খালেদ মোশাররফ রক্তপাত এড়াতে চেষ্টা করেছিলেন যা পরবর্তীতে তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানে জেনারেল খালেদ মোশাররফ রক্তপাতহীন ক্যু করতে গিয়ে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করেন। কর্নেল (অবঃ) আবু তাহের সে সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাংখী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিলনা। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক।জিয়া তার বাসভবনে বন্দী হয়ে থাকেন। খালেদ মোশারফের নির্দেশে তাকে বন্দী করে রাখেন তরুণ ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ। জিয়ার বাসার টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লাহ একটি ভুল করেন। তিনি ভুলে যান বেডরুমেও একটি টেলিফোন আছে। জিয়া কৌশলে বেডরুম থেকে ফোন করেন তাহেরকে। খুব সংক্ষেপে বলেন সেভ মাই লাইফ।তাহের জিয়ার আহবানে সাড়া দেন। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের পাল্টা প্রতিরোধ গড়ার নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা রওনা হন কর্নেল তাহেরের । এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানকে বন্দীশালা থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন।ওই দিনই পাল্টা অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করেন।

কথা ছিল জিয়াউর রহমানকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে আনা হবে। তারপর জাসদের অফিসে তাকে এনে তাহেরদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হবে। পরে সিপাহী জনতার এক সমাবেশ হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন জিয়া আর তাহের। কিন্তু মুক্ত হওয়ার পরে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হতে সম্মত হন না। উর্ধ্বতন সামরিক অফিসাররা তাকে পরামর্শ দিতে থাকেন। তাহের জিয়াকে ভাষণ দিতে বলেন। জিয়া ভাষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।তাহের বুঝতে পারেন জিয়া তাদের সাথে আর থাকছেন না। তিনি পুনরায় সংগঠিত হতে থাকেন। কিন্তু জিয়া বুঝতে পারেন ক্ষমতায় টিকতে হলে তাহেরসহ জাসদকে সরাতে হবে। সেই অনুযায়ী গ্রেফতার হতে থাকেন জাসদের সব নেতারা। তাহেরও গ্রেফতার হন। শুরু হয় এক প্রহসনের এক বিচার। গোপন আদালতে চলতে থাকে সেই বিচার১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই কর্নেল তাহেরের ফাঁসি হয়। অন্যান্য নেতাদের বিভিন্ন মেয়াদের জেল হয়। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের কারিগর ছিলেন তাহের। আর তার ফলে ক্ষমতায় বসেন জিয়া।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আদর্শগতভাবে জিয়া ও তাহের দুই মেরুর ছিলেন। জিয়াকে উদ্ধার করে উনি নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরেছিলেন। জিয়া চতুর ছিলেন; এই জাসদের উপর চড়াও হয়ে একেবারে ঠিক কাজটি করেছিলেন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভয়াবহ সুন্দর মন্তব্যটার জন্য অনেক ধন্যবাদ সাধু।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিসের বিপ্লব? সংহতি?
সুধু চক্রান্ত আর হত্যা,আবারো চক্রান্ত লাশে স্তূপীকৃত লাশ।
এরপরও এসব নিয়ে অনেকেই গর্বিত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: পৃথিবীর রাজনীতি জন্মগত ভাবে চক্রান্তের শিকার সে আপনি যত ভালই রাজনীতিবিদ হন।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবসময় জিয়া বিরোধীদের একটা কথা শুনে আসছি। সেটা হলো, যে ব্যক্তি জিয়াকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করলো, সেই ব্যক্তিকে জিয়া ফাঁসি দিয়ে বেঈমানী করেছে। এটা আমার মত জিয়াভক্তর জন্য খুবই কষ্টকর। তবে ঐ সময় অনেক কিছু চলছিল। জিয়া পক্ষের বক্তব্য হলো, তাহের মার্সি পিটিশন করেনি। তাহের আর্মি অফিসার হত্যা করেছে বা আদেশ দিয়েছে সেটাও তো সত্য। আবার জিয়ার মধ্যে হয়তো ইগো চলে এসেছিল কিংবা অন্যদের সবক শেখানোর জন্যও তাহেরের ফাঁসির ব্যপারে একটু বেশী উদগ্রীব ছিল। সবই হাইপোথেটিক্যাল...

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল আপনার মন্তব্যটি।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪১

নাহিদ০৯ বলেছেন: বিষয়গুলো এতটাই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে যেন মনে হয় সে সময় টা আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগের অবতারনা হয়েছিলো। সেজন্য বাস্তব চিত্র কল্পনা করাটা একটু কঠিন ই। তবে এ বিষয়ক কিছু বই এবং ধারাবাহিক লিখা পড়ার রেফারেন্স দিতে পারবো। কোন রকম বিশেষন যুক্ত করা ছাড়াই মুটামুটি দৃশ্যপট পাবেন।

বই:
১। তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা, লেঃকর্ণেল এম, এ,হামিদ
২। বাংলাদেশ: রক্তাক্ত অধ্যায় ১৯৭৫-৮১, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. সাখাওয়াত হোসেন (অব:)

ব্লগ পোষ্ট:
১। একটি সেনা অভ্যুত্থান এবং জেনারেল খালেদ মোশাররফ-১ - ক্যাডেট কলেজ ব্লগ
২। একটি সেনা অভ্যুত্থান এবং জেনারেল খালেদ মোশাররফ-২ - ক্যাডেট কলেজ ব্লগ

