![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের একজন স্মরণীয় বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ ও বিশিষ্ট শিক্ষক এবং তিনি একজন দার্শনিকও ছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চববিশ পরগনায় জেলার পেয়ারা গ্রামে ১৮৮৫ সালের ১০ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।এন্ট্রান্স পাশের সময় থেকেই মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বিভিন্ন ভাষার প্রতি অতি উৎসাহী এবং আগ্রহী হয়ে উঠেন তিনি একাধিক ভাষা শিক্ষা শুরু করেন। ১৯১৫ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত চব্বিশ পরগণার বশিরহাটে আইন ব্যবসা করেন। ১৯১৯সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ডক্টর দীনেশ চন্দ্র সেনের সহকর্মী হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষক হিসেবেও তিনি নিয়জিত ছিলেন ।১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পাশাপাশি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২২সাল থেকে ১৯২৪ সালে পর্যন্ত আইন বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়াও তিনি ফ্রান্সের সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে পি.এইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও রিডার হিসেবে নিযুক্ত হন। সেখান থেকে ১৯৪৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর তিনি বগুড়ার সরকারী আজিজুল হক কলেজে প্রিন্সিপাল হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৩ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল তিনি পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ফরাসি ভাষার খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেন। ১৯৫৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত এবং পালি বিভাগে যোগদান করে ১৯৫৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন।বিভিন্ন ভাষায় ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র দখল ছিল অসাধারণ এবং অসামান্য। উর্দু ভাষার অভিধান প্রকল্পেও তিনি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। পরে পূর্ব পাকিস্তানি ভাষার আদর্শ অভিধান প্রকল্পের সম্পাদক হিসেবে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৬১ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির ইসলামি বিশ্বকোষ প্রকল্পের অস্থায়ী সম্পাদক পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬৩ সালে বাংলা একাডেমি কর্তৃক গঠিত বাংলা একাডেমির পঞ্জিকার তারিখ বিন্যাস কমিটির সভাপতি নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে বাংলা পঞ্জিকা একটি আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত রূপ পায়।
বহু ভাষাবিদ, পণ্ডিত এবং প্রাচ্যে অন্যতম সেরা ভাষাবিজ্ঞানী হিসেবে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন একজন খাঁটি বাঙালি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমান। জাতিসত্তা সম্পর্কে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র স্মরণীয় উক্তি ছিলঃ
আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরই দেশের রাষ্ট্রভাষা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার পক্ষে যে ক’জন ব্যক্তি জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর এই ভূমিকার ফলে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পথ অনেকখানিই প্রশস্ত হয়।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: চমতকার ছিল উনার জ্ঞানের আলো।
২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
আটলান্টিক বলেছেন:
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হাসির কি হল সেটা কইলেন না।
৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মানুষ এখন জাতিসত্তার চেয়ে ধর্মপরিচয়কেই বড় বিবেচনা করে। তাই তো এত সম্প্রদায়গত বিভাজন।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আর সে কারনেই আজও আমরা পিঁছিয়ে রয়েছি।
৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:১২
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করবার কিছুদিন পরেই উনার ভিতরে পাকিস্তান সম্পের্কে এক ধরনের তিক্ততার সৃষ্টি হয়।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: হতে পারে।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
শামচুল হক বলেছেন: উনার মৃত্যু তারিখ কবে?
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সেটা জানতে পারি নাই।
৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
মাআইপা বলেছেন: এমন একজনের বড় প্রয়োজন এই সময়ে
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: আর হয়ত আসবে না।
৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৬
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৮
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১১
আটলান্টিক বলেছেন: উনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তি