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: =p~

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোন বিপ্লব ঘটেনি; ১৫ই আগস্টের বিপরিতে ২টি পাল্টা ক্যু হয়েছিল; তাহের ছিল ইডিয়ট, তার কারণে খালেদ মোশারফ নিহত হয়, দেশ গেছে জাহান্নামে, তাহের নিজে ফাঁসীতে ঝুলেছে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: :)

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

আব্দুল্যাহ বলেছেন: কর্নেল তাহের এর বিচার হয়েছিল আর্মি অফিসার হত্যার জন্য। কারণ জিয়াকে ক্যান্টমেন্ট এর বাইরে নিতে না পারায় সেদিন ১৮ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা ও অনেক সেনাকর্মকর্তাকে অপমানিত করা হয়। ঘটনা এতোটাই ভয়াবহ ছিল যে জিয়া যেই ভবনে ছিল সেখানকার সেনাকর্মকর্তা ছাড়া গোটা ক্যান্টনমেন্টে আর কোন অফিসার ছিল না, তারা ভয়ে পালিয়ে গেছিল।

বেশকিছু বই পড়ে একই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি পেয়েছি, তাই বললাম। অনেক জায়গায় সেনা কর্মকর্তা বিচারে অনেক সেনা সদস্যের ফাঁসি কথা এসেছে। আপনারাতো শুধু কর্নেল তাহের এর কথা বলেন, কিন্তু ইতিহাস বলে সেদিন অনেক সেনা সদস্যের ফাঁসি ও রাতারাতি বদলি হয়েছিল। যার একজন জেনারেল মঞ্জুর ছিলেন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য জানানোর জন্য।

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

রুহুল আমিন খান বলেছেন: ব্যাপারটা হচ্ছে তিন মুক্তিযোদ্ধা অফিসারের গেম অব থ্রোন যেখানে জেনারেল জিয়া নিজ বিচক্ষনতা ও লীডারশিপ ও সুযোগের যথাযথ ব্যাবহার ঘটিয়ে সার্ভাইব করে আয়রন থ্রোনে বসতে পারে। ৭ই নভেম্বরের পরে জিয়া যেমন অনেক সৈনিক অফিসার হত্যা করেছিলো তেমনি এটাও সত্য যে ৭ই নভেম্বরে কর্নেল তাহের ও সৈনিক সৈনিক ভাই ভাই অফিসারের রক্ত চাই স্লোগানে বেশ কিছু অফিসার হত্যা করেছিলো। তাহের এর উৎপাদনশীল সেনাবাহিনী থিওরিটা বেশ ইউনিক ছিলো তবে দীর্ঘদিন কলোনিয়াল সিস্টেমে থাকা একটা সেনা বাহিনীর উপর রাতারাতি প্রয়োগ করার মত ছিলো না। সেনা বাহিনীতে জিয়ার একটা জনপ্রিয়তা ছিলো ৩ নভেম্বরে খালেদ মোশারফ জিয়াকে এরেস্ট করলে সেই জনপ্রিয়তার সাথে সৈনিকদের সহনুভুতি যোগ হয়ে হু হু করে বাড়তে থাকে যা কে কাজে লাগিয়ে জিয়াকে সামনে রেখে তাহের ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলো কিন্তু জিয়া চোরের উপর বাটপারি করে বসে।
সব চেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল আওয়ামিলীগ বলে থাকে যে খালেদ এর ৩ নভেম্বরের ক্যু ছিলো আওয়ামিলীগ এর পক্ষে কিন্তু বাস্তবে খালেদ ক্যু এর পর বঙ্গবন্ধু পন্থিদের ক্ষমতায় আনার বদলে বঙ্গভবনে ক্ষমতার চেয়ার মাপজোক করায় সময়ক্ষেপন ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সেফ প্যাসেজ দেওয়ার নেগসিয়েশন এ ব্যাস্ত ছিলো, জাতীয় চার নেতার খুন হওয়া সেই নেগসিয়েশনের ফসল কিনা আল্লাহ মালুম। আর এই তাহের এর ক্যু ও আওয়ামিলীগের পক্ষে ছিলো না এবং তাহের এর সাপোটারাই খালেদ কে খুন করে। কিন্তু ৭ ই নভেম্বের পটপরিবর্তনে জিয়ার ক্ষমতা লাভ আওয়ামিলীগের জন্য এত বেশি গাত্রদাহ তৈরি করেছে যে আওয়ামলীগ এখন খালেদ মোশারফের কবরে ফুল দেয় আর কাঁদে আবার তাহের এর কবরেও ফুল দেয় আরো বেশি কাঁদে। তাহের বা খালেদের যায়গায় জিয়া থাকলে হয়তো আওয়ামিলীগ জিয়ার কবরে ফুল দিয়ে বিলাপ করতো আর তাহের বা খালেদ কে ভিলেন বানাতো

৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তর্ক বিতর্ক এই দুটো থাকবেই তবুও ভালো লাগে ।

৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়ার কিন্তু বেশ কিছু ভালো কাজ আছে।

১০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

শোভ বলেছেন: ৭ই নভেম্বর হলো কিছু কুকুরের হাড্ডী নিয়ে কামড়া কামড়ী ............

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ সার্চম্যান, পোস্ট খুব ভাল লাগল।

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন :) ব্লগ সার্চম্যান, পোস্ট খুব ভাল লাগল।
আমিও

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

পলাশবাবা বলেছেন: ৭৫ এর achievement একটাই। বাকশাল থেকে মুক্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